পিতার সন্তান থেকে সন্তানের পিতা হয়েছি। সন্তান হিসেবে আমাকে নিয়ে পিতামাতার পেরেশানী উপলব্ধি করতে পারি আজ মধ্যবয়সে এসে পৌঁছে। মা-বার বুকের ভেতরটা পড়তে পারছি কলিজার টুকরো মেয়েদের দিকে তাকালেই। একটা বিশ্বাসী জীবনবোধের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি। আমার জীবনবোধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপস্থিতি। এমন এক বিশ্বাসের দেয়াল ছুঁয়ে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে কমপ্লিট সলিউশন প্যাকেজ রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে আমার জগতটা হিসাব ও কারবার নিয়ে। সেই অভ্যাসেই কিনা, আমি প্রতিনিয়ত আমার সন্তানদের নিয়ে হিসাব করি, ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। সেই ভাবনাগুলোই কলমের ছোঁয়াতে কাগজে সংরক্ষণ করেছিলাম। একজন বাংলাদেশী মুসলিম পিতার প্যারেন্টিং ভাবনা। এই ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে হাজারো পিতামাতার কাছে পৌঁছবে ‘প্যারেন্টিংঃ সন্তান প্রতিপালনে সফল হওয়ার উপায়’ বইয়ের মাধ্যমে।
একজন মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। পৃথিবীর সব মানুষই কমবেশি স্বপ্ন দেখে। ঘুমের ঘোরে হঠাৎ ঘোড়া হাঁকিয়ে ছুটে যাওয়া, অথৈ সাগরে ডুবতে ডুবতে হারিয়ে যাওয়া, কুঁড়ে ঘরে শুয়ে রাজ-প্রাসাদে ঘুরে বেড়ানো, দূর নীলিমায় পাখির ন্যায় আকাশ ছোঁয়া-এমন হাজারো স্বপ্ন আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমি একদিন স্বপ্ন দেখলাম, আগ্রার তাজমহল ঘুরে ঘুরে দেখছি। আরেক দিন দেখলাম বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছি। এরই মাঝে হঠাৎ যেন কারও স্পর্শে ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে দেখি, শিয়রে মা দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটা আমার প্রায়শই হয়। এসব স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্ন। কিন্তু আমি তোমাদের যে স্বপ্নের কথা বলছি, তা জেগে দেখার স্বপ্ন এবং স্বপ্ন জেগেই দেখতে হয়। এপিজে আব্দুল কালাম এর ভাষায়- ‘ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন আসলে স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন সেটা, যা মানুষকে ঘুমোতে দেয় না। কে কে বড়াে হতে চাও......১১ বড়াে হতে চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি......১৪ বিজয়ী হওয়ার কৌশল......২২ আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন......২৯ যেভাবে পড়লে মনে থাকবে......৪১ উদ্যমী হতে চেষ্টা করাে......৫১ কেমন করে কথা বলবে......৫৮ সাহস রাখাে, সাফল্য তােমার আসবেই......৬৩ চেষ্টা ও পরিশ্রমই উন্নতির চাবিকাঠি......৭০ সবাই স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করাে......৮০ কীভাবে বুদ্ধিদীপ্ত হবে......৮৩ তরুণ-তরুণীদের জন্য তিনটি উপদেশ......৯২ বড়াে হতে চাই জ্ঞানের শক্তি......১০১ বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করাে......১১২
কখনো মসিহ কখনো মারইয়াম, কখনো মাহদি কখনো কৃষ্ণ, কখনো কবি কখনো নবি, কখনো মানুষ কখনো পুরুষ, সব মিলিয়ে বড়ো আজিব এক চিজ, মির্জা গোলাম কাদিয়ানি 'বেত্তমিজ'। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া মিথ্যাবাদী, নবুওয়তের মিথ্যা দাবিদার মির্জা গোলাম কাদিয়ানিকে ‘বেত্তমিজ’ এর চেয়ে ভালো কোনো বিশেষণ দেওয়া সম্ভব নয়। এই মিথ্যুকের পূর্বেও বেশ কয়েকজন মিথ্যুক নিজেকে নবি দাবি করেছে (নাউজুবিল্লাহ)। মুসাইলামা কাজ্জাব থেকে মির্জা গোলাম কাদিয়ানি। তবে, অন্যান্য মিথ্যাবাদীর চেয়ে মির্জা গোলাম কাদিয়ানি একটু ব্যতিক্রম। প্রত্যেক মিথ্যুকের ইন্তেকালের সাথে সাথে তাদের তৈরি ফিতনা দূরীভূত হয়েছে। কিন্তু মির্জা গোলাম কাদিয়ানির মৃত্যুর পরেও তার অনুসারীদের আস্ফালন ক্রমাগত বাড়ছে। একবিংশ শতাব্দীতে তাই কাদিয়ানি সমস্যা নিয়ে মুসলিম উম্মাহকে বড়ো ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আজকের দিনে এসেও তাই নতুন করে কাদিয়ানি সঙ্কট নিয়ে মুখ খুলতে হচ্ছে। ‘বেত্তমিজ’ গ্রন্থে কাদিয়ানি সঙ্কটের ভেতরে প্রবেশ করা হয়েছে। মুসলমান তরুণদের এই সঙ্কট সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
কবিতায় নাকি এক ধরণের প্রাণের বসতি থাকে; যা মনুষ্য প্রাণকে স্পর্শ করে সীমাহীন আবেগ ও অনুভূতির দেয়াল টপকিয়ে। 'তরঙ্গে দাও তুমুল নাড়া'-তে এমন ১০০টি কবিতা পাঠকদের সমীপে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিশ্বাসী প্রাণে ঝড় তুলবে নিঃসন্দেহে। বিশ্বাস হচ্ছে না? ভেতরটাতে একবার ঘুরে এসে দেখুন না!
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা কথা- বিশ্বাসের কথা কতটা শক্ত করে বলা যায়? বিশ্বাসী প্রানের সুর কতটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ? অবিশ্বাসীকে কতটা মায়াভিরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেয়া যায়? যুক্তিই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিতে মুক্তি? এসবের উত্তর মিলতে পারে। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' বইয়ের প্ৰকাশকের কথা- সভ্যতার শুরু থেকেই সত্য ও মিথ্যার ধারাবাহিক লড়াই। মানবতার সমাধান ইসলাম বরাবরই জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকদের অপপ্রচার ও বিদ্বেষ মোকাবেলা করে আসছে। আধুনিক সভ্যতার এই সময়ে দাঁড়িয়েও সেই ধারা অব্যাহত আছে। স্যোসাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান পরিসরকে সন্দেহের বীজ বোপন করছে। সন্দেহ থেকে সংশয়, সংশয় থেকে অবিশ্বাস। এভাবে এক অবিশ্বাসী প্রজন্মের গোঁড়াপত্তন হচ্ছে কিবোর্ডে। বিশ্বাসীদের সুশৃংখল চিন্তার দুনিয়ায়। কিছু কিছু তরুন-যুবা দিকভ্রান্তও হচ্ছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছে মুসলিম মিল্লাতে। অবিশ্বাসীদের আপাত চমকপ্ৰদ প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় হিমশিম অবস্থা। জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ যেখানে, সেখানেই বিশ্বাসী প্ৰাণের যৌক্তিক লড়াই। এমনই এক বিশ্বাসী তরুন আরিফ আজাদ। অনলাইন দুনিয়ায় অবিশ্বাসীদের উখিত প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়ে অজস্র মানুষের প্রিয়ভাজন হয়েছেন। একজন তরুন এত চমৎকার ও যৌক্তিক ভাষায় ইসলামবিরোধীদের জবাব দিতে পারেন, ভাবতেই আশাবাদী মন জানান দেয়— আগামীর দিন শুধু সম্ভাবনার। “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটিতে গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বাস্তব দুনিয়ায়ও থাকা উচিত। নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামদ্রোহীদের অপপ্রচারের জবাবে অনেকেই লিখছেন, বলছেন। এই বইটি সেসব জবাবের ভিত্তিকে আরো মজবুত করবে। আমার বিশ্বাস বইটি তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে এক তুমুল আলোড়ন তুলবে। আশা করি। বইটি পড়ে অবিশ্বাসীরাও নিমেহিভাবে ইসলাম নিয়ে চিন্তা করবেন। গাডিয়ান পাবলিকেশন্স এই অসাধারন বইটি প্রকাশ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। স্যোসাল মিডিয়ায় লেখাগুলোকে পাণ্ডুলিপি আকারে পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জের। বইটিকে যথাসম্ভব সুন্দর ও নিখুত করতে আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কোন ত্রুটি ছিল না। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমাদের যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে ত্রুটি-বিচূতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে বিশ্বাস করছি। লেখকের স্বকীয়তা এবং ভাষার বৈচিত্র বিবেচনায় প্রয়োজনে ইংরেজী শব্দও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ। কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’।