বিংশ শতাব্দীর শুরুর কথা। দিকে দিকে কামালবাদের জয়ধ্বনি। সব আশা শেষ! বিশ্বাসীরা হাল ছেড়ে দিলো, পরাজয় মেনে নিলো বুঝি। লাঞ্চনা, অপমান, অপদস্তের এক জীবন তাদের। ধীরে ধীরে ইসলামকে জীবন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। মুসলমানিত্ব মানেই যেন পরীক্ষা। ঘুমিয়ে যাচ্ছে উম্মাহ। হাল ছেড়ে দিচ্ছে সবাই। কিন্তু নাহ! তিনি জেগে উঠলেন, দায়িত্ব নিলেন সবাইকে জাগানোর। শেষ থেকেই যেন শুরু। ধ্বংসস্তূপ থেকেই ফিনিক্স পাখির ঠোঁট বের হলো। আমরা বলছি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির কথা। জাহেলিয়াতের ভরা যৌবনেও যিনি সত্যের মশাল বইয়ে নিয়েছেন বিচক্ষণতার সাথে। জোয়ার দেখেও যিনি এতটুকু হীনমন্যতায় ভোগেননি; ভবিষ্যত প্রজন্মের মুক্তির রাজপথ নির্মাণ করেছেন দক্ষ শ্রমিক হয়ে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিপাহসালার, যুগ সংস্কারক, বিখ্যাত রিসালায়ে নুর-এর লেখক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির সংগ্রামী জীবনী পড়তে আপনাকে স্বাগতম।
বায়তুল মুকাদ্দাস ফিলিস্তিনে অবস্থিত। কাবা শরিফের পরে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেদিক থেকে এই মসজিদ পৃথিবীর দ্বিতীয় মসজিদ। মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান... সবাই এই মসজিদকে অত্যন্ত সম্মান করে। বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। তোমরা কি জানো কিবলা কি? কিবলা হলো- যার দিকে ফিরে মানুষ নামাজ আদায় করে। কাবা শরিফের আগে মুসলমানরা এই মসজিদের দিকে ফিরে নামাজ পড়তেন। পরে আল্লাহ মুসলমানদের কাবা শরিফের দিকে ফিরে নামাজ পড়ার আদেশ দেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের মর্যাদা অনেক। তিনটি মসজিদে নামাজ পড়লে অন্য সব মসজিদের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। সে মসজিদগুলো হলো- ১. মসজিদে হারাম অর্থাৎ কাবা শরিফ, ২. মদিনার মসজিদে নববি অর্থাৎ যে মসজিদে আমাদের নবি নামাজ পড়তেন এবং ৩. বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসা। সোলায়মান আলাইহিস সালামের সময়ে বায়তুল মুকাদ্দাস নতুন করে বানানো হয়। জিনেরা অনেক সময় নিয়ে মসজিদের কাজ করে।
পৃথিবীর ১৩ জন বিখ্যাত মানুষ। তাঁরা কেউবা ছিলেন খ্রিস্টান কেউ ইহুদী আর কেউবা হিন্দু। তাঁরা ফিরে এসেছেন চিরশান্তির পথ ইসলামে। তাঁদের এই জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। তাঁদের ইসলামে ফিরে আসার এই জার্নি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’ বইটি। আফগান যুদ্ধ কাভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী। তারপর কী হলো তাদের? একজন খ্রিস্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোলান্ডের এক ইহুদী তরুণ। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময়ে যা নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতেন। কিন্তু তার মনে কীসের এত ব্যথা আজ? বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যস্ত? লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা-পয়সা, অর্থ-বিত্ত, খ্যাতির কোন অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কত কী করে গেলেন! পেয়েছিলেন কী? আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এল। কিন্তু কী করে? MTV চ্যানেলের বিশ্ববিখ্যাত এক উপস্থাপিক। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একদিন দেখা হলো, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর?