বৈবাহিক জীবনবোধ, রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার সাবলীল বোঝাপড়া দাম্পত্য রসায়ন সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা।
ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি আর ভৌগলিক পরিবেশ বিবেচনায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডে ইসলামি রাজনীতি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আজতক তা প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশের ইসলামপন্থিদের আটকাবস্থা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে পর্যালোচনা তাই খুবই প্রাসঙ্গিক। ইসলামি রাজনৈতি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে রয়েছে অন্ধ বিরোধিতা; নয়তো অন্ধ সমর্থন। দুধরনের অদ্ধত্বকে উপেক্ষা করে ইসলামপন্থিদের দেখতে হবে তৃতীয় নয়নে। ইসলামি রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা আমাদের দেশে হয় না। নানান মিথ আর প্রিজুডিশ ধারণা নিয়ে ইসলামি রাজনীতিকে উপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই গ্রন্থে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি আঁকতে চেয়েছি।
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং - দ্য ক্লাসিক ট্রিবিউট টু হোপ ফ্রম দ্য হলোকস্ট: এই বইটিতে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষাধিক বন্দীর অসংখ্যবার সম্মুখীন হয়ে আসা পরিস্থিতির আখ্যান। একজন ভুক্তভোগীর লেখনীতে, তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, বন্দীশিবিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিবরণী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শিবির সংক্রান্ত যে ধরনের ত্রাসের কথা আগেও অনেকবার বিভিন্ন রচনায় উঠে এসেছে, তা এখানে বলা হয়নি; বরং প্রতিদিনের অসংখ্য তুচ্ছ পীড়নের প্রেক্ষাপটে এই লেখা। অর্থাৎ এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।
"একটি পরোক্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি (১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এরপর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে একটি ‘একতরফা’ এবং ২০১৮ সালে আরেকটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচন হয়। যার ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পুরো প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রম নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটি ও উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও। এ বইয়ে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে যে রাজনৈতিক বিতর্ক বা সংকট চলছে, সেই সংকটের কারণ অনুসন্ধানের জন্য বইটি সচেতন নাগরিকদের অবশ্যপাঠ্য। "
প্রফেসর তিবুতি লামা। অংশ না নেওয়ার পরও কোনো একটি আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি খেলায় আন-অফিশিয়ালি চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল তাকে। সত্যি কি ঘটেছিল ঘটনাটি? নইলে অদ্ভুতদর্শন এই মানুষটিকে ‘থিঙ্কিং মেশিন’ কেন বলা হবে? ঘটনাচক্রে থিঙ্কিং মেশিন প্রফেসর তিবুতি লামাকে এমন এক জেলখানায় আটক করা হয়েছে, যেখানে আসামিরা সবাই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত। সেখান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি। এখন? এতগুলো সতর্ক চোখ এড়িয়ে ‘কুখ্যাত’ ১৩ নম্বর সেল থেকে কীভাবে পালাবেন প্রফেসর? ...দেশের খবরের কাগজগুলো মেতে উঠল এক ভুতুড়ে গাড়ি নিয়ে। গাড়িটাকে ‘ফাঁদ’-এর এ প্রান্ত থেকে শুধু ঢুকতেইদেখা যায়, ও প্রান্ত থেকে আর বেরোতে দেখা যায় না। সমস্যা কোথায়—রাস্তায়, না গাড়িতে? রহস্যভেদের দায়িত্ব নিলেন প্রফেসর।পাঠক, এক মলাটে দুটি আশ্চর্য কাহিনি। যাত্রা শুরু করুন প্রফেসর তিবুতিলামার সঙ্গে।
আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অলক্ষ্যে যুক্ত হয়ে পড়ল কয়েকজন মানুষ। লোকলজ্জায় গুটিয়ে গেছে হামলাকারীদের পরিবার। যার লাশ আনতে যাবে তারা সে আত্মীয়, নাকি জঙ্গি? শাহরিয়ারকে দাফন করার ইচ্ছায় সাফা ছুটে মরছে। ভাইবোনের আবেগের বন্ধন তাদের। শাহরিয়ারের সঙ্গে আরেক সুতোয় বাঁধা দিলরুবা, দিলরুবার সঙ্গে শফি। বিপরীত এ বন্ধন আবেগের, উপলব্ধির, দায়ের। শফি গৃহশিক্ষক। নিত্য সে তরুণদের উন্মোচিত মন দেখতে পায়। শফি কল্পনাজীবীও। দেখতে পায়, ভূগোল আর ইতিহাস পেরিয়ে কার কার যে আশনাই জীবন্ত হয়ে আছে তার চারপাশের মানুষের মনের গভীরে। দুনিয়াজুড়ে ছড়ানো সেই মাকড়সার জালে একেকটা মানুষ আটকে আছে পোকার মতো। কার দায়ই-বা নিতে পারে সে, নিছক তার কল্পিত চরিত্র আবু ইসহাককে মুক্তির অস্পষ্ট এক পথ দেখিয়ে দেওয়া ছাড়া?
আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। মানবজাতি ও মানবসভ্যতা অতীতে এমন বিস্ময়কর পরিবর্তন এবং অভ‚তপূর্ব রূপান্তর আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং ডিজিটাল জগতের সম্মিলন ঘটাচ্ছে। সব শাস্ত্র, অর্থনীতি, শিল্প এই বিপ্লব দ্বারা প্রভাবান্বিত। এই বিপ্লবের গতি অভূতপূর্ব। ইতোমধ্যে ন্যানোপদার্থ তৈরি হয়ে গেছে, যেগুলো লোহা থেকে ২০০ গুণ শক্ত এবং মানুষের চুলের ১০ লাখ ভাগের ১ ভাগ। শীঘ্রই ত্রিমাত্রিক ছাপাখানায় মানবযকৃৎ তৈরি হতে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বইটির লেখক অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বিশ^খ্যাত অর্থনীতিবিদ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী সভাপতি। ‘ঞযব ঋড়ঁৎঃয ওহফঁংঃৎরধষ জবাড়ষঁঃরড়হ’ বা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বইটিতে তিনি নবপ্রযুক্তি বিপ্লবের রূপরেখা সরকার, ব্যবসায়, সুশীল সমাজ এবং জনগণের ওপরে যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা আলোচনা করেছেন। অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব একজন জার্মান প্রকৌশলী ও অর্থনীতিবিদ। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী কমিটির সভাপতি। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ১৯৭১ সালে তিনি এই ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। প্রগতিশীলতা মানবসভ্যতার ওপরে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে ক্লাউস শোয়াবের ভাবনা সবাইকে আলোড়িত করে। মি. শোয়াবের এ বইটি ৩৩টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।