কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা রকিব হাসান হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছিÑ এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
খনিতে বিপদ কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? হাতে কোন সূত্র নেই। আসলে ঘটছে কী? পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের! গুহ-রহস্য গুহার মুখে পাহারা থাকা সত্ত্বেও রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যায় জিনিসপত্র। ভূত, না মানুষ? কিশোরের দৃঢ় বিশ্বাস, মানুষ। শুরু হলো তদন্ত। ধীরে-ধীরে জট খুলল জটিল এক রহস্যের। কিশোরের নোটবুক পোষা পশু-পাখিদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী মনিব ও পোষ্য টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। বাঘাকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিল কিশোর। কিন্তু একী! বাঘা খেলা দেখাচ্ছে না কেন? এর পিছনে কি কারও কারসাজি আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা।
আঁধারে কে রাতের বেলা ছেলে-মেয়েদের বিছানার নীচে ধুপ-ধুপ শব্দ। দেয়ালে নখ আঁচড়ানির আওয়াজ। এসবের সঙ্গে কি নতুন স্যর মি. বগির কোন সম্পর্ক আছে? তিনি কি আসলে বগিম্যান? জবাবটা জানতে চাইল তিন গোয়েন্দা। জলাভূমির আতঙ্ক মারাত্মক জলাভূমিতে ডুবিয়ে দেয়া হলো তিন গোয়েন্দা প্যাডাল-বোট। হামলা চালাল ভয়ঙ্কর এক কানা অ্যালিগেটর। খুন করতে চায় ওদের কেউ। খুনীকে খুঁজে বের করতে তৎপর হলো গোয়েন্দারা। ভুতুড়ে দুর্গ সিনেমা দেখতে যাচ্ছিল তিন গোয়েন্দা আর জিনা। পথে গাড়ি গেল নষ্ট হয়ে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে প্রাচীন এক দুর্গে আশ্রয় নিল ওরা। শুরু হলো ভূতের উপদ্রব। তারপর?
লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।
ম্যাজিক শো রকিব হাসান রকি বীচে খেলা দেখাতে এসেছে জাদুকর গ্রেট ক্ল্যাণ্ডর। প্রতি শো-তে একজন করে ছেলে কিংবা মেয়েকে সহকারী হিসেবে স্টেজে ডেকে নেয় ও। জাদুর বাক্সে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ফেরত নিয়ে আসে। অদ্ভুতভাবে বদলে যায়। তখন ছেলেমেয়েগুলো । রহস্য উদঘাটনে ঝাপিয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা। কালঘুম শামসুদ্দীন নওয়াব মা’র কথা না শুনলে মানুষের যা হয়, তা-ই হলো মুসার। অন্য দুনিয়ায় চলে যেতেই হলো। ওয়ার্প পুলিশ-বাহিনী। ওকে খুন করতে এল। মুসা বাঁচবে কী করে? বাঁচবার কোনও পথই নেই। নাকি আছে? মঞ্চনাটক শামসুদ্দীন নওয়াব জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন লণ্ডনে। ঘটনাচক্রে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে হলো ওদেরকে। পরিচয় হলো। কালজয়ী এক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বন্দি এক ভালুককে মুক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল জিনা। বাধা হয়ে দাঁড়াল ভালুকটার মালিক। তারপর?
