প্রিয় পাঠক, উপন্যাসের আড়ালে লুকিয়ে-থাকা কোনো উপন্যাস কি কখনও পড়েছেন আপনি? কখনও কি সমাধান পেয়েছেন রহস্যের নিচে চাপা পড়ে-থাকা রহস্যের? আগাথা ক্রিস্টি অথবা ডরোথি এল. সেয়ার্সের সমসাময়িক গোল্ডেন-এইজ-অভ-মিস্ট্রি’র সঙ্গে কি সাযুজ্য পেয়েছেন আধুনিক কোনো কাহিনির? যদি তিনটি প্রশ্নের জবাবই “না” হয়, তা হলে এ-বই আপনার জন্য। অ্যালান কনওয়ে একজন রহস্য-সাহিত্যিক। তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাসটা সম্পাদনা করার জন্য দেয়া হয়েছে “ক্লোভারলিফ বুকস”-এর এডিটর সুয্যান রাইল্যান্ডকে। ওটা পড়তে গিয়ে চমকে উঠতে হলো সুয্যানকে...শেষের কয়েকটা চ্যাপ্টার হারিয়ে গেছে! অ্যালানের দ্বারস্থ হতে চেয়ে জানতে পারল সে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু সে-মৃত্যু মেনে নিতে পারল না সুয্যান। ওর ধারণা, খুন করা হয়েছে অ্যালানকে। অনন্যোপায় হয়ে শখের গোয়েন্দাগিরিতে নামল সে। ফলে, শুরুটা হয়েছিল সাদামাটা এক রহস্যোপন্যাস দিয়ে, আর কাহিনির শেষ টানল অভিনব এক টুইস্ট।
বহুদিন পর মঞ্চে উঠলেন জাদুকর। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেদিনই জড়িয়ে পড়লেন মিথ্যা খুনের দায়ে। পুলিশের চোখ থেকে পালিয়ে খুঁজতে শুরু করলেন সত্যিকার খুনিকে! খুনের এই মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, কিন্তু বিনিময়ে তার চাই ভবিষ্যৎ দেখার বই। যার খোঁজে বেরিয়ে গত ১৫ বছর ধরে নিখোঁজ হয়ে আছেন দিল্লী ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট এক প্রফেসর। অন্যদিকে প্রাক্তন আর্কিওলজিস্ট খুঁজে বেড়াচ্ছেন অমরত্বের উৎস! অথচ এই সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে মিয়ানমারের অচেনা এক মন্দিরের অন্ধকারে! সবার অলক্ষ্যে বুনে উঠছে বিশ্রী ষড়যন্ত্রের জাল! সাতশো বছরের আগে হারিয়ে যাওয়া অভিশাপ জেগে উঠছে আবারো ! "লেগেছে গ্রহণ তিন চাঁদ সাত নক্ষত্রে রক্তের রেখা শপথ এঁকেছে সে শর্তে"
"চণ্ডাল" বইয়ের ভিতরের লেখা: অঘোরীদের সাধনাক্ষেত্র শ্মশান। আত্মাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ তাদের। শবদেহের আধ পোড়া মাংসকে পরম তৃপ্তিতে তারা তুলে নেয় মুখে। এক অঘোরী তান্ত্রিক চণ্ডাল। অঘোর বিদ্যায় সে দক্ষ। কেন মধুময়ের পরিবার এসেছিল এক অঘোরী তান্ত্রিকের কাছে ? প্রেম - বন্ধুত্ব - বিশ্বাসঘাতকতা - প্রবঞ্চনা - তারপর? তন্ত্র সাধিকা কৃপালিনী কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? কে এই কালভদ্র ? কেন ওর আগমন ? অঘোরী তান্ত্রিকরা শরীরে লেপন করে চিতাভস্ম। করোটিতে ঢেলে পান করে সুরা। কিন্তু কেন ? বিশ্বাস রেখেছে যারা চণ্ডালের ওপর তারা কি জীবন যুদ্ধে উত্তীর্ন হতে পারবে? চণ্ডাল কি অঘোর বিদ্যার সাহায্যে অসাধ্য সাধন করতে পারবে নাকি সেই বিদ্যেই বুমেরাং হয়ে বিনাশ ঘটাবে ওর?
