জুমো- রাঙ্গামাটির স্থানীয় অতি সাধারণ ছেলে, ছোটবেলা থেকেই মামার সাথে সাথে ঘুরে বেড়ায়। মামা তার ভাগ্নের সাথে খেলাধুলার পাশাপাশি দীক্ষা দেয় কিভাবে ধ্যানমগ্ন থেকে প্রকৃতির কাছ থেকে শিখতে হয়। অনেক চেষ্টা করেও অস্তিরমতি জুম সেটা পারে না। এভাবেই সময় কাটার মাঝে হঠাতই একদিন খবর আসে মামা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত! এবং সেদিনই জুমো আকস্মিকভাবে টের পায় সেই ধ্যানের ফলাফল। সে চাইলেই যে কোন গাছের মত রুপ ধারন করতে পারে, আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অরণ্যের শক্তিকে। এই শক্তি নিয়ে কি করবে বুঝে ওঠার আগেই তার ওপর এল অতর্কিত হামলা। কেন এই হামলা আর কিভাবেই তার মামা আসল মারা গিয়েছিলো এই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধলো। জুম ২ এ এবারে সেই রহস্যের কিনারার সূত্রপাত।
নিজের অনিয়ন্ত্রিত অলৌকিক শক্তির কথা জেনে জনমানুষ থেকে লুকিয়ে আছে ইব্রাহীম, সে চায় না তার মাধ্যমে আর কারো ক্ষতি হোক। নিজের মত নিশ্চিন্তে সহজ সাধারণ এক জীবন কাটাচ্ছে সে বান্দরবানের এক জঙ্গলের কাছে। কিন্তু সেখানেও পৌঁছে গেল মানুষের লোভ-ঘৃণা আর হিংসার ছোবল। কি করবে ইব্রাহীম, চোখের সামনে এভাবে নিরীহ মানুষকে নিহত হতে দেবে? নাকি সবার ক্ষতি হতে পারে জেনেও আমার আবির্ভূত হবে? আর তার সব কর্মকাণ্ড আড়াল থেকে কে-ই বা দেখে চলেছে সারাক্ষণ? ঢাকা কমিক্সের সুপারহিরো সিরিজ ইব্রাহীমে এবার কাহিনি একেবারেই মোড় নিতে যাচ্ছে অন্যদিকে।
অতলান্ত অন্ধকারাচ্ছান্ন স্মৃতি-বিস্মৃতির অতল গহীনে তলিয়ে যাওয়া এক ভ্রান্তিময় ও রক্তাক্ত উপাখ্যান। মাহাতাব রশীদের লেখা ও আঁকায় ঢাকা কমিক্স থেকে প্রকাশিত এম রেটেড ডার্ক ফিকশন।