অনেক বছর ধরেই একটামাত্র চিন্তা ক্রমে ক্রমে ফিরে আসছে, মানুষের জীবন ছেড়ে ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছানির্বাসন নিই। তবে এটা উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও জেলা নয় , ঠাকুরগাঁও হলো এক কনসেপ্ট, যেখানে সভ্যতা বলতে আমরা যেসব নিয়ামক বুঝে থাকি, যেমন বিদ্যুত , ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, ভারী যানবাহন সবকিছু অনুপস্থিত , যেখানে মানুষ কাঠের বাড়িতে বসবাস করে। কিন্তু পিছুটান আর সাহসের অপর্যাপ্ততায় চিন্তাটা ফ্যান্টাসি স্তরেই রয়ে গেছে এখনো। ঠাকুরগাঁও ফ্যান্টাসির প্রতাপশালীতায় ব্যক্তিজীবনে অসফল মানুষের যত রকম সেট-উপসেট হওয়া সম্ভব , তার প্রতিটিতেই ফিট করি আমি।
জিম কলিন্স এর অনেক বছরের গবেষণার ফল গুড টু গ্রেট। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একটা মেডিওকার কম্পানি গ্রেট হয়। কিভাবে গ্রেট হওয়া সম্ভব হয়েছে? যেকোনো কম্পানি চাইলেই কি গ্রেট হতে পারবে? কিছু কম্পানি সারাজীবন গুড থাকে। মানে তারা ভালো থেকে আর উপরে উঠতে পারে না। গুড থেকে গ্রেটে পরিণত হওয়া তো সবার পক্ষে সম্ভবও না। একটা কম্পানি তার প্রতিযোগী আর জেনারেল মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলে কোনোদিনও গ্রেট হতে পারবে না। নাইটিজে, কলিন্স এবং তার দলের গবেষকেরা এইসব উত্তর খুঁজে খুঁজে বের করেন, আসলে কিভাবে গুড থেকে কম্পানিগুলো গ্রেট হয়েছে। প্রথমত, তারা বের করেছে মেডিওকার কম্পানি কেমন এবং গ্রেট কম্পানি কেমন। তারা কখনও গ্রেট কম্পানিগুলো নিয়ে ঘাটাতে চান নি কারণ সেগুলো গ্রেটই থাকবে। তিনি চেয়েছেন অন্যদের নিয়ে কাজ করতে। মূলত, তিনি চেয়েছেন এভ্যারেজ একটা কম্পানি কিভাবে হঠাৎ করেই শেয়ার মার্কেট দখল করে ফেলেন। এবং গ্রেটে পরিণত হয়। গ্রেট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য একটা কম্পানিকে অবশ্যই ১৫ বছর একইভাবে এবং একনিষ্টভাবে কাজ করে যেতে হবে। যারা ১৫ বছর স্টক মার্কেট দখল করে আছে মানে ১৫ বছরে অন্তত ৭ বার তারাই বেটার পজিশনে চলে যায়। যেমন: কোকাকোলা, জিই, ইনটেল ইত্যাদি। ৫ বছর গবেষণায় তারা ২৮টি কম্পানির ইতিহাস ঘেটেছে। অনেক তথ্য-উপাত্ত যোগার করতে হয়েছে। এবং তারা সফল হয়েছে।
দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর - দূরদর্শী বিনিয়োগ ভিত্তিক অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই: এই বইয়ের উদ্দেশ্য হল বিনিয়োগের পলিসিকে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে সরবরাহ করা। নিরাপত্তা, সুরক্ষিত করার ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে অল্পই এখানে বলা হয়েছে; মূলত: জোর দেয়া হয়েছে বিনিয়োগের নীতিমালা ও বিনিয়োগকারীর আচরণের উপর। সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার কিছু তুলনামূলক লিস্ট এখানে দেয়া হয়েছে- নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টের পাশাপাশি- যাতে কমন স্টক বাছাইয়ের জন্য জরুরী উপাদানগুলোতে দক্ষতা জন্মে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক মার্কেটের ঐতিহাসিক প্যাটার্ণ নিয়ে আলোচনা করব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক শতাব্দী পিছন ফিরেও দেখব। বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে বেশ ভালোভাবে জানতে হবে যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বন্ড ও স্টকগুলো কি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ওয়াল স্ট্রীটের ক্ষেত্রে সামতায়ানার সেই বিখ্যাত সতর্কবাণীর চেয়ে বেশি সত্য বক্তব্য ও অধিকতর প্রযোজ্য বাণী আর কিছু নেই- “যারা অতীত ভুলে যায়, তারা এর পুনরাবৃত্তি করে।” আমাদের এই বইটি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আর আমাদের প্রথম কাজ হল কোনরকম পার্থক্য না রেখে এই বিষয়ে স্পষ্টতা ও জোর প্রদান করা। শুরুতে আমরা একথা বলতে চাই যে বইটি ‘এক মিলিয়ন টাকা বানানোর’ বই নয়। ওয়াল স্ট্রীট বা অন্য কোথাও ধনী হওয়ার নিশ্চিত ও সহজ কোন পথ নেই। এইমাত্র যা বললাম, তার সপক্ষে সামান্য অর্থনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা যায়, বিশেষত: তখনদার সময়ের যখন একের অধিক নৈতিকতা এতে খুঁজে পাওয়া যেত। অনেক আগে থেকে এই মতবাদ প্রচলিত আছে যে সফল বিনিয়োগের কৌশল নিহিত থাকে প্রথমত: যেসব ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত উজ্জ্বল, সেগুলো বেছে নেয়ার উপর এবং এরপর সেইসব ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীল কোম্পানীগুলো চিহ্নিত করার উপর। যেমন- স্মার্ট বিনিয়োগকারী বা তাদের স্মার্ট উপদেষ্টারা সর্বোপরি ও বিশেষত: ইন্টারন্যাশনাল বিজন্যাস মেশিনে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির বিশাল সম্ভাবনা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল। একইভাবে অন্যান্য বর্ধনশীল ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানীগুলোর ব্যাপারেও। তবে এটি সবসময় অতীতের পর্যবেক্ষণের মত সহজ হয় না। এই পয়েন্টকে পুরোপুরি বুঝার জন্য নীচে একটি প্যারাগ্রাফ দেয়া হল যেটি ১৯৪৯ সালের সংস্করণে প্রথম দেয়া হয়েছিল।
আট বছর ধরে ড. ডেভিড বেক জানে তার স্ত্রী মৃত অসহ্য যন্ত্রণা, হাহাকার আর সংশয় তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বেদনার্ত বেক চেষ্টা করছে নিজেকে মানিয়ে নেবার কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু রহস্যজনক ইমেইলের আগমনে তার পৃথিবীটা আবারও এলােমেলাে হয়ে গেল। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া দুটো লাশ আর নিজের স্ত্রীর খুনের দায়ভার-সবকিছুই এসে চাপলাে তার ওপর। তাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল পুলিশ, কিন্তু অসহায় বেক পালিয়ে বেড়ালাে সম্পূর্ণ অন্য একটা কারণে। ঘটনাক্রমে ধীরে ধীরে সামনে এলাে অসম্ভব এক রহস্য, নিখুঁত একটি পরিকল্পনা, এবং অবশ্যই অজানা কিছু সত্য।