পাঠক, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অ্যাডভেঞ্চারের ভুবনে আরেকবার আপনাকে স্বাগতম। চলুন, ভাগ্যাহত যুবক লিওনার্ড অট্রাম আর অনিন্দ্যসুন্দরী জুয়ানা রডের সঙ্গে বেড়িয়ে পরা যাক অভিযানে। হারানো একটা সভ্যতা খুঁজে বেড়াচ্ছে ওরা অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার বুকে। ওখানে কুয়াশা মানব বলে রহস্যময় একদল মানুষ বাস করে। অবিশ্বাস্য এক রত্নভান্ডার আছে ওদের কাছে ; আর সেটা পেতে হলে পাড়ি দিতে হবে হাজারো বিপদ, লড়তে হবে দৈত্যাকার এক কুমির দেবতার সঙ্গে, বেঁচে ফিরতে হবে নরবলির হাত থেকে, ছিন্ন করতে হবে রাজা আর পুরোহিতের মধ্যকার ষড়যন্ত্রের জাল…তারপর? পালাতে হবে প্রাণ হাতে নিয়ে! যদি রাজি থাকেন তবে সঙ্গী হন ওদের !হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই এটি। পড়লে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।
এ-কাহিনীর নায়ক সার অলিভার ট্রেসিলিয়ান… টগবগে তরুণ, বীর নাইট, অভিজাত এক পরিবারের শেষ সন্তান। সৎ ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে সবকিছু হারাল ও। অভিযুক্ত হলো মিথ্যা খুনের দায়ে, ভুল বুঝে দূরে সরে গেল তার প্রেমিকা, হলো অপহৃত, কপালে জুটল ক্রীতদাসের মানবেতর জীবন । তারপর?সময়ের পরিক্রমায় এবং নিয়তির অমোঘ লিখনে সে-ই পরিণত হলো ভয়ঙ্কর এক জলদস্যু… সি-হক, মানে সাগরের বাজপাখিতে- যার নাম শুনে কেঁপে ওঠে সাত সমুদ্র আর তেরো নদীর মানুষ। শুরু হলো প্রতিশোধের পালা । রাফায়েল সাবাতিনি -র সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস। প্রেম, প্রতিহিংসা আর সংগ্রামের এক অতুলনীয় উপাখ্যান । মুগ্ধতার শতভাগ নিশ্চয়তা।
আটলাণ্টিক মহাসাগরের গহীন তলদেশে, যেখানে কোনও মানুষের পা পড়েনি, সেখানেই যাবার পরিকল্পনা করেছেন পাগলাটে বিজ্ঞানী ড. ম্যারাকট। কাঁচ আর ইস্পাত দিয়ে তৈরি এক অদ্ভুতদর্শন খাঁচায় চেপে, দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে সত্যি সত্যি নামলেন সাগরে। এরপরেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। অচেনা এক দানবের হামলায় ছিঁড়ে গেল দড়ি, অতল এক খাদের ভেতর পড়ে গেল খাঁচাটা। কিন্তু মরলেন না তাঁরা। কারণ, নিচে রয়েছে অদ্ভুত এক পাতালরাজ্য। জলচর মানুষ আছে ওখানে, আছে রূপসী রাজকন্যা, …আর ভয়ঙ্কর এক অশুভ শক্তি। রাজ্যটার নাম? আটলাণ্টিস!
মানুষখেকো এক বাঘিনীর উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করল লোকে। ছুটে গেলেন জিম করবেট। বিশাল জঙ্গলের আনাচে কানাচে খুঁজে ফিরতে লাগলেন বাঘিনীকে। সারাক্ষণ ছায়ার মত অনুসরণ করছে তাঁকে বাঘিনী, কিন্তু দেখা মেলে না তার। শেষে বাধ্য হয়ে নিজেকেই টোপ হিসেবে ব্যবহার করলেন তিনি । সে এক রোমহর্ষক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! এ ছাড়া এতে আছে ভয়াল মানুষখেকো বাঘ শিকারের আরও দুটি অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর কাহিনি।
১৮৬৫ সালের ২৪ মার্চ | প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে বিধ্বস্ত হলো ঝড়ের কবলে পড়া এক আমেরিকান বেলুন। কেউ নেই দ্বীপে। শুধু পাঁচজন অভিযাত্রী, সাথে একটি কুকুর। না আছে খাবার, না অস্ত্র, না বাড়তি জামা-কাপড়-কিছু না। শুরু হলো ক্যাপ্টেন সাইরাস হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ওদের টিকে থাকার সংগ্রাম। অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ওদের জীবনযাত্রা। সবাই টের পাচ্ছে, বিপদে-আপদে কে যেন অলক্ষে সাহায্য করে যাচ্ছে ওদের। একের পর এক ঘটে চলেছে রহস্যজনক কাণ্ড-কারখানা। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওরা ছাড়াও নিশ্চয়ই আরও কেউ রয়েছে। এই দ্বীপে। কিন্তু সামনে আসে না কিছুতেই। কে সে? কোনও অপদেবতা, নাকি মহামানব?