প্রফেসর ড. সফিউদ্দিন আহমদ শিকড় সন্ধানী মৌলিক গবেষক ও সৃজনশীল সাহিত্যিক এবং একজন সম্মোহক অধ্যাপক হিসেবে নন্দিত। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা ঔজ্জ্বল্যে ভাস্বর ,কৃতী সন্তানের রত্নভূমি রায়পুরা তার জন্ম ১৯ অক্টোবর ১৯৪৩ সনে। তিনি বাংলা ও লজিকে লেটার মার্কসহ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অনার্স ও এম.এ’র একজন কৃতী ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে এবং বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্র সাহিত্যের ওপর উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনা ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. সফিউদ্দিন আহমদ -এর গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম বহু বিচিত্র মা্ত্রিকা। তার গদ্য ছন্দিত, ধ্বনি তরঙ্গময় ও অনুপ্রসারে অভিযোজনায় রস মাধুর্য এবং আকর্ষনীয় ও সুখপাঠ্য। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত দশটি গবেষণা গ্রন্থ সহ তার মোট গবেষণা গ্রন্থ ৩৫টি এবং এ সব গ্রন্থ দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফারেন্স বই হিসেবে পাঠ্য তালিকাভুক্ত । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা পত্রিকা, বাংলা একাডেমী গবেষণা পত্রিকা, যাদবপুর, কোলকাতা ও বিশ্বভারতী গবেষণা পত্রিকায় তার পঞ্চাশটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অতি সাম্প্রতিক প্রকাশিত তাঁর ‘ভাষা সংগ্রাম -শিক্ষার সংগ্রাম’ , ‘ইয়ং বেঙ্গল মুভমেন্ট ও ডিরোজিও’ খুবই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার গ্রন্থ আমাদের গবেষণা সাহিত্যে এক মৌলিক ও অনন্য অবদান। তিনি একজন দক্ষ ও কৃতী অনুবাদক।প্লেটোর “The last days of socrates” নামক মহৎ গ্রন্থটি তিনি ‘সক্রেটিসের শেষ দিনগুলো’ নামে অনুবাদ করেছেন এবং বইটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমী। এছাড়াও তিনি ডিরোজিও, জ্যাঁ আর্তুর র্যাঁবো, পাবলো নেরুদা এবং টি. এস এলিয়টের কবিতা অনুবাদ করে পণ্ডিতজনের প্রশংসা অর্জন করেছেন।
যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্টে করেছে তার চাইতে বড়, তার চাইতে বিস্তৃত এক শক্তি। কোনো সমাজে সেই শক্তির নাম জুপিটার, কোনো সমাজে অলিম্পিয়ান, কোনো সমাজে এইসির। প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের শোনাবো সেই এইসিরদের গল্প। যারা দেবতা হয়েও...ঠিক দেবতা নন। শোনাবো দানো কিংবা জতুনদের গল্প, যারা সৃষ্টির বিপক্ষের শক্তি হয়েও...ঠিক অশুভ নন। শোনাবো ওডিনের কিংবদন্তি...যিনি সর্ব-প্রথম, সর্ব-পিতা ও দেবপ্রধান। শোনাবো থরের নানা অভিযানের কথা...যার নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে প্রতাপশালী হিমদানোরা। শোনাবো লোকির চালাকির আখ্যান...অতি চালাকের গলায় দড়ি কথাটা সম্ভবত যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খাটে। আর শোনাবো র্যাগনোরকের কথা...এই অন্তিম দিবস যা মহাবিশ্বে জন্ম দেবে নতুন এক চক্রের। এইসির-জতুন-থ্রাল-রিগ-এলফ-বামন-সিগার্ড-হেল... প্রিয় পাঠক, এদের গল্প শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
এক ধনীর পুত্র ও তার পিতার ভৃত্যের ছেলের অবিস্মরণীয় বন্ধুত্বের গল্প দ্য কাইট রানার, যে গল্পের পটভূমি এমন এক দেশ যা ধ্বংস হতে বসেছে! গল্পটি পঠনের শক্তির, বিশ্বাসঘাতকতার মূল্যের, পরিত্রাণের সম্ভাবনার। সেই সঙ্গে দ্য কাইট রানার আলোকপাত করে পুত্রের ওপর পিতার প্রভাবের ব্যাপারেও: তাদের ভালোবাসার, তাদের মিথ্যা-কথনের, তাদের বলীর। আফগানিস্তানের বিগত তিরিশ বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে খালেদ হোসাইনি এঁকেছেন পরিবার, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অবিস্মরণীয় চিত্র। টানা দুটো বছর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার লিস্টে থাকা বইটি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে সাত মিলিয়ন কপির চাইতে বেশি। পাঠক ও সমালোচক, সবার কাছে সমাদৃত বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছেও ভালো লাগবে।
কে এই দেবতা পাংগু, যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও পৃথিবী? দেবী নুওয়া না চাইলে, ধরণী কি পেত মানুষের দেখা? কেন আজো বানর-রাজা সন-ওয়েকংকে দেখা যায় চীনের বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে? সমৃদ্ধ চৈনিক লেখন-শৈলীর জন্ম হলো কীভাবে? চাঁদের দিকে তাকালে কেন দেখতে পাওয়া যায় জেড খরগোশের অবয়ব? চৈনিক পুরাণ, চীনা-সভ্যতার মতোই, বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যুগে যুগে যোগ হয়েছে অগণিত কিংবদন্তি, মুখরোচক গল্পে বুঁদ হয়েছে মানুষ। প্রিয় পাঠক, আসুন, চৈনিক পুরাণের মজাদার আখ্যানে আমরাও করি অবগাহন।
বাবাকে মৃত্যুর মুখে রেখে ধ্যানে বসেছে কিঙ্কর। পেছনে ধেয়ে আসছে অসুরের দল, ভাইকে রক্ষা করতে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বোন। এদিকে আসছেন অমর পরশুরামও, তিনি কি পারবেন সময়-মতো পৌঁছতে? নাকি তার আগেই ঘটে যাবে অঘটন? উপকূলের বুকে আঘাত হানতে চলেছে প্রকাণ্ড এক ঘূর্ণিঝড়। প্রকৃতি নির্দয়, তবে এতটা নির্মম কি? নাকি এর পেছনেও রয়েছে কোনো অপশক্তি, যার কারণে পালন-কর্তাকেই আসতে হচ্ছে বারবার এবং আরো একবার; যতদিন না তার উপযুক্ত কায়া সৃষ্টি করছেন সৃষ্টিকর্তা। শক্তি আর অপশক্তির লড়াইয়ের যুগ-যুগান্তরের উপাখ্যান: শিবোহাম।