কন্ট্রাক্ট - বেগ-বাস্টার্ড সিরিজ - ২: “কন্ট্রাক্ট” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। সাড়া জাগানো উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড, লস্ট সিম্বল, গডফাদার, বর্ন আইডেন্টিটি, বর্ন আলটিমেটাম, দ্য ডে অব দি জ্যাকেল, দ্য লাইসেন্স অব দি পয়েন্ট, আইকন, মোনালিসা,পেলিকান বৃফ, এ্যাবসলিউট পাওয়ার , ওডেসা ফাইল, ডগস অব ওয়ার, অ্যাডভেঞ্জার, দান্তে ক্লাব, দ্য কনফেসর ,স্লামডগমিলিয়নেয়ার, দ্য কনফেফক্স এবং দ্য এইটসহ বেশে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা দামের একটি টেলিফোন কল! কোটি টাকার ষড়যন্ত্র। পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে ফিরে আসতে হলো দেশে; একটি লাইফটাইম, কন্ট্রাক্ট। আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড তার মিশনে নেমে পড়তেই সব কিছু জট পাকাতে শুরু করে। বিশাল এক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যায় সে। এ দিকে দৃশ্যপটে আর্বিভূত হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। তাদের দু’জনের লক্ষ্য একেবারেই ভিন্ন। ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতি আর অন্ধকার জগতের উপাখ্যান। নেমেসিস-এর পর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আরেকটি রেসিংকার গাতির অনবদ্য থৃলার। ইতিমধ্যেই পাঠক প্রশংসায় ধন্য এই উপন্যাসটি।
এই যে, আপনি ভূত-প্রেত-পিশাচে বিশ্বাস করেন? তা হলে এ বইটি আপনার জন্য। আর আপনি? অশরীরী বিষয়ে বিশ্বাস নেই বুঝি? তা হলেও এ বইটি আপনার জন্য। কারণ…কারণটি গল্পগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন । তবে ভূতে বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, দয়া করে মধ্যরাতে, একাকী ঘরে বইটি পড়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমার সাবধানবাণী কানে তুললেন না তো? বেশ, এবারে দেখুন কী হয়…
ধূসর আতঙ্ক অনীশ দাস অপু সম্পাদিত এক ডজন গল্প নিয়ে প্রকাশিত হলো এবারের হরর সংকলন। এ বই শুধু তাঁদের জন্য যাঁরা ভয় পেতে ভালবাসেন। গ্যারান্টি-বিচিত্র এবং ভিন্ন স্বাদের গল্পগুলো পড়ার সময় ভয়-আতঙ্ক আর বিস্ময় আপনাকে ঘিরে থাকবে। ভ্যাম্পায়ার সম্পাদক প্রায় সম্পূর্ণ মৌলিক একটি পিশাচ কাহিনী সংকলন উপহার দিচ্ছেন পাঠকদেরকে। দেশি পটভূমিকায় রচিত গল্পগুলো আপনার ভাল লাগবেই! উত্তেজনা, ভয় আর শঙ্কা এমনভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে বই শেষ না করে উঠতেই পারবেন না!!
রহস্যের মানে কী? কী মানে অলৌকিকতার? এ জগতের অসীম মায়াজাল কেউ কি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছে? আমাদের চারদিকের যে চেনাজানা জীবন তার ফাঁকেই হয়তো ছড়িয়ে আছে সেই মায়াজাল এবং লুকিয়ে আছে রহস্যময়তায় ঘেরা অলৌকিকতা। এই অলৌকিকতার কিছু দিক উঠে এসেছে ‘গুহামানবী’ বইটিতে। যে পাঠক অতিপ্রাকৃত কাহিনি ভালবাসেন তার জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য। চলুন, পাঠক, আমাদের ব্যস্ত জীবনের অবসরে হারিয়ে যাই অন্যরকম এক অতীন্দ্রিয় জগতে । আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।
শাঁখিনী অনীশ দাস অপু সম্পাদিত অনবদ্য এক হরর সংকলন শাঁখিনী। এক কুড়ি দেশি-বিদেশি হরর, পিশাচ ও রোমাঞ্চ গল্প নিয়ে এবারের নৈবেদ্য। যথারীতি প্রতিটি গল্পই পাঠকদেরকে করে তুলবে চমকিত, শিহরিত ও রোমাঞ্চিত! নিশিডাকিনী তৌফির হাসান উর রাকিব সম্পাদিত দৃষ্টির অগোচরে থাকা অতিপ্রাকৃত জগতের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই আমাদের। কী লুকিয়ে আছে ওখানে? কারা লুকিয়ে আছে? অধুনা হরর সাহিত্য মাতানো জনপ্রিয় সব লেখকদের নিখাদ মৌলিক গল্পগুলো একবার পড়তে শুরু করলে ঘড়ির কাঁটার অস্তিত্ব ভুলে যেতে বাধ্য হবেন আপনি। যাঁরা অতিলৌকিক কাহিনী ভালবাসেন, তাদের জন্য “নিশিডাকিনী’-র ডাক উপেক্ষা করা এক কথায় অসম্ভব!
"হ্যানিবাল" বইটিতে লেখা শেষের কথা: সাত বছর আগে মানসিক বিকারগ্রস্ত খুনিদের বন্দিশালা থেকে পালিয়েছিল ডক্টর হ্যানিবাল লেকটার। এত বছর পরও এজেন্ট ক্লারিস স্টারলিং ডক্টরকে ধরতে বদ্ধপরিকর, কিন্তু তার চেয়েও বেশি মরিয়া আরেকজন মানুষ!-লেকটারকে সে খুঁজে বের করে কঠিনতম শাস্তি দিতে চায়। কিন্তু কেন? এদিকে ইতালিয়ান পুলিশের এক দুনীর্তিগ্রস্ত কর্মকর্তাও মােটা অঙ্কের পুরস্কারের লােভে যােগ দেয় সেই ক্ষমতাবান মানুষটির সাথে। শুরু হয় মানুষ শিকারের এক প্রতিযােগিতা-তিনজনের তিন উদ্দেশ্য কিন্তু শিকার একজনই-ডক্টর হ্যানিবাল লেকটার! রেড ডাগন এবং দ্য সাইলেন্স অব দি ল্যাম্বস্-এর পর হ্যানিবাল পাঠককে আবারাে নিয়ে যাবে ডক্টর লেকটারের সেই কুহেলিকাপূর্ণ ভীতিকর আর গা শিউরে ওঠার দুনিয়ায়। ‘অপ্রতিরােধ্য, সিনেমাটিক...একদম শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চমক ধরে রাখা... প্রত্যেকটি সূত্র, প্রত্যেকটি বিবরণের স্বাদ পাওয়া যায়।'
হাতকাটা তান্ত্রিকের কথা মনে আছে তা? তার নিতল সাদা চোখে ঠিক কী ছিল? শিকারের নেশা, নাকি অন্য কিছু? নিশি মিয়ার সেই পিপাসার্ত আংটিটার আদৌ কি কোন অস্তিত্ব আছে? এসবের সঙ্গে জটা পাগল ও জিনের বাদশারই বা কী সম্পর্ক? কেনই বা ছায়াশরীর নিয়ে হরর ক্লাবে আগমন ঘটেছিল পঞ্চবক্র তান্ত্রিকের? আর কেনই বা ঘটেছিল বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন? ওরা এই আছে তো এই নেই; তাই না?এ জাতীয় সমস্ত প্রশ্নের জবাব নিয়েই আপনাদের দরবারে হাজির হলো-“হাতকাটা তান্ত্রিক।
অতিপ্রাকৃত জগতে রহস্যের কোন শেষ নেই। আর এই অপার সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণও তাই দুর্দমনীয়। তন্ত্র-মন্ত্র… ভূত-প্রেত… নরখাদক… পিশাচ… তান্ত্রিক-কাপালিক… কালো জাদু… কী নেই এখানে? পর্দার আড়ালের এ-সমস্ত কুশীলবদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন-অন্ধকারের গল্প।
ন্যাংটো-নাচ দেখিয়ে বেড়াত মেয়েটা। কীসে রক্তশূন্য করে দিয়েছে ওকে? শত বর্ষের পুরানো সড়কে কেন এত মৃত্যুর মিছিল? এ কোন অভিশাপ উঠে এসেছে আদিম লেকের গভীর থেকে? তবে কি ইনডিয়ানদের কথাই সত্যি—জেগে উঠেছে কিংবদন্তির নররাক্ষস? দিনেদুপুরে নেকড়েমানব দেখতে পাচ্ছে। বিপথগামী এক দল তরুণ-তরুণী-শুনতে কেমন লাগে না? শেকসপিয়র ঠিকই বলেছেন: দেয়ার আর মোৱ থিংস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ।
"থ্রি: টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
ভৌতিক হাত এবারেও দুই ডজন ভৌতিক গল্পের ডালি সাজিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছেন অনীশ দাস অপু মৌলিক পিশাচ কাহিনির ভক্তদের খুবই ভাল লাগবে ‘ভৌতিক হাত’। আর অনুবাদ গল্পগুলোও যে পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে তুলবে সে গ্যারান্টি স্বয়ং সম্পাদকের। তিনি বলছেন, আমি এ বইয়ের প্রায় প্রতিটি গল্প পড়েই চমকিত ও শিহরিত হয়েছি। আমার বিশ্বাস, চমৎকার একটি পিশাচ কাহিনি সংকলন হিসেবে পাঠকপ্রিয়তা পাবে “ভৌতিক হাত”। তবে বইয়ের ভাল-মন্দের শেষ বিচারটা আপনাদের হাতেই রইল, পাঠক হাকিনী হাকিনীরা খুব নিচু স্তরের পিশাচ। এদের বুদ্ধিবৃত্তি পশু শ্রেণীর হলেও ক্ষমতা প্রচণ্ড। এদেরকে ডেথ এঞ্জেল ও বলা যায়। ডেকে এনে যার মৃত্যু চাওয়া হয় তাকে একবার চিনিয়ে দিলেই হলো। বাকি কাজ তাদের। তবে সমস্যা হলো, যার জন্য ডাকা তাকে মারতে না পারলে যে ডেকেছে তাকেই মেরে ফেলবে হাকিনী। এত কিছু জেনেও মন্ময় চৌধুরীর সাহায্যে হাকিনী জাগানোর সাধনায় বসল সঞ্জয়… প্রিয় পাঠক, হাকিনীর মত আরও বেশ কিছু রক্ত হিম করা হরর ও পিশাচ কাহিনি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ সংকলন। অনীশ দাস অপু সম্পাদিত হরর সংকলন আপনি পছন্দ করেন কারণ, তাঁর বইয়ের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে ভয় ও রোমাঞ্চ। এই বইটিও আশা করি আপনাদেরকে হতাশ করবে না।
‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
বারবাডোজের এক পাতালকুঠুরীতে ঘটছে রহস্যময় কাণ্ড-কারখানা। কফিনগুলো ছুঁড়ে ফেলছে কেউ? প্রবেশদ্বার সিল করে দিয়েও লাভ হচ্ছে না? পেছন ফিরতেই চমকে উঠল নাবিক। পৈশাচিক একটা মুখ। ওটা জাহাজে উঠল কীভাবে? …তিব্বতের এক গুম্ফায় রত্নচুরির লোভে ঢুকল এক অভিযাত্রী। তবে তার জানা ছিল না গুম্ফার প্রধান লামা অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী। তারপর…। হইয়া বাচিয়ু কি অভিশপ্ত এক অরণ্য? অস্ট্রেলিয়ার মণ্টিক্রিস্টো নামের ওই বাড়িটা কি ভূতের আড্ডাখানা? ডেভনের ভয়াল কালো কুকুর কি কিংবদন্তি না সত্যিই আছে! নকল দাঁতের পাটিটা যার কাছেই যায় এমন ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখে কেন? পাঠক, সত্য হরর কাহিনীর জগতে স্বাগতম।
"থৃলার গল্প সংকলন-২" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে দেশে সাহিত্যের বিকাশ এবং এর বিভিন্ন শাখার জনপ্রিয়তা নির্ভর করে সে-দেশের লেখকদের লেখার পরিধি এবং পাঠকের রুচি ও চাহিদার ওপরে। সে-হিসেবে বর্তমান বিশ্বসাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় শাখা ‘থৃলার’ আমাদের দেশের পাঠকদের কাছে এখন শুধুমাত্র ‘গােয়েন্দা গল্প’ কিংবা ‘বাচ্চাদের বই’-এর খােলস ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। দেশীয় মৌলিক থৃলার-উপন্যাস এবং বিদেশী অনুবাদ-থৃলারের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আমাদের দেশের পাঠকেরা ইতিমধ্যেই উচ্চমানের থৃলারের স্বাদ বেশ ভালােভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এই জনপ্রিয়তার ধারা অক্ষুন্ন রাখতে এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটে মৌলিক থৃলার-লেখক তৈরির প্রয়াসে গতবছর একুশে বইমেলায় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘থৃলার গল্প সংকলন'। বিদেশি লেখকদের অনুবাদ গল্পের পাশাপাশি তাতে সংযােজন করা হয় দেশীয় লেখকদের মৌলিক থৃলার-গল্প। ‘থৃলার গল্প সংকলন’-এর পাঠকপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশিত হলাে ‘থৃলার গল্প সংকলন-২'। এবারের সংকলনে মূলত দেশীয় লেখকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, সেই সাথে সংযােজন করা হয়েছে কিছু ক্লাসিক-থৃলারের অনুবাদ। বিদেশী এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটের গল্পগুলাে পাঠকদের ভালাে লাগবে।
"থৃলার গল্পসঙ্কলন-৩" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে ভাষার সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলাে সেই ভাষার সাহিত্যের বিভিন্ন ধারাকে সমৃদ্ধ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলা সাহিত্যে থৃলার। ছােটগল্পের পরিসর বৃদ্ধি এবং মান। উন্নত করার উদ্দেশ্যে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত। হয়েছে ‘থৃলার গল্পসঙ্কলন’ ও ‘থৃলার। গল্পসঙ্কলন ২। বাংলা সাহিত্যে বিশ্বমানের থৃলার গল্পের ক্ষেত্র বৃদ্ধির সাথে সাথে এই গল্পসঙ্কলনের অন্যতম। আরেকটি উদ্দেশ্য ছিলাে নতুন। মৌলিক থৃলার লেখক সৃষ্টি করা। প্রথমটির সাথে সাথে থৃলার গল্পসঙ্কলন তার দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিও বেশ চমৎকারভাবেই পূরণ করে চলেছে বলা যেতে পারে। কারণ থৃলার সঙ্কলনের গল্প লেখকদের অনেকেই ইতিমধ্যে মৌলিক থৃলার উপন্যাস লেখক হিসেবে পাঠক সমাদৃত। প্রথম এবং দ্বিতীয় সঙ্কলনের সার্বিক সাফল্যকে ধারণ করে আরাে বড় পরিসরে এবার প্রকাশিত হচ্ছে ‘থৃলার গল্প সংকলন-৩’। যথারীতি সঙ্কলনের সমন্বয় করা হয়েছে একদল নতুন এবং পুরনাে লেখকদের গল্প প্রতিবারের মতাে এবারও ‘থৃলার গল্প সঙ্কলন-৩' এ বিদেশি বিখ্যাত লেখকদের গল্পের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে দেশি প্রেক্ষাপটে লেখা দেশীয় মৌলিক থৃলার গল্প, গল্পের মান এবং লেখনি শক্তিতে যা কোনাে অংশেই বিদেশী প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়ে কম নয়।
দ্য দা ভিঞ্চি কোড - জ্ঞানগর্ভ ডিটেকটিভ থ্রিলার এবং হলি গ্র্যাইল আর খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে মেরি ম্যাডালিনের অবস্থান: দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সত্যটি জনাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন ক’রে। সত্যটি লালন ক’রে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ব্যক্তি। ওদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর ক’রে দেয় আর ঘটনাচক্রে এরকম একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়ে হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর। পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।
গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা শেষ হতে না হতেই বোস্টন শহরে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকাণ্ড-অভিনব আর বীভৎসভাবে হত্যা করা হয় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে। ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবগুলো হত্যাকাণ্ডই মহাকবি দান্তের ইনফার্নো’র অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। মারাত্মক এক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় দান্তের সাহিত্যকর্ম। এ দিকে হারভার্ড কেন্দ্রিক দান্তে ক্লাবের কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিখ্যাত কবি লংফেলো এই রহস্যের জট খুলতে নেমে পড়েন এক অভিযানেÑকে খুন করছে, আর কেনই বা করছে, সেই প্রশ্নের জবাব পাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা।
দ্য লস্ট সিম্বল - উপন্যাসের আচার-অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক তথ্য, শিল্পকম এবং মনুমেন্ট বাস্তব এবং সত্য: দা ভিঞ্চি কোড-এর পরবর্তী সিকুয়েল দ্য লস্ট সিম্বল, সারা বিশ্বের সারা জাগানো লেখক ড্যান ব্রাউন, ব্রাউনীয় লেখনীতে যিনি বিশ্বের কাছে এনে দিয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় বেস্টসেলার কিছু বই। সাধারণত বিভিন্ন গুপ্ত সংস্থার রহস্যময় ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েই গল্পের আবয় তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে) এ ছিলো। বাংলা অনুবাদের দিক দিয়ে বেশ ভালো একটা অনুবাদ বই, লেখনীর ধারা অনুবাদক ঠিক মত রাখতে পেরেছেন। বইটিতে সিক্রেট সোসাইটি ফৃম্যাসন্দের হাজার হাজার বছর ধরে লুকায়িত রাখা সিক্রেটকে আবিষ্কার করা নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হয়। বরাবরের মত মুল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডন, যার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে নারী চরিত্র নোয়েটিক সায়েন্স এর গবেষক ক্যাথরিন সলোমন সাথে গুপ্ত সংস্থাটির মুল তাঁর ভাই পিটার সলোমন এবং বইটির সেরা চরিত্র ভিলেন জাগারি সলোমন (মালাখ)। লেখকের ভাষ্যমতে বইয়ে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান, স্থান সব সত্য ফলে বইটির পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে, সাথে সাসপেন্স বা টুইস্ট এর আছে বিশাল সংগ্রহ। আসলেই কি সেই লুকায়িত তথ্য কি উদ্ধার করা গিয়েছে? ভ্রাতৃসংঘটি কি আসলেই এখনো টিকে আছে? নোয়েটিক সায়েন্স কি আসলেই আমাদের কে আত্মার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে? জানতে হলে এখনই পড়তে হবে বইটি।
“নেমেসিস”বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সিটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর। ওদিকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেলো অন্য একজনের কাছে। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী...তারপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারলো তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর আলোচিত এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।