আবারও রহস্যের আড়ালে রহস্য। আবারও একই মলাটের ভিতরে দুটো উপন্যাস। এবং আরও একবার সুয্যান রাইল্যান্ড আর অ্যাটিকাস পান্ডের দ্বৈরথ। ম্যাগপাই মার্ডার্সের সুয্যান রাইল্যান্ড এখন থাকে গ্রীসের ক্রীটে। ভালোমন্দ মিলিয়ে ওর দিন কেটে যাচ্ছে পলিডোরাস হোটেলে। কিন্তু হুট করেই যেন দিক বদল করল ঘটনাপ্রবাহ। ধনী এক ইংরেজ দম্পতি হাজির হলেন পলিডোরাসে। সুয্যানকে শোনালেন অদ্ভুত এক গল্প... অ্যালান কনওয়ের লেখা “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” বইটি পড়ে গায়েব হয়ে গেছে তাঁদের মেয়ে সিসিলি ট্রেহার্ন। তবে তার আগে বলেছে, আজ থেকে আট বছর আগে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের দায়ে জেল খাটছে যে-লোক, সে আসল খুনি না। নিজের ভিতরে এমন এক আহ্বান টের পেল সুয্যান, যা অগ্রাহ্য করা অসম্ভব ওর পক্ষে। চলে এল ইংল্যান্ডে। শুরু করল তদন্ত। কিন্তু পদে পদে হাজারটা বাধা। ভালোমানুষির মুখোশ যারা পরে আছে, লেজে পা পড়লে তারাই ফণা-তোলা বিষধর সাপ! শুধু তা-ই না, সে যদি পুলিশের কাজে বাধার কারণ হয়, তা হলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হলো ওকে। এবং, সে যখন রহস্য-সমাধানের দ্বারপ্রান্তে, তখন আরও একবার ওর জন্য পাতা হলো মৃত্যুফাঁদ। সে-ফাঁদ কি এড়াতে পারবে সুয্যান? সে কি সমাধান করতে পারবে জটিলতম এক রহস্যের... তা-ও আবার শুধু একটি বই সম্বল করে? চলুন, পাঠক, আরও একবার আমরা সঙ্গী হই সুয্যান রাইল্যান্ডের। “অ্যাটিকাস পান্ড টেকস দ্য কেস” ঘেঁটে ক্লু বের করে আমরাও সমাধান করার চেষ্টা করি “মুনফ্লাওয়ার মার্ডার্সের”।
কান ফাটানাে চিকার শুনে ছুটে এলাে মাসিসহ অন্যরা তাদের মাঝে দু-চারটে খদ্দেরও আছে। এসে দেখে, ওসি কামরুল ইসলাম বুকে গুলি খেয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সিলিঙের দিকে চেয়ে আছে। নজর কিন্তু দেখছে না কিছুই । সঙ্গে সঙ্গে যেন নরক নেমে এলাে বাড়িটায়। এমনিতেই দুই নম্বুরি ব্যবসা চালায়, তার ওপর হলাে, খুন.তাও আবার যে-সে না, খােদ ওসি সাহেব খুন! খদ্দেররা লুঙ্গি-পায়জামা সামলে দৌড় লাগাল। বাড়ির দিকে, কোন দুঃখে যে এখানে এসেছিল। তাই ভাবছে বারবার। মেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ, ওরা যাবেই বা কোথায়? ঘর-বাড়ি থেকে প্রতারিত আর প্রত্যাখ্যাত হয়েই তাে মাথা গুজেছিল। এই বাড়িতে. মচ্ছবের মাঝে কখন যে হুডি জ্যাকেট পরা এক। লােক, দলা পাকানাে একটা কাগজ ছুঁড়ে দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ঘরের সামনে তা কেউ জানে না। ভয়ে। জায়গাটা ফাকা হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মাঝে, নইলে। হয়তাে ওটা নজরে পড়ত না পরে আসা পুলিশ কর্মকর্তারও কাগজটা তুলে নিল সে হাতে। ওতে লেখা: দুনীর শেষ, সুদনের শুরু
ছোটো থেকেই বড়ো ভাই কেইনের গুণমুগ্ধ উইল ক্লেইন। নিউ জার্সির এক মফস্বল শহরে বাবা-মা, বোন আর ভাইকে নিয়ে ভালোই সময় কাটছিল তার। কিন্তু সব হিসেব-নিকেশ বদলে যায় এক রাতে। উইলের ভালোবাসার মেয়েটা নৃশংসভাবে খুন হয় নিজ বাসার বেইজমেন্টে। প্রধান সন্দেহভাজন উইলের ভাই। পালিয়ে যায় কেইন, সব প্রমাণও তার বিরুদ্ধে। হাসিখুশি পরিবারটা আর হাসিখুশি থাকে না। ঘটনাটা পাল্টে দেয় প্রত্যেকের জীবনের গতিপথ। এক পর্যায়ে তারা ধরেই নেয় যে চিরতরে হারাতে হয়েছে কেইনকে। এগারো বছর পরের ঘটনা। উইল প্রমাণ পায় তার ভাই বেঁচে আছে। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে সে যা বিশ্বাস করে এসেছে, সব বদলে যেতে থাকে একের পর এক। বাধ্য হয় সে সত্যের পিছু নিতে। কিন্তু জীবন তার জন্যে যা সাজিয়ে রেখেছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। পাঠক, আপনাকে স্বাগতম শ্বাসরুদ্ধকর এক সত্যের অনুসন্ধানে।