কালো পর্দার অন্তরালে কিশোর, রবিন আর মুসা স্কুলের ছুটিতে চলেছে সুদূর কেনিয়ায়। জানে না একের পর এক বিপদ অপেক্ষা করছে ওখানে ওদের জন্য। শুরুতেই ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা হলো ওদের, রওনা হওয়ার আগেই। তারপর? বিমান দুর্ঘটনা—কুমিরের আক্রমণ, খুনীর হামলা…পিছু হটল না তিন গোয়েন্দা। কীভাবে সমস্ত রহস্য ভেদ করবে ওরা? কীভাবে ঠেকাবে অন্যায় পশুহত্যা? ভয়াল শহর ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল ওরা। রুক্ষ উষর অঞ্চলে ঢুকে খারাপ হয়ে গেল গাড়ি। অবাক হয়ে গেল কিশোর ও মুসা। যার কাছেই যায়, এক কথা: বেরিয়ে যাও এখান থেকে! বোকার মত চ্যালেঞ্জ করে বসল ওরা মহাপরাক্রমশালী, খুনী, ভয়ঙ্কর শত্রুকে। সুমেরুর আতঙ্ক গোরস্থানের পাশে কুয়াশা ঘেরা প্রাচীন এক বাড়ি। সেখানে বাস করে বিচিত্র এক পরিবার। ঘটনাচক্রে, সায়েন্স প্রজেক্টের কাজে ও বাড়িতে যেতে হলো রবিনকে। ঘুণাক্ষরেও জানে না, ওকে ঘিরে বোনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্রের জাল!
নিষিদ্ধ নগরী রন্থামভর ভারতের একটি সংরক্ষিত বনভূমি। হঠাৎ করে মাঝরাতে সেখানে দেখা যাচ্ছে বিচিত্র আলো। আবির্ভাব ঘটছে দেবী কালীর। এসব কীসের আলামত? ভারত সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে সদলবলে রন্থামভরে পৌছল হিরু চাচা। আবিষ্কার করল তার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. ব্রুট টিমও হাজির। জীবনের ওপর একের পর এক হামলা আসছে, তিন গোয়েন্দা ঠিক করল এর শেষ দেখে ছাড়বে। রেলগাড়িতে খুন ট্রেইনে চড়ে নানা-নানুর কাছে বেড়াতে যাচ্ছে কিশোর, সঙ্গে মামাতো ভাই রাজন। যাত্রাপথে রেলগাড়িতেই খুন হয়ে গেলেন সাবেক হলিউড অভিনেত্রী অপরূপা জ্যাকুলিন কার্টার। তাঁর স্বামী ধরা পড়লেন রক্তমাখা ছোরা হাতে। তিনি বারবার বলছেন খুন করেননি। কেউ বিশ্বাস করল না তাঁর কথা, কিশোর বাদে। ফলে, আসল খুনীকে ধরতে তদন্তে নামতে হলো ওকে। মূর্তি-রহস্য নতুন ক্যামেরায় বারোটা ছবি তুলেছে মুসা, কিন্তু ডেলিভারি পেল তেরোটা। রহস্যময় তেরো নম্বর ছবিটা কোত্থেকে এল? গোপন কী বার্তা দিচ্ছে ওটা? ওটার সঙ্গে কি শহরের প্রাচীন মূর্তিটার কোন সম্পর্ক আছে? নতুন রহস্যে জড়াল তিন গোয়েন্দা। কুয়াশা-দানব প্রেয়ারির মাঝে ছোট্ট শহর হেলবাউণ্ড। ওখানে গেল তিন গোয়েন্দা। জানত না সামনে মস্ত বিপদ! তবে কি মহাশূন্য থেকে আসছে অদ্ভুত কুয়াশা ও ভয়ানক দানব? প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ফাঁদ পাতল ওরা। পড়ল তাতে নিজেরাই মৃত্যু-মুখে।…তারপর?
কালো ডাক এখানে ওখানে আগুন ধরে যাচ্ছে। সবার ধারণা দুর্ঘটনা। কিন্তু তিন গোয়েন্দার ধারণা আগুন কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহটা আরও বাড়ল, যখন হুমকি দিয়ে চিঠি এল: তদন্ত বন্ধ করো, নইলে খুন হয়ে যাবে! দমল না তিন গোয়েন্দা। সিংহ নিরুদ্দেশ রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গেছে একটা সিংহ। লোকালয়ে ঢুকলে সর্বনাশ। পিছু নিল তিন গোয়েন্দা। যে করেই হোক জ্যান্ত ধরতে হবে ওটাকে। ভুট্টাখেতে গুলির শব্দ। চেঁচিয়ে উঠল কাপলিং: মেরেছি! মেরেছি! সর্বনাশ করে দিল বুঝি লোকটা! ফ্যান্টাসিল্যাণ্ড ফ্যান্টাসিল্যাণ্ডে মজা করতে এসে মহা বিপদে পড়ে গেল কিশোর। কালো আলখিল্লাধারী এক জীব ওকে বলছে ড্রাগন খুঁজে দিতে। কীসের ড্রাগন? কোথা থেকে খুঁজে দেবে কিশোর? অত কথা ওরা শুনতে চায় না। হুমকি দিল, সে সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে চাপ। বন্ধুকে রক্ষা করতে পাশে এসে দাঁড়াল মুসা ও রবিন। শক্তিধর শত্রুর বিরুদ্ধে নামল লড়াইয়ে।
বিভীষিকার প্রহর শহরের নতুন অত্যাধুনিক শপিংমলটাকে কেন যে ভয় পায় রবিন, নিজেও জানে না। ভয়ঙ্কর সব দুঃস্বপ্ন দেখে। কিন্তু ওখানে পুতুল কিনতে যেতে বাধ্য হলো ও। মলের লিফট ওকে নামিয়ে নিয়ে গেল ভয়ানক এক বিভীষিকার জগতে। আমাজনের ভয়ঙ্কর! শাহানা আন্টির সঙ্গে আমাজন জঙ্গলে চলেছে মুসা, সঙ্গে পিচ্চি ফায়েজা। কিন্তু কেউ কি জানত, কী ঘটবে? মহাবিপদে পড়তে চলেছে ওরা। সবুজ প্রকৃতি ওদের খুন করতে চাইছে! পালাবে কোথায়? পথ তো নেই। জিন্দালাশ ভার্সেস তিন গোয়েন্দা জঙ্গলের মধ্যে গোরস্থান। সেই গোরস্থানের কবর থেকে লাশ চুরি যাচ্ছে। লোকে বলছে তারা নাকি জিন্দালাশদের দেখতে পাচ্ছে। জিন্দালাশের কথা বিশ্বাস করল না তিন গোয়েন্দা। রহস্যের গন্ধ পেয়ে নামল তদন্তে।
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
ওপার থেকে নতুন স্কুলবিল্ডিঙে ক্লাস করছে তিন গোয়েন্দা । কিন্তু একের পর এক ক্ষতি করা বিল্ডিংটার । কে বা কারা করছে অপকর্মগুলো ? রবিনের ধারণা এসব ভূতের কান্ড । স্কুলটাকে রক্ষা করতে নামল তিন গোয়েন্দা । জ্যান্ত ভূত গ্রিনহিলসের বন্ধু রেমন্ডের সঙ্গে ক্যাম্প মুনলাইট-এ ঢুকেই ধাক্কা খেল রবিন । একদম নির্জন । তবে একটু পরেই একে একে হাজির হলো । রহস্যময় ওদের আচরণ । বিচিত্র ওদের চালচলন । ক্যাম্পের পরিচালক আংকেল গ্রেগ তো আরও রহস্যময় । কারা ওরা ? ধীরে ধীরে জটিল এক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ল ওরা । প্রাণ বাঁচানোই দায় । দেবতার শহর জাদুর ট্রী হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন পম্পেই শহরে । এখানে পৌছনোর খানিক পরেই বিস্ফোরিত হলো মাউন্ট ভিসুভিয়াস । প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল ওদের । এসময় আলৌকিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়াল – কে ?
