ফিলিস্তিনের বুকে ইজরাইল (হার্ডকভার) - উদার ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট বিশ্বাসঘাতকতা ও দখলদারিত্বের পুর্বাপর ইতিহাস ধরণির বুকে ইহুদি জাতির শুরুটা হয়েছিল মহিমান্বিত মানুষের হাত ধরেই। ইউসুফ (আ.)-কে হত্যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সাদা দেয়ালে প্রথম কালো দাগ লাগে। হিংসা ও ষড়যন্ত্রের শুরু সেখান থেকেই। উত্থান-পতনের নানান ইতিহাস পেরিয়ে ভাগ্য তাদের নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের উর্বর ও সিগ্ধ প্রান্তরে। অবাধ্যতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তারা কি নীরবে বসে থাকতে পারে? চলতে থাকে একের পর এক ঘৃণ্য কার্যক্রম। কর্মফল তাদের বিতাড়িত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভ‚মি থেকে; তবুও থেমে থাকে না ষড়যন্ত্রের চাকা। সভ্যতার চিরায়ত নিয়মে ফিলিস্তিনের মুতায়াল্লিয়াত চলে আসে বিশ্বাসীদের হাতে। প্রবাহিত হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বারিধারা। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে সেখানে আবারও শুরু হয় নির্মম পৈশাচিকতা। আশ্রয়ীরা বনে যায় দখলদার হিংস্র দানবে, ভ‚লুণ্ঠিত হতে থাকে মানবতা। এর প্রতিক্রিয়ায় রচিত হতে থাকে হাজারো ত্যাগ ও সাহসের গল্প, লক্ষ প্রাণে যা এঁকে দেয় মুক্তির রক্তিম স্বপ্ন।
বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের নাম দিয়ে আমাদের পরিবারগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন করেছে জাহেলিয়াত। অথচ ইসলামি জীবনব্যস্থার মূল ভিত্তি পরিবার। যেখানে সুদৃঢ় পারিবারিক কাঠামো অনুপস্থিত, সেখানে সুস্থ জীবন গঠন এবং নৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অলীক কল্পনা-বিলাস! ইসলাম সর্বাত্মকভাবে একটা সুখী ও প্রশান্তচিত্ত ‘পরিবার’ নির্মাণে তৎপর। এই গ্রন্থে ইসলামের সেই আকাঙ্ক্ষা ও করণীয় বিবৃত হয়েছে। চলুন, দেখে নিই...
সমাজবিজ্ঞানের মোড়কে ‘বস্তুবাদ’ গিলতে গিলতে, জীববিজ্ঞানের মোড়কে ‘বিবর্তনবাদ’ লজেন্স চুষতে চুষতে হতাশার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি, ‘মার্ক্সবাদ’ কিংবা ‘লেলিনবাদ’-ই তাহলে একমাত্র আশা। এই সুযোগে ডেভিড হিউম এসে কানে কানে বলে যায়- ‘আরে ধুর, স্রষ্টা কী, আর ধর্মই-বা কী, বাদ দাও তো বাপু! এসবের ভিত্তি আছে নাকি? এসো তোমাকে আলোর পথ দেখাচ্ছি।’ ব্যস, আমরাও চোখ বন্ধ করে আরাধ্য পথ হাতড়ে বেড়াই। এই হলো জাহেলিয়াতের রূপ। রূপ দেখলেও তার স্বরূপ দেখেছেন কখনো? সময় করে একটু ঘুরে আসুন মুহাম্মদ আসাদের ‘ইসলাম অ্যাট দ্য ক্রস রোডস’ স্যামুয়েলস পি হান্টিংটনের ‘দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন’ কিংবা প্যাট্টিক গ্লাইনের ‘গড : দ্য এভিডিয়েন্স’-এ। এসবে আপনি দেখবেন ঈশ্বরের নামে বানানো মানুষের তৈরি মূর্তি আর ধর্মগ্রন্থের নামে বানানো নানান মিথোলজির সঙ্গে বিজ্ঞানের তুমুল ঝগড়াতে নাস্তিক্যবাদের জন্ম হয়েছে। সে ঝগড়ায় ইসলাম ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু হাল জামানার নাস্তিকতা মানেই ইসলামের বিরোধিতা। কারণ, নাস্তিক্যবাদের মূলে কুঠারাঘাত করেছে ইসলাম। তারা আপনাকে জোর করে বোঝাতে চায়, মানুষের বানানো মূর্তির মতো আল্লাহ তায়ালাও একজন ভিত্তিহীন কল্পিত স্রষ্টা। মিথ-পুরাণের মতো কুরআনও মানুষের লেখা মিথ; যেখানে আছে অনেক ভুল। সাড়ে চোদ্দোশত বছর আগে আরব দেশের মুহাম্মাদ নামের একজন ব্যক্তির মনগড়া মতবাদ ‘ইসলাম’ আজকের দুনিয়ায় বড্ড সেকেলে, অচল জীবনদর্শন। না, কক্ষনো না। চলুন একবার ঘুরে আসি স্রষ্টা, কুরআন, ইসলাম আর নাস্তিক্যবাদের সংঘাত জগতে...
সদ্য পৃথিবীতে আগত শিশুমন প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়। শিশুর কমল মন যেন নতুন কিছুকে গ্রহণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। মনের আকুলতা থেকে তারা ছুড়তে থাকে একটার পর একটা প্রশ্ন। জানতে চায় বিভিন্ন সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প। তাদের এই কৌতূহল মেটানোর জন্য তৈরি হয়েছে অদ্ভুত সব কল্পকাহিনি; যেগুলোতে না আছে কোনো উপদেশবাণী, আর না আছে তার সত্যতা। ফলে কুঁড়ি থেকেই শিশুমন মিথ্যা গ্রহণ করতে শেখে। মিথ্যার সাথেই গড়ে উঠে তাদের সখ্যতা। তাই শিশুর কোমল মনে সত্যকে ঢেলে দেওয়ার জন্য শিশুদের পাঠোপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে কুরআনে বর্ণিত নবিদের গল্প নিয়ে দশ খণ্ডের সিরিজ- ‘নবিকাহিনি’; যা শিশুর হৃদয়ে নবুয়তি জিন্দেগির নুর জ্বালিয়ে দেবে।
কবিতা হৃদয়-তরঙ্গের বাহ্যিক প্রতিফলন। কবিতার রয়েছে অসাধারন এক শক্তি, যা দিয়ে সে কবিতাপ্রেমীদের মুগ্ধতার সাগরে সাঁতার কাটিয়ে নেয়। সাধারণ কথায় যা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে না, ছন্দবদ্ধ কথায় তা মানুষের হৃদয়কে জয় করে ফেলতে পাারে। এমনই কিছু হৃদয়স্পর্শী কাব্যকে মলাটবদ্ধ করা হয়েছে ‘সবুজ চাঁদের নীল জোছনা’-তে। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহে আলোড়িত হয়েছে বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। অঙ্কিত হয়েছে পবিত্র ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। ধ্বনিত হয়েছে মহা সত্যের জয়গান; যা পাঠকের মাসনপটে পরিতৃপ্তির আল্পনা এঁকে দেবে ইনশাল্লাহ।