নিজের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন ডায়ানা ক্যুপার। ছ’ঘণ্টা পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো তাঁকে। কাকতালীয়? কোনো ক্লু নেই পুলিশের কাছে। আর তাই ডেকে আনা হলো ড্যানিয়েল হোথর্নকে। হোথর্ন... মেধাবী কিন্তু পাগলাটে একজন ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর, বহিষ্কৃত হয়েছে পুলিশ ফোর্স থেকে। কেস সমাধান করার আগেই সে গিয়ে হাজির হলো স্বনামধন্য লেখক অ্যান্টনি হরোউইটযের কাছে। ‘আমাকে নিয়ে বই লিখবেন একটা?’ ইচ্ছা না-থাকার পরও না বলতে পারলেন না হরোউইটয। তাঁরা দু’জনে ছুটে বেড়াতে লাগলেন লন্ডনের এমাথা থেকে ওমাথায়। কিন্তু খুনি যেমন ধূর্ত তেমনই সতর্ক। আড়ালে থেকে চোখ রেখেছিল সে পুরো পরিস্থিতির উপর। তাই সুযোগ পাওয়ামাত্র মরণফাঁদে আটকে ফেলল সে হরোউইটযকে।
প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির এক সন্ধ্যায় তিন বন্ধু আবিষ্কার করলো, ওদের প্রতিদিনের পরিচিত জায়গাটা এমনভাবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে যে দেখে মনে হচ্ছে এই স্থানে আগে কখনোই আসেনি ওরা। যে রাস্তা ধরে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে তারা, সেটা কিছুদূর গিয়েই মিশে গেছে পাহাড়ি মাটির সাথে, আর তার ধারে দেখা দিয়েছে আকাশের বুক ছুঁয়ে দেয়া উঁচু গাছে ভরপুর রহস্যময় এক বনভূমি। বজ্রপাত আর ঝড়ের ক্রুদ্ধ গর্জন ওদের হাতে ঐ বনে প্রবেশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় রাখেনি। খুব দ্রুতই ওরা বুঝতে পারলো, এটা কোনো স্বাভাবিক বন নয়। এ বন ভেতরে যাওয়ার উপায় রেখেছে, শুধু রাখেনি বেরোবার পথ। অদ্ভুত এ বন যেন পরিচিত জগতের বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগৎ, যে জগতে গাছেরা ভেঙে পড়ে শব্দহীন কান্নায়, যে জগৎ মানুষের মনের ভেতর উঁকি দিয়ে বের করে আনে তার সবচেয়ে কদাকার রূপকে, যেখানে ঘুরে বেড়ায় ভয়ংকর সব প্রাণী, শুধু পুরাণের বইতেই যাদের দেখা মেলে। সে জগতে মাকড়সার জালের ন্যায় ছেয়ে আছে কেবল দুটো অনুভূতি—একাকীত্ব ও বিষণ্ণতা। আর এই সবকিছুর উপরে আছে অন্যকিছু, একটা নাম। মাদার ন্যাচার।
কাহিনি সংক্ষেপঃ ভালো হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্টেমিস ফাউল, তবে শেষ এই দাঁওটা মারার পর! অন্তত তেমনটাই পরিকল্পনা করেছিল ক্রিমিনাল এই মাস্টারমাইণ্ড। ঘাপলা বাধল ফেয়ারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো সুপার কম্পিউটার, সি কিউব, বিক্রি করতে গিয়ে। নৃশংস ব্যবসায়ী জন স্পাইরো ওকে বোকা বানাল! আহত হতে হলো ওর দেহরক্ষী আর একমাত্র বন্ধু, বাটলারকে। লোকটাকে বাঁচাতে হলে চাই জাদু। আর তাই ছেলেটা শরণাপন্ন হলো ফেয়ারি হলি শর্টের। তবে শুধু জাদু হলেই হবে না, সেই সাথে সাহায্য লাগবে সৌভাগ্যের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সৌভাগ্য আর্টেমিসের পক্ষে নেই!
