বিংশ শতাব্দীর শুরুর কথা। দিকে দিকে কামালবাদের জয়ধ্বনি। সব আশা শেষ! বিশ্বাসীরা হাল ছেড়ে দিলো, পরাজয় মেনে নিলো বুঝি। লাঞ্চনা, অপমান, অপদস্তের এক জীবন তাদের। ধীরে ধীরে ইসলামকে জীবন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। মুসলমানিত্ব মানেই যেন পরীক্ষা। ঘুমিয়ে যাচ্ছে উম্মাহ। হাল ছেড়ে দিচ্ছে সবাই। কিন্তু নাহ! তিনি জেগে উঠলেন, দায়িত্ব নিলেন সবাইকে জাগানোর। শেষ থেকেই যেন শুরু। ধ্বংসস্তূপ থেকেই ফিনিক্স পাখির ঠোঁট বের হলো। আমরা বলছি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির কথা। জাহেলিয়াতের ভরা যৌবনেও যিনি সত্যের মশাল বইয়ে নিয়েছেন বিচক্ষণতার সাথে। জোয়ার দেখেও যিনি এতটুকু হীনমন্যতায় ভোগেননি; ভবিষ্যত প্রজন্মের মুক্তির রাজপথ নির্মাণ করেছেন দক্ষ শ্রমিক হয়ে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিপাহসালার, যুগ সংস্কারক, বিখ্যাত রিসালায়ে নুর-এর লেখক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির সংগ্রামী জীবনী পড়তে আপনাকে স্বাগতম।
ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি আর ভৌগলিক পরিবেশ বিবেচনায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডে ইসলামি রাজনীতি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আজতক তা প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশের ইসলামপন্থিদের আটকাবস্থা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে পর্যালোচনা তাই খুবই প্রাসঙ্গিক। ইসলামি রাজনৈতি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে রয়েছে অন্ধ বিরোধিতা; নয়তো অন্ধ সমর্থন। দুধরনের অদ্ধত্বকে উপেক্ষা করে ইসলামপন্থিদের দেখতে হবে তৃতীয় নয়নে। ইসলামি রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা আমাদের দেশে হয় না। নানান মিথ আর প্রিজুডিশ ধারণা নিয়ে ইসলামি রাজনীতিকে উপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই গ্রন্থে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি আঁকতে চেয়েছি।
সভ্যতা এক চিরন্তন নিয়ম মেনে চলে। অপেক্ষাকৃত উন্নত কোনো সভ্যতার সাক্ষাৎ পেলে সে তার নিকট আত্মসমর্পণ করে। বিলিন হয়ে যায় তার মাঝে। সভ্যতার উন্নতি-অবনতি উভয়ই নির্ভর করে মানুষের ওপর। কারণ, সভ্যতার মূল উপজিব্যই হলো মানুষ। এই মানুষ যখন সুনির্দিষ্ট কতক মৌলিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, তখন সভ্যতা দাঁড়িয়ে যায় শক্ত ভিত্তির পাটাতনে। নিশান ওড়াতে থাকে বিশ^ব্যাপী। আর মানুষ যখন সেই মৌলিক ভিত্তি হারিয়ে ফেলে, তখন সভ্যতা প্রস্তুত হতে থাকে অন্য কোনো সভ্যতার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার। গ্রিক, রোমান ও পারস্যের মতো প্রতাপশালী সভ্যতা এই দুটো নিয়ম মেনেই উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছিল। গ্রিক সভ্যতা আত্মসমর্পণ করেছিল রোমান সভ্যতার কাছে, আর রোমান ও পারস্য সভ্যতা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিল বিশ্বজনীন সভ্যতা ইসলামের কোলে। ধীরে ধীরে ইসলামি সভ্যতার ধারক-বাহকদের বিচ্যুতি ঘটে। গ্রিক ও রোমান সভ্যতার ঔরস থেকে জন্ম নেওয়া আজকের পশ্চিমা সভ্যতা বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি হিসেবে বেছে নেয় ইসলামের চিরন্তন উৎসকে; এগিয়ে যায় নানান আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায়। পুরো বিশ্বকে ভেড়াতে থাকে নিজের প্রভাব-বলয়ে। কিন্তু আজকের পশ্চিমা সভ্যতায় যেসব আচরণ ও বৈশিষ্ট্য দৃশ্যমান, সেসব কারণেই পতন ঘটেছিল তার জন্মদাতার। এটাই যে চিরায়িত নিয়ম। তাহলে কি অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই এই সভ্যতার পতন অত্যাসন্ন? তাহলে কোথায় গিয়ে সভ্যতা আশ্রয় নিবে? আমরা দাবি করছি, সভ্যতা তার দীর্ঘ সফর শেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে আজ ইসলামের উদার বুকে ফিরে আসার দ্বারপ্রান্তে। ইসলাম: সভ্যতার শেষ ঠিকানা। কিন্তু কীভাবে? চলুন উত্তর খুঁজি সভ্যতার বন্ধুর প্রান্তরে… "ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা" বইয়ে যা থাকছে ✅ সভ্যতা ও তার গঠন ✅ সভ্যতার উন্নয়নের অপরিহার্য উপাদানসমূহ ✅ সভ্যতা স্থায়ী হয় কীসে? ✅ সভ্যতা ধ্বংসের কারণসমূহ ✅ বর্তমান বিশ্ব সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি ✅ কমিউনিস্ট সভ্যতা : উদ্ভব ও পরিণতি ✅ ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ: ধর্মহীন সভ্যতার দর্শন ✅ বর্তমান বিশ্ব সভ্যতায় নারী ✅ নারীবাদী আন্দোলন: সূত্রপাত ও ফলাফল ✅ জন্মই যখন আজন্ম পাপ ! ✅ নৃশংসতা: বর্তমান সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ! ✅ বর্তমান সভ্যতার বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি, ইসলামের অবদান ✅ ইসলাম বর্তমান বিশ্ব সভ্যতার আগ্রাসী শিকার ✅ বর্তমান সভ্যতা, বিশ্বব্যাপী হাহাকার ✅ আদর্শিক দেউলিয়াত্ব; বর্তমান সভ্যতা ধ্বংসের সূচনা ✅ পালাবদল ✅ সত্যের জয় দিকে দিকে ✅ অতঃপর !
জোছনা কি কখনো ফুল হতে পারে? ফুলটা দেখতে কেমন? এই ফুলের সুবাসই বা কীভাবে নিতে হয়? ‘জোছনাফুল’ সেই রহস্যের সুলুক সন্ধানে নামবে আপনার সাথে। বইটা আপনাকে শুধু জোছনারাতের আসরে বসিয়ে রাখবে না; চন্দ্র-সূর্যকেও টেনে নিয়ে আসবে জীবনের পাঠশালায়। আপনি হবেন সেই পাঠশালার অংশীজন। সমুদ্রের পাড়ে কুড়াবে ভাবনার ঝিনুক, ঝিনুক থেকে বের করে আনবে বিশ্বাসের মুক্তো, আপনি সেই মুক্তোয় গাঁথবেন ভালোবাসার মাল্য। ‘জোছনাফুল’-এর বাগানে ফুটেছে আরও অনেক ফুল, এসেছে আরও অনেক ভ্রমর, গেয়েছে আরও অনেক পাখি। ফুল-পাখিদের এই কোলাহলে জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায় কিছু চঞ্চল মৌমাছিও। সুন্দরের পরাগে ফুল ফোটানো, অসুন্দরের গায়ে হুল ফোঁটানো সেইসব মৌমাছিদের সাথেও জমবে আপনার নিবিড় আলাপন।
The present book, Science of Da’wah (علم الدعوة), is a new dimension of thought process which has not been mentioned in the Islamic literature. However, the highest Allah Rabbul ‘Alamin has introduced the matter of Da’wah (Invitation) in a scientific way in verse 125 of Nahal. In this verse, the philosophical terms Wisdom (Hikmah – حكمة), Sermonizing (المواعظ) and Argument (جادل) are connected in a logical fashion. Therefore, in the present book the wisdom tringle, wisdom process tringle, Da’wah methodology, structure of a Da’wah organization, the decision-making process of a Da’wah organization, perspectives of the sermon, sermonizing technique, the science of argument, appearance and approach of arguer (Daa’ee), and few selected topics of argument that are usually Daa’ee faces during Islamic Da’wah works are explained.