কুয়াশা,শহীদ ও কামাল। দেশে- বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন রহস্য, রোমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছোটরাই নয়, ছোট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন। আজই সংগ্রহ করুন।
কাজী আনোয়ার হোসেন সহযোগী: ইসমাইল আরমান সাগর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক জাহাজ। কীভাবে, কেউ জানে না। বাংলাদেশি একটা জাহাজও যখন একইভাবে উধাও হয়ে গেল, রানাকে পাঠানো হলো খোঁজ নিতে। একটু একটু করে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে গেল ও। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন আফ্রিকার এক দরিদ্র দেশের স্বৈরশাসক, হতে চাইছেন দুনিয়ার অধীশ্বর। ভয়ের কথা হলো, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবার মত বিধ্বংসী এক হাতিয়ার রয়েছে তাঁর হাতে। এর সঙ্গে যুক্ত হলো সাগরতলের এক অদ্ভুত বিস্ময়, আর সত্তর বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক বিমানের রহস্য। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত দৃশ্যপটে উদয় হলো রানার পুরনো এক শত্রু, প্রতিশোধ নেবার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। রানার এখন শনির দশা। একাকী কতদিক সামলাবে ও? পারবে তো?
বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত দুঃসাহসী স্পাই গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে। বিচিত্র তার জীবন। অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি। কোমলে-কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর-সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না। কোথাও অন্যায় অবিচার অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। পদে পদে তার বিপদ শিহরণ ভয় আর মৃত্যুর হাতছানি। আসুন, এই দুর্ধর্ষ চির-নবীন যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। সীমিত গণ্ডিবদ্ধ জীবনের একঘেয়েমি থেকে একটানে তুলে নিয়ে যাবে ও আমাদের স্বপ্নের এক আশ্চর্য মায়াবী জগতে। আপনি আমন্ত্রিত। ধন্যবাদ।
সত্যিই সবুজ-শ্যামল-মায়াময় এই বাংলাদেশ হয়ে যাবে ধূ-ধূ মরুভূমি? কিছুতেই না! ইয়েমেনের মৃত্যু-কূপ থেকে মুক্ত হয়ে দুনিয়ার দুই দিকে ছুটল রানা ও সোহেল। শত্রু বিমান দখল করার পরও আকাশের বহু ওপর থেকে জ্বলন্ত বিমান ছেড়ে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হলো রানা। তারপর বন্দি হলো রূপকথার মত অদ্ভুত এক সভ্যতা বিবর্জিত দেশে। ওদিকে শত্রু-ট্রাকে চেপে পৌছুল সোহেল মিশরে । খুনি জায়েদের ন্যানোবটগুলো নাসের হরদের প্রকাণ্ড আসওয়ান ড্যাম উড়িয়ে দেয়ার আগেই তা ঠেকাতে হবে! একা পারবে সোহেল? অবশেষে নৃশংস একদল খুনির মোকাবিলা করতে ভাসমান দ্বীপে গিয়ে উঠল রানা। সেখানে ওকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে চায় সর্বভুক নরকের কীট!
কাজী আনোয়ার হোসেন সহযোগীঃ কাজী মায়মুর হোসেন অসুস্থ রানা ভাবতেও পারেনি, আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাবে এই জটিল ষড়যন্ত্রের জালে। যে হারিয়ে গেছে দশ হাজার বছর আগে, নতুন করে আবারও কি ফিরল সেই দানব? নির্মমভাবে খুন করছে সৈনিক, বিজ্ঞানী ও তাদের সহকারীদের। ইউ.এস. আর্মির অনুরোধে ভয়ঙ্কর বেপরোয়া ওই নৃশংস জানোয়ারের পিছু নিল রানা, সঙ্গে দক্ষ ক’জন সশস্ত্র যোদ্ধা। কিন্তু হাড়ে হাড়ে বুঝল ওরা, বৃথা ওসব আধুনিক অস্ত্র! অনায়াসেই আলাস্কার তুষারাচ্ছন্ন অরণ্য-পর্বতে ওদেরকে হত্যা করছে। ওটা! ধাওয়া খেয়ে পালাতে লাগল ওরা। তারপর আঁধার গিরিখাদে আহত রানার মুখোমুখি হলো ওই নিষ্ঠুর পশু অন্তরের গভীরে রানা বুঝে নিল, আর কোনও উপায় নেই!
পালানোর উপায় কোথায় রানা-ববির? গোবি মরুভূমি। চারদিকে ধু-ধু প্রান্তর, পাহাড়-টিলা, গিরি-সংকট, বালির উঁচু স্তূপ বা গভীর খাদ। খেয়ালী প্রকৃতিকে নিয়ে খেলছে কেউ। বড় বাড় বেড়েছে ওই জালাইর তেমুজিন। আগুন নিয়ে খেলছে ও! স্তব্ধ হয়ে এল মধ্যপ্রাচ্যের ক্রুড অয়েল রপ্তানি! হোঁচট খেল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি! পাগল হয়ে উঠলেন তাবৎ রাজনীতিবিদ! মহাচিনকে পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসাতে চায় তেমুজিন। তার সামনে কোন সাহসে মাথা সোজা রাখছে রানা? সোহেল ও ববিকে নিয়ে আবার ঢুকল ও চেঙ্গিস খানের কম্পাউন্ডে। এমনি সময়ে খেপে উঠল প্রকৃতি। পড়ছে একের পর এক লাশ! শেষে সমাধির ভিতর জালাইর তেমুজিন মুখোমুখি হলো রানা।