লোকে বলে, আর্টেমিস ফাউল এই শতাব্দীর বড় বড় প্রত্যেকটা অপরাধের সাথে জড়িত! মাত্র বারো বছর বয়সেই, অপরাধ জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে সে। দুর্নীতি আর অপহরণকে পুঁজি করে বাড়িয়ে তুলতে চাচ্ছে পরিবারের ঐশ্বর্য। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এক ফেয়ারিকে অপহরণ করতে চাইছে। পাতালপুরীতে বাস করে এমন একদল ভয়ঙ্কর আর প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফেয়ারিদের খোঁজ পেয়েছে সে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রচণ্ডতা ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারেনি। অপহরণ করলেই যে মিলবে না মুক্তিপণ ! তার জন্য ফেয়ারিদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সহ্য করতে হবে! মানুষ আর ফেয়ারি, এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের সূচনা এই হলো বলে!
উকিল রিচার্ড প্রাইসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তাঁর বাসায়। কেউ একজন মদের বোতল দিয়ে খুন করেছে তাঁকে। চলে যাওয়ার আগে ঘরের দেয়ালে লিখেছে বিশেষ একটা সংখ্যা। ম্যাগপাই মার্ডার্স এবং মুনফ্লাওয়ার মার্ডার্সের লেখক অ্যান্টনি হরোউইটয সন্দেহ করছেন ছ’জনকে। আকিরা অ্যানো... প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন প্রাইসকে। ডন অ্যাডামস... তাঁর গোপন একটা খবর হয়তো জেনে ফেলেছিলেন প্রাইস। স্টেফান স্পেন্সার... বিশ্বাসঘাতক এই লোক ধরা পড়ে গিয়েছিল প্রাইসের কাছে। ড্যাভিনা রিচার্ডসন... প্রাইসের কারণে স্বামীকে হারিয়েছেন চিরতরে। এড্রিয়ান লকউড... সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন প্রাইসের কাছ থেকে, কিন্তু সত্য গোপন করেছিলেন। প্রাইস জেনে গিয়েছিলেন সেটা। সুয্যান টেইলর... যেদিন খুন হয়েছেন রিচার্ড, সেদিন লন্ডনে ছিলেন এই মহিলা। কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কী কী করেছিলেন, কেউ জানে না। প্রিয় পাঠক, আপনি কি মেলাতে পারবেন সমীকরণটা? আপনি কি বলে দিতে পারবেন, কে খুনি? নাকি অপেক্ষা করবেন ড্যানিয়েল হোথর্নের জন্য? সব ক্লু-ই জোগান দিয়েছে সে হরোউইটযকে, অথচ উপন্যাসের শেষ অধ্যায়টা রেখে দিয়েছে নিজের জন্য।
এক অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে অসাধারণ মেধাবী একটি মেয়ের ওপর। কিন্তু কেন? এই আপাত নিরীহ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এক সাইকায়াট্রিস্ট। নিজের জীবনের কিছু তিক্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে, তার অতিপ্রাকৃত ঘটনায় কোন বিশ্বাস নেই। কিন্তু খোঁজ শুরু করার পরে একসময় সে বুঝতে পারল শুধুমাত্র মনোবিজ্ঞান দিয়ে এ ঘটনার সমাধান করা অসম্ভব। তার পরিচয় হল এক আধিদৈবিক চিকিৎসকের সাথে। তাদের যুগ্ম সন্ধান ভেদ করতে থাকল একের পর এক রহস্যের জাল, নিয়ে যেতে থাকল এক অকল্পনীয় ক্ষমতাশালী, দুর্দান্ত ধূর্ত প্রতিপক্ষের দিকে। কিন্তু তা কি শুধুই তাদের খোঁজের কৃতিত্ব? নাকি তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বুনে চলা এক জালের একটি অংশ যেখানে শিকারীরা নিজেরাই একসময় পরিণত হয় শিকারে। নীলাঞ্জন মুখার্জ্জীর ‘শতী সহস্রাননা’র প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে আছে রহস্য, ইতিহাস, হত্যা, মিথ ও মাইথোলজির এক আশ্চর্য বর্ণনা যা পাঠককে শুরু থেকে শেষ অবধি চুম্বকের মতো টেনে রাখবে।
আর্কিওলজিস্ট নিনা ওয়াইল্ডের ধারনা, হারানো কিংবদন্তী আটলান্টিসের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে। এখন পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তার এই অনুমান ঠিক কি না। কিন্তু কিছু মানুষ চাইছে কাজটা করার আগেই বাবা-মায়ের মতো তাকে মৃত দেখতে! সাবেক কমান্ডো বডিগার্ড এডি চেজ ও বিলিওনেয়ার-কন্যা ক্যারি ফ্রস্টের সাহায্য নিয়ে নিনাকে চষে ফেলতে হবে ব্রাজিলের বনভূমি থেকে শুরু করে তিব্বতের পাহাড়, ম্যানহাটনের অলিগলি থেকে আটলান্টিক সাগরের তলদেশ। কিন্তু পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওরা কারা? রহস্যের চাদরে গা ঢাকা দেয়া ব্রাদারহুড অভ সেলাফোরসের কি স্বার্থ এসবের পেছনে? চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একের পর এক আক্রমণের মুখে দিশেহারা নিনা কি পারবে ১১,০০০ বছর ধরে কালের গর্ভে লুকানো আটলান্টিস খুঁজে বের করতে? নাকি ভুল হাতে পড়ে আবার ধ্বংস হবে প্রাচীন সেই সভ্যতা?
এ এক অন্য দুনিয়ার গল্প। যে দুনিয়া আপনার চেনা দুনিয়া থেকে অনেকটাই আলাদা, আবার অনেক কিছু একই রকম। এ দুনিয়ায় মাটি থেকে অনেকটা উচ্চতায় বাতাসে ভেসে বেড়ায় কিছু ভাসমান ভূখণ্ড। এখানে গল্পের শুরু, যখন সেরকমই একটা ভূখণ্ড বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে সমুদ্রের বুকে অবস্থিত মান্দুব নামের একলা একটা দ্বীপের ওপর এসে ভেড়ে; আর সেই ভূখণ্ড থেকে নেমে আসতে শুরু করে বৃহৎ আকারের ভয়াল দর্শন কিছু পোকা। যাদেরকে দ্বীপবাসী নাম দেয় আসমানের পোকা। এই আসমানের পোকাগুলো কয়েকদিন অন্তর অন্তর একজন-দুজন করে তুলে নিয়ে যেতে থাকে দ্বীপবাসীকে, যাদের আর পরে খোঁজ মেলে না। ইব্রার, যে কিনা এই দ্বীপবাসীদেরই একজন, সকলের দিশেহারা অবস্থায়, সেই প্রথম রুখে দাঁড়ায়। শুরু করে সংগ্রাম। আস্তে আস্তে তার সাথে যোগ দেয় অনেকে। সংগ্রামের ঘাত প্রতিঘাতে এগিয়ে যায় গল্প, দ্বীপবাসী খোঁজে পরিত্রাণের উপায়। দ্বীপের লবন ব্যবসায়ী কায়াস হাম্মান আবার ভিন্ন কথা বলে সংকট নিয়ে। এতদিন যাবৎ ভুল উপাস্যের উপাসনা করার কারণেই নাকি এই সংকট। রুষ্ট হয়ে দেবতা আরাহুট এই সংকট পাঠিয়েছেন, সবার উচিত আরাহুটের উপসনা করা। অন্যদিকে, নাইভা রাস্কি, যে কিনা একজন তাম্বুলক্রিয়ক, এই দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়ে যায় সংকটে। সে দেয় পরিত্রাণের ভিন্ন এক উপায়। বড় ঝুঁকিপূর্ণ সে উপায়। আশিয়া, দ্বীপের বৈদ্যবাড়ির মেয়ে, ভেতরে ভেতরে পছন্দ করে ইব্রারকে। স্বপ্ন দেখে একদিন ইব্রার ওর ভালোবাসা বুঝবে। অসহায় মুহূর্তে সেও নেয় মরিয়া এক সিদ্ধান্ত। দুর্দান্ত অ্যাকশন, কখনও বুদ্ধির পরীক্ষা, কখনও কখনও মুগ্ধ বা অবাক করার মতো তথ্য, জীব, ইতিহাস, উপকথা বা জায়গা—‘দাবনিশ আখ্যান: আসমানের আঁধার’ এরকমই এক উপন্যাস। তানজিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবনিশ আখ্যানের প্রথম নিবেদন আসমানের আঁধার। লেখক ও প্রকাশনীর পক্ষ থেকে লেখকের কল্পনায় অভিনব এক যাত্রায় সঙ্গী হতে পাঠকদের সাদর আমন্ত্রণ।
আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তাঁর তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে! ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা 'দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট'। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- 'The International Jew'। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই। কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ 'সিক্রেটস অব জায়োনিজম'।
মুক্তির মিছিল শুরু হলো ফিলিস্তিনে। আহমদ মুসারা ইজরাইলি গোয়েন্দা সিনবেথের সাংকেতিক পরিভাষা বুঝতে পেরেছিল। টের পেয়ে সিনবেথ পালটে ফেলে কমিউনিকেশন কোড। তখন এগিয়ে এলো ইজরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্ণধার ডেভিড বেনগুরিয়ানের মেয়ে এমিলিয়া। কর্নেল মাহমুদের প্রতি দুর্বল এমিলিয়া ইসলাম গ্রহণ করে। সরবরাহ করে নতুন সাংকেতিক কোড। ইহুদি গোয়েন্দারা এমিলিয়াকে আটক করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে আহমদ মুসা উদ্ধার করে তাকে। স্বাধীন হয় ফিলিস্তিন। কিন্তু বন্দি হয় আহমদ মুসা। তাকে নেওয়া হয় মিন্দানাওয়ে। সেখান থেকে মুক্ত হয় সে। একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে থাকে। আহমদ মুসাকে হাতের মুঠোয় পেতে মুর হামসার ছোটো বোন শিরিকে অপহরণ করা হয়। শিরিকে উদ্ধার করতে আহমদ মুসাকে যেতে হয় জাম্বুয়াঙ্গোতে। সাগরপথে যাত্রাকালে আবারও বন্দি হয় আহমদ মুসা। শিরিকে হাজির করা হয় তার সামনে। নিহত হয় শিরি। সেখান থেকে আহমদ মুসাকে কফিনে ভরে প্লেনে করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্লেন ক্রাশ করে কফিন পড়ে যায় পামিরের আল্লাহ বকস গ্রামে। দৃশ্যপটে চলে আসে ফতিমা ফারহানা, হাসান তারিক, আয়েশা আলিয়েভা, উমর জামিলভ, কর্নেল কুতাইবারা। বরফে মোড়া পামির, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের পাথুরে মালভ‚মি, আগুনঝরা মরুমাঠ আর আমুদরিয়া, শিরদরিয়ার স্বচ্ছ নীল পানি সবটা জুড়ে প্রচণ্ড একটা ঝড়। ফ্র-এর অসুর শক্তির সঙ্গে সাইমুমের বিশ্বাসী শক্তির এক রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এ সংঘাতের পরিণতি কী? আহমদ মুসা, হাসান তারিকরা এক অসম্ভব এবং অসম মিশনে হাত দিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাইচ- মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।