দূরের যাত্রীঃ অতীত থেকে বর্তমানে ফিরতে সাহায্য চাই বিজ্ঞানী রিচার্ড ম্যালয়ের। কিন্তু যে-সে টাইম-মেশিন ধরলেই সর্বনাশ! তাই দিলেন কঠিন ধাঁধা। সব সলভ হলেই মিলবে জরুরি কোড। তদন্তে নেমে জটিল রহস্যে জড়িয়ে গেল তিন বন্ধু- কিশোর, মুসা ও রবিন! গুপ্তধনের দ্বীপঃ জলদস্যু ক্যাপ্টেন কিড। তার গুপ্তধনের নকশা। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মহাসাগর। দ্বীপ। বাতিঘর। বহু পুরানো এক অন্তর্ধান, নাকি খুন-রহস্য? মেইন-এ বেড়াতে এসে এর সব কিছুই জানল, দেখল কিশোর। রোমাঞ্চকর অভিযানের হাতছানি, সঙ্গে পেল নতুন বান্ধবী সারাকে। দেখা যাক, দু’জনের মধ্যে কে বেশি দুঃসাহসী! কুহেলী পাহাড়ের প্রেতাত্মাঃ কে জানত গহীন জঙ্গল ও কুহেলী পাহাড়ে লুকিয়ে আছে মহাবিপদ? ফুরিয়ে গেল তিন গোয়েন্দার খাবার। লোকালয় বহু দূরে। ধূসর মেঘে ছাওয়া নির্জন পাহাড়ে বীভৎস এক প্রেতাত্মার তাড়া খাচ্ছে ওরা, তারপরও রহস্যের সমাধান করতে চাইবে না, তা-ই কী হয়? কাজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল ওরা মহা ঝামেলায়! মৃত্যুগোলকঃ আকাশে দেখা গেল জ্বলন্ত অগ্নিগোলক, তারপর শুরু হলো মহামারী। মৃত্যুভয়ে ভীত মানুষ। উজাড় হচ্ছে লোকালয়। ওদিকে, গাঁয়ের জমিদারবাড়িটিতে ঘটছে রহস্যময় সব কাণ্ড-কারখানা। ঘটনাচক্রে, তাতে জড়িয়ে গেল তিন গোয়েন্দা আর হিরু চাচা। চারদিকে শত্রু ওদের। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। অপারেশন হ্যানসনঃ গভীর রাতে এল চোর! একই রাতে উঁচু টিলা থেকে সাগরে পড়ল শোফার হ্যানসনের গাড়ি। ওটার ভেতরেই নেই ওর লাশ। খোঁজ নিয়েই তিন গোয়েন্দা বুঝল, বড় কোনও ঘাপলা আছে কোথাও। দেরি হলো না ওদের তদন্তে নামতে!
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!
আবার মায়ানেকড়ে ব্র্যাডভিয়ার বন থেকে একটা মায়ানেকড়ে ধরে আনলেন রবিনের বাবা মিস্টার মিলফোর্ড। বাড়ির ড্রইংরুমে খাঁচায় ভরে আটকে রাখা হলো ওটাকে। কিন্তু তারপরেও চাঁদনিরাতে কে জখম করেছে মানুষগুলোকে? আলখেল্লা পরা রহস্যময় ওই মানুষটিই বা কে? টি-রেক্স-রহস্য ডাইনোসর জাদুঘর করবে বলে শো করে টাকা তুলছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু টনি হার্পার । কিন্তু গ্রীনহিলসে শো করতে এসে জমানো পাঁচ হাজার ডলার চুরি গেল টনির। টাকাটা ছাড়া জাদুঘর দিতে পারবে না ও। কাজেই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারল না কিশোর, মুসা আর রবিন। নামল তদন্তে। বনের ডায়েরি ম্যাজিক ট্রী হাউসে চেপে তিন গোয়েন্দা এবার ভারতের জঙ্গলে। শ্বাপদসঙ্কুল বনভূমি থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে হবে ওদেরকে। পারবে তো?
