ওরা তিন বন্ধু–রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো; প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া–দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল–লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে-দুঃখে একসাথে এরা সবাই। এ-উপন্যাস সম্পর্কে পত্র-পত্রিকার মন্তব্য: পূর্ববর্তী উপন্যাসগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট। –নিউজ উইক এটি সম্ভবত এই লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস। …আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালবাসার গল্প। –নিউ ইয়র্ক টাইমস
কারসাজি জ্যাক কার্মডি তার নিউ মেক্সিকোর পুরানো শহরে ফিরে এসেছে বুনো ঘোড়া বিক্রি করবে বলে। প্রচুর টাকার প্রশ্ন জড়িত এ কারবার। সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করবে ঘোড়া। কিন্তু শহরের কেউ কেউ পছন্দ করতে পারল না জ্যাকের প্রত্যাবর্তন। গর্ডন হার্কার এদের একজন। এক যুগ আগে জ্যাকের পরিবারের প্রতি তার চরম অন্যায় আচরণের জন্যে মনে মনে ভয় পাচ্ছে সে। প্রতিশোধ নিতে এল নাকি যুবক? লালসা মাত্র একটা ভুল করেছে বার্ট গ্যাভিন। অ্যামুশই যখন করবে, নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল বুলেটটা যাতে টমাস লোগানের মগজে ঢাকে, যাতে সিধে হয়ে দাঁড়াতে না পারে সে। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে ঠিকই ফিরে এসেছে টমাস, যার লাশ এতদিনে পচে গলে যাওয়ার কথা! মরতে মরতে বেঁচে গেছে টমাস, এখন আর নৃশংস খুনী বার্ট গ্যাভিন বা জাতগোক্ষুর স্কট ট্যাবেটের পরোয়া করে না, কিংবা মর্ট লিয়াণ্ডের নেকড়ের দলকেও গোনায় ধরে না। শুধু পালের গোদা ম্ট লিয়াগুকে চাই ওর। আর লিয়াও চায় ওর সবকিছু… ভবঘুরে চির ভবঘুরে জিম ওয়েলডন, বুনো পশ্চিমের শেষ প্রজন্ম। ভাইয়ের হোমস্টিডে দেখা করতে এসে আটকে গেল সে। মহা বিপদে পড়েছে ওর ছোট ভাই। পাশে গিয়ে দাঁড়াল জিম ওয়েলডন, চক্রান্ত রুখতে সাধ্যমত সাহায্য করল ভাইকে। আবারও কি অজানার পথে পা বাড়াবে জিম? নাকি আটকে যাবে স্প্রি টার্নারের ভালবাসার বাঁধনে?
বিশ্ববিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড শুক সমুদ্রযাত্রায় গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ল তিন ইংরেজ বন্ধু। জাহাজডুবির পর ভাসতে ভাসতে গিয়ে উঠল নরখাদকে ভরা এক রহস্যময় দ্বীপে। বিপদের শেষ সেখানেই নয়, কারণ দ্বীপের মাঝে এক গুহাতে রয়েছে অদ্ভুত এক সমাধি, আর সেখানে কাচের কফিনে শুয়ে আড়াই লক্ষ বছর ধরে ঘুমাচ্ছেন প্রাচীন এক রাজা ও তাঁর অপরূপা মেয়ে! ওদেরকে হতভম্ব করে দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন তাঁরা। একজন খেপে উঠলেন পৃথিবীকে ধ্বংস করার নেশায়, অন্যজন বাড়িয়ে দিল ভালবাসার হাত। প্রেম আর প্রতিহিংসার দোলাচলে কেঁপে উঠল ধরণী।
এরিক মারিয়া রেমার্ক-এর কোথায় স্বর্গ রূপান্তর: ইসমাইল আরমান গল্পটা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের। যে-বয়সে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভেসে যাবার কথা, সে-বয়সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দেশ থেকে বিতাড়িত হলো লুদভিগ কার্ন। পরিণত হলো নাগরিকত্বহীন এক ভাসমান রিফিউজিতে, ইয়োরোপের কোনও দেশে যাদের ঠাঁই নেই। শুরু হলো ওর পলায়নপর ভাসমান জীবন। একে একে বন্ধু জুটল, শত্রু জুটল, আর এল প্রেম। নিজ চোখে মানুষের শঠতা আর নিষ্ঠুরতা দেখল ও, একই সঙ্গে দেখল নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সহযোগিতার দৃষ্টান্তও। ধীরে ধীরে বুঝল কার্ন, জীবন কখনও থেমে থাকে না, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকে মানুষ যুদ্ধ করে। মাটির পৃথিবীতেই তারা গড়ে নেয় স্বর্গ।
দ্য ইয়েলো গড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/সাইফুল আরেফিন অপু আমি আসিকি জাতির মানুষ। আসিকি শব্দটার অর্থাত আত্মা। আমাদের দেবীর এত স্বর্ণ আছে যে, স্বর্ণের কোনও মূল্যই নেই তাঁর কাছে। দেবীর কাছে মূল্যবান হচ্ছে রক্ত… মেহেমানদেরকে শব্দ শোনাচ্ছিল অ্যালান ভার্ননের খাস ভৃত্য জিকি। অ্যালান ভার্নন একজন প্রাক্তন মেজর। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, লোক-ঠকানো শেয়ার ব্যবসা করে নিজের পকেট ভারী করা তার দ্বাধা সম্ভব হয়নি। ওদিকে প্রচুর টাকা হাতে না এলে ওর বাড়ি ইয়ার্লিজ তো হাতছাড়া হবেই, সঙ্গে প্রেমিকা বারবারাকেও হারাতে হবে। কাজেই সোনার খোঁজে রহস্যময় আসিকিদের দেশে চলল ও। দ্য উইজার্ড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/তারক রায় অলৌকিক ঘটনার যুগ কি পুরোপুরি গত হয়েছে? নাকি মাটির বুকে দাঁড়িয়ে বিশ^াসী যদি ঠিকভাবে ডাকতে পারে, তবে বোবা আকাশের কাছ থেকে তার প্রার্থনার শ্রবণযোগ্য উত্তর এখনও আদায় তরা সম্ভব? বাইবেলের সর্বশক্তিমান ঈশ^র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা তাঁর এবং তাঁর কাজের উপর বিশ^াস রাখবে, তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি কি আজও অটুট রয়েছে? যাঁদের গরজ রয়েছে, তাঁদেরকে রেভারেন্ড টমাস ওয়েনের ইতিহাস পড়তে দেয়া গেল। যাঁরা তাঁর এই কাহিনী পড়বেন, যাঁর যাঁর নিজস্ব বোধ-বুদ্ধি ও বিচার-বিশ্লেষণ ব্যবহার করে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেবেন।
১৮৬৫ সালের ২৪ মার্চ | প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে বিধ্বস্ত হলো ঝড়ের কবলে পড়া এক আমেরিকান বেলুন। কেউ নেই দ্বীপে। শুধু পাঁচজন অভিযাত্রী, সাথে একটি কুকুর। না আছে খাবার, না অস্ত্র, না বাড়তি জামা-কাপড়-কিছু না। শুরু হলো ক্যাপ্টেন সাইরাস হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ওদের টিকে থাকার সংগ্রাম। অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ওদের জীবনযাত্রা। সবাই টের পাচ্ছে, বিপদে-আপদে কে যেন অলক্ষে সাহায্য করে যাচ্ছে ওদের। একের পর এক ঘটে চলেছে রহস্যজনক কাণ্ড-কারখানা। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওরা ছাড়াও নিশ্চয়ই আরও কেউ রয়েছে। এই দ্বীপে। কিন্তু সামনে আসে না কিছুতেই। কে সে? কোনও অপদেবতা, নাকি মহামানব?