পিতার সন্তান থেকে সন্তানের পিতা হয়েছি। সন্তান হিসেবে আমাকে নিয়ে পিতামাতার পেরেশানী উপলব্ধি করতে পারি আজ মধ্যবয়সে এসে পৌঁছে। মা-বার বুকের ভেতরটা পড়তে পারছি কলিজার টুকরো মেয়েদের দিকে তাকালেই। একটা বিশ্বাসী জীবনবোধের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি। আমার জীবনবোধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপস্থিতি। এমন এক বিশ্বাসের দেয়াল ছুঁয়ে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে কমপ্লিট সলিউশন প্যাকেজ রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে আমার জগতটা হিসাব ও কারবার নিয়ে। সেই অভ্যাসেই কিনা, আমি প্রতিনিয়ত আমার সন্তানদের নিয়ে হিসাব করি, ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। সেই ভাবনাগুলোই কলমের ছোঁয়াতে কাগজে সংরক্ষণ করেছিলাম। একজন বাংলাদেশী মুসলিম পিতার প্যারেন্টিং ভাবনা। এই ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে হাজারো পিতামাতার কাছে পৌঁছবে ‘প্যারেন্টিংঃ সন্তান প্রতিপালনে সফল হওয়ার উপায়’ বইয়ের মাধ্যমে।
মানব শিশুকে Curiosity তথা কৌতূহলী মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। শিশু জন্মের পর থেকেই তাদের কৌতূহলের মাত্রা বাড়তে থাকে। শিশুর এই চরিত্রের প্রকাশ বহুভাবে ঘটে। কোন শিশু অশান্ত, কোনটা প্রশান্ত, কোনটা চঞ্চল, কোন শিশু সুবোধ! এ সবই শিশু চরিত্রের ভিন্নতার কারণে হয়। শিশুদের কিছু সাধারণ চরিত্র আমরা দেখতে পাই, যা বড়দের কাছে গুরুত্বহীন। মজাদার শিশু চরিত্র চিন্তাশীল মানুষদের আগ্রহী করে তুলে। একটি গভীরে গেলেই দেখা যাবে, শিশুরা বড়দের চেয়ে বহুগুণে বেশী কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র স্বীকৃতি আদায়ের জন্য! এই চরিত্র বুঝে কাজ করতে পারলে, প্রতিটি শিশুকেই সেরা মানব সন্তানে পরিণত করা সম্ভব। মূলত এই বইয়ে শিশুদের নানা চরিত্রকে বিশ্লেষণ করে, চিত্তাকর্ষক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে ব্যক্তি শিশু নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তাকেও আগ্রহী করে তুলবে। যাদের শিশু আছে, যাদের শিশু আসবে, যারা নতুন জীবন গড়তে যাচ্ছে কিংবা যারা শিশু গড়ার কারিগর হতে চায়। এই বই এমন সবার চিন্তাকেই অনুপ্রেরণা যোগাবে।
মুসলিম প্যারেন্টিং (হার্ডকভার) - সন্তান প্রতিপালন গাইড: প্রযুক্তির এই যুগে সন্তানদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা নিতান্তই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আকাশ-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ভালো-মন্দ উভয় ধরনের উপাদানই সন্তানদের হাতের নাগালে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইটাও অনেক কঠিন। চারপাশে থাবা বিছিয়ে আছে নৈতিকতাবর্জিত সামাজিক কদাচার। এমন বহুবিধ সংকটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদরে আবৃত রেখে তাদের গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। তাই আধুনিক যুগে প্যারেন্টিং স্কিল আর বিলাসী বিষয় নয়; বরং জরুরি প্রয়োজন। সে প্রয়োজন পূরণের একটি উত্তম সমাধান হতে পারে ‘মুসলিম প্যারেন্টিং’ নামক এই গ্রন্থটি।
কোন দিকে অগ্রসর হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম? কোন দিকে যাত্রা করবে নতুন দিনের অভিযাত্রীরা? তারা কি ডুবে যাবে কালের আঁধারে? বিলীন হবে অশুদ্ধতার অশুভ গহ্বরে? নাকি, তারা হৃদয়-মাঝারে বয়ে বেড়াবে আলোর ফুলকি? আলোকিত করে যাবে জনপদ থেকে জনপদ? তারা কি রাঙিয়ে তুলবে ভুবন? নতুন করে ছিনিয়ে আনবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি প্রভাত? তারা কি বেড়ে উঠবে ফুলের কুঁড়ির মতো? প্রস্ফুটিত হবে দিগন্ত আলো করা শোভা নিয়ে? তারা কি আখিরাতেও আমাদের জন্য আলো হবে? প্রদীপের মতো হবে পথযাত্রী? আগামীর সেই অভিযাত্রীদের মনে দীপ্ত এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই রচিত হয়েছে ‘শিশুর মননে ঈমান’।
‘সন্তানঃ স্বপ্ন দিয়ে বোনা’ বইয়ের কিছু কথাঃ সন্তান, নিছক কোনো জৈবিক ক্রিয়ার ফল নয়; বরং তারা আমাদের স্বপ্ন, আমাদের পৃথিবী এবং আখিরাতের পাথেয়। সন্তানকে যদি শৈশব থেকে সদাচরণ, সত্য কথা বলা আর পাপ-পুণ্যের পাঠ না দেওয়া হয়, তাহলে বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই সন্তান মা-বাবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাকে আর কোনোভাবেই মূল্যবোধের পাঠ শেখানো যায় না। একজন মুসলিমের কাছে সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বটা আরও বিশাল। মুসলিম মা-বাবার অবশ্য কর্তব্য হলো—তাদের সন্তানদের প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা। সন্তানকে প্রকৃত মুসলিম হবার এই পাঠ খুব শৈশবেই দিতে হয়। সন্তান যেদিন জন্মলাভ করে, সেদিন থেকেই মা-বাবার ওপর এই দায়িত্ব এসে পড়ে। সন্তানের নাম রাখা থেকে শুরু করে তার আকীকা, তার শিক্ষাদীক্ষাসহ বিস্তৃত দিকনির্দেশনামূলক বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই কলম হাতে তুলে নিয়েছেন উস্তায আকরাম হোসাইন হাফিজাহুল্লাহ। সন্তান গ্রহণের উপযুক্ত সময়-নির্ধারণ থেকে শুরু করে একেবারে সন্তানের লালন-পালনের খুঁটিনাটি বিষয়সমূহও লেখক নজরে এনেছেন। এমনকি, নিঃসন্তান দম্পতি, তাদের প্রতি অন্যদের আচার-আচরণ ও সমাজের অবস্থানের বিষয়াদিও স্থান পেয়েছে লেখকের কলমে।‘প্যারেন্টিং’ বিষয়ে উস্তায আকরাম হোসাইন হাফিযাহুল্লাহর ‘সন্তান : স্বপ্ন দিয়ে বোনা’ বইটি সন্তানদের ভালো মানুষ, ভালো সন্তান এবং সর্বোপরি প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলতে মা-বাবাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমাদের রোল মডেল নবিজি। জীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি বিশ্ববাসীর কাছে ‘উসওয়াতুন হাসানা’। কতভাবেই না আমরা নবিজিকে বুঝেছি। দয়ার সাগর, আমানতদার, ইনসাফবাদী বিচারক, সামরিক বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক নেতা, মহান বিপ্লবী, দায়িত্ববান স্বামী, পরম বন্ধু–নানান পরিচয়ে নবিজিকে চিনেছি। এই গ্রন্থে আমরা নবিজির নতুন এক পরিচয় খুঁজে নেবো। আমরা দেখব–একজন পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি, চারপাশের শিশু সাহাবিদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি। কীভাবে শিশু প্রজন্মকে আগামীর পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। আমরা জানবো, –কীভাবে নবিজি চারপাশের শিশুদের পরিচর্যা করেছিলেন। –কীভাবে শিশুদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন? –কীভাবে তিনি শিশু মনে বিশ্বাসের বীজ বুনেছিলেন? –কীভাবে ইসলামি জিন্দেগীর সাথে শিশুদের অভ্যস্ত করেছিলেন? –কীভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করে দিয়েছিলেন? –কীভাবে উন্নত নৈতিক চরিত্র শিশু মননে ঢুকে দিয়েছিলেন? –কীভাবে শিশুদের টিনএজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিখিয়েছিলেন? –কীভাবে সমাজের প্রোডাক্টিভ মানুষ হয়ে মানুষের কল্যাণে শিশু মন গড়ে তুলেছিলেন? পুরো গ্রন্থেই থাকছে শিশু পরিচর্যার নববি কর্মকৌশল। স্মার্ট প্যারেন্টিং-এ আপনাকে স্বাগতম।
একজন স্বামী কী কারণে বিপথে যায়? একজন স্ত্রী ঠিক কী কারণে ফেলনা হয়? বইটিতে তার স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে। এবং এর যথাযথ প্রতিকারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও ক্লিনিক্যালি করণীয় বিষয়গুলো সাহিত্যের মোড়কে গল্পে গল্পে উঠে এসছে। “লাভ ক্যান্ডি”-তে বিবাহিত দম্পতির জন্য রয়েছে প্রেসক্রিপশন। আর অবিবাহিত যুবক-যুবতীর জন্য রয়েছে অমূল্য সাজেশন।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৬ষ্ঠ বই ‘সন্তানকে বইমুখী করার কৌশল’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব— ১. আপনার সন্তান কি স্মার্টফোন আর ভিডিও গেমসে আসক্ত? সে কি একদমই বই পড়তে চায় না? পড়ার কথা বললেই কি তার মাথা ঘুরায়, পেট ব্যথা করে? তাহলে তো এই বইটি পড়া আপনার জন্য ফরজ! ২. বইয়ের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে, বইয়ের সাথে পরম বন্ধুত্ব তৈরি করতে, বইপাঠের গুরুত্ব এবং জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তা ওদের সামনে মেলে ধরতে, সর্বোপরি একটি শিশুকে পরিপূর্ণভাবে বইমুখী করে গড়ে তুলতে হলে এমন একটি বই আপনার সংগ্রহে থাকতেই হবে। ৩. কিন্তু বাবা-মা হিসেবে সন্তানের হাতে আপনি কোন বইটি তুলে দেবেন? কেমন গল্প শুনিয়ে তাকে প্রতি রাতে ঘুম পাড়াবেন? কোন বইটি তাদেরকে সত্যের পথে নিয়ে যাবে আর কোন বই তাদেরকে আঁধারে নিমজ্জিত করবে—এ ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৪র্থ বই ‘সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালের মনস্তত্ত্ব’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব— ১. এ বইটি পড়লে কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাজগতের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে। সেই সাথে তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা মিলবে। ২. কিশোর-সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বই আপনাকে উপহার দেবে চমৎকার সব কৌশল আর কার্যকরী পদক্ষেপ। ৩. কৈশোর মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের পাশে থাকা, তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং ভালো কাজের ব্যাপারে তাকে উৎসাহ জোগানো। ৪. যেসব কিশোর-কিশোরী খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বিপথে চলে গিয়েছে কিংবা ইন্টারনেটের ভয়ংকর জগতে নিমজ্জিত রয়েছে তাদেরকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ বইটি হতে পারে এক মোক্ষম দাওয়াই।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ১ম বই ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব— ১. সহজ ভাষায় ও গল্পের ছলে ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’ বইটি আপনার সামনে মেলে ধরবে সুখী পরিবার গড়ে তোলার চমৎকার সব কৌশল। ২. এ বইটি নিঃসন্দেহে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরো মজবুত করে তুলবে। ৩. জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা ও হৃদয়ছোঁয়া গল্পে মুখরিত এ বই আপনার জীবনে এনে দেবে সুখ, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য আর অনাবিল আনন্দ। ৪. পরিবারকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সুস্থ-সুন্দর সমাজ। আমাদের পরিবারগুলো সুখী হলে, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, পাপ-পঙ্কিলতা সব দূর হয়ে যাবে। তাই সুন্দর সমাজ ও পরিবার গঠনের লক্ষ্যে এ বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
১. শিশুদের নানারকম সমস্যা ও তার চমৎকার সমাধান খুঁজে পাবেন এ বইয়ের পাতায় পাতায়। ২. আপনার বাচ্চা কি অহরহ মিথ্যা বলে? অল্পতেই রাগ করে? রাতের বেলা একা একা ওয়াশরুমে যেতে ভয় পায়? কিংবা প্রতি রাতে ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে দেয়? তবে তো এ বইটি আপনারই জন্য। ৩. আপনার সন্তান যদি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে থাকে, ঠিক মতো খেতে না চায় অথবা অকারণে সবার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়, তবে এমন একটি বই হাতছাড়া করা মোটেও উচিত হবে না আপনার। ৪. বুদ্ধিমান বাবা-মায়েরা কখনো সন্তানের গুরুতর সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। তারা সমস্যার শুরুতেই সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আদর্শ পরিবার সিরিজের ৩য় বই ‘পারিবারিক সম্পর্কের বুনন’। যে কারণে আমরা এ বইটি পড়ব— ১. পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে এ বইটি আপনার বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াবে। ২. দাম্পত্যজীবনকে আরো গতিময় করে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি বাড়িয়ে দিতে এমন বই খুব কমই পাবেন পৃথিবীর বুকে। ৩. একটি সুষ্ঠু-সুন্দর পারিবারিক আলাপন আপনার জীবনে এনে দিতে পারে ভিন্ন এক মাত্রা। কীভাবে পরিবারের সবার সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবেন, কীভাবে যেকোনো সমস্যায় কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করবেন, তা জানতে হলে এ বইটি আপনাকে পড়তেই হবে।
£1.12£0.84
Support | +8809613717171
24 Hours a Day, 7 Days a Week
Happy Return Policy
All over Bangladesh
Fastest Delivery
Own Distribution Channel
Worldwide Shipping
We Deliver Product All Over the World
Newsletter
BE THE FIRST TO SEE OUR LATEST DEALS + FASHION & GROCERY INSPIRATION IN YOUR INBOX