একজন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। পৃথিবীর সব মানুষই কমবেশি স্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ ঘোড়া হাঁকিয়ে ছুটে যাওয়া, অথৈ সাগরে ডুবতে ডুবতে হারিয়ে যাওয়া, কুঁড়ে ঘরে শুয়ে রাজ-প্রাসাদে ঘুরে বেড়ানো, দূর নীলিমায় পাখির ন্যায় আকাশ ছোঁয়া-এমন হাজারো স্বপ্ন আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমি একদিন স্বপ্ন দেখলাম, আগ্রার তাজমহল ঘুরে ঘুরে দেখছি। আরেক দিন দেখলাম বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছি। এরই মাঝে হঠাৎ যেন কারও স্পর্শে ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে দেখি, শিয়রে মা দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটা আমার প্রায়শই হয়। এসব স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন। কিন্তু আমি তোমাদের যে স্বপ্নের কথা বলছি, তা জেগে দেখার স্বপ্ন এবং স্বপ্ন জেগেই দেখতে হয়। এপিজে আব্দুল কালাম এর ভাষায়- ‘ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন আসলে স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন সেটা, যা মানুষকে ঘুমোতে দেয় না। কে কে বড়াে হতে চাও......১১ বড়াে হতে চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি......১৪ বিজয়ী হওয়ার কৌশল......২২ আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন......২৯ যেভাবে পড়লে মনে থাকবে......৪১ উদ্যমী হতে চেষ্টা করাে......৫১ কেমন করে কথা বলবে......৫৮ সাহস রাখাে, সাফল্য তােমার আসবেই......৬৩ চেষ্টা ও পরিশ্রমই উন্নতির চাবিকাঠি......৭০ সবাই স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করাে......৮০ কীভাবে বুদ্ধিদীপ্ত হবে......৮৩ তরুণ-তরুণীদের জন্য তিনটি উপদেশ......৯২ বড়াে হতে চাই জ্ঞানের শক্তি......১০১ বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করাে......১১২
কখনো মসিহ কখনো মারইয়াম, কখনো মাহদি কখনো কৃষ্ণ, কখনো কবি কখনো নবি, কখনো মানুষ কখনো পুরুষ, সব মিলিয়ে বড়ো আজিব এক চিজ, মির্জা গোলাম কাদিয়ানি 'বেত্তমিজ'। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া মিথ্যাবাদী, নবুওয়তের মিথ্যা দাবিদার মির্জা গোলাম কাদিয়ানিকে ‘বেত্তমিজ’ এর চেয়ে ভালো কোনো বিশেষণ দেওয়া সম্ভব নয়। এই মিথ্যুকের পূর্বেও বেশ কয়েকজন মিথ্যুক নিজেকে নবি দাবি করেছে (নাউজুবিল্লাহ)। মুসাইলামা কাজ্জাব থেকে মির্জা গোলাম কাদিয়ানি। তবে, অন্যান্য মিথ্যাবাদীর চেয়ে মির্জা গোলাম কাদিয়ানি একটু ব্যতিক্রম। প্রত্যেক মিথ্যুকের ইন্তেকালের সাথে সাথে তাদের তৈরি ফিতনা দূরীভূত হয়েছে। কিন্তু মির্জা গোলাম কাদিয়ানির মৃত্যুর পরেও তার অনুসারীদের আস্ফালন ক্রমাগত বাড়ছে। একবিংশ শতাব্দীতে তাই কাদিয়ানি সমস্যা নিয়ে মুসলিম উম্মাহকে বড়ো ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আজকের দিনে এসেও তাই নতুন করে কাদিয়ানি সঙ্কট নিয়ে মুখ খুলতে হচ্ছে। ‘বেত্তমিজ’ গ্রন্থে কাদিয়ানি সঙ্কটের ভেতরে প্রবেশ করা হয়েছে। মুসলমান তরুণদের এই সঙ্কট সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
বায়তুল মুকাদ্দাস ফিলিস্তিনে অবস্থিত। কাবা শরিফের পরে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেদিক থেকে এই মসজিদ পৃথিবীর দ্বিতীয় মসজিদ। মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান... সবাই এই মসজিদকে অত্যন্ত সম্মান করে। বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। তোমরা কি জানো কিবলা কি? কিবলা হলো- যার দিকে ফিরে মানুষ নামাজ আদায় করে। কাবা শরিফের আগে মুসলমানরা এই মসজিদের দিকে ফিরে নামাজ পড়তেন। পরে আল্লাহ মুসলমানদের কাবা শরিফের দিকে ফিরে নামাজ পড়ার আদেশ দেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের মর্যাদা অনেক। তিনটি মসজিদে নামাজ পড়লে অন্য সব মসজিদের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। সে মসজিদগুলো হলো- ১. মসজিদে হারাম অর্থাৎ কাবা শরিফ, ২. মদিনার মসজিদে নববি অর্থাৎ যে মসজিদে আমাদের নবি নামাজ পড়তেন এবং ৩. বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসা। সোলায়মান আলাইহিস সালামের সময়ে বায়তুল মুকাদ্দাস নতুন করে বানানো হয়। জিনেরা অনেক সময় নিয়ে মসজিদের কাজ করে।
প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর। এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল। লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে Dr John Ratey, Graham Allcott সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ্য ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বইটিতে। ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মিশেলে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে, তা একজন মানুষকে পার্থিব জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে। এই বইয়ে আলোচিত—আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব; মানুষ, সৃষ্টিকর্তা এবং মহাবিশ্বের আন্তঃসম্পর্ক; মানবজাতির প্রতি আমাদের দায়বোধ; পৃথিবীর কাছে ঋণস্বীকার—এসব কমন ভ্যালুজ আমাদের প্রত্যেকের জানা দরকার, যেন বৃহত্তর মানবিক স্বার্থে একটি বসবাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে পারি। অন্যান্য প্রোডাক্টিভিটি বইয়ের তুলনায় এর বিশেষত্ব কী? দেহের একটি আত্মা আছে—বিষয়টি এমন নয়, আসলে আমাদের ‘আত্মার জন্য এ-দেহটি। সৃষ্টি হিসেবে মানুষ যতটা-না দৈহিক, তার চেয়ে বেশি আত্মিক। পশ্চিমা ধ্যানধ্যারণার আলোকে প্রোডাক্টিভিটি কিংবা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্টের ওপর লিখিত যাবতীয় বইয়ের প্রধান দুর্বলতা—এই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতার মতো একটি শাশ্বত সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া। আমাদের দেহ দুর্বল, ভঙ্গুর ও পঁচনশীল। পক্ষান্তরে আমাদের আত্মা হলো শাশ্বত। তাই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করে যে কর্মকৌশল দাঁড় করানো হয়, তাতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু সফলতা অর্জিত হলেও, জীবনের বৃহত্তর সফলতার প্রশ্নে তা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। এ জন্য মানবসত্তার পূর্ণ বিকাশ এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সফলতার জন্য দরকার এমন এক অত্যুজ্জ্বল জীবনদৃষ্টি ও কর্মকৌশল, যা একজন মানুষকে দুনিয়াতে প্রেডাক্টিভ হওয়ার পাশাপাশি অনন্তকালের পরকালীন জীবনের ব্যাপারেও প্রোডাক্টিভ হতে সাহায্য করতে পারে। এই এখানটাতে প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এই ইন্ডাস্ট্রির পশ্চিমাধারার আর-সব বই থেকে আলাদা এবং এক অপার্থিব স্বকীয়তায় উজ্জ্বল।
আমাদের রোল মডেল নবিজি। জীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি বিশ্ববাসীর কাছে ‘উসওয়াতুন হাসানা’। কতভাবেই না আমরা নবিজিকে বুঝেছি। দয়ার সাগর, আমানতদার, ইনসাফবাদী বিচারক, সামরিক বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক নেতা, মহান বিপ্লবী, দায়িত্ববান স্বামী, পরম বন্ধু–নানান পরিচয়ে নবিজিকে চিনেছি। এই গ্রন্থে আমরা নবিজির নতুন এক পরিচয় খুঁজে নেবো। আমরা দেখব–একজন পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি, চারপাশের শিশু সাহাবিদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি। কীভাবে শিশু প্রজন্মকে আগামীর পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। আমরা জানবো, –কীভাবে নবিজি চারপাশের শিশুদের পরিচর্যা করেছিলেন। –কীভাবে শিশুদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন? –কীভাবে তিনি শিশু মনে বিশ্বাসের বীজ বুনেছিলেন? –কীভাবে ইসলামি জিন্দেগীর সাথে শিশুদের অভ্যস্ত করেছিলেন? –কীভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করে দিয়েছিলেন? –কীভাবে উন্নত নৈতিক চরিত্র শিশু মননে ঢুকে দিয়েছিলেন? –কীভাবে শিশুদের টিনএজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিখিয়েছিলেন? –কীভাবে সমাজের প্রোডাক্টিভ মানুষ হয়ে মানুষের কল্যাণে শিশু মন গড়ে তুলেছিলেন? পুরো গ্রন্থেই থাকছে শিশু পরিচর্যার নববি কর্মকৌশল। স্মার্ট প্যারেন্টিং-এ আপনাকে স্বাগতম।
আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কীভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে হৃদয়ের কথা তুলে ধরে? কীভাবে আমরা একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি? আজকের দিনে উম্মাহর বড়ো বড়ো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে আমরা সামলিয়ে নিতে পারি? এসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে পাব উস্তাদ নোমান আলী খানের ‘রিভাইভ ইয়োর হার্ট’ গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ। ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ এই সময়ে আমাদের করণীয় খুঁজে ফিরব এখানে। হৃদয়ের একান্ত গোপনে লুকানো জিজ্ঞাসাকে তৃপ্ত করতে নজর রাখুন বইটির প্রতিটি পাতায়। উজ্জীবিত করুন অন্তরকে, পরিকল্পনা করুন এক সুন্দর বিশ্ব গড়ার।