পৃথিবীর ১৩ জন বিখ্যাত মানুষ। তাঁরা কেউবা ছিলেন খ্রিস্টান কেউ ইহুদী আর কেউবা হিন্দু। তাঁরা ফিরে এসেছেন চিরশান্তির পথ ইসলামে। তাঁদের এই জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। তাঁদের ইসলামে ফিরে আসার এই জার্নি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প’ বইটি। আফগান যুদ্ধ কাভার করতে এসে তালেবানদের হাতে ধরা পড়লেন এক নারী সাংবাদিক। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় এসে আটকে গেলেন এক ব্রিটিশ তরুণী। তারপর কী হলো তাদের? একজন খ্রিস্টান পাদ্রী, একজন ধার্মিক বৌদ্ধ, অনুশাসন মানা একজন হিন্দু যুবক আর মামার আমন্ত্রনে ফিলিস্তিনে ঘুরতে আসা পোলান্ডের এক ইহুদী তরুণ। চার ধর্মের চারজন। কেমন করে পাল্টে গেলেন সবাই? বাবরি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙেছেন বলবির সিং। এক সময়ে যা নিয়ে অনেক গর্ববোধ করতেন। কিন্তু তার মনে কীসের এত ব্যথা আজ? বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হাত আজ কেন মসজিদ গড়ার কাজে ব্যস্ত? লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা তিন যুবক। টাকা-পয়সা, অর্থ-বিত্ত, খ্যাতির কোন অভাব নেই। তবুও শান্তি নেই মনে। শান্তির আশায় কত কী করে গেলেন! পেয়েছিলেন কী? আধুনিক আমেরিকার দুজন মানুষ। একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক। অন্যজন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর। দুজনের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন এল। কিন্তু কী করে? MTV চ্যানেলের বিশ্ববিখ্যাত এক উপস্থাপিক। পুরো ইউরোপের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একদিন দেখা হলো, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খানের সাথে। তারপর?
সদ্য পৃথিবীতে আগত শিশুমন প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়। শিশুর কমল মন যেন নতুন কিছুকে গ্রহণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। মনের আকুলতা থেকে তারা ছুড়তে থাকে একটার পর একটা প্রশ্ন। জানতে চায় বিভিন্ন সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প। তাদের এই কৌতূহল মেটানোর জন্য তৈরি হয়েছে অদ্ভুত সব কল্পকাহিনি; যেগুলোতে না আছে কোনো উপদেশবাণী, আর না আছে তার সত্যতা। ফলে কুঁড়ি থেকেই শিশুমন মিথ্যা গ্রহণ করতে শেখে। মিথ্যার সাথেই গড়ে উঠে তাদের সখ্যতা। তাই শিশুর কোমল মনে সত্যকে ঢেলে দেওয়ার জন্য শিশুদের পাঠোপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে কুরআনে বর্ণিত নবিদের গল্প নিয়ে দশ খণ্ডের সিরিজ- ‘নবিকাহিনি’; যা শিশুর হৃদয়ে নবুয়তি জিন্দেগির নুর জ্বালিয়ে দেবে।
মুসা আলাইহিস সালাম (পেপারব্যাক) - নবিদের গল্প-১: মুসা আলাইহিস সালাম। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক মনোনীত নবি। উপাধি কলিমুল্লাহ। কুরআনুল কারিমে মুসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে খুব গোছানো কথা আছে।বাংলাভাষী শিশু-কিশোরদের জন্য আমরা সেই কথামালাকে সাজিয়ে বই আকারে তুলে ধরছি। আগামীদিনের ভবিষ্যৎ শিশুদের কাছে নবিদের ব্যাপারে কিছু তথ্য তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা দেখতে পাবেন এই সিরিজে। গল্পে গল্পে নবিজিদের সম্পর্কে জানবে আমাদের শিশুরা ইনশাআল্লাহ্।
মহান আল্লাহ একদিন ফেরেশতাদের ডেকে বললেন-‘আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে চাই।’ অর্থাৎ এমন প্রাণী, যারা আমার বিধিবিধান মেনে চলবে। ফেরেশতারা আল্লাহর উদ্দেশ্য বুঝতে পারেননি। তাঁরা ভাবলেন, আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য তো তাঁরাই আছেন। আবার আলাদা করে মানুষ বানানোর কী দরকার? তাই তাঁরা জানতে চাইলেন-‘আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে পাঠতে চাইছেন-যারা রক্তারক্তি করবে, কাটাকাটি করবে, হানাহানি করবে? অথচ আপনার ইবাদত করার জন্য তো আমরাই আছি।’ আল্লাহ বললেন-‘আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।’ অর্থাৎ আমার পরিকল্পনা সম্পর্কে তোমাদের কোনো ধারণাই নেই। আর ধারণা থাকবেই-বা কী করে! আল্লাহ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই জানেন। এ ক্ষমতা যে আর কারও নেই!
এক পশলা বৃষ্টির পর পুব আকাশে হেসে উঠা ‘রংধনু’আমাদের মন ভরে দেয়। ভিন্ন ভিন্ন সাতটি রংয়ের মিশেলে রংধনু হয়ে উঠে অপরুপ, রঙিন। আমাদের এই জীবনটাও ঠিক রংধনুর মত। হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-মিলন, চিন্তা, বোধ, দর্শন...জীবনের এত এত রুপ প্রতিনিয়ত আমাদের দোলা দেয়। শিহরণ জাগায়। জীবনের রকমফের’কালির ক্যনভাসে আঁকা জীবনের ছবি। ফিচার, রম্য, গল্পের মিশেলে এতে আছে জীবনের ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির স্বাদ। প্রিয় পাঠক, প্রেম-ভালোবাসা, হাসি-কান্না, চিন্তা-বোধের এই জগতে আপনাকে স্বাগতম। তবে আর দেরি কেন? চলুন, ডুব দেওয়া যাক...
একদিন সবাই মিলে মিশরে রওয়ানা দিলেন। হাজির হলেন ইউসুফ আলাইহিস সালামের রাজদরবারে। ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাঁর বাবাকে দেখতে পেয়ে আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন। অনেক অনেক বছর পরে পিতা-পুত্রের মিলন হলো। ইউসুফ আলাইহিস সালাম এখন মিশরের বাদশাহ। সারা দেশে তাঁর কত সম্মান, কত প্রতিপত্তি! ইউসুফ আলাইহিস সালামকে সম্মান জানাতে তাঁর বাবা-মা, এগারো ভাই তাঁকে একসাথে সিজদা করলেন। সে সময় কাউকে সম্মান জানাতে সিজদা করার নিয়ম ছিল। কিন্তু এখন আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সিজদা দেওয়া নিষিদ্ধ। তোমাদের নিশ্চয় ইউসুফ আলাইহিস সালামের স্বপ্নের কথা মনে আছে। ওই যে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন-১১টি তারা, চাঁদ আর সূর্য তাঁকে সিজদা করছে। ১১টি তারা হলো তাঁর ১১ ভাই। চাঁদ আর সূর্য হলো তাঁর মা-বাবা।