বছরের এক মহিমান্বিত মাস জিলহজ। নবি ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হলেন—কুরবানি করতে হবে প্রিয়তম পুত্রকে। মহান রবের আদেশ পালনে তিনি এতটুকু বিচলিত হননি। কোনো ভয়, কোনো সংশয় দানা বাঁধতে পারেনি তার অন্তরে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় কুরবানি। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছর জিলহজে লাখো লাখো মুসল্লি হাজির হয় কাবাঘরের প্রাঙ্গণে। তারা অবস্থান করে মিনায়; ছুটে বেড়ায় সাফা-মারওয়ায়। এ সকল কারণে জিলহজের গুরুত্ব আর ফজিলত মুসলিমদের কাছে অপরিমেয়। এমন পবিত্র একটি মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল এবং নির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি। সেসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘জিলহজের উপহার’।
১. সহজ ভাষায় ও গল্পের ছলে ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’ বইটি আপনার সামনে মেলে ধরবে সুখী পরিবার গড়ে তোলার চমৎকার সব কৌশল। ২. এ বইটি নিঃসন্দেহে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরো মজবুত করে তুলবে। ৩. জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা ও হৃদয়ছোঁয়া গল্পে মুখরিত এ বই আপনার জীবনে এনে দেবে সুখ, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য আর অনাবিল আনন্দ। ৪. পরিবারকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সুস্থ-সুন্দর সমাজ। আমাদের পরিবারগুলো সুখী হলে, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, পাপ-পঙ্কিলতা সব দূর হয়ে যাবে। তাই সুন্দর সমাজ ও পরিবার গঠনের লক্ষ্যে এ বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ১. শিশুকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বেশকিছু কার্যকরী ও উদ্ভাবনী কৌশলের দেখা মিলবে এখানে। ২. পড়াশোনায় শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি, টিভি আর ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি এবং সন্তানদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ দূর করে কীভাবে তাদেরকে সুন্দর জীবন উপহার দেবেন তা জানতে পড়ে ফেলুন এ বইটি। ৩. শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই চরিত্র গঠন করে। তাই সন্তানের সামনে নিজেকে আদর্শ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এ বইটি নিঃসন্দেহে অবশ্যপাঠ্য। ৪. সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে, তাদেরকে ভদ্রতা, শৃঙ্খলা ও নীতি-নৈতিকতা শেখাতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার। ৫. বইটি পড়লে আরো জানা যাবে, বাবা-মায়ের কোন কথা আর কাজে শিশুদের মন ভেঙে যায় এবং হতাশায় ডুবে গিয়ে তারা বিপথে চলে যায়। ১. পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে এ বইটি আপনার বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াবে। ২. দাম্পত্যজীবনকে আরো গতিময় করে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি বাড়িয়ে দিতে এমন বই খুব কমই পাবেন পৃথিবীর বুকে। ৩. একটি সুষ্ঠু-সুন্দর পারিবারিক আলাপন আপনার জীবনে এনে দিতে পারে ভিন্ন এক মাত্রা। কীভাবে পরিবারের সবার সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবেন, কীভাবে যেকোনো সমস্যায় কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করবেন, তা জানতে হলে এ বইটি আপনাকে পড়তেই হবে। ১. এ বইটি পড়লে কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাজগতের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে। সেই সাথে তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা মিলবে। ২. কিশোর-সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বই আপনাকে উপহার দেবে চমৎকার সব কৌশল আর কার্যকরী পদক্ষেপ। ৩. কৈশোর মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের পাশে থাকা, তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং ভালো কাজের ব্যাপারে তাকে উৎসাহ জোগানো। ৪. যেসব কিশোর-কিশোরী খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বিপথে চলে গিয়েছে কিংবা ইন্টারনেটের ভয়ংকর জগতে নিমজ্জিত রয়েছে তাদেরকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ বইটি হতে পারে এক মোক্ষম দাওয়াই। ১. শিশুদের নানারকম সমস্যা ও তার চমৎকার সমাধান খুঁজে পাবেন এ বইয়ের পাতায় পাতায়। ২. আপনার বাচ্চা কি অহরহ মিথ্যা