৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল। সূর্য তখনো ওঠেনি। পৃথিবী যেন একটু আগেই আলোকিত হয়ে গেল। জানা গেল এ আলোর উৎস মক্কার বিখ্যাত হাশিম বংশের ছোট্ট একটি ঘর। সেখানে জন্মেছেন কোরাইশ গোত্রের প্রতাপশালী নেতা আবদুল মুত্তালিবের নাতি। খবর শুনেই নাতিকে দেখতে ছুটে যান তিনি। দেখেন নবাগত হাত-পা নেড়েচেড়ে খেলছেন। নবাগত’র চাঁদবদন দেখে তাঁর হৃদ-মাজারে এক স্বর্গীয় পরশ দোলা দেয়। তিনি অনুধাবন করেন— সেখানে কোনো এক ঐশ্বরিক বার্তা এসেছে। সে বার্তা অল্পক্ষণেই বাগযন্ত্রকে স্পন্দিত করে তুলল। নেচে উঠল ঠোঁট। মুখ থেকে আপনা-আপনি বেরিয়ে আসলো— “মুহাম্মদ—প্রশংসিত!” সেই থেকে শুরু। তারপর আর থামেনি। আজ অবধি চলমান। চলতে থাকবে যুগ-যুগান্তর ধরে। তিনি চির-প্রশংসিত-রূপে উদ্ভাসিত বিশ্বচরাচরে। তাঁর সে প্রশংসাধারার ইতিবৃত্ত, পুণ্যময় জীবনের গতিপথ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য কিংবা অভীষ্ট, চূড়ান্ত পরিচয় ও পরিণতি-সহ নানান দিকের সুনিপুণ বর্ণনার সমাহার এ উপন্যাসধর্মী সিরাত। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবীবাসী কীভাবে এই কল্যাণধারার সাথে পরিচিত হলো এবং কীভাবে যুগ-যুগান্তরের সকল ধর্মের, সকল জাতের মানুষের কাছে তিনি চির-প্রশংসিত-রূপে উদ্ভাসিত হলেন? ঝরঝরে গদ্যে পড়তে ও জানতে আজই সংগ্রহ করুন ‘প্রশংসিত’।
এই গল্পে কোন একশন নেই,নেই কোন রোম্যান্স যা রয়েছে তা শুধু খেলা করে যাবে আপনার মন,মস্তিস্ক আর হৃৎপিণ্ডের সাথে। রহস্যময় গল্পের জালে,বইয়ের প্রতিটি পাতা যেন তীব্র রক্ত সঞ্চালন তৈরী করবে আপনার হৃৎপিণ্ডে আর সে আবেগ কখনো ঝরে পড়বে চোখের জল,মনের শূন্যতা কিংবা প্রতিশোধের হাহাকারে। শহরের এক অভিজাত এলাকায় একটি খুন, সেই খুনের দায়ে গ্রেপ্তার তার আপনজন। তদন্তের দায়িত্ব এসে পরে সিআইডির ইনভেস্টিগেটর আবিদ চৌধুরীর হাতে। তার কাছে এটা কোন স্বাভাবিক কেস নয়। অনুসন্ধান করতে করতে আবিদ চলে যায় আরও গভীরে,যার শুরুতে যেন এক কুৎসিত সত্য লুকিয়ে রয়েছে। এদিকে আবিদ এর ব্যক্তিগত জীবনের ছকটাও স্বাভাবিক নয়,অন্য কেউ যেন নির্মমভাবে পালটে দিয়েছে মাত্র আট মাস আগে। গল্প এগুতে থাকে, আর সব কিছু যেন ঘুড়ির সুতোর সাথে মিলিয়ে যেতে থাকে যার নাটাই একজন লোকের হাতে। তবে সে যেন মানুষ নয়,মানুষ রূপি পিশাচ। এতটা সহজে তাকে ধরা সম্ভব নয়।তাহলে কিভাবে শেষ হবে এই পিশাচের গল্প? জন্ম নেয় এক নতুন পিশাচ। গল্পে একটা লাইন রয়েছে - "এক পিশাচের ধ্বংসের জন্য নতুন পিশাচের জন্ম হয়" কে সেই নতুন পিশাচ? জানতে হলে গল্পের শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাসে পড়তে হবে বইটি।