দেবদূত গ্রীনহিলসের নতুন কারাতে শিক্ষিকা কি তিন গোয়েন্দাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করছে? সে কি ওদের ইচ্ছেগুলো পূরণ করছে? দেবদূত নয় তো মহিলা? প্রশ্নগুলোর জবাব জানতে চায় কিশোর, মুসা, রবিন। হারানো গাঁয়ের রহস্য নাভাজো ইণ্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনে বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর জিনা। জানতে পারল, ওদের প্রাচীন এক গাঁ হারিয়ে গেছে মাটির তলায়। ওটা খুঁজতে শুরু করল ওরা। এক পর্যায়ে উদয় হলো সন্দেহজনক কিছু চরিত্র। ফলে, রহস্যে জড়িয়ে পড়ল ছেলে-মেয়েরা। জিন্দালাশের আস্তানা গাড়ি নষ্ট হওয়ায় এক সামার ক্যাম্পে আটকা পড়েছে তিন গোয়েন্দা। জায়গাটা জিন্দালাশের আস্তানা। নরমাংস খায় তারা। তিন বন্ধুর মধ্যে কাকে ধরল জিন্দালাশেরা?
মেলিখানের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল না রানা-সোহানা।বরং কোডবুকটা নিয়ে চলে এল নিরাপদে। এবার রহস্যভেদের পালা। কিন্তু একটা বোতল সিদোরভের কাছে। কোডটাও। রানা-সোহানা সিদ্ধান্ত নিল, হানা দেবে সিংহের গুহায়। কৃষ্ণসাগরের তীরে সুরক্ষিত তার ম্যানসন- ঝুঁকিটা বোধহয় বেশিই হয়ে গেল। ট্রেজারম্যাপটা কোথেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ওদেরকে? শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি রানার নিয়ন্ত্রণে থাকল না। পাচার হয়ে গেল গোপন খবর কে জানত, রানাকে একহাত দেখে নিতে অবশেষে স্বয়ং হাজির হয়ে যাবে মাফিয়াসদার?
একগুচ্ছ গল্পের সংকলন তিনটি বই একত্রে কাজী আনােয়ার হােসেন ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে তিন বছরে একের পর এক চোদ্দটি গল্প রচনা করেছিলেন লেখক পত্র-পত্রিকা ও বন্ধু-বান্ধবের অনুপ্রেরণা ও অপ্রতিরােধ্য তাগিদে। তিন ভাগে তিনটি সংকলনে প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলাে সেবা প্রকাশনী থেকে।। প্রতিটি গল্প ইংরেজি কাহিনির ছায়া অবলম্বনে রচিত। তিনটি উপন্যাসিকা তিক্তচন্দ্রমা, রূপান্তর ও মাকড়সা-এই তিনটি উপন্যাসিকা নিয়ে প্রথম বই। ছায়া অরণ্য দ্বিতীয়টিতে রয়েছে ছয়টি কাহিনি-উপন্যাসিকা: ছায়া অরণ্য, বড়গল্প: ইচ্ছা এবং গল্প: ভয়াল দ্বীপ, যন্ত্রণা, ঠিক দুক্ষুর বেলা ও এপ্রিল ফুল। পঞ্চ রােমাঞ্চ শেষ বইটিতে রয়েছে পাঁচটি কাহিনি—উপন্যাসিকা: ওস্তাদ এবং চারটি বড়গল্প: অন্য কোনােখানে, পরকীয়া, ক্যান্সার ও ঝামেলা। পড়ন। উপভােগ করুন।
কে ওই অপরূপা? চোখ সরাতে পারল না রানা। জানল, মেয়েটা ওর মৃত সহযোগী মাইকের বোন। অনুরোধ করল জুডি, খুঁজে দিতে হবে ওর বড় বোনকে। বিসিআই চিফও বললেন, মেয়েটাকে সাহায্য করা তোমার দায়িত্বের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু দুর্গম, নিষ্ঠুর পশ্চিমের লিটল ফোর্কে পা দিয়েই জড়িয়ে গেল রানা মস্ত ঝামেলায়। কেবলই বাড়ল লাশের ভিড়। শত্রু ভয়ঙ্কর। জোর করে তুলে নিয়ে গেল অসহায় জুডিকে। ওকে উদ্ধার করতে সুদূর এক র্যাঞ্চে হাজির হলো রানা। জানে, ওর জন্যে অপেক্ষা করছে একদল রক্তলোলুপ খুনি! সত্যি বলতে, সব বুঝেও মৃত্যুর মুখে ঝাঁপ দিল রানা। কে জানে বাঁচে কি না!
ক্লাইম্বার মাঝ-আকাশে ঘটে গেল রুদ্ধশ্বাস ডাকাতি। কিন্তু তারপরেই দুর্বৃত্তদের বিমান আছড়ে পড়ল রকি পর্বতমালার উপর, একশো মিলিয়ন ডলার ভর্তি তিনটে বাক্স হারিয়ে গেল উঁচু-নিচু পর্বতশৃঙ্গের মাঝে। বেতারে পাঠানো হলো সাহায্যের আবেদন। আবেদনে সাড়া দিল দু’জন উদ্ধারকারী। ওরা এলেই আটক করা হলো তাদের। বাধ্য করা হলো ডলার-ভর্তি বাক্স খুঁজে বের করতে। কাজ শেষ হওয়ামাত্র খুন করা হবে ওদের। কিন্তু উদ্ধারকারীদের একজনের নাম মাসুদ রানা, সেটা ওদের জানা ছিল না। মরুস্বর্গ কোথায় ওই ক্যাসিনো? সব দেশের সিক্রেট সার্ভিস খুঁজছে ওটাকে। কেন? গোটা দুনিয়ার লেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এক ভয়ানক দুবৃর্ত। ওই ক্যাসিনো থেকেই নাকি আসছে সেই ড্রাগ। একবিংশ শতাব্দীর অভিশাপ। পাগল হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্বের তরুণ-যুবা। এমন নেশা যে, একবার নিলে কী মরলে! আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে ওরা ড্রাগ না পেলে। শুধু ঢাকা শহরেই গত ছয় মাসে দেড় হাজার অ্যাডিক্ট খুন করেছে সতেরো হাজার নিরীহ মানুষকে। প্রথম সুযোগেই ঢুকে পড়ল রানা ওই ক্যাসিনোয়। জানে না, ও শিকার না শিকারী ।
পুরনো মালের দোকান থেকে প্রাচীন এক ড্রাগনের মূর্তি কেনাটাই যেন কাল হলো আপটন ওয়েলসফোর্ডের জন্য। অশরীরী এক ডাক ভেসে আসছে ওটার মাঝ থেকে- ওকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে সুদূর ট্রানসিলভ্যানিয়ায়… বোর্গো গিরিপথের পাশে এক দুর্গম দুর্গ হাজার চেষ্টা করেও এড়ানো গেল না সে-আহ্বান, রূপসী এক তরুণীকে বাঁচাবার জন্য ওকে বেরোতেই হলো রূদ্ধশ্বাস অভিযানে। কিন্তু কী দেখবে আপটন ওখানে গিয়ে? ড্রাকুলার প্রতিহিংসা থেকে কীভাবেই বা বাঁচাবে মেয়েটিকে? পিটার ট্রিমেনের কলম থেকে আরেকটি ড্রাকুলা-কাহিনী ভয়াল আতঙ্কের এক নতুন অধ্যায়।