নুহ আলাইহিস সালাম তাদের সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বললেন-‘দেখ, আল্লাহ কাকে নবি করে পাঠাবেন-এটা তাঁর ইচ্ছা। কেউ চাইলে নিজে নিজে নবি হতে পারে না। কিছু সাধারণ মানুষ আমার কথা শোনে। আল্লাহর কথা মানে। তাঁরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। অথচ তোমরা তাঁদের গরিব বলে বিদ্রুপ করো। জেনে রেখ, আল্লাহর কাছে ধন-সম্পদের কোনো দাম নেই। তোমরা যদি আল্লাহর কথা না শোনো, তবে তোমাদের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহর আজাব এসে পড়লে কেউ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না।’ নুহ আলাহিস সালাম আরও বললেন-‘আর তোমরা যে বলছো বাপ-দাদাদের কথা... বাপ-দাদাদের আমল থেকে কোনো কিছু চালু থাকলেই কি তা ঠিক হয়ে যায়? বাপ-দাদারা ভুল করলে তোমরাও কি ভুল করবে? দিনের পর জেনে-বুঝে একই ভুল করে যাবে? এটা কি কোনো যুক্তির কথা হলো?’ নুহ আলাইহিস সালামের কথা শুনে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা আর কথা খুঁজে পেল না। আর পাবেই-বা কী করে, তাদের সব যুক্তিই যে ভুল!
পৃথিবীতে বেঁচে থাকলে আল্লাহর পক্ষ থকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা আসে। আসে বিপদ-আপদ। যত কঠিন বিপদই আসুক না কেন, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে। অনেকে আছে, বিপদ-আপদ এলে অস্থির হয়ে যায়। ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। অনেকে বলা শুরু করে-‘হে আল্লাহ! কেন আমাদের এই বিপদ এলো? কেন আমাদের ওপরই এমন মুসিবত এলো?’ কেউ কেউ বলতে থাকে-‘আল্লাহ কি বিপদ দেওয়ার মতো আর কাউকে খুঁজে পেল না? আমি কী এমন পাপ করেছি যে আমার ওপরই বিপদ এলো?’ আইয়ুব আলাইহিস সালাম আল্লাহর নবি ছিলেন। তিনি কোনো গুনাহ করেননি, পাপ করেননি। কিন্তু তবুও আল্লাহ তাঁকে বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষায় তিনি পাশ করেছেন। তাই তো আল্লাহ তাঁর মর্যাদা অনেক অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য বিপদ-আপদ এলে আমরা বেশি বেশি আল্লাহকে ডাকব। তাঁর কাছে ক্ষমা চাইব। দুআ করব, যেন তিনি আমাদের বিপদ-আপদ দূর করে দেন। আমাদের রোগ ভালো করে দেন।