আজকাল সারা পৃথিবীতেই সাহিত্য এবং চিত্রশিল্পের এই সমন্বিত রূপটি একটি নূতন রূপ নিতে যাচ্ছে। এখন শুধু কম বয়সী শিশু কিশােরদের কার্টন-কমিক্স হয় না, রীতিমত বড় মানুষদের জন্যে গ্রাফিক্স নভেল নামে এই নূতন মাধ্যমটি শিকড় গেড়ে বসতে শুরু করেছে। আমাদের বাংলাদেশেও তার আয়ােজন শুরু হয়েছে। কিছু তরুণ শিল্পী আমার রুহান রুহান নামের সায়েন্স ফিকশনটিকে এই গ্রাফিক্স নভেল রূপ দিতে যাচ্ছে জেনে আমি খুব আগ্রহ। নিয়ে সেটি দেখার জন্যে অপেক্ষা করছি। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।
টাঙ্গাইলের এক মফস্বল এলাকায় হঠাত দূরারোগ্য চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব, সরকারী নির্দেশনায় ঘর ছেড়ে এলাকা খালি করে চলে যাচ্ছে অনেকেই, এর মাঝে কাহিনির নতুন মোড় পরিবির্তন হল যখন দুই সাধু এসে সবাইকে জানালেন ব্যাপারটা কোন সাধারণ চর্মরোগ না! এর পেছনে আছে আরো ভয়ানক কিছু।
ঢাকা কমিক্সের প্রথম সুপার নেচারল কমিক্সের শেষ অংশ এটি। ভয়ঙ্কর পিশাচ মহা ডামর ক্বালের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে সাধুরা। চাইছেন যুদ্ধ শেষের পিশাচকে আটকে ফেলেবেন এক নারীদেহে । কিন্তু সেই নারীদের তাঁরা পাবেন কোথায়? শেষ মেষে কি পিশাচকে দমন করতে পেরেছিলেন তাঁরা?
রাঙ্গামাটির তবলছড়িতে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুমো। দারুণ ভাব মামার সাথে। ছোটবেলা থেকেই মামা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। একটু বড় হবার পরে মামা হঠাত সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন। ধ্যান করা দেখে দেখে জুমোরও শখ হত মামার সাথে ধ্যানে বসতে। ভালই চলছিলো সব। এমন সময় একদিন হঠাতই সড়ক দূর্ঘটনায় মামা নিহত হলেন। আর সেই সময়েই জুমো আবিষ্কার করল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাহলে কি মামার সাথে করা সেই ধ্যান কাজে লেগেছিলো? আর হঠাত উদয় হওয়া 'সুলো' নামের এই লোকটাই বা কী বলছে? তিন খণ্ডে সমাপ্য মৌলিক এক গল্পে দারুণ করে বলা সব্যসাচী চাকমার কমিক্স 'জুম' এর প্রথম পর্ব।