উকিল রিচার্ড প্রাইসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তাঁর বাসায়। কেউ একজন মদের বোতল দিয়ে খুন করেছে তাঁকে। চলে যাওয়ার আগে ঘরের দেয়ালে লিখেছে বিশেষ একটা সংখ্যা। ম্যাগপাই মার্ডার্স এবং মুনফ্লাওয়ার মার্ডার্সের লেখক অ্যান্টনি হরোউইটয সন্দেহ করছেন ছ’জনকে। আকিরা অ্যানো... প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন প্রাইসকে। ডন অ্যাডামস... তাঁর গোপন একটা খবর হয়তো জেনে ফেলেছিলেন প্রাইস। স্টেফান স্পেন্সার... বিশ্বাসঘাতক এই লোক ধরা পড়ে গিয়েছিল প্রাইসের কাছে। ড্যাভিনা রিচার্ডসন... প্রাইসের কারণে স্বামীকে হারিয়েছেন চিরতরে। এড্রিয়ান লকউড... সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন প্রাইসের কাছ থেকে, কিন্তু সত্য গোপন করেছিলেন। প্রাইস জেনে গিয়েছিলেন সেটা। সুয্যান টেইলর... যেদিন খুন হয়েছেন রিচার্ড, সেদিন লন্ডনে ছিলেন এই মহিলা। কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কী কী করেছিলেন, কেউ জানে না। প্রিয় পাঠক, আপনি কি মেলাতে পারবেন সমীকরণটা? আপনি কি বলে দিতে পারবেন, কে খুনি? নাকি অপেক্ষা করবেন ড্যানিয়েল হোথর্নের জন্য? সব ক্লু-ই জোগান দিয়েছে সে হরোউইটযকে, অথচ উপন্যাসের শেষ অধ্যায়টা রেখে দিয়েছে নিজের জন্য।
একগুচ্ছ গল্পের সংকলন তিনটি বই একত্রে কাজী আনােয়ার হােসেন ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে তিন বছরে একের পর এক চোদ্দটি গল্প রচনা করেছিলেন লেখক পত্র-পত্রিকা ও বন্ধু-বান্ধবের অনুপ্রেরণা ও অপ্রতিরােধ্য তাগিদে। তিন ভাগে তিনটি সংকলনে প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলাে সেবা প্রকাশনী থেকে।। প্রতিটি গল্প ইংরেজি কাহিনির ছায়া অবলম্বনে রচিত। তিনটি উপন্যাসিকা তিক্তচন্দ্রমা, রূপান্তর ও মাকড়সা-এই তিনটি উপন্যাসিকা নিয়ে প্রথম বই। ছায়া অরণ্য দ্বিতীয়টিতে রয়েছে ছয়টি কাহিনি-উপন্যাসিকা: ছায়া অরণ্য, বড়গল্প: ইচ্ছা এবং গল্প: ভয়াল দ্বীপ, যন্ত্রণা, ঠিক দুক্ষুর বেলা ও এপ্রিল ফুল। পঞ্চ রােমাঞ্চ শেষ বইটিতে রয়েছে পাঁচটি কাহিনি—উপন্যাসিকা: ওস্তাদ এবং চারটি বড়গল্প: অন্য কোনােখানে, পরকীয়া, ক্যান্সার ও ঝামেলা। পড়ন। উপভােগ করুন।
বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাৎসরিক সম্মেলনের ঠিক দুই দিন আগে মারা গেল তরুণ বাঙ্গালি বিজ্ঞানী উমা চক্রবর্তী। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই সে জানিয়েছিল, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পাল্টে দেবার মতো এক আবিষ্কার করেছে। খুন কি হতে হলো সেজন্যই? ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়ল বর্তমানে নামকরা এক গবেষণা সংস্থার সাথে জড়িত থাকা রাফসান ইবনে সেলিম। উমা চক্রবর্তীর বান্ধবী, নিয়তিকে নিয়ে শতাব্দী পুরাতন, কিন্তু প্রায় অজানা এক কিংবদন্তির পেছনে ছুটে পাড়ি জমাল সুন্দরবনে। উমার হত্যাকারীকে পাকড়াও করলেই হবে না, সেই সাথে পুন:আবিষ্কার করতে হবে সেই সঞ্জীবনী ওষুধটাও। এদিকে দুই বিজ্ঞানীর পেছনে লেগেছে রহস্যময় এক সংঘটন-অহিংশ। লেলিয়ে দিয়েছে তাদের নৃশংস আততায়ীকে। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ! বাংলাদেশের বুকে মঞ্চায়িত হচ্ছে শুভ আর অশুভের দ্বন্দ্ব!
অঙ্গভ্রম: কক্সবাজারের রহস্যঘেরা এক রিসোর্টের হ্যানিমুন স্যুইটে পাওয়া গেল একটা লাশ। বড় অদ্ভুত সেই হত্যাকান্ড, ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসে কীভাবে কীভাবে যেন তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল রাফসান ইবনে সেলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে লোকটির। কিন্তু তার চাইতে অদ্ভুত ব্যাপার-লাশের পাশে পড়ে আছে একটি কাটা পা! কেন খুন হতে হলো তাকে? প্রখ্যাত এক এন.জি.ও.এর কর্মকর্তা ছিল ভিক্টিম, সেই সংস্থা সংক্রান্ত কিছু কি? নাকি ব্যাপারটা মাদক সম্পর্কিত? রহস্যের জাল ছিঁড়তে উঠে-বসে লাগল রাফসান। নিঠুর খেলা: বসের চাপে পড়ে রাজি হয়ে গেল সাব্বির। পরামর্শক হিসেবে যাবে ও গাজিপুর; বাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘নিঠুর খেলা’-এর, পুলিসি কর্মকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে দেবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। তবে এই রাজি হবার পেছনে রয়েছে আরও কারণ। জীবন থেমে থাকে না। তাই ডন ওয়াসার পর শিকদার হয়ে এখন অপরাধ জগতের হর্তা-কর্তা হয়েছে ‘কান কাটা ফারুক’, ধারণা করা হয় যে অহিংশের সরাসরি লোক সে। সেই কান কাটা ফারুকের সংশ্লিষ্টতা আছে এতে। সেটে গিয়ে জানতে পারল সাব্বির-খুন হয়ে গিয়েছে ওর আগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এক পুলিস অফিসার। খুনি সম্ভবত এই প্রোডাকশনের কেউ। একদিকে কান কাটা ফারুককে পাকড়াও করা, অন্য দিকে আইনের আওতায় আনা খুনিকে... দুটোই পারতে হবে... খুনি কিংবা অহিংশ, কাউকেই ছাড় দেবে না সাব্বির।