হিমগিরিতে সাবধান তিন গোয়েন্দা স্কি করতে এসেছে ম্নাশু মাউন্টেন স্কি লজে। কিন্তু নানা কারণে ওদের ছুটিটা মাটি হতে বসেছে। রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেল মুসার পয়মন্ত লকেট। শুধু তাই না, পাহাড়ী ঢালে বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দেওয়া হলো-কে যেন সরিয়ে দিতে চায় ওকে প্রতিযোগিতা থেকে। কেউ একজন মেতে উঠেছে নোংরা খেলায়। কে? সাগরে শঙ্কা ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডিক কার্টারকে খুন করবে বলে লোক লেগেছে পিছনে। অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে: হারিয়ে যাও। রবিনের অনুরোধে তিন গোয়েন্দা ও জিনাকে নিয়ে সান্তাক্রজ আইল্যাণ্ডের আশপাশের কোনও দ্বীপে গিয়ে নিখোঁজ হতে রাজি হলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিন দিনের মাথায় সত্যিই নিখোঁজ হয়ে গেলেন আঙ্কেল ডিক। ধরে নিয়ে গেছে তাঁকে কারা! পরদিন প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওদের মোটর-বোট সীগাল। অজানা, অচেনা দ্বীপে আটকা পড়ল ওরা। আঙ্কেলকে কীভাবে মু্ক্ত করবে ওরা ভয়ঙ্কর সেই দস্যুদলের কবল থেকে? খেপা জাদুকর লোকে বলে হানাবাড়ি। ওখানে ঘাঁটি গেড়ে বসল খেপাটে এক বুড়া। তার বাড়িতে কাগজ দিতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে গেল মুসা। আশ্চর্য ক্ষমতাবলে ওর উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে বুড়ো জাদুকর। মতলবটা কী তার? তিন গোয়েন্দা আর মলি ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ল জটিল এক ষড়যন্ত্রের জালে।
পাহাড়ের উপর এই প্রাচীন দুর্গ ঘিরে কী দুয়ে রহস্য রয়েছে কে জানে! আতঙ্কিত গ্রামবাসী কেউ সে-সম্পর্কে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চায় না যে? পরিত্যক্তই যদি হবে, রাতের অন্ধকারে কীসের অতও সঙ্কেত আসে ওটার উঁচু টাওয়ার থেকে? আজও কেন ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার ভেসে এসে কাঁপিয়ে দেয় মানুষের বুঝ? সামনেটা ধসে গেছে, কিন্তু পিছন দিয়েও কি ভিতরে ঢুকবার কোনও উপায় নেই? দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা, জিনা ও কিকো এবং অটিকা পড়ল গোপন তলকুঠরিতে।
দহের দানো একাধিক জটিল ধাঁধা। সমাধান করা গেলে মিলবে গুপ্তধন। ফলে, টিকে যাবে তিন গোয়েন্দার মেগনানুর পুরানো রিসোর্ট। কাজে নামল ছেলেরা। সূত্র খুঁজতে গিয়ে টের পেল শত্রু লেগে গেছে পেছনে। সুপারভিলেন কমিকের কাল্পনিক চরিত্রগুলো যদি হঠাৎ করে জ্যান্ত হয়ে ওঠে? বিষয়টা আবিষ্কার করে তাজ্জব বনে গেল কিশোরপাশা। তারপর মহাবিপদে পড়তেই টের পেল কত ধানে কত চাল! ক্যামেরা-রহস্য চিড়িয়াখানায় ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে দু’হাজার ডলার পুরস্কার। কি সেরা ফটোগ্রাফার জন হাওয়ার্ডের ক্যামেরাটা চুরি গেল। প্রতিযোগিতায় জেতার মত ছবি ছিল ওটায়। তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল ছেলেটি ফলাফল, নতুন রহস্য। ওদের জড়িয়ে পড়া
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!
কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? রিজ সিটিতে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাকে বাদ দিয়ে কাকে সন্দেহ করবে ওরা? হাতে কোন সূত্র নেই । আসলে ঘটছে কী? লিজকে খুঁজতে কারও কোন আগ্রহ নেই কেন? মাটির নীচে কয়লার খনিতে জ্বলছে সর্বনাশা আগুন। হয়তো সেখানেই লুকিয়ে আছে সব রহস্যের চাবিকাঠি। পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের!