ইউ আর আ ব্যাডঅ্যাস (হার্ডকভার) - হাউ টু স্টপ ডাউটিং ইয়োর গ্রেটনেস অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং অ্যান অসাম লাইফ: কোনো সহায় সম্বল কিংবা কোনো উপায় থাকলেও তুমি শূন্য থেকেই শুরু করো। পথ একটা হয়েই যাবে। (রেভারেন্ড মাইকেল বের্নার্ড : মাদকাসক্ত থেকে) এসব হয়তো খুব সুন্দর কথা। তবে এসব আপ্তবাক্য, উদ্ধৃতি কিংবা মহাজন বাণীর কোনো মূল্য আমার কাছে কখনোই ছিল না। এধরনের কথাবার্তাকে স্রেফ আবর্জনা মনে হতো। এসব কথাবার্তা দিয়ে আসলে কোন ঘোড়ার ডিমটা বোঝানো হতো, তাও বুঝতে পারতাম না। তবে এর মানে এই নয় যে, আমি এসব কথা শুনে বিরক্ত হতাম। আসলে এসব কথাকে পাত্তাই দিতাম না আমি। আমার মনে কোনোই ভাবান্তর হতো না। নিজেকে নিজে সাহায্য করা/আধ্যাত্মিক জগৎ এসব সম্পর্কে আমার জ্ঞান ছিল শোচনীয়ভাবে কম। মনে হতো নৈরাশ্যবাদী আর হতাশাগ্রস্ত লোকেরাই এসব বিশ্বাস করে। তারা গির্জায় গিয়ে ধরনা দেয়। ভক্তির আতিশয্যে মাত্রাজ্ঞান হারায়। কিন্তু একজন অপরিচিত লোক আপনাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরলে আপনি যেরকম অস্বস্তিকর অনুভূতিতে আক্রান্ত হতে পারেন, এসব কিছু আমার কাছে সেরকমই মনে হতো। ঈশ্বর নিয়েও আমার তেমন কোনো চিন্তা বা মাথাব্যথা ছিল না। একই সঙ্গে আমি যেভাবে আছি সেটাও ভাল লাগত না। আমি চাইতাম জীবনে পরিবর্তন আসুক। মনে হতো, চারপাশের ভণ্ডামি কিংবা ন্যাকামিগুলোর মূলোচ্ছেদ করতে পারলে সে পরিবর্তনটা হয়তো আসবে। আমি এমনিতে কিছু ভাল কাজ করতে পেরেছি। আমার কিছু প্রকাশিত বই আছে, ভাল কিছু বন্ধু আছে, একটা নিবিড় পরিবার আছে। আমি একটা ভাল অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াই। শক্ত দাঁতে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে স্বাদ অনুভব করার ভাল খাবার খাই। পরার জন্য ভাল পোশাক আশাক আছে এবং বিশুদ্ধ পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারি। এ গ্রহের সিংহভাগ মানুষের চেয়ে ভাল অবস্থায় জীবন যাপন করি আমি। আসলে আমার জীবনটা মাখনের মতো স্বচ্ছ আর নরম।
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং - দ্য ক্লাসিক ট্রিবিউট টু হোপ ফ্রম দ্য হলোকস্ট: এই বইটিতে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষাধিক বন্দীর অসংখ্যবার সম্মুখীন হয়ে আসা পরিস্থিতির আখ্যান। একজন ভুক্তভোগীর লেখনীতে, তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, বন্দীশিবিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিবরণী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শিবির সংক্রান্ত যে ধরনের ত্রাসের কথা আগেও অনেকবার বিভিন্ন রচনায় উঠে এসেছে, তা এখানে বলা হয়নি; বরং প্রতিদিনের অসংখ্য তুচ্ছ পীড়নের প্রেক্ষাপটে এই লেখা। অর্থাৎ এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।
দুই মেরুর দুই নদী ও দেশ এই গ্রন্থকে ঋদ্ধ করেছে। বস্তুত নিউইয়র্ক নগরে বসবাসরত বাঙ্গালির যাপিত জীবন, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি এ গ্রন্থের পাতায় পাতায় স্থান করে নিয়েছে। দুই নদীর তীরে গড়ে ওঠা দুই সভ্যতার আলোকে জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সন্তোষ-অসন্তোষ নিয়ে পথচলা অন্তহীন পথিকের জীবন ভাষ্য 'ইছামতি থেকে ইস্ট রিভার' ।
এ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে বিচিত্র বিষয়ে লেখকের উপলব্ধ অভিজ্ঞতা। তাঁর প্রজ্ঞা ও মনীষা সে অভিজ্ঞতাকে ঋদ্ধ করেছে জ্ঞান, তথ্য ও তত্ত্বে। গদ্যকার নির্মোহ ও নৈর্ব্যক্তিক থেকে তন্ময় ও মন্ময়ধর্মী প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। যার মধ্যে লেখক-মানস অনুপস্থিত থাকেনি। এখানে সমকালের সঙ্গে অতীত অর্চনাও করেছেন তিনি। ফলে মুক্তগদ্যের এই পরম্পরায় পাঠক আত্মবোধে সঞ্চালিত হবে-এমন প্রত্যাশা অসংগত নয়।
মহান ভাষা আন্দোলনের উত্তাল মিছিলে নিজে আহত হয়েও অমর শহিদ আবুল বরকতের লাশ দেখতে গিয়েছিলেন ঢাকা কলেজের তরুণ ছাত্র আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। আর সেই লাশ দেখেই আবেগ-তাড়িত হয়ে লিখেছিলেন একটি কবিতা, পরের বছরই প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ভাষা-সৈনিক আবদুল লতিফ তার সেই কবিতা সুরারোপ করে একটি সংগীতানুষ্ঠানে গেয়েছিলেন। সেই গানে পরে মুক্তিযুদ্ধে অমর শহিদ, সংগীতজ্ঞ আলতাফ মাহমুদও সুরারোপ করেন। এই গান দেশের সীমানা ডিঙিয়েছে অনেক আগেই, যেখানে বাঙালি সেখানেই এই গান : 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি।' জনপ্রিয় কথাশিল্পী আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত কলামিস্ট। ভাষা-সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শব্দ- সৈনিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কবিতা রচনায় ইতি টানেননি কখনোই। বর্ণাঢ্য জীবনের আবেগ-অনুভূতি এবং স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের কথাটিও রাষ্ট্র করেছেন কবিতায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য 'সময়ের ঘড়ি' তাঁর প্রথম কবিতার বই।
ইউক্রেনের মাটিতে মুখােমুখি হয়েছে আমেরিকা আর রাশিয়া-তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলাে বলে। সেই তপ্ত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রয় নিলাে বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত এক সিআইএ এজেন্ট, সাথে করে নিয়ে এসেছে দুনিয়া কাঁপানাে এক বিস্ফোরক তথ্য। পরিস্থিতি আরাে ঘােলাটে হয়ে উঠলাে যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে আর দেশসেরা স্পাই বাজিকর আহাদসহ ইউক্রেনের আকাশ থেকে হাইজ্যাক করা হলাে একটি যাত্রিবাহী বিমান। জিম্মি উদ্ধারে বাছাই করা ছ’জন এসপিওনাজ এজেন্টকে পাঠানাে হলাে বটে, কিন্তু ইউক্রেনের মাটিতে পা দিতেই বাঁধলাে বিপত্তি। গােটা মিশনের দায়িত্ব এসে পড়ে দলের সর্বকনিষ্ঠ এজেন্ট আহাদের ওপরে-যার শৈশব কৈশাের কেটেছে এতিমখানায়, ফুটপাতে, যার ট্রেনিং এখনাে শেষই হয়নি। শত্রুভূমিতে একা একা কতটুকু করতে পারবে আহাদ? অনেকগুলাে প্রশ্নের উত্তর বের করতে হবে তাকে-প্লেনটা হাইজ্যাক করেছে কে? শত্রুসেনার দলপতির গ্যাসমাঙ্কের আড়ালে কার মুখ? পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন মহাশক্তিধর গােপন সংস্থা? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্নওর মিশনের আসল উদ্দেশ্য কি? সত্যিই কি জিম্মি উদ্ধার মিশনে পাঠানাে হয়েছে ওকে, নাকি এই মিশনের লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু? প্রথম উপন্যাস শ্বাপদ সনের সাফল্যের পর একেবারে ভিন্ন আর টান টান উত্তেজনার একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন নাবিল মুহতাসিম।
গোয়েন্দা নেই এ গল্পে, তবে রহস্য আছে। খুন আছে, তবে খুনি অজানা। আছে অনেকগুলো চরিত্র, কিন্তু তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন কে? বইমেলার বাইরে ঘটে গেলো নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। জনপ্রিয় লেখকের মৃত্যুতে কেঁপে উঠলো সারাদেশ। নানাজন দিতে শুরু করলো নানা মত, কিন্তু আসল মোটিভ কেউ বুঝতে পারছে না। নিজের অজান্তেই এই রহস্যে জড়িয়ে যায় আরেক তরুণ লেখক। লেখকচক্রের জটিল জগতের পুরনো বাসিন্দা সে, কিন্তু হারিয়ে যেতে থাকে বিপজ্জনক সব নতুন অনুসন্ধানে। ধীরে ধীরে তার সামনে স্পষ্ট হয় নিষ্ঠুরতার অবয়ব। তানজীম রহমান-এর চতুর্থ উপন্যাস অবয়ব আপনাকে নিয়ে যাবে আধুনিক থৃলার সাহিত্যিকদের অদেখা পৃথিবীতে। লেখক রাহাতের সাথে এই যাত্রায় উন্মোচিত হবে গোপন সব তথ্য, খুলে পড়বে মুখোশ, বদলে যাবে অনেক ধারণা। আর বইয়ের পাতায় আপনি খুঁজে পাবেন অন্যরকম এক রহস্যোপন্যাস।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর কিজিলকে হয়তাে আপনারা কেউ কেউ চিনে থাকবেন, লােকটার বিচিত্র আবিষ্কারের নেশা আর উদ্যোক্তা হিসেবে অদ্ভুত সব কাণ্ডে নিজের। এবং অন্যদের জন্য বিপদ আর উটকো ঝামেলা বয়ে নিয়ে আসেন প্রায়ই। তেমন। কয়েকটি রােমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারময় ঘটনা এ বইয়ে বর্ণনার দায়িত্ব নিয়েছেন তার । সহকারী হাসান। এছাড়াও বইয়ে যুক্ত হয়েছে হাফ ডজনের বেশি নানা আমেজের বৈজ্ঞানিক কল্পগল্প; তার কোন কোনােটি গম্ভীর বা ডিস্টোপিয়ান, কোনটা একদমই হালকা মেজাজের। ভেন্ট্রিলােকুইস্ট এবং মিনিমালিস্ট-এর পর বাতিঘর প্রকাশনী। থেকে মাশুদুল হকের এই বৈজ্ঞানিক কল্পগল্পের জগতে আপনাদের আমন্ত্রণ।
বানার্ড শ বলেছেন, পৃথিবী আসলে একটা নরক, প্রাণিরা এখানে এসেছে অন্য। কোনো গ্রহ থেকে। এটা একটা রাশিয়ান কৌতুকও বটে। তবে এর ভেতরে চিন্তার খােরাক আছে। যেমন আছে যে ছিল অন্তরালে' উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে। চরিত্রগুলাের প্রহেলিকাময় জীবন এবং পৈশাচিক কার্যকলাপ কখনাে আপনার শরীরের পশম খাঁড়া করে দেবে, আবার কখনাে আপনি রাগে, ঘৃণায় ভাববেন, এ বইয়ের পাতায় যা কিছু ঘটছে তা অসুস্থ কোনাে জগতের আলামত, খােদ নরকের অধিপতির কারসাজি। সে যেন ছিনিমিনি খেলছে উপন্যাসের চরিত্রগুলােকে নিয়ে । কিন্তু সবগুলাে চরিত্রের সাথে যখন একাত্ম হয়ে উঠবেন, চমকে যাবেন, টের পাবেন বুকের মাঝে কোথাও যেন গভীর একটা ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, জীবনটাকে ফাঁকা আর অর্থহীন মনে হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও বেঁচে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন আপনি, গভীর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ভাববেন, প্রতিশােধ...তীব্র একটা প্রতিশােধ নিতে হবে আপনাকেও! প্রিয় পাঠক, ডার্ক সাইকোলজিক্যাল গুলারের প্রহেলিকাময় জগতে আপনাকে | স্বাগত।
খুন হয়ে গেল ছদ্মনামে লেখালেখি করা জনৈক ‘নাস্তিক’ ব্লগার। হােমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়লাে মাঠে। কল্পনাও করতে পারেনি কাদের বিরুদ্ধে লাগতে যাচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আসিফের পছন্দ নয়, অথচ ভবিতব্য এড়াতে পারলাে কই? প্রাণ বাঁচাতে ট্রিগার চাপতে বাধ্য হলাে। একুশ বছরের এক মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। নিরুপায় বাবা শরণাপন্ন হলেন উঠতি এক প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের। জোহান লস্কর যখন কেসটা নিলাে, ব্যক্তিগত জীবনেও চলছে তার টানপােড়ন। কাঞ্চনপুরে পা রাখতেই শুনতে হলাে হুমকি-‘সময় থাকতে চইলা যান। পরে জান লইয়া ভাগতে পারতেন না’। একাত্তরে অসমসাহসী যুদ্ধ করেছে টাইগারবাহিনী, কিন্তু রাজাকার হায়দারের সাথে মুক্তিযােদ্ধা কিবরিয়ার দহরম মহরম হয় কী করে? পরিস্থিতি আরও ঘােলাটে করতে চিত্রপটে এলাে মুরং ওঝা, রহস্যময় আশ্রয়দাতা হাজীসাহেব, নিটোল সৌন্দর্যের অধিকারিণী সুমি। একাত্তরে কাঞ্চনপুরে কি ঘটেছিলাে যার জের টেনে আজকের দিনেও প্রাণভয়ে ছুটে পালাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাধারণ ছাত্রকে? ক্যামেরা নিয়ে মাঠে নামলাে ছিচকে রিপাের্টার জন, পেছনে লাগলাে নির্মম, চৌকস এক সংগঠন। পড়তে শুরু করলাে লাশ! দেশবাসীর চোখ তখন আটকে আছে মাহেন্দ্রপুরের মহাযুদ্ধে। মাত্র ছয়জন যােদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে স্রেফ প্রখর বুদ্ধিমত্তা সঙ্গি করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আস্ত এক কোম্পানি সৈন্যের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে নামলাে টাইগার। দিনশেষে বুঝতে পারলাে ষড়রিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধটা বন্দুকযুদ্ধের চেয়েও অনেক অনেক বেশি কঠিন। মুষ্টিমেয় কিছু সিভিলিয়ান শক্তভাবে দাঁড়ালাে প্রশিক্ষিত এক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ছারপােকা : দ্য ব্যাটল অভ মাহেন্দ্রপুর বইটি খুলতে যাচ্ছে এমন এক অধ্যায় যা বাংলাদেশে স্মরণ করা নিষিদ্ধ হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য বানানাের পর থেকে।
গল্পটা মোহাচ্ছন্ন এক আশ্চর্য মায়ানগরীর। যে নগরের বাসিন্দারা অযাচিতই জড়িয়ে আছে একে অন্যের জীবনের জটাজালে। রুপকথার এই গল্পটা নর-নারীর কিছু অনাহুত সম্পর্কের, ক্লেদাক্ত কলুষতার অথবা নিতান্তই মানবিকতার। আদি এবং অন্তে গল্পটা আদতে জাদুর এই শহরের।
সর্বমোট মৃতের সংখ্যা প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ একুশ হাজার। ভবিষ্যত প্রজন্মের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপস্থিত বিজ্ঞানীরা। সম্বিৎ ফিরে পেয়ে প্রফেসর আকিরা নাকামুরা খুব সন্তর্পণে সামনে রাখা ভার্চুয়াল ফাইলটি গুটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট পদক্ষেপে দরজার দিকে এগিয়ে যান। হতবাক প্রেসিডেন্ট মৃদুস্বরে বলেন, “মিস্টার নাকামুরা, চলে যাচ্ছেন?” দাঁড়িয়ে পেছনে না তাকিয়েই প্রফেসর নাকামুরা বলেন, “আমি সুস্মিতা ব্যানার্জির থিওরি মেনে নিয়েছি। মানুষ তার জ্ঞানের প্রান্তিক সীমায় পৌঁছে গেছে। এর চেয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়; আর জ্ঞানের প্রান্তিক সীমার কাছাকাছি পৌঁছে মানুষ আত্ম-ধ্বংসে মত্ত হয়ে উঠে। প্রজেক্ট ব