‘আরবি রস’ একটি মজার বই। আরবি সাহিত্যে কত অসাধারণ রস। লুকিয়ে আছে তার সাথে বাঙলাভাষী পাঠককে পরিচিত করার প্রয়াস । আরবি সাহিত্য শুধু নয়, আরবি ভাষাটাও খুবই মজার৷ এই মজাটা । আয়ত্তে আনার কিছু কলকজা এই বইয়ের গল্প থেকে পাওয়া যাবে । ‘আরবি রস’ সবার জন্যে। এই রস আস্বাদনের জন্যে আরবি ভাষা জানা। কিংবা আরবি ভাষার শিক্ষার্থী হওয়া আবশ্যক নয়৷ ‘আরবি রস’-এর। হাঁড়ি সবার জন্যে উন্মুক্ত৷ এ কথাও স্মর্তব্য, সবার উপযােগী করে । রচিত হলেও এটি কোনাে চটুল কৌতুকগ্রন্থ নয়। ভাষা-সাহিত্যের বিচিত্র-বর্ণাঢ্য স্বাদ উপভােগে অভ্যস্ত বা আগ্রহী পাঠকবৃন্দ ‘আরবি। রস’-এর সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটাতে সক্ষম হবেন।
ক্ষণিকের এ দুনিয়ায় সুখী হবার জন্য কতই না তোড়জোড় আমাদের! সুখের খোঁজে আমরা ঠিক যেন যন্ত্রের মতো ছুটে চলি সারাদিন সারাবেলা। বিলাসবহুল বাড়ি, দৃষ্টিনন্দন গাড়ি আর অফুরান অর্থকড়ি—সত্যিই কি আমাদের জীবনে সুখ এনে দিতে পারে? না, কখনোই নয়। দুনিয়া কখনো পরম সুখপ্রাপ্তির স্থান নয়। আসল সুখের ঠিকানা একমাত্র জান্নাত। কেবল সেখানে গেলেই ঘুচে যাবে সব অভাব-অনটন, দূর হবে সকল দুঃখ-কষ্ট আর না-পাওয়ার বেদনা। কী আছে সেই জান্নাতে? কেন জান্নাত এত বেশি আকাঙ্ক্ষিত? কীভাবে যাওয়া যাবে সেখানে? কারা যেতে পারবে? কারা পারবে না?—এসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘ওপারেতে সর্বসুখ’ বইটি।
রামাদান এতই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস যে, এই মাসে জান্নাতের সবগুলো দরজা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং জাহান্নামের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই মাসেই রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের প্রতিটি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দুআ কবুল হয় এবং অগণিত বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। অথচ কত-ই না দুর্ভাগা আমরা যে, উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে আমাদের অনেকেই মূল্যবান এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি না। ফলে আমরা ব্যর্থ হই রামাদানের অমূল্য-সব নিয়ামতপ্রাপ্তি থেকে। মূল্যবান এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই সমকালীন প্রকাশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
"হাইয়া আলাস সালাহ" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ হৃদয় যখন পাপসাগরে নিমজ্জিত, জীবন যখন থমকে দাঁড়ায় হতাশার বালুচরে কিংবা ক্লান্তি এসে ভিড় করে মনের আঙিনায়, তখন মুয়াজ্জিনের এক চিলতে বিনীত আহ্বান—হাইয়া আলাস সালাহ—আমাদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়, ভেতর থেকে যেন বলতে চায়, ‘এসাে কল্যাণের পথে, এসাে এক সুন্দর আগামীর পথে। প্রতিদিনকার একাগ্র সালাতে শুকিয়ে যেতে শুরু করে হৃদয়ের সব ক্ষত৷ চোখের সমুখে চিরচেনা পৃথিবী উন্মােচিত হয় নতুন রূপে৷ মহান স্রষ্টার প্রতি আশা-ভরসা বেড়ে যায় বহুগুণে। শূন্যতার জীর্ণ অনুভূতি ঢেকে যায় সবুজ কোমল ঘাসে৷ কষ্টের নীলাভ জলরাশি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ঐ দূর আকাশে।
এ বইটিতে ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনে ঘটে যাওয়া সব আলােচিত ঘটনা এবং তা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে৷ কঠিন বিপদের মুহূর্তে কীভাবে সবর করবেন এবং অন্যায়-অনাচার। থেকে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, তার দুর্দান্ত কিছু কৌশল রয়েছে এখানে। হিংসুকের হিংসা এবং শত্রুদের অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে এ বইয়ের কোনাে বিকল্প নেই। সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবােধ বজায় রাখতে এ বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা যেসব বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হই, সেগুলাে পাশ কাটিয়ে কীভাবে সফল হতে হবে, তার দিকনির্দেশনা মিলবে এ বইটিতে।
একটি ভ্রূণের হৃদয়-বিদারক অনুভূতি এবং বেঁচে থাকার তীব্র আকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটির পাতায় পাতায়। ভ্রূণহত্যার মতো গর্হিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।