আমি ভূত কিশোর ভূত বিশ্বাস করে না । কিন্তু মুসা আর রবিন বলছে কিশোরদের নতুন বাড়িটা ভুতুড়ে। দুটো পরিবার স্রেফ উধাও হয়ে গিয়েছিল ও বাড়ি থেকে। ডন বলছে ও নাকি ঘরের ভিতরে ভূত দেখেছে। কিশোর উড়িয়ে দিল ওর কথা । কিন্তু আসলে কী ঘটছে বাড়িটাতে? মহাকাশের ভয়ঙ্কর ঘটনার শুরু দুর্ঘটনা দিয়ে । মহাকাশে দুটি স্পেসশিপ পরস্পর জুড়ে গেছে। এ সময় উদয় হলো কিশোর আর হিরু চাচা। শিপ দুটোকে আলাদা করার দায়িত্ব নিল তারা। আবিষ্কার করল, যাত্রীদের মধ্যে কেউ ড্রাগ চোরাচালানে জড়িত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, কিশোর আর হিরু চাচাকেই চোরাচালানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হলো। দেয়া হলো দেখামাত্র গুলির নির্দেশ। এদিকে তাণ্ডব শুরু করেছে হিংস্র জন্তু ম্যানড্রেলের দল, খুন করছে মানুষ। কতদিক সামলাবে চাচা-ভাতিজা? রহস্যভেদী কানাডা পৌছেই তিন গোয়েন্দা জানল, ওদের জন্য রয়েছে মহাজটিল দু-দুটি কেস: জাদুঘর থেকে কোথায় গেল শত বছরের পুরনো সোনা ও লেখক জ্যাক লণ্ডনের ব্যাগ?…নামকরা শ্লেডের প্রতিযোগিতায় মাশারদের স্যাবোটাজ করছে কে বা কারা? তদন্তে নামল কিশোর-মুসা-রবিন, জানত না মস্ত বিপদে পড়বে!
জাদুকরের ভেল্কি প্যালেস থিয়েটারে নামকরা জাদুকরের প্রতিযোগিতা , সেখানে ঘটছে নানান ধরনের অঘটন । কে ঘটাচ্ছে সেসব ? কেন ঘটাচ্ছে ? কীভাবে ঘটাচ্ছে ? প্রতিযোগিতা শেষে কে হবে আমেরিকার সেরা জাদুকর ?… ওদিকে আবার নস্টালজিয়া ল্যান্ড অপেরা হাউসে শুরু হলো জ্বলজ্বলে সবুজ ভূতের বিদ্ঘুটে উপদ্রব । তদন্ত করার এমন সুবর্ণ সুযোগ পেলে কি আর ছাড়ে তিন গোয়েন্দা ? মিশর-রহস্য ; মিশরীয় পিরামিডের অভ্যন্তরে বন্দি খুনী লোর্কার মুক্তির ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে । আঁতকে উঠলেন প্রফেসর জোসেফ মিলার । তার ভাইয়ের সঙ্গে ভয়ংকর মমিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন ? রুখে দাড়াল কিশোর আর হিরু চাচা । হিম মৃত্যুর ফাঁদে ভারমেন্টে বন্ধু রনির বাসায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর ডন । রাতের বেলা বরফের উপর গরম কাপড় ছাড়া স্কেটিং করে কে ? কারা হাতছানি দিয়ে ডাকে ওদেরকে ? ডনকে কে টেনে নিয়ে যেতে চায় বনভূমির ভিতরে ? রহস্যর পর রহস্য । অনিবার্যভাবেই তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা ।
আমিই মুসা হ্যালোইন। হররল্যাণ্ডে মুসাকে বাধ্য করা হলো অদ্ভুত এক খেলায় অংশ নিতে। ওকে প্রমান করতে হবে ও-ই যে আসল মুসা! নাইলে বাসায় ফিরতে পারবেনা। খেলতে নেমে মুসা হাড়ে-হাড়ে টের পেল, কাজটা কত কঠিন! হাত বাড়ালেই বন্ধু ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর,মুসা আর রবিন এবার ১৮৭০- এর দশকের প্রেইরিতে। ওখানে এক কামরার এক স্কুল দেখল ওরা, পরিচিত হলো অল্পবয়সী শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। কিন্তু ওরা কি জানত কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? হত্যাপুরী বাড়িটার নাম- “হত্যাপুরী”। বিলসভিলের ওই বাড়িটিতে আঙ্কেল-আণ্টির কাছে বেড়াতে গেছে রবিন। এক বৃদ্ধা মহিলা খুন হন ওখানে। খুনি ধরা পড়েনি। বিনোদন পার্কের টাকা ভর্তি ব্রিফকেসটা গেল কোথায়? কে চুরি করেছে ওটা? রাতের আঁধারে, পরিত্যাক্ত, ভয়ানক বিপজ্জনক পার্কটি ভেতর জমে উঠল রোমাঞ্চ-নাটক।
নিঝুম রাতের আতঙ্ক ডনকে নিয়ে পুরানো বিনোদন পার্কে গেল কিশোর । ওখানে দেখা দিল শ্বেতবসনা রহস্যময় এক কিশোরী। বহু বছর আগেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। কে এই মেয়ে? ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা। খলিফার দরবারে বিশ্বের আর জিনা জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে এবার ১২০০ বছর আগের বাগদাদে। শহরটার তখন স্বর্ণযুগ। ওদের কাছে গচ্ছিত আছে রহস্যময় এক বাক্স। কী আছে ওটার ভিতরে? জিনিসটা খলিফার এত প্রয়োজন কেন? অতল আতঙ্ক দুশো বছর আগে ডুবে গিয়েছিল জলদস্যুদের জাহাজ । ওটার খোঁজে সাবমেরিনে চড়ে সাগরে ডুব দিল কিশোর, ডন আর হিরু চাচা। দুর্ঘটনাক্রমে উদয় হলো জলদস্যুদের কঙ্কাল। পালিয়ে নির্জন এক দ্বীপে গিয়ে আটকা পড়ল ওরা। তারপর?
স্বর্গে বিপদ সাগরে ছোট্ট এক বাচ্চা সিলমাছ পেয়ে, ওটাকে চিড়িয়াখানায় দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক লোকের ষড়যন্ত্রের জটিল জালে জড়িয়ে গেল কিশোর, মুসা ও রবিন। ঠিক করল, ওই খুনে লোককেই তুলে আনবে ওদের শক্ত জালে। পারল কি শেষে? অপারেশন ডেমন ধনকুবের মি. রচেস্টারের মেয়ে টিনা কিশোরের বান্ধবী। ওকে কিডন্যাপ করল একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবি মি. রচেস্টারকে তাঁর হেভি-ওয়াটার প্ল্যাণ্টের উদ্বোধন বন্ধ করতে হবে। রাজি হলেন না তিনি। টিনা-উদ্ধারে তদন্তে নামল পুলিস। হাত গুটিয়ে বসে থাকল না কিশোরও। ফলে, জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। রহস্য যখন জটিল দারুণ ফুর্তির পার্ক মুভি কিংডমে একের পর এক অন্তর্ঘাত হতেই তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল বন্ধু রন। কিন্তু শুরুতেই ওদের পিছু নিল কারা? শোধ নেবে দুর্ধর্ষ দস্যু গ্যাব্বার কাম্বারসন? পার্কের গহীন জঙ্গলে ওটা কি সত্যিই পৌরাণিক দানব ম্যানটিকর, না আর কিছু? কীভাবে ঠেকাবে ওরা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্যাবোটারকে? ক্রমেই জটিল হলো রহস্য! …তারপর?
ডাইনোসরের হাড় জাদুঘরে গেছে তিন গোয়েন্দা। কিশোর আবিষ্কার করল প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর সিলোফিসিসের তিনটে হাড় খোয়া গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানাল ওরা। তারা বিশ্বাস করল না। অগত্যা তদন্তে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। কার্নিভাল মার্লিনের নির্দেশে জাদুর ট্রী-হাউসে চেপে প্রাচীন ভেনিসে গেল কিশোর আর জিনা। এবারের মিশন; লেগুনের গ্র্যান্ড লেডিকে রক্ষা করা। কিন্তু এজন্য দরকার সাগরের শাসকের সাহায্য। ঘটনাচক্রে, কারাগারে বন্দি হলো কিশোর আর জিনা। অন্যকে উদ্ধার করবে কি, আগে নিজেরা বাঁচুক তো! জলদানব রাশেদ পাশার সঙ্গে পাহাড়ী এলাকায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল ওখানকার হ্দে জলদানবী বাস করে। সন্দেহ হলো ওদের। কেউ কি লুসিল লজ-এর অতিথিদের তাড়াতে চাইছে? ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দিতে চাইছে শ্যারনের ব্যবসা? এক পর্যায়ে বেলাভূমিতে ওরা আবিষ্কার করল বিশাল এক সারি পদচিহ্ন। ওগুলো কি জলদানবীর পায়ের ছাপ? নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল তিন গোয়েন্দা।
ক্যামেলটের জাদুকর নতুন লাইব্রেরি সহকারী মিস্টার মার্লি আসলে কে? রাজা আর্থারের সেই বিখ্যাত জাদুকর মার্লিনের সঙ্গে তাঁর চেহারার এত মিল কেন? বিশাল মাছের ট্যাঙ্কের ওটা কি সত্যিই গোল্ডফিশ, নাকি…? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে চাইল তিন গোয়েন্দা। কয়েন-রহস্য শেলী আন্টির সঙ্গে টিম্বারউলফ লেকে ক্যানু ট্রিপে বেরিয়েছে তিন গোয়েন্দা। জঙ্গলে প্রকাণ্ড এক পাথরের গায়ে লেখা রহস্যময় এক ধাঁধা আবিষ্কার করল ওরা। ধাঁধাটার সঙ্গে কি বছর খানেক আগে চুরি যাওয়া দুষ্প্রাপ্য কয়েনগুলোর কোন যোগসূত্র আছে? সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তদন্ত শুরু করল তিন গোয়েন্দা। মৃত্যুকূপ গণ্ডগোল বেধেছে হিরু চাচার সোনার খনিতে। সরেজমিনে তদন্ত করতে কিশোরকে নিয়ে প্লেনে করে রওনা দিল সে। শুরু হলো পদে-পদে বিপদ। স্বর্ণখনির ভিতরে দস্যুদলের মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। ডাকাতদের টেক্কা দিয়ে, রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে, জলদস্যুর বহুমূল্য মুকুটটা কি উদ্ধার করতে পারল ওরা?
রেডিয়ো স্টেশন কে বা কারা চুরি করল চাচার ভ্যান থেকে গানের ওই দুর্লভ ক্যাসেট? হাজারো মানুষের ভিড়ে কী করে চোরকে ধরবে তিন বন্ধু! তবুও অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে শেষে কিডন্যাপ হলো ওরা! তা হলে কি পার পেয়ে গেল নাটের সেই গুরু? কিশোর দ্য গ্রেট সুন্দরী এক তরুণীকে গুণ্ডাদের কবল থেকে বাঁচাল কিশোর। জানতে পারল দাদুর লেখা দুষ্প্রাপ্য এক জার্নাল আছে মেয়েটির কাছে। তাতে আছে গুপ্তধনের সঙ্কেত। কিন্তু অসহায়, গরীব মেয়েটির পক্ষে একা গুপ্তধন উদ্ধার অসম্ভব। ফলে, ওর পাশে দাঁড়াল কিশোর পাশা, নিল। মৃত্যুর ঝুঁকি। হাঙুরে পিশাচ! অসহায় এক বয়স্কা মহিলাকে গেঁথে ফেলতে চাইল ধারাল হার্পুনওয়ালা হাঙুরে পিশাচ! অতীতে পাপ ছিল মহিলার পরিবারে? এখন প্রমাণ চাই বাস্তবে নেই পিশাচ! ওই প্রমাণ খুঁজতে গিয়েই শয়তান সাধকের কবলে পড়ল তিন গোয়েন্দা!
সূত্রের সন্ধানে কারাতে ক্লাসে ভর্তি হয়েছে তিন গোয়েন্দা। বিল লারা নামে একটি ছেলে বিখ্যাত সিনেমাস্টার ব্রুস ল্যাঙের উপহার দেয়া একটি ব্ল্যাক বেল্ট নিয়ে এল । কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই জানা গেল বেল্টটি চুরি গেছে। কথা ছিল বিল ব্রুস ল্যাংকে কারাতে ক্লাসে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন বলছে চোরদের মাঝে সে অ্যাকশন হিরোকে আনবে না। সবাই হতাশ। অগত্যা তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। অমঙ্গলের পূর্বাভাস বিডনের রক্ষক মুমূর্ষু, তিনি আশঙ্কা করছেন ভয়ঙ্কর অশুভ কোন শক্তি বিডন গ্রহটিকে গ্রাস করতে চাইছে। হিরু চাচার সাহায্য চাইলেন রক্ষক। বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে ভয়ানক এক বিভীষিকার মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া গতি রইল না হিরু চাচা আর কিশোরের। ভুতুড়ে পুতুল মেরি চাচীর বোনের ছেলে কিন কিছুদিন থাকবে বলে খালার বাসায় এসেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক পুতুল। ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা করে কিশোরকে তটস্থ করে রেখেছে ওটা। কিশোরের ধারণা পুতুলটা জ্যান্ত । আসলেই কি তাই?
দেবদূত গ্রীনহিলসের নতুন কারাতে শিক্ষিকা কি তিন গোয়েন্দাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করছে? সে কি ওদের ইচ্ছেগুলো পূরণ করছে? দেবদূত নয় তো মহিলা? প্রশ্নগুলোর জবাব জানতে চায় কিশোর, মুসা, রবিন। হারানো গাঁয়ের রহস্য নাভাজো ইণ্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনে বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর জিনা। জানতে পারল, ওদের প্রাচীন এক গাঁ হারিয়ে গেছে মাটির তলায়। ওটা খুঁজতে শুরু করল ওরা। এক পর্যায়ে উদয় হলো সন্দেহজনক কিছু চরিত্র। ফলে, রহস্যে জড়িয়ে পড়ল ছেলে-মেয়েরা। জিন্দালাশের আস্তানা গাড়ি নষ্ট হওয়ায় এক সামার ক্যাম্পে আটকা পড়েছে তিন গোয়েন্দা। জায়গাটা জিন্দালাশের আস্তানা। নরমাংস খায় তারা। তিন বন্ধুর মধ্যে কাকে ধরল জিন্দালাশেরা?
হারানো সুর: শহরে অর্কেস্ট্রা এসেছে। তারা সঙ্গে করে এনেছে মহান সঙ্গীতজ্ঞ মোযার্টের নিজ হাতে লেখা এক দুষ্প্রাপ্য স্বরগ্রাম। চুরি গেল ওটা। স্বরগ্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল তিন গোয়েন্দা। জড়াল রহস্যজালে। দুঃস্বপ্নভূমি: ভয়ঙ্কর এক পার্ক–ঠিক যেন দুঃস্বপ্নভূমি। অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে আটকে পড়েছে ওখানে। ওদেরকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও বন্দি হলো কিশোর, মুসা আর রবিন। এদিকে, একের পর এক উদয় হচ্ছে অশুভ সব চরিত্র। পালাবার পথ বন্ধ। দেখা যাক, তিন গোয়েন্দা এবার কী করে। হীরক-রহস্য: রাতের বেলায় মনুমেণ্টের ভেতরে রহস্যময় আলো। খুদে এক বানর। বহু বছর আগে চুরি যাওয়া হীরে। ভাঙা প্লাস্টার। এগুলোর মধ্যে যোগসূত্র কী? সূত্রগুলো জুড়তে পারলেই রহস্যভেদ হবে। কিশোরের আর কী চাই?