বলে? অল্পতেই রাগ করে? রাতের বেলা একা একা ওয়াশরুমে যেতে ভয় পায়? কিংবা প্রতি রাতে ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে দেয়? তবে তো এ বইটি আপনারই জন্য। ৩. আপনার সন্তান যদি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে থাকে, ঠিক মতো খেতে না চায় অথবা অকারণে সবার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়, তবে এমন একটি বই হাতছাড়া করা মোটেও উচিত হবে না আপনার। ৪. বুদ্ধিমান বাবা-মায়েরা কখনো সন্তানের গুরুতর সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। তারা সমস্যার শুরুতেই সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ১. আপনার সন্তান কি স্মার্টফোন আর ভিডিও গেমসে আসক্ত? সে কি একদমই বই পড়তে চায় না? পড়ার কথা বললেই কি তার মাথা ঘুরায়, পেট ব্যথা করে? তাহলে তো এই বইটি পড়া আপনার জন্য ফরজ! ২. বইয়ের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে, বইয়ের সাথে পরম বন্ধুত্ব তৈরি করতে, বইপাঠের গুরুত্ব এবং জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তা ওদের সামনে মেলে ধরতে, সর্বোপরি একটি শিশুকে পরিপূর্ণভাবে বইমুখী করে গড়ে তুলতে হলে এমন একটি বই আপনার সংগ্রহে থাকতেই হবে। ৩. কিন্তু বাবা-মা হিসেবে সন্তানের হাতে আপনি কোন বইটি তুলে দেবেন? কেমন গল্প শুনিয়ে তাকে প্রতি রাতে ঘুম পাড়াবেন? কোন বইটি তাদেরকে সত্যের পথে নিয়ে যাবে আর কোন বই তাদেরকে আঁধারে নিমজ্জিত করবে—এ ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে।
১. আকিদা হলো এক বৃক্ষের মতো, আর আমলগুলো তার ডালপালা। বৃক্ষ ছাড়া যেমন ডালের অস্তিত্ব কল্পনাতীত, ঠিক তেমনি আকিদাবিহীন আমলও পুরোপুরি মূল্যহীন। ২. যদি দেখেন মৃত্যুর পর আপনার কোনো আমলই আর কাজে আসছে না, তখন কেমন লাগবে আপনার? হ্যাঁ, ভ্রান্ত আকিদা আমাদের সব আমল নিঃশেষ করে দেয়। ৩. আমল তখনই কবুল হবে, যখন আকিদা হবে বিশুদ্ধ। আর বিশুদ্ধ আকিদা গড়ে তুলতে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে আজই পড়ে ফেলুন চমৎকার এ বইটি। ৪. আকিদার দুটি অংশ—মৌলিক ও শাখা-প্রশাখা। শাখাগত অংশে মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক অংশে কারো কোনো দ্বিমত নেই। এ বইটি আকিদার সেই মৌলিক অংশ নিয়েই রচিত।
কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে। পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে পুরােনাে চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র। কালের এই চক্রে সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অবিকৃত ও পরিপূর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বার্তাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের উপযােগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলাে-ই বিশ্বাসী মানুষষের দ্বারে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সমকালীন প্রকাশনের পথচলা।
‘মেঘ কেটে যায়’ বইয়ের কিছুকথাঃ মেঘগুলো কেমন যেন! দলবেঁধে এসে ছেঁয়ে ফেলে আকাশটাকে। মেঘের আড়ালে ফিকে হয়ে যায় আকশের নীল। মেঘেরা তৈরি করে এক বিদঘুটে পরিবেশ। নীল আকাশ ছেঁয়ে যায় এক গুমোট আবহাওয়ায়। থমথমে। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক টুকরো আলোক রশ্মি এসে মূহুর্তেই পাল্টে দেয় সব। কেটে যায় মেঘ। ফিকে হয়ে যাওয়া নীল ফিরে পায় তার রঙ। আলোতে আলোতে আবার ভরে উঠে আকাশ। আমাদের হৃদয়টাও নীল আকাশের মতোন। আর, সন্দেহগুলো হলো কালো মেঘের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিগুলো যখন হৃদয়ের আকাশে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন হৃদয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। তাতে ভর করে অবিশ্বাস। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোটানায় ভাসতে থাকা হৃদয়, আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।এরপর? এরপর একদিন তাতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে আর মূহুর্তেই কেটে যায় হৃদয়ের সকল অন্ধকার। সেই আলোতে পরিশুদ্ধ হয়ে আমাদের হৃদয় আবার বিশ্বাসের পথে চলতে শুরু করে। সকল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে হৃদয়ের গহীন থেকে কেবল বিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হয়।হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার সেই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘মেঘ কেটে যায়’।