নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া (পেপারব্যাক) - পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের জন্য: নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া" বইয়ের কিছু কথা: আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’
ডীপ ওয়ার্ক - রুলস ফর ফোকাসড সাকসেস ইন আ ডিস্ট্রাক্টেড ওয়ার্ল্ড: ডীপ ওয়ার্ক বইয়ে মানুষের যে কোনো কাজে গভীর মনোযোগ দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। মূল বক্তব্য হলো মানুষের মনের গভীরে রয়েছে এক বিশাল বিশ্ব। কিন্তু বাইরের বিশ্বে অতিরিক্ত জোর দেয়ার কারণে মানুষ তার মনের বিশ্বটাকে ঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। মনের বিশ্বটাকে মন দিয়ে অনুভব করতে পারলে যে কোনো মানুষ বাইরের বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। বাইরের বিশ্বে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে হাজারটা উপকরণ রয়েছে। নিউপোর্ট বিশেষ করে ইন্টারনেটের কথাই বলেছেন। ই-মেইল চেক এবং ইনবকসে সারাক্ষণ ব্যস্ত থেকে মানুষ তার মনোযোগের বিশাল অংশ ব্যয় করছে। কিন্তু সত্যিকার সাফল্যের জন্যে উচিত নিজের কাজটাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করা, যা আপনাকে স্বল্প সময়ে নিশ্চিত সাফল্য এনে দেবে। নিউপোর্ট তাই নিজের জীবনের গভীর কাজগুলোর কথাই বার বার টেনেছেন এই বইয়ে।
দ্য ৮০/২০ প্রিন্সিপল - কম কাজের মাধ্যমে অধিক অর্জনের বই: হাতভরা কাজ, ২৪/২৪ ব্যস্ততা আর বাস্তবতায় নিজেকে নিয়ে খেই হারানোর দিনগুলোয় নিজেকে দেয়ার সময় মেলে না। পরিবার ও সমাজকে প্রদানের মতো সময় নেই আমাদের। আমরা সারাদিন 'ব্যস্ত ব্যস্ত' বলে অযুহাত তুলি, সারাদিন একাজ ওকাজ করি। কিন্তু দিনশেষে সমস্ত কাজের ফলাফল খুব সুখকর হয় না। কম কাজ করে, স্বস্তিতে থেকে, হাপিত্যেশ না করে অধিক অর্জনের বই "দ্য ৮০/২০ প্রিন্সিপল" বইটি আমাদেরকে দেখিয়েছে, আমরা দিনভর যতো কাজ করি তার মাঝে মাত্র বিশ ভাগ কাজের মাধ্যমেই আমাদের ৮০ ভাগ অর্জন আসে৷ আর বাকি আশিভাগ কাজ অর্থহীন বা কম অর্থযুক্ত কাজ, সেগুলো না করলেও চলে। একজন মানুষ যদি মাত্র বিশ ভাগ কাজে অধিক দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন তবে জীবন থেকে তিনি ৮০ ভাগ অর্জন করতে পারবেন নিমিষেই। এটিই ৮০/২০ সূত্র। কীভাবে করবেন, কেন করবেন, কোন পথ অনুসরণ করবেন, কোন পথ অনুসরণ করবেন না, কোন কাজ করবেন, কোন কাজ করবেন না - এসবই জানাবে ৮০/২০ প্রিন্সিপল।
দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি - মিলিয়ন কপি বেস্টসলার এই বই আপনার চিন্তাধারা বদলে দেবে: মানুষ যা ভাবে, সে ঠিক তা-ই। অর্থাৎ যে কোন বিষয়কে মানুষ যেভাবে ভাবে, বিষয়টি তার কাছে সেভাবেই ধরা দেয়। ভাবনা হল মানুষের মনের দর্পন। কাজ হল মানুষের ভাবনার প্রকাশ। আর কাজের ধরণ অনুযায়ী মানুষ সুখ বা দুঃখ পেয়ে থাকে। ভাবনা যেহেতু মানুষের একান্ত বিষয়, সে ইচ্ছে অনুযায়ী ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে সকলেই একাজে পারদর্শী নয়। কারণ ভাবনার যে নিজস্ব কিছু ব্যর্থতা আছে, সেটা অনেক মানুষই জানেনা। এই ব্যর্থতা বা ত্রুটিগুলো মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে আর মানুষ ভাগ্যের দোষ দেয়। পরিচ্ছন্ন চিন্তার এইসব ব্যর্থতা নিয়ে রফ দোবেল্লি রচনা করেছেন ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি।’ গবেষণামূলক, বিজ্ঞানসম্মত ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন এই বইয়ে পরিস্কারভাবে চিন্তা করার বিভিন্ন উপায়গুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমাদের নিত্যজীবনে বিভিন্ন বিষয়কে কত ভুলভাবে আমরা চিন্তা করি, এই বইটি না পড়লে সেসব বুঝার কোন উপায় নেই। যেমন ধরুন, আমরা নিজেদেরকে সবসময় অতিমূল্যায়ন করি, নায়ক, নায়িকার বীরোচিত জীবন কথায় মুগ্ধ হই আর ভাবি যে আমিও বা কম কি? আমরা কিছু পেয়ে যতনা খুশি হই, তার চেয়ে বেশি মর্মাহত হই কিছু হারিয়ে গেলে। আমরা অন্যের মানসিক আবস্থার বিচার না করেই তার সাময়িক নীরবতা বা স্বত:স্ফূর্ততার অভাবকে অসদাচরণ ধরে নেই। চলার পথের এইসব ভ্রান্ত ধারণা অনেক সময় আমাদের জীবনকে যথেষ্ঠ জটিল করে তোলে। আর এর জন্য পুরোপুরি দায়ী আমাদের বিভ্রান্ত চিন্তাধারা। রফ দোবেল্লি তাঁর ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ বইকে ৯৯টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছেন। এই অধ্যায়গুলোতে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত জীবনের বৈচিত্র্যময় ভুল চিন্তাকে যথাসম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এইসব ভ্রান্তি যেকে উত্তরণের সরল প্রক্রিয়াগুলো উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন ঘটনা, সংলাপ ও হাস্যরসের উপভোগ্য সংমিশ্রনে। যদিও অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই প্রক্রিয়াগুলোই শেষ কথা নয়, প্রতিদিন আরো নতুন ভ্রান্তি ও তা সংশোধনের প্রক্রিয়া আবিস্কৃত হতে পারে। তথাপি তার তথ্যবহুল বইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এই বইটি আমাদেরকে চিন্তাধারার ভুলগুলো চিনতে ও তাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। নির্দ্বিধায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যতের দিকে।
দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট - জাম্পস্টার্ট ইয়োর ইনকাম, ইয়োর লাইফ, ইয়োর সাকসেস: অনেক বছরের প্রমাণিত ও হিতকর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত এই শক্তিশালী ও বাস্তবধর্মী বইটি আপনাকে দেখাবে, চারপাশের সুযোগগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়াতে কীভাবে আপনি আপনার বিশেষ প্রতিভাকে কাজে লাগাবেন। কখনও যা সম্ভব বলে ভাবেননি সেই রকম সাফল্য অর্জনের জন্য দ্য কম্পাউন্ড এফেক্ট হচ্ছে এক সোনার খনি!
বর্তমান সময়ে সবচাইতে আলোচিত একটি বই নো ইজি ডে। সাবেক নেভি সিল কমান্ডো ম্যাট বিসোনেট (এই বইয়ের জন্য মাক ওয়েন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন) সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেনের কিলিং মিশনে। সেই অভিযানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পাশাপাশি এই বইতে উঠে এসেছে আমেরিকান স্পেশাল ফোর্সের অভ্যন্তরের বিশদ চিত্র আর অসংখ্য মিলিটারি অপারেশনের নিখুঁত বিবরণ, সেইসাথে বিন লাদেনকে খুঁজেবের করার সত্যিকারের গল্প। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এর আস্বাদ নেবেন।