হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর নাডা দ্য লিলি রূপান্তর: ইসমাইল আরমান পাঠক, চলুন আপনাদের নিয়ে যাই অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার অভ্যন্তরে, পরিচয় করিয়ে দিই বৃদ্ধ এক জুলু ওঝার সঙ্গে। তার নাম যুয়িটি। অদ্ভুত এক গল্প শোনাবে সে আমাদের। পদ্মকুমারী নাডা আর কাঠঠোকরা আস্লোপোগাসের গল্প। জলু জাতির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আর দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধার অসামান্য প্রেম-কাহিনী। কিন্তু এ-প্রেমের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নৃশংসতা; রয়েছে রক্তের উৎসব আর মৃত্যুর মিছিল। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে আপনার বুকে, প্রেম আর প্রতিহিংসায় হবেন উদ্বেলিত। হাসি, কান্না, আনন্দ, উত্তেজনা… কী নেই সেই কাহিনীতে? তা হলে আর দেরি কেন, চলুন বসে পড়ি যুয়িটিকে ঘিরে। শুনি সেই অত্যাশ্চার্য কাহিনী।
পাঠক, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অ্যাডভেঞ্চারের ভুবনে আরেকবার আপনাকে স্বাগতম। চলুন, ভাগ্যাহত যুবক লিওনার্ড অট্রাম আর অনিন্দ্যসুন্দরী জুয়ানা রডের সঙ্গে বেড়িয়ে পরা যাক অভিযানে। হারানো একটা সভ্যতা খুঁজে বেড়াচ্ছে ওরা অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার বুকে। ওখানে কুয়াশা মানব বলে রহস্যময় একদল মানুষ বাস করে। অবিশ্বাস্য এক রত্নভান্ডার আছে ওদের কাছে ; আর সেটা পেতে হলে পাড়ি দিতে হবে হাজারো বিপদ, লড়তে হবে দৈত্যাকার এক কুমির দেবতার সঙ্গে, বেঁচে ফিরতে হবে নরবলির হাত থেকে, ছিন্ন করতে হবে রাজা আর পুরোহিতের মধ্যকার ষড়যন্ত্রের জাল…তারপর? পালাতে হবে প্রাণ হাতে নিয়ে! যদি রাজি থাকেন তবে সঙ্গী হন ওদের !হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই এটি। পড়লে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।
আটলাণ্টিক মহাসাগরের গহীন তলদেশে, যেখানে কোনও মানুষের পা পড়েনি, সেখানেই যাবার পরিকল্পনা করেছেন পাগলাটে বিজ্ঞানী ড. ম্যারাকট। কাঁচ আর ইস্পাত দিয়ে তৈরি এক অদ্ভুতদর্শন খাঁচায় চেপে, দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে সত্যি সত্যি নামলেন সাগরে। এরপরেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। অচেনা এক দানবের হামলায় ছিঁড়ে গেল দড়ি, অতল এক খাদের ভেতর পড়ে গেল খাঁচাটা। কিন্তু মরলেন না তাঁরা। কারণ, নিচে রয়েছে অদ্ভুত এক পাতালরাজ্য। জলচর মানুষ আছে ওখানে, আছে রূপসী রাজকন্যা, …আর ভয়ঙ্কর এক অশুভ শক্তি। রাজ্যটার নাম? আটলাণ্টিস!
রূপসী বন্দিনী প্রায় চল্লিশ বছর বয়সী এক প্রবীণ যোদ্ধাকে দায়িত্ব দিলেন ফ্রান্সের রানি: দোফিনির সুরক্ষিত দুর্গ কোন্দিয়াক থেকে উদ্ধার করে আনতে হবে রূপসী এক তরুণী বন্দিনীকে। মহাবিপদেই পড়েছে মসিয়ো গাখনাশ। একটা মেয়েকে উদ্ধার করে আনতে চলেছে ও ভয়ঙ্কর এক নিষ্ঠুর, লোভী মহিলার কবল থেকে; অপর একজন মহিলার আদেশে! ও যদি এখন সব গুবলেট করে ফেলে, দোষটা কী ওর? আ স্টাডি ইন স্কারলেট নির্জন, খালি একটা বাড়িতে পাওয়া গেল লাশ। চারপাশে ছড়ানো ফোঁটা ফোটা রক্ত, আর রক্তে লেখা অদ্ভুত একটা শব্দ ছাড়া আর কোনও সূত্র নেই। দিশেহারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাধ্য হলো দুঁদে এক গোয়েন্দার সাহায্য নিতে তার নাম শার্লক হোমস! বিশ্ববিখ্যাত এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা প্রথম উপন্যাস। ধরলে ছাড়ার উপায় নেই। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান কেনেথ এণ্ডারসনের জীবনের কয়েকটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি নিয়ে এই সংকলনগ্রন্থ। ‘নিঃসঙ্গ আততায়ী’ আর ‘বিষাক্ত থাবা’তে পাবেন চিরচেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী এন্ডারসন। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান’ পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময়, আধিভৌতিক এক জগতের সঙ্গে। ভিন্ন স্বাদের দুই কাহিনি ‘ভোগান্তি’ এবং ‘নারী শিকারী ও নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে বৈচিত্র্যপিয়াসী পাঠকমনকে।
সতেরো শতকের ফ্রান্স। চারদিকে বিপ্লবের ঘনঘটা। এমনই এক সময়ে বন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেল গ্যাব্রিয়েল গ্রামের সাধারণ যুবক আন্দ্রে-লুই। ফেঁসে গেল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে, হুলিয়া জারি করা হলো ওর নামে। ধরা পড়লেই ঝুলতে হবে ফাঁসিতে। পালাল আন্দ্রে-লুই। টের পেল, এ-অবস্থায় বেঁচে থাকার উপায় একটাই—ছদ্মপরিচয় নেয়া। আর তাই জন্ম নিল স্কারামুশ বিপ্লবী, বিদূষক, প্রেমিক, তলোয়ারবাজ… বহুরূপী এক মহানায়ক। হাতছানি দিয়ে ডাকছে ও আমাদের। চলুন, পাঠক, কালজয়ী এ-নায়কের সঙ্গী হয়ে চলে যাই ফরাসি বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জার্মান বাহিনী মেতে উঠেছে লুণ্ঠন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে ইয়োরোপ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শরণার্থীরা। কিন্তু পালাবার বেশিরভাগ পথই রুদ্ধ; যদিও বা কোনও রাস্তা মেলে, তার মূল্য চড়া। এমনই এক অবস্থায়, পর্তুগালের লিসবনে, অসহায় এক শরণার্থী সামনে হঠাৎ উদয় হলো এক আগন্তুক আমেরিকায় যাবার টিকেট আর একটা গল্প নিয়ে। গল্পটা সাহসিকতা ও নৃশংসতার… প্রেম ও বেদনার। রাতভর চলতে থাকা সেই গল্পে ফুটে উঠবে যুদ্ধের ভয়াবহতা, ত্যাগের মহিমা আর অদম্য সংগ্রামের এক অসামান্য প্রতিচ্ছবি। পাঠক, চলুন না, আমরাও শুনি সেই গল্প।