বনের ভেতর থেকে এমিলি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে উদ্ধার করল অয়ন, জিমি আর রিয়া। ওকে নাকি ড্রাগন আক্রমণ করেছিল। এমিলির মা বললেন, তাঁর মেয়ে বড্ড কল্পনাবিলাসী। ওর জগৎ্টা রাজকন্যা-রাজপুত্র, দত্যি-দানো, পরী-জাদুকর আর রূপকথার সব প্রাণী দিয়ে ভরা। তা-ই যদি হবে, এমিলিকে আক্রমণ করল কে? অদ্ভুতদর্শন এক পাখি নিয়ে কে ঘুরে বেড়াচ্ছে উপত্যকায়? অলোকদর্শী অ্যালথিয়াই বা অমঙ্গলের আশঙ্কা করছে কেন? কেনই বা হামলা আসছে অয়ন-জিমি-রিয়ার ওপর… বার বার? রহস্যের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে গোয়েন্দারা। শেষে বুঝল, এই রহস্যের সমাধান করতে চাইলে এমিলির চোখ দিয়ে দুনিয়াটা দেখতে হবে ওদের। উকি দিতে হবে রূপকথার জগতে।
পুরনো মালের দোকান থেকে প্রাচীন এক ড্রাগনের মূর্তি কেনাটাই যেন কাল হলো আপটন ওয়েলসফোর্ডের জন্য। অশরীরী এক ডাক ভেসে আসছে ওটার মাঝ থেকে- ওকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে সুদূর ট্রানসিলভ্যানিয়ায়… বোর্গো গিরিপথের পাশে এক দুর্গম দুর্গ হাজার চেষ্টা করেও এড়ানো গেল না সে-আহ্বান, রূপসী এক তরুণীকে বাঁচাবার জন্য ওকে বেরোতেই হলো রূদ্ধশ্বাস অভিযানে। কিন্তু কী দেখবে আপটন ওখানে গিয়ে? ড্রাকুলার প্রতিহিংসা থেকে কীভাবেই বা বাঁচাবে মেয়েটিকে? পিটার ট্রিমেনের কলম থেকে আরেকটি ড্রাকুলা-কাহিনী ভয়াল আতঙ্কের এক নতুন অধ্যায়।
…জেদি যুবক জিম ও’কনর। প্রেমিকার পিতার ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণের জন্যে ভেড়ার পাল নিয়ে রওনা হলো পশ্চিমে । বিরূপ প্রকৃতি আর কিছু শত্রুভাবাপন্ন মানুষ বাধা হয়ে দাঁড়াল ওর পথে। শুরু হলো অসম লড়াই। …নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধানে সল্ট লেকের ভয়ঙ্কর মরুভূমিতে নেমেছে একাকী এক মেয়ে। কে তার শত্ৰু, কে তার বন্ধু, কিছুই বুঝবার উপায় নেই। গাইড হিসেবে যাকে ভাড়া করেছে, তাকেই বা কতটুকু বিশ্বাস করা যায়? …স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিতে চলেছে ভিয়ান অ্যানরিল, মুখোমুখি হতে চলেছে খুনিদের। জানে, ফিরতে পারবে না। কিন্তু ও মারা গেলে কোথায় ঠিকানা হবে ওর অবুঝ সন্তানের? …সন্দেহ নেই, আউট-ল বিগ বিলিকে বন্দুকের লড়াইয়ে অনায়াসে হারাতে পারবে রেঞ্জার জেফ লোগান। সমস্যা হলো, বন্দুক নয়, খালি হাতে ওকে নামতে হচ্ছে বিশালদেহী দানবটির বিপক্ষে। নানা স্বাদের চমৎকার নটি কাহিনী। পশ্চিমের কঠিন জীবনের প্রাঞ্জল প্রতিচ্ছবি।
বিশ্ববিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড শুক সমুদ্রযাত্রায় গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ল তিন ইংরেজ বন্ধু। জাহাজডুবির পর ভাসতে ভাসতে গিয়ে উঠল নরখাদকে ভরা এক রহস্যময় দ্বীপে। বিপদের শেষ সেখানেই নয়, কারণ দ্বীপের মাঝে এক গুহাতে রয়েছে অদ্ভুত এক সমাধি, আর সেখানে কাচের কফিনে শুয়ে আড়াই লক্ষ বছর ধরে ঘুমাচ্ছেন প্রাচীন এক রাজা ও তাঁর অপরূপা মেয়ে! ওদেরকে হতভম্ব করে দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন তাঁরা। একজন খেপে উঠলেন পৃথিবীকে ধ্বংস করার নেশায়, অন্যজন বাড়িয়ে দিল ভালবাসার হাত। প্রেম আর প্রতিহিংসার দোলাচলে কেঁপে উঠল ধরণী।
এরিক মারিয়া রেমার্ক-এর কোথায় স্বর্গ রূপান্তর: ইসমাইল আরমান গল্পটা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের। যে-বয়সে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভেসে যাবার কথা, সে-বয়সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দেশ থেকে বিতাড়িত হলো লুদভিগ কার্ন। পরিণত হলো নাগরিকত্বহীন এক ভাসমান রিফিউজিতে, ইয়োরোপের কোনও দেশে যাদের ঠাঁই নেই। শুরু হলো ওর পলায়নপর ভাসমান জীবন। একে একে বন্ধু জুটল, শত্রু জুটল, আর এল প্রেম। নিজ চোখে মানুষের শঠতা আর নিষ্ঠুরতা দেখল ও, একই সঙ্গে দেখল নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সহযোগিতার দৃষ্টান্তও। ধীরে ধীরে বুঝল কার্ন, জীবন কখনও থেমে থাকে না, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকে মানুষ যুদ্ধ করে। মাটির পৃথিবীতেই তারা গড়ে নেয় স্বর্গ।