সোনার হরিনের খোঁজে বইটি একটি গবেষণামূলক বই। চাকুরী এবং অধ্যাপনার জন্য আমি ২০১২ সালের পহেলা জানুয়ারী থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছি। এই দীর্ঘসময় আমি সহস্রাধিক বাংলাদেশী শ্রমিকের সংস্পর্শে এসে তাদের কাছ থেকে শুনেছি ওদের জীবনের করুণ ইতিহাস। শ্রমিকদেরকে 'রেমিটেন্স যোদ্ধা' হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও, দেশের মাটিতে তারা বড়ই অবহেলিত এবং উপেক্ষিত। আর মধ্যপ্র্যাচে তাদেরকে ডাকা হয় 'মিসকিন' বলে। এই বীর শ্রমিকরা নিজেদের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে দৈনিক ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ছয় দিন বা কেউ কেউ মাসে ২৯ দিন কাজ করে দেশ ও পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে প্রতিবেশী বাড়ির গৃহকর্মী 'হোসেনের' সংস্পর্শে এসে আমি জেনে নেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের বিস্তারিত তথ্য। হোসেনকে কাছ থেকে দেখে আর তার অজানা জীবন কাহিনি জানার পর আমার মনে সুপ্ত বাসনা জেগে ওঠে যে এই শ্রমিকদের অজানা অধ্যায়টি পৃথিবীবাসীকে জানানো দরকার। তখন থেকেই আমি মূলত একটু-একটু করে বিভিন্ন জনের কথাগুলো লিপিবদ্ধ করা শুরু করি এবং সেটা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বইটিতে শুরু শ্রমিকদের জীবন কাহিনিই নয়, সেই সাথে পাঠকদের মধ্যপ্রাচ্যের সাথে পরিচিত করার জন্য স্কেহানকার ভৌগোলিক এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয় বর্ণনা করা আছে। অনেকেই আমার লেখাগুলোর প্রশংসা করেছেন। আমি উৎসাহ বোধ করেছি এবং লিখে গেছি। বইটিতে বিদেশে, বিশেষ করে কাতারে চাকুরীর ক্ষেত্রে কী কী তথ্য জানা দরকার তার ওপর একটি প্রবন্ধ সংযোজন করা হলো। লক্ষ-লক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত এই বইটি পড়ে যদি একজন মানুষও উপকৃত হোন, তাহলে লেখক হিসেবে পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
আমাদের মেঘবাড়ি ‘আর ওই পেছনে দেখ, কেমন জমাট বেঁধে আছে তুলোর মতো! মনে হচ্ছে মেঘের উপর একটা প্রাসাদ!’ ‘ওই প্রাসাদে কারা থাকে, আম্মু?’ ‘পরীরা থাকে...আর তোমার মতো পরীর বাচ্চারা থাকে।’ লামিয়া মুখে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে বলল, ‘ওখানে কি আমরা যেতে পারব, আম্মু?’ মীরা নিচু হয়ে লামিয়ার গালে চুমু খেয়ে বলল, ‘নিশ্চয়ই যেতে পারব, মা। যখন তুমি অনেক বড় হবে, তোমার যখন দুটো পাখা হবে, তখন তুমি উড়ে উড়ে ওই মেঘের ওপর বাড়িটাতে উড়ে চলে যেতে পারবে!’ ‘তখন ওটা আমাদের বাড়ি হবে?’ ‘হ্যাঁ, আম্মু! আমাদের মেঘবাড়ি!’ প্রতিটি মানুষই শৈশবে অযুত নিযুত স্বপ্ন নিয়ে জীবন শুরু করে। মীরাও করেছিল। শ্যামাঙ্গী, নতমুখী, শান্ত মেয়ে মীরা। ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান মীরা। জীবনের কাছে, বাস্তবতার কাছে পরাজিত মীরা। জীবন মীরার প্রতি সুবিচার করেনি। এ নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার মতো, নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য লড়াই করার শক্তিও তার নেই। তবে জীবনের এক পর্যায়ে এসে নিজের সন্তানের সামনে দাঁড়িয়ে মীরা ভাবে: সে কি তার সন্তানের সামনে মুখ বুজে অন্যায় মেনে নেওয়ার, সহ্য করে যাওয়ার উদাহরণ তৈরি করে রেখে যাচ্ছে না? সব মানুষই গোপনে এমন একটা আকাশ খুঁজে বেড়ায়, যেখানে তার স্বপ্নগুলো ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারে! যারা খুঁজে পায়...তারা ভাগ্যবান... ...আর যারা পায় না, তাদের মতো দুর্ভাগা আর নেই। ‘আমাদের মেঘবাড়ি’ আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প। নিজেকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাওয়ার গল্প। হার না মেনে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, উঠে দাঁড়ানোর গল্প। সাধারণ কারো অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। এই গল্প একই সাথে ভালোবেসে দূরে যাওয়ার আর ফিরে আসার, এই গল্প হেরে গিয়ে জিতে যাওয়ার, সব স্বপ্ন ভেঙে-চুরে চুরমার হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে জোড়া দেওয়ার।
আগাথা ক্রিস্টি সমগ্র ২ দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): সাহায্যের আবেদন শুনে ফ্রান্সে ছুট লাগালেন পোয়ারো। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে অনেক, খুন হয়ে গেছেন আর মক্কেল; তার লাশ পড়ে আছে গলফ কোর্সের অগভীর এক কবরে। কিন্তু মানুষটার পরনে কেন তার ছেলের ওভারকোট? সেই কোটের পকেটে থাকা চিঠিটা কার? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার আগেই, আরেকটা সমস্যায় পড়লেন পোয়ারো... ...হুবহু একই রকম আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হয়েছে যে! দ্য থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (অনু. মারুফ হোসেন): আনন্দঘন এক ডিনার পার্টিতে এসে মারা গেলেন একজন যাজক! তেরোজন অভ্যাগত এসেছেন বিশিষ্ট অভিনেতার বাড়িতে। বিশেষ এই সন্ধ্যা অশুভ হয়ে দেখা দিল শান্ত স্বভাবের যাজক, স্টিফেন ব্যাবিংটনের জীবনে। ককটেল কিন্তু মার্টিনির গ্লাসটা পরীক্ষায় পাঠিয়ে জানা গেল-বিষের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে... ...ঠিক যেমনটা আন্দাজ করেছিলেন পোয়োরা। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, খুনের পেছনে আপাতদৃষ্টিতে নেই কোনো মোটিভ। তাহলে কার হাতে...এবং কেন খুন হতে হলো যাজককে? দ্য হলো (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): লুসি অ্যাঙ্গকাটেলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লাঞ্চে এলেন এরকুল পোয়ারো। বিখ্যাত গোয়েন্দাকে খোঁচাবার জন সুইমিং পুলের পাশে নকল হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার অতিথিরা। কিন্তু আফসোস, একদম বাস্তবে পরিণত হলো সেই নাটক। রক্ত মিশে যাচ্ছে পানিতে, এমন সময় শেষ শব্দটি উচ্চারণ করল জন ক্রিস্টো: হেনরিয়েটা। প্রেমের জালের এক জটিল জটলায় ফেঁসে গেলেন পোয়ারো। মনে হচ্ছে, এই নাটকের সব কুশীলবই সন্দেহভাজন, এবং প্রত্যেকে শিকার প্রেমের যাতনার!
একটি পুরোনো কোদাল . . . একটি প্রাচীন কয়েন . . . একটি কালো পাথর . . . কী সম্পর্ক এদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খান মুহাম্মদ ফারাবির? মহাবীর আলেকজান্ডার, মুহাম্মদ বিন কাসেম, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি-ইতিহাস প্রসিদ্ধ বড় বড় নাম। এসব প্রসিদ্ধ বিজেতাদের দেশজয়ের পেছনের কারণ কি শুধুই তাদের শৌর্যবীর্য? একটি কালো পাথরের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে কেন আমেরিকাফেরত বিদুষী যুবতী লিয়া? উদ্ভট সব হ্যালুসিনেশন হচ্ছে কেন খান মুহাম্মদ ফারাবির? কেনই বা তিনি যা দেখছেন, তাই হয়ে উঠছে ভবিতব্য? এসব প্রশ্নের উত্তর কি লুকিয়ে আছে কোনো প্রাচীন ইতিহাসের পাতায়? উত্তর জানার নেশায় শেষতক না জানটাই না খুইয়ে বসতে হয় ফারাবিকে!
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস—ঠিকানা ২২১বি, বেকার স্ট্রিট, লন্ডন। জন্ম ১৮৫৪ সালে। বাবা সিগার হোমস, মা ভায়োলেট শেরিনফোর্ড। হোমসের দাদি ছিলেন ফরাসি শিল্পী ভারনেটেজ গেন। ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসের প্রথম আবির্ভাব ১৮৮৭ সালে। আবির্ভাবে দৃষ্টি কাড়তে না পারলেও পরে ঠিকই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, পাল্টে দেয় রহস্য-সাহিত্যের ধারা। হোমস ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, চৌকো মুখ, সংগীত ও ভায়োলিনে আসক্ত। অবসরে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। প্রখর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণশক্তির অধিকারী, ছদ্মবেশ নিতে জুড়ি নেই। জন্ম দিয়েছে অনুমানবিজ্ঞান—অর্থাৎ সায়েন্স অভ ডিডাকশনের। অপরাধের তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ছোঁয়া লাগে হোমসেরই কল্যাণে। হাত-পায়ের ছাপ নিতে প্লাস্টার অভ প্যারিসের ব্যবহার, জমাট রক্তের পরীক্ষা, টাইপরাইটিঙের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা, অপরাধীকে অনুসরণে কুকুর ব্যবহার—এসবই প্রথম দেখা যায় হোমসের গল্পে। পরে একসময় বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অপরাধী শনাক্তকরণে হোমসের অবদান মাথায় রেখে, ২০০২ সালে, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অভ কেমিস্ট্রি শুধু হোমসের ফরেনসিক বিদ্যার ওপর গবেষণা করে ফেলোশিপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কল্পিত চরিত্রের ওপর এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ এই প্রথম। আজ প্রায় দেড়শো বছর পরও হোমসকে নিয়ে তুঙ্গস্পর্শী উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার ছোঁয়া বাংলাদেশি পাঠককে দিতে শার্লকের সবগুলো গল্প ও উপন্যাসের অনুবাদ তিন খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিবলিওফাইল প্রকাশনী। পাঠকের সুবিধার্থে এ অনুবাদে যোগ করা হয়েছে টীকা, এবং বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাৎসরিক সম্মেলনের ঠিক দুই দিন আগে মারা গেল তরুণ বাঙ্গালি বিজ্ঞানী উমা চক্রবর্তী। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই সে জানিয়েছিল, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পাল্টে দেবার মতো এক আবিষ্কার করেছে। খুন কি হতে হলো সেজন্যই? ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়ল বর্তমানে নামকরা এক গবেষণা সংস্থার সাথে জড়িত থাকা রাফসান ইবনে সেলিম। উমা চক্রবর্তীর বান্ধবী, নিয়তিকে নিয়ে শতাব্দী পুরাতন, কিন্তু প্রায় অজানা এক কিংবদন্তির পেছনে ছুটে পাড়ি জমাল সুন্দরবনে। উমার হত্যাকারীকে পাকড়াও করলেই হবে না, সেই সাথে পুন:আবিষ্কার করতে হবে সেই সঞ্জীবনী ওষুধটাও। এদিকে দুই বিজ্ঞানীর পেছনে লেগেছে রহস্যময় এক সংঘটন-অহিংশ। লেলিয়ে দিয়েছে তাদের নৃশংস আততায়ীকে। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ! বাংলাদেশের বুকে মঞ্চায়িত হচ্ছে শুভ আর অশুভের দ্বন্দ্ব!
অঙ্গভ্রম: কক্সবাজারের রহস্যঘেরা এক রিসোর্টের হ্যানিমুন স্যুইটে পাওয়া গেল একটা লাশ। বড় অদ্ভুত সেই হত্যাকান্ড, ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসে কীভাবে কীভাবে যেন তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল রাফসান ইবনে সেলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে লোকটির। কিন্তু তার চাইতে অদ্ভুত ব্যাপার-লাশের পাশে পড়ে আছে একটি কাটা পা! কেন খুন হতে হলো তাকে? প্রখ্যাত এক এন.জি.ও.এর কর্মকর্তা ছিল ভিক্টিম, সেই সংস্থা সংক্রান্ত কিছু কি? নাকি ব্যাপারটা মাদক সম্পর্কিত? রহস্যের জাল ছিঁড়তে উঠে-বসে লাগল রাফসান। নিঠুর খেলা: বসের চাপে পড়ে রাজি হয়ে গেল সাব্বির। পরামর্শক হিসেবে যাবে ও গাজিপুর; বাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘নিঠুর খেলা’-এর, পুলিসি কর্মকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে দেবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। তবে এই রাজি হবার পেছনে রয়েছে আরও কারণ। জীবন থেমে থাকে না। তাই ডন ওয়াসার পর শিকদার হয়ে এখন অপরাধ জগতের হর্তা-কর্তা হয়েছে ‘কান কাটা ফারুক’, ধারণা করা হয় যে অহিংশের সরাসরি লোক সে। সেই কান কাটা ফারুকের সংশ্লিষ্টতা আছে এতে। সেটে গিয়ে জানতে পারল সাব্বির-খুন হয়ে গিয়েছে ওর আগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এক পুলিস অফিসার। খুনি সম্ভবত এই প্রোডাকশনের কেউ। একদিকে কান কাটা ফারুককে পাকড়াও করা, অন্য দিকে আইনের আওতায় আনা খুনিকে... দুটোই পারতে হবে... খুনি কিংবা অহিংশ, কাউকেই ছাড় দেবে না সাব্বির।
নির্মোক শব্দের অর্থ 'খোলস'। এই সমাজের অনেকেই খোলসের অন্তরালে আড়াল করে রাখে নিজের প্রকৃত স্বরূপকে। মুখোশধারী এই পৃথিবীতে আমরা সবাই ছদ্মবেশী। সংসার, সমাজ, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে, বন্ধুর এই পৃথিবীতে পথ চলতে গিয়ে নিয়ত আমাদের খোলস পরিবর্তন। বিষকাঁটা: হাজার বছরের পুরোনো এক গল্প, যার নাম সংসার। যুগ যুগান্তরের সময় ছুটছে দ্রুত-বর্ধমানশীল দ্রুততায়; আর যুগল ঘরটির প্রাসঙ্গিকতা স্থির, মানুষের চিরন্তনের আশ্রয়, অবকাশের নীড়। নীড়ে গল্পই 'বিষকাঁটা' করেছে, চিরন্তনী প্রেমকে, প্রেমের অভিমানকে, ভাঙনের দুঃখ ও বিচ্ছেদের কারণকে দেখিয়েছে বর্তমান অস্থির-ব্যস্ত-দ্রুত সময়ের ফ্রেমে বেঁধে। অদ্ভুত আঁধার এক: এই মহানগরীর সারি সারি অট্টালিকার মধ্যে একটি বহুতল ভবনের ছয়তলায় আচমকা একদিন পাওয়া যায় এক তরুণীর মৃতদেহ। কী তার পরিচয়? তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয় কতজনের মুখোশ, বেরিয়ে আসে কত অজানা সত্য। এই নাগরিক সভ্যতার ইটে ইটে কত পাপ...কত অন্ধকার লুকিয়ে আছে! লোভ আর উচ্চাশা বরাবরই মানুষকে ধ্বংস করে দেয় জেনেও মানুষ কেন পা বাড়ায় আদিম অন্ধকারের পথে, ওপরে ওঠার সহজ পথ খুঁজে পাওয়ার মারণ নেশায়?
গ্যালিলি, ১০২৫, প্রাচীন এক ক্যাথেড্রালে টেম্পলার নাইটদের একজন খুঁজে পেল হাজার বছর ধরে লুকিয়ে রাখা এক নিদর্শন। যেন তেন নয় তা—বাকাল ইশু, যিশু খ্রিষ্টের লাঠি। যার কাছে পাওয়া গেল, তিনিও যেন-তেন কেউ নন। তার দাবী শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বুকে হাঁটছেন! সময়কে এক হাজার বছর সামনে নিয়ে আসি। হর্ন অভ আফ্রিকার উপকূলে সোমালি জলদস্যুরা হাইজ্যাক করল এক ইয়ট, সেই সাথে অপহরণ করল এক গর্ভবতী আমেরিকান মেয়েকে। কমান্ডার গ্রে পিয়ার্সকে মা হারাবার শোক ভুলে নামতে হলো কাজে। কেননা এই মেয়েটি কোনও সাধারণ মেয়ে নয়। সে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মেয়ে! সময়ের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা গ্রের দলের সাথে যোগ দিল আরও দুজন যোদ্ধা: প্রাক্তন আর্মি রেঞ্জার টাকার ওয়েইন আর তার সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, কেইন। খোদ আমেরিকার ক্যারোলাইনাতে বোমা বিস্ফোরিত হলো এক ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। সর্ষের ভেতর থেকে উঁকি দিল ভূত। জানা গেল, আমাদের জেনেটিক কোড অদল-বদলের চেষ্টায় মত্ত এক গুপ্ত সঙ্ঘ। মনুষ্যত্বকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল সেই সঙ্ঘ: অমর হতে চাও? বাঁচতে চাও চিরদিন?
যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্টে করেছে তার চাইতে বড়, তার চাইতে বিস্তৃত এক শক্তি। কোনো সমাজে সেই শক্তির নাম জুপিটার, কোনো সমাজে অলিম্পিয়ান, কোনো সমাজে এইসির। প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের শোনাবো সেই এইসিরদের গল্প। যারা দেবতা হয়েও...ঠিক দেবতা নন। শোনাবো দানো কিংবা জতুনদের গল্প, যারা সৃষ্টির বিপক্ষের শক্তি হয়েও...ঠিক অশুভ নন। শোনাবো ওডিনের কিংবদন্তি...যিনি সর্ব-প্রথম, সর্ব-পিতা ও দেবপ্রধান। শোনাবো থরের নানা অভিযানের কথা...যার নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে প্রতাপশালী হিমদানোরা। শোনাবো লোকির চালাকির আখ্যান...অতি চালাকের গলায় দড়ি কথাটা সম্ভবত যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খাটে। আর শোনাবো র্যাগনোরকের কথা...এই অন্তিম দিবস যা মহাবিশ্বে জন্ম দেবে নতুন এক চক্রের। এইসির-জতুন-থ্রাল-রিগ-এলফ-বামন-সিগার্ড-হেল... প্রিয় পাঠক, এদের গল্প শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
মায়ান, নস্ট্রাডামুস, জোসেফ স্মিথ, জ্যোতিষবিদ্যা, ট্যারো কার্ড, হস্তরেখা পঠন... বর্তমানের লাখো মানুষের বিশ্বাস, তাদের এবং এসবের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ভবিষ্যতের চিত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আপনার হাতে যে বইটি আছে, দ্য ফরবিডেন প্রফেসিস, একটি অন্যরকম বই। ইতিহাসের এ-পাতা থেকে ও-পাতায় নিয়ে যাবে আপনাকে বইটি; বিখ্যাত সব ভবিষ্যদ্বক্তাকে দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। বস্তুনিষ্ঠ শর্তের আলোকে পর্যালোচনা করবে তাদের দাবি। আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন, এদের মাঝেও একজন অনন্য ব্যক্তি আছেন, যাঁর সঙ্গে আর কারও তুলনাই চলে না! ১৪০০ বছর আগে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যেমন অতীতে সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তেমনি বর্তমানও নেই তার প্রভাব মুক্ত। শুধু তাই না, কেয়ামত তথা মহাপ্রলয়ের আগে আরও কী কী হবে, সে সম্পর্কেও মানবজাতিকে জানিয়ে গেছেন তিনি। আসুন, প্রিয় পাঠক, দেখে নিই ভবিষ্যবচনের জন্য যদি কারও দ্বারস্থ হতেই হয়, তাহলে কার বচন থেকে সেই জ্ঞান অর্জন করা উচিত।
নিউ ইয়র্ক টাইমস #১ বেস্টসেলার জেমস রলিন্সের অসাধারণ কিছু ছোটগল্প ও একেবারে নতুন একটি নভেলা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। সব মিলিয়ে মোট বারোটি গল্প পাচ্ছেন জেমস রলিন্সের এই বইতে। আনরেস্ট্রিকটেড অ্যাক্সেসের মূল আকর্ষণ সান ডগস গল্পটি। সনোরা মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াবার সময়, আচমকা শোনা একটা গুলির শব্দ মারাত্মক বিপদের দিকে ঠেলে দিল টাকার ও কেইনকে। অ্যারিজোনার স্থানীয় গোত্রগুলোর লুকিয়ে রাখা এক সত্য, যা প্রকাশিত হলে বদলে যাবে ভবিষ্যৎ-হুমকির মুখে ফেলে দিল দুই আত্মার বন্ধু, কেইনের সঙ্গে টাকারের সম্পর্ককে। অন্য গল্পগুলোর মাঝে আছে: দ্য পিট, যার কেন্দ্রে আছে অপহৃত এক কুকুর, যাকে মেরে-পিটে নামিয়ে দেয়া হয়েছে কুকুর-যুদ্ধের রিঙে; আছে ট্যাগার, যে গল্পের মাধ্যমে জেমস রলিন্সের লেখা ফ্যান্টাসির স্বাদ পাবেন প্রিয় পাঠক। সেই সঙ্গে সিগমা ফোর্সের গল্প: দ্য মিডনাইট ওয়াচ, দ্য স্কেলেটন কী, ট্র্যাকার, কোয়ালস্কি'স ইন লাভ তো থাকছেই। আর থাকছে দি অর্ডার অভ দ্য স্যাঙ্গুইনস সিরিজের দুটো গল্প: ব্লাড ব্রাদার্স এবং সিটি অভ স্ক্রিমস। রলিন্সের ভক্ত হলে, অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য, ইতিহাস, আর বিজ্ঞানের মিশেলে লেখা গল্পের সংকলন, আনরেস্ট্রিকটেড অ্যাক্সেস হাতে না নিয়ে উপায় নেই।
ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য—সারা দুনিয়া জড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক—এমন এক ক্ষমতাকে খুঁজে বের করা যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত?
এক ধনীর পুত্র ও তার পিতার ভৃত্যের ছেলের অবিস্মরণীয় বন্ধুত্বের গল্প দ্য কাইট রানার, যে গল্পের পটভূমি এমন এক দেশ যা ধ্বংস হতে বসেছে! গল্পটি পঠনের শক্তির, বিশ্বাসঘাতকতার মূল্যের, পরিত্রাণের সম্ভাবনার। সেই সঙ্গে দ্য কাইট রানার আলোকপাত করে পুত্রের ওপর পিতার প্রভাবের ব্যাপারেও: তাদের ভালোবাসার, তাদের মিথ্যা-কথনের, তাদের বলীর। আফগানিস্তানের বিগত তিরিশ বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে খালেদ হোসাইনি এঁকেছেন পরিবার, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অবিস্মরণীয় চিত্র। টানা দুটো বছর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার লিস্টে থাকা বইটি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে সাত মিলিয়ন কপির চাইতে বেশি। পাঠক ও সমালোচক, সবার কাছে সমাদৃত বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও ভালো লাগবে।
রহস্যের রানি আগাথা ক্রিস্টির ৩টি বই পাবেন অনুমোদিত এই অনুবাদে: ১. দ্য পেল হর্স দ্য পেল হর্স সরাইখানার রহস্যময় ঘটনাগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মার্ক ইস্টারব্রুককে। সব কিছুর শুরু কীভাবে, তা জানে যুবক; কিন্তু কোথায়, তা যে জানা নেই। এসবের শুরু কি ফাদার গরম্যানের নৃশংস হত্যার মাধ্যমে? নাকি হত্যাকারীর বেচারা ফাদারের পোশাক ছিঁড়ে কিছু একটা খোঁজার সময়? মৃত্যূর ঠিক আগে আরেক মরণাপন্ন মহিলাকে দেখতে যাবার মাধ্যমে ফাদার সব কিছুর সূত্রপাত ঘটাননি তো? যেখানে শুরু হোক না কেন, মার্ক অচিরেই আফসোস করতে করতে ভাববে: এসবে না জড়ালেই ভালো হতো! ২. দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইল যুদ্ধে আহত, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হেস্টিংস স্টাইলসে পা রাখল বন্ধুর আমন্ত্রণে। দেখা হলো বন্ধু জনের সৎ-মা, মিসেস ইঙ্গেলথর্পের সঙ্গে। শান্ত সমাহিত গ্রাম্য পরিবেশে যে বিষাক্ত আবহ ভর করছে, তা শুরুতেই টের পেল হেস্টিং। ওর সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হলো তখন, যখন বিষপানে মারা গেলেন মিসেস ইঙ্গেলথর্প! সেই হত্যা-রহস্য সমাধানে আগমন হলো প্রখ্যাত গোয়েন্দা, এরকুল পোয়ারোর! ৩. টুওয়ার্ডস জিরো সমুদ্রের ঠিক পাশের পাহাড়ের শীর্ষে, নিজ বাড়িতে খুন হলেন এক বৃদ্ধা... সেই মৃত্যুর সঙ্গে নিজেকে শেষ করে দেবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা, এক স্কুলছাত্রীর নামে চুরির অপবাধ আর বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড়ের প্রেম-জীবনের সম্পর্ক থাকতে পারে কি? হয়তো সবাই বলবেন, পারে না। কিন্তু আছে। কীভাবে আছে, টুওয়ার্ডস জিরো তারই গল্প।
কে এই দেবতা পাংগু, যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও পৃথিবী? দেবী নুওয়া না চাইলে, ধরণী কি পেত মানুষের দেখা? কেন আজো বানর-রাজা সন-ওয়েকংকে দেখা যায় চীনের বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে? সমৃদ্ধ চৈনিক লেখন-শৈলীর জন্ম হলো কীভাবে? চাঁদের দিকে তাকালে কেন দেখতে পাওয়া যায় জেড খরগোশের অবয়ব? চৈনিক পুরাণ, চীনা-সভ্যতার মতোই, বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যুগে যুগে যোগ হয়েছে অগণিত কিংবদন্তি, মুখরোচক গল্পে বুঁদ হয়েছে মানুষ। প্রিয় পাঠক, আসুন, চৈনিক পুরাণের মজাদার আখ্যানে আমরাও করি অবগাহন।
বাবাকে হারানোর পর বিপর্যস্ত শ্যামল আরও দিশেহারা হয়ে পড়ে নিখোঁজ হওয়া একমাত্র ছোটো ভাইয়ের খোঁজ পেয়ে। জানতে পারে, সে নাকি এক কাপালিক সাধুর শিষ্য হয়ে ভারতের পথে পথে ঘুরছে! ভয়ংকর সেই কাপালিকের হাত থেকে ভাইকে ফিরিয়ে এনে বিধবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পথে নামল শ্যামল; সঙ্গী হলেন পিতার বন্ধুসম এক রহস্যময় চরিত্র ভবতোষ বাবু। ভাইকে উদ্ধার করতে ভারতের পথে পথে ঘুরতে হয় শ্যামলকে, কিন্তু কাপালিকের নাগাল পাওয়া কি এতই সহজ! মুহাম্মদ আলমগীর তৈমূরের ‘বেতাল’ কেবলমাত্র এক অতিপ্রাকৃত উপাখ্যান নয়—এ যেন ভারতীয় ঐতিহ্য, প্রাচীন মন্দির আর পূজার্চনার এক সুবিশাল আখ্যান। পিতাকে হারানোর পর বিপর্যস্ত শ্যামল আরও দিশেহারা হয়ে পড়ে নিখোঁজ হওয়া একমাত্র ছোটো ভাইয়ের খোঁজ পেয়ে। জানতে পারে, সে নাকি এক কাপালিক সাধুর শিষ্য হয়ে ভারতের পথে পথে ঘুরছে! ভয়ংকর সেই কাপালিকের হাত থেকে ভাইকে ফিরিয়ে এনে বিধবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পথে নামল শ্যামল; সঙ্গী হলেন পিতার বন্ধুসম এক রহস্যময় চরিত্র ভবতোষ বাবু। ভাইকে উদ্ধার করতে ভারতের পথে পথে ঘুরতে হয় শ্যামলকে, কিন্তু কাপালিকের নাগাল পাওয়া কি এতই সহজ! মুহাম্মদ আলমগীর তৈমূরের ‘বেতাল’ কেবলমাত্র এক অতিপ্রাকৃত উপাখ্যান নয়—এ যেন ভারতীয় ঐতিহ্য, প্রাচীন মন্দির আর পূজার্চনার এক সুবিশাল আখ্যান।
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ আলমগীর তৈমূর স্যার- এর 'বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন: দ্য হিউম্যান কাইমেরা' এর পরে আমরা নিয়ে আসছি তার লেখা গল্পসংকলন 'নিগৃঢ়' প্রথম খন্ড। বইটিতে থাকতে মোট ৬টি গল্প ও সেই সাথে বেশকিছু ইলাস্ট্রেশন। সূচিপত্রে যে ৬টি গল্প থাকছে তা এক নজরে: ১. বংশালের বনলতা ২. হাকিনী ৩. অসীম আচার্য্যের অন্তর্ধান ৪. বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন ৫. কালো পাথর ৬. ইব্রাহিম কাদরির মৃত্যু