অন্তহীন ভয়ের উৎস কোথায় মানুষ জানে না, অজান্তেই সে তার জীনে বহন করে চলেছে আদিমতম এই অনুভূতি। যুক্তিবাদিরা মুখে যতই কথা বলুক না কেন, অন্তরের অন্তস্থলে সেও জানে অতিপ্রাকৃত সব ইশারার কথা। শখের গোয়েন্দা কৌশিক সেরকম একটি অলোউকিক ঘটনা শুনে তদন্তে নেমে টের পেতে থাকে তার জ্ঞানের বাইরের এক শক্তির কথা, যে একই সাথে বাস্তব ও অবাস্তব রুপে আমাদের চারপাশেই আছে, সমাধানে নেমে নিজেই কী জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছেন কৌশিক ? এদিকে একের পর এক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সবাই কি সত্যি চলে গেলেন অন্য কোন মাত্রায়? গা শিউরান অনুভূতির জন্ম দেয়া গল্পে আহসান হাবীব চিত্রিত করেছেন এক দারুণ হরর গল্পের।
বছর ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলার সুপারহিরো- লুঙ্গিম্যান। নিজের শহর তুফান নগরে ফিরে দেখে কিছুই আর আগের মত নেই। চারিদিকে কোন ক্রাইসিস নেই, সবাই হাসিমুখে পজিটিভ এনার্জি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবারই জীবন পজিটিভ, এমনকি নেগেটিভ সব বিষয়কেও সবাই পজিটিভলি নিচ্ছে। ব্যাপারাটা অস্বাভাবিক ভেবে এর কারণ খুঁজতে গিয়ে লুঙ্গিম্যান খুঁজে পেল মোটিভেশন ভাইকে! মুখোমুখি হতে শুরু হল আশ্চর্য সব ঘটনা। জিতল কে? নিজেই দেখুন।
রাঙ্গামাটির ছেলে জুমো চাকমা, সময়ের সাথে সাথে নিজের ভেতরে এক আলৌকিক প্রাকৃতিক শক্তি টের পায় সে। টের পায় যে কোন গাছের সাথে আত্মিক ভাবে মিশে যেতে পারে সে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ধরতে পারে তাদের রূপ। ক্ষমতা টের পেয়ে তা নিয়ে কী করবে ভেবে বের করার আগেই অদ্ভূত কিছু লোকের পাল্লায় পড়ে যায় সে। কেন কিছু মানুষ তার পিছু নিয়েছে তা বুঝতে পারে না। কে এই সুলো, আর বিনাশই বা কে তাকে মারতে চাইছে?
কাহিনী সংক্ষেপঃ সায়েন্স আর কমিক্স, শুনে দুই ভিন্ন জগত মনে হলেও কার্টুনের মাধ্যমে জটিল সায়েন্সের মজার মজার ব্যাখ্যা আর সেই সাথে নতুন প্রশ্নের সূচনা দুই-ই পাওয়া যাবে প্রজেক্ট টিকটালিক সিরিজের এই তৃতীয় বইতে। ছোট ছোট কয়েকটি গল্পে শেষ হয়েছে কমিক্সটি।