হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
পাহাড়ে আতঙ্ক রুবি মাউন্টেনে হাইকিঙে গেল তিন গোয়েন্দা। ওখানে দেখা পেল অতিকায়, লোমশ এক জানোয়ারের। ওটাই কি কিংবদন্তির সেই দানো সাসকোয়াচ? তিন বন্ধু রহস্য ভেদ করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠল। ভুতুড়ে বর্ম: গোবেল বিচে জিনার বাড়িতে এসে রহস্যের খোঁজ পেয়ে গেল কিশোর। জাদুঘরে গভীর রাতে ভয়ঙ্কর ওটা কী? কোনও পিশাচী? ভুতুড়ে বর্ম থেকে বেরিয়ে এল দানব বাদুড়। এল এক পুরানো প্রেতাত্মা। সঙ্গে এল ভয়ানক জাদুকর। জমে উঠল খেলা! ভূমিকম্প: জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর ও জিনা এবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে। ওরা ওখানে পৌছনোর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো প্রবল ভূমিকম্প। বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল। নিজেদের জীবন বিপন্ন, এ অবস্থায় অসহায় মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ওরা। তারপর…
প্রাচীন বাড়ির রহস্য প্রাচীন, পোড়ো এক বাড়ি। কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ওটার চিলেকোঠায়? লোকে বলে-গুপ্তধন। বাড়িটাতে সন্দেহজনক সব চরিত্রের আবির্ভাব ঘটছে। এবং তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য তো তৈরি হয়েই রয়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। পাতালবন্দি লিযার্ড লোকটা সাধু না শয়তান? অনেকের কাছে সে দুনিয়ার ত্রাণকর্তা, আবার কারও মতে সে ক্ষমতালি্দু-পৃথিবীর দখল নিতে চায়। কোনটা ঠিক জানার জন্য তার পাতাল গবেষণাগারে হানা দিল কিশোর, মুসা, রবিন আর হিরু চাচা। দেখা যাক, কী হয়.. সেই রক্তচক্ষু হঠাৎ করেই উধাও কিশোর! ফুঁপিয়ে উঠলেন মেরি চাচী, “হয়তো দূরে নির্জন কোনও সেতুর নিচে পড়ে আছে ওর লাশ।” মুসা আর রবিন জেনে গেল-‘রক্তচক্ষু”-র পুরনো সেই কেসের সঙ্গে চারপাশে ভয়ঙ্কর অশুভ সব মানুষ! সম্পর্ক আছে কিশোরের অন্তর্ধানের! তবে কি সমাধান হয়নি সেই কেসটা? রক্তচক্ষু-রহস্য তদন্তে নেমে জটিল ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে গেল ওরা। সত্যিই কি খুঁজে পেল প্রিয় বন্ধু কিশোরকে? শেষে ভারতের দুর্গম এক পর্বতে অদৃশ্য-মন্দির খুঁজতে গেল তিন গোয়েন্দা। আর কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে ওরা?
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
ক্যামেরার চোখ ছুটিতে স্যান ফ্রান্সিসকোতে ফটো জার্নালিস্ট বন্ধু পিটারসনের কাছে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কে জানত, আগে থেকেই মারাত্মক বিপদে পড়ে বসে আছে পিটারসন? নিজের অজান্তেই এমন এক ছবি তুলেছে সে, যা মৃত্যুফাদ হয়ে দেখা দিয়েছে তার জীবনে। বন্ধুকে বাঁচানোর অভিযানে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। ওরাও পা দিল মৃত্যুফাঁদে। ভ্যাম্পায়ারের ছায়া হরর ছায়াছবির বিখ্যাত অভিনেতা কার্ল ব্রিগল। তাঁর জমিদারবাড়িতে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব ঘটনা। জানালার পাশে ছায়ামূর্তিটা কার? হৃদকম্পনের দুপ-দুপ শব্দটা কোথেকে আসছে? অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল রবিন। তিন গোয়েন্দা কি জানত কী ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? ভুতুড়ে বাড়ি ভুতুড়ে এক বাড়িতে বেবিসিটারের কাজ নিয়ে এল কিশোর। উদ্দেশ্য, পকেট মানি সংগ্রহ করা। লিযি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে দেখে রাখতে হবে ওর। কিন্তু ও আবিষ্কার করল, মেয়েটি শুধু যে অদ্ভুত তা-ই নয়, তার খেলনা পুতুলগুলো বড় বিচিত্র। কিশোর উপলব্ধি করল, নিজের অজান্তেই ভয়ানক বিপদে পড়ে গেছে ও। ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনা হচ্ছে জাল!
ধাঁধা-রহস্য উইসকনসিনের পুরানো বাড়িটিতে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? প্রাচীন ধাধাগুলো কি কোন গুপ্তধনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? রহস্যের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। টের পেল, ধাঁধা-রহস্যের সমাধান করতে বুদ্ধির ঝিলিক দেখাতে হবে ওদেরকে। জাদুশক্তি খেলার ছলে ভাগ্যগণনা করাতে গিয়ে তীব্র বৈদ্যুতিক শক খেল কিশোর। তারপর অবাক বিস্ময়ে আবিষ্কার করল, জাদুশক্তি ভর করেছে ওর ওপর। প্রথমটায়, খুশি হয়ে উঠল ও, তবে বিপদটা টের পেল পরে। অলৌকিক উপায়ে খেপা এক বিজ্ঞানী নিজের ল্যাবে নিয়ে গেলেন ওকে, শুরু করলেন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তাঁর কবল থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে কিশোর? রহস্যনাট্য বহুবছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে সুপ্রাচীন ট্র্যাপ-ডোর থিয়েটারটি। ওখানে মঞ্চস্থ হচ্ছে রহস্য নাটক-লেডি অস্টেনের ধাঁধা। ওটা দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। ধীরে-ধীরে আবিষ্কার করল কত বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে রহস্যনাট্যটির। ভেতরে।
ভয়াল দানোর কবলে জাদুকরের টাইপ-রাইটার আর কলম কিনল রবিন । ওগুলো কেনা উচিত হয়নি ওর । যেচে বিপদ ডেকে আনল ও । তিন গোয়েন্দা, দানবের হাত থেকে এবার আর রক্ষা নেই তোমাদের । কঙ্কাল উধা: নার্সের অফিস থেকে চুরি গেল স্কুলের কঙ্কালটা । মেঝেতে পাওয়া গেল রহস্যময় একটি মাত্র বাঁ পায়ের ছাপ । প্রিন্সিপাল ঘোষণা কঙ্কালটা উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার দেবেন । কঙ্কাল উদ্ধারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল পুরো স্কুল । তিন গোয়েন্দাও বসে থাকল না । শাপমোচ: তিন গোয়েন্দা এবার অস্ট্রেলিয়ায় । ওদের সঙ্গে ছোট্ট কুকুর টমি । টমির শাপমোচনে কি সাহায্য করতে পারবে তিন গোয়েন্দা? রংধনু সাপের অলৌকিক ক্ষমতা কি দাবানলের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বনভূমির নিরীহ প্রানীদের? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ওদেরকে
শ্যারনের ডায়েরি আমি যে স্কুলে পড়ি, তার অডিটোরিয়ামের বেযমেন্টে থাকত এক ‘প্রেতাত্মা’ । মিথ্যা নয়, সত্যিকারের ‘প্রেতাত্মা’ । যদি শুনতে চাও কিশোর আর আমার কথা, তো এসো বসে পড়ো দেরি না করে । ড্রাকুলার কফিনঃ গ্রীনহিলস স্কুলের নতুন টিচার মিসেস হকিন্স উঠেছেন ভূতুড়ে এক বাড়িতে । ওটার বেযমেন্টে ঢোকানো হলো কালো এক কফিন । কী আছে ওটার ভেতর ? ড্রাকুলা নয়তো ? রহস্যের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা । খেলার আসরঃ ম্যাজিক ট্রী হাউসে চেপে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন গ্রীসে । কিন্তু ওখানে গিয়ে জানতে পারল মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না, অভিনয় করতে পারে না, অলিম্পিকের আসরে যেতে পারে না । কিন্তু আইন ভেঙ্গে ছদ্মবেশে অলিম্পিকে ঠিকই হাজির হলো জিনা । এবং ধরাও পড়ে গেল । তারপর ?
গ্রেমলিন বদলী সেক্রেটারি আসার পর থেকে একে-একে বিগড়ে যেতে লাগল গ্রীন হিলস স্কুলের যন্ত্রপাতি। মহিলা কি গ্রেমলিন? দুষ্টু প্রাণীটার সঙ্গে তার অদ্ভুত মিল। বিপদের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। ঘড়ি-রহস্য জ্যাক নানার সঙ্গে গোল্ডউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে তিন গোয়েন্দা। ভুতুড়ে ক্লক টাওয়ার। মাঝরাতে রহস্যময় আলো। অচেনা পদচিহ্ন গুপ্তধনের সঙ্কেত। তদন্তে জড়িয়ে পড়তে আর কী চাই ছেলেদের? মেঘ ড্রাগন মার্লিন বিষণ্ণতায় ভুগছে। তার জন্য কিশোর আর জিনার কাছে সাহায্য চাইল মরগ্যান। প্রাচীন জাপানে যেতে হবে ওদের। খুঁজে বের করতে হবে সুখের উপায়। সঙ্গে আছে এক গাইড বই আর এক জাদুদণ্ড-সেটা ব্যবহারের আবার তিনটে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মিশন সম্পূর্ণ করতে এ দুটোই কি যথেষ্ট? দেখাই যাক না।
অদেখা ভুবনের সে তিন গোয়েন্দার বন্ধু মার্ক। তার মৃত যমজ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হঠাৎ করে ফুটে উঠল আয়নায়। তারপর থেকে ঘটতে শুরু করল নানা ধরনের অঘটন। বন্ধুর বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তিন গোয়েন্দা। প্যালেস থিয়েটার-রহস্য প্যালেস থিয়েটার প্রাচীন এক স্থাপনা। কনসার্ট শুনতে ওখানে হাজির ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। হঠাৎ করে শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। ফলে তদন্তে নামতে বাধ্য হলো ছেলে-মেয়েরা। সময়ের চাবি-রহস্য সময়ের চাবির পাঁচটা টুকরো জোগাড় করতে পেরেছে কিশোর আর হিরু চাচা। এবার বেরিয়েছে ছ’নম্বর টুকরোটার খোঁজে। ওটা পেলেই পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে চাবিটা, নিরাপদ হবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু অশুভ শক্তিরও যে চাই ওটা। কাজেই চাচা-ভাতিজার সঙ্গে বেধে গেল দ্বন্দ্ব।
বুদ্ধির খেলা সাধারণ একটা কুকুর চুরির ঘটনা । কিন্তু সাধারণ থাকল না । কারণ, ওটা কোটিপতি হার্বার্ট রকফেলারের প্রিয় কুকুর । তার উপর তিন গোয়েন্দার কাছ থেকে রাফিয়ানকেও ছিনিয়ে নিয়ে গেল কুকুর-চোর । সূত্র ধরে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা । এমনি সময়ে ওদেরকে হুমকি দিল কুকুর-চোরঃ হয় তদন্ত বন্ধ করো, নয়তো লাশ পাবে রাফিয়ানের । এখন ? কী করবে ওরা ? অরণ্যের প্রতিশোধ; সামনে হ্যালোউইন । কিশোরের নতুন কস্টিউম দেখে চমকে যাচ্ছে সবাই । কিন্তু কেউ বুঝতে চাইছে না এটা নকল নয়, আসল । ওদিকে ওর সারা শরীর ক্রমেই গাছ হয়ে যাচ্ছে । এখন ? ভুতুড়ে বিমান: অস্ট্রেলিয়া থেকে বদলি ছাত্র হিসেবে এসেছে মার্ক । কিশোরদের বাসায় উঠেছে । ও আসার পর থেকেই ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা । কিশোরের উপর নেমে আসছে একের পর এক বিপদ । আসলে কে এই মার্ক ? ওর হাত থেকে কীভাবে নিস্তার পাবে কিশোর ?
গোরস্থানে সাবধান! রাতের ঝড়ে উপড়ে পড়েছে গোরস্থানের প্রাচীন হেডস্টোনগুলো। তারপর গোরস্থানে উদয় হলো অচেনা এক লোক। মুসাদের গ্রীনহাউসে রহস্যময় আলোটা কীসের? ভীতিকর দুপ দুপ শব্দটা আসে কোথা থেকে? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে কোথায় গেল তিন গোয়েন্দা? নেকড়ের বনে উলেফলেকে চাচা-চাচির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বিচিত্র রহস্যের মুখোমুখি হলো রবিন। উলফদের বাড়িতে যাওয়া নিষেধ কেন? চাঁদনিরাতে বনের ভিতর কীসের গর্জন শোনা যায়? বুনো প্রাণীগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করে রেখে যায় কে? মানুষের দিকে হাত বাড়াবে না তো ওই জঘন্য খুনি? খাবারচোর কিশোরদের পাড়ায় হঠাৎ করেই খাবারচোরের উৎপাত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাড়ি থেকে চুরি যাচ্ছে খাবার। কে করছে কাজটা? কেনই বা? সন্দেহভাজনদের উপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করল কিশোর।
লাটসাহেব আঙ্কেল ডিকের সঙ্গে ইউরোপে বেড়াতে গিয়ে ছোট এক রাজ্যের প্রাসাদ-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল মুসা, রবিন ও জিনা পারকার। সঙ্গে ছোট এক লাটসাহেব। বন্দি রয়েছে ওরা দুর্ভেদ্য বোর্কেন দুর্গের টাওয়ারে। বন্ধুদের উদ্ধার করবে বলে সার্কাস পার্টিতে যোগ দিল কিশোর পাশা। তারপর? ঘটনার পর ঘটনা। পাজি বিড়াল ডেথ সিটির রাস্তা থেকে একটা কালো বিড়াল বাড়ি নিয়ে গেল রোডা। তারপর থেকেই ঘটতে শুরু করল রহস্যময় ঘটনা। দিনে দুপুরে হঠাৎ করে গাছ ভেঙে পড়ল, আগুন লাগল বাড়ির বারান্দায়। বিড়ালটাকে সন্দেহ করল তিন গোয়েন্দা। সমাধানের জন্য ডাইনির কাছে ছুটল কিশোর। ভৌতিক দুর্গ মেইলে নেলি আন্টির দুর্গে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। গিয়েই জড়িয়ে পড়ল রহস্যে। রক্তহিম করা চিৎকারটা কোথা থেকে আসে? রাতের বেলা প্লেহাউসের বাইরে ভুতুড়ে আলোটা কীসের? কী ঘটছে এখানে?
পেইন্টিং-রহস্য এক বন্ধু হিরু চাচার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন দামি এক পেইন্টিং। কিন্তু হিরু চাচার বাসা থেকে চুরি গেল ওটা। ফলে, চাচার মান বাঁচাতে তদন্তে নামল কিশোর, মুসা আর রবিন। অভিশপ্ত ক্রুশ কিশোরের বন্ধু সিজারের সুপ্রাচীন পারিবারিক ক্রশটি অভিশপ্ত। অভিশাপ আছে-যে ওটা চুরি করবে এবং যে খোয়াবে দু’জনেই মারা পড়বে। ঘটনাচক্রে, ক্রুশটা বেহাত হয়ে গেল সিজারের। মৃত্যু আশঙ্কায় ভেঙে পড়ল সে। অসহায় বন্ধুর পাশে দাঁড়াল কিশোর। যেভাবে হোক উদ্ধার করবে ক্রুশটা। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছ পা নয়। স্বর্ণ সিন্দুক-রহস্য সিন্দুক ভর্তি সোনা লুকানো আছে কোথাও। একাংশ পুড়ে যাওয়া এক প্রাচীন চিঠিতে ছিল ওটার হাদিস।…চুরি গেল কিশোরের উপহার পাওয়া দামি আংটিটি। ওদিকে, নতুন বান্ধবী জেনির নানা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। সব রহস্য মিলেমিশে একাকার। জট ছাড়াতে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ভীষণ ঠাণ্ডা। ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারল না। তিন গোয়েন্দা ও রোডা। ডেথ সিটির জঙ্গলে অদ্ভুত কিছু বরফের কফিন চোখে পড়ল ওদের। জ্যান্ত হয়ে উঠল হাজার বছরের পুরানো, ভয়ঙ্কর হিমপিশাচেরা। ওদের চোখের বিধ্বংসী নীল আলোয় এ-কোন সর্বনাশের ছায়া! আবারও কি সেই ডক্টর মুন? গোপন ডায়েরি/শামসুদ্দীন নওয়াব রান্নাঘরের ইঁটের নীচে লুকানো বাঘটি বছরের পুরানো গোপন ডায়েরি টেনে বের করল কিশোর। ডায়েরির মালিক ক্যামেলিয়া লিখেছে: ‘সাবধান! গোপনে যে আমার ডায়েরি পড়বে, চিরকালের জন্য চিলেকোঠার ভূত হয়ে যাবে সে। প্রিয় পাঠক, তুমি এ-বই পড়ছ, অতএব তুমিও…!!
নেকড়ে মানুষ লোন উলফ রানশের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করতে গেছে তিন গোয়েন্দা, জিনা আর রাফি। কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ উঠতেই শুরু হলো গোলমাল। রানশের সোনার হর্সশুগুলো চুরি করল এক নেকড়েমানুষ। ফলে রহস্যের সমাধানে তদন্তে নামতে হলো ছেলে-মেয়েদের। মারণাস্ত্র ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ যদি সুপার নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে ফেলে তবে কী ঘটবে? যে করে হোক ঠেকাতে হবে ভিজিলের বোমা তৈরির পরিকল্পনা, ধ্বংস করতে হবে তার ফর্মুলার সব ক’টা কপি। নিজের জীবন বাজি রেখে শক্রশিবিরে হানা দেয়ার ক্ষমতা কার আছে? মাসুদ রানার? ও কি পারবে মানব জাতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে?…হিরু চাচার রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার। ভ্যাম্পায়ারের পদধ্বনি পুরানো, ভুতুড়ে স্টোরেজ বিল্ডিঙে ঘটনাচক্রে জ্যামিতি নোট বইটা ফেলে এসেছে মুসা। ওটা আনতে ওখানে ফিরে গেল ও। কিন্তু অদ্ভুত আলোটা কীসের? কফিনের ঢাকনা খোলা কেন? ভিতরের দেহটা কার? এসব কী ঘটছে প্রাচীন বাড়িটাতে?
মৎস্যকন্যা ট্র্যাক মিটে অংশ নিতে ক্যাম্প লোন উলফে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডানা। জানতে পারল সুন্দরী, রহস্যময়ী কোচ ওয়াটারপুল ওদেরকে ট্রেনিং দেবেন। ডানার ধারণা মহিলা মৎস্যকন্যা এবং গভীর ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ক্যাম্প ডিরেক্টর মি. উলফারের বিরুদ্ধে। ঘনিয়ে উঠল রহস্য। এবং তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা । মৃত্যুমন্দির কিশোর পাশার মনে কটা প্রশ্ন জেগেছে: অমূল্য সোনার আংটিটা ওর বন্ধু হানি পেল কোথায়? এক জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন বলছেন ফেরাউনের সমাধিমন্দিরে কিছু নেই? রাজাদের উপত্যকার ট্র্যাপডোরটার নিচে কী আছে? উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে হলো কিশোরকে। দমকলবাড়ি-রহস্য শহরের ঐতিহ্যবাহী, প্রাচীন দমকলবাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাউন কাউন্সিল। প্রতিবাদ করল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাজে নেমে বুঝল প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী। ওদিকে, দমকলবাড়ির ঐতিহাসিক ট্রফিগুলো চুরি হয়ে গেল। ফলে অনিবার্যভাবেই নতুন রহস্যে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা।
সার্কাস-রহস্য গ্রীন হিলসে সার্কাস পার্টি এসেছে। মহা উৎসাহে সার্কাস দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু পারফর্মারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রপগুলো নেই কেন? ব্যাপারটা রহস্যময় ঠেকল ওদের কাছে। ফলে, তদন্তে জড়িয়ে গেল। ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য নিউ ইংল্যান্ডের এক জেলে পল্লীতে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল, ফ্লাইং ক্লাউড নামে এক জাহাজ বহু বছর আগে ডুবে গিয়েছিল। কেউ জানে না কী ঘটেছিল ডোবার আগে। লোকে বলে, অন্ধকার, ঝড়ো রাতে নাকি উদয় হয় ওটা। তিন গোয়েন্দা কি পারবে ভুতুড়ে জাহাজের রহস্য উদঘাটন করতে? আশ্চর্জন্তু অন্ধকার চিলেকোঠায় প্রকাণ্ড এক ডিম। ক্লাস টিচার মিসেস এগসকে ওটায় তা দিতে দেখল তিন গোয়েন্দা। ডিম ফুটে কী বেরোবে? মতলবটা কী মিসেস এগসের? তিনি কি মানবজাতির জন্য মস্ত বড় কোন বিপদ ডেকে আনছেন? …নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল ছেলেরা।
লটারি-রহস্য তিন গোয়েন্দার, বন্ধু ম্যাক্স ও কোনর। বড়দিনে দাদুর কাছ থেকে একটা লটারি টিকিট উপহার পেল ও। সৌভাগ্যক্রমে, লটারিতে সাত মিলিয়ন ডলার পুরস্কার জিতল ছেলেটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, চুরি গেল লটারি টিকিটটা। ফলে, বন্ধুর সাহায্যের ডাকে সাড়া দিয়ে চোরের খোঁজে মাঠে নামতে হলো তিন গোয়েন্দাকে। ইউনিকর্নের খোঁজে জাদুকর মার্লিন কিশোর আর জিনাকে নিউ ইয়র্কে পাঠিয়েছে মিশন দিয়ে। একটা ইউনিকর্নকে উদ্ধার করতে হবে। প্রবল তুষারঝড়ের মধ্যে কাজে নামল ওরা। জানে না, কালো জাদুকর ইউনিকর্ন টার দখল পেতে তার দল পাঠিয়েছে। এক পর্যায়ে মুখোমুখি হলো দুপক্ষের। জলদস্যুর নকশা সাগরসৈকতে প্রাচীন এক বোতল খুঁজে পেল ডন। বোতলটার ভিতরে এক টুকরো কাগজ। জানা গেল ওটা কুখ্যাত এক জলদস্যুর গুপ্তধনের নকশার চারটি টুকরোর একটি। টুকরো চারটি জোড়া দিলেই মিলবে বিপুল গুপ্তধনের হদিস। নকশার টুকরোটা হাতাতে লোক লেগে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডনের পিছনে। ফলাফল: নতুন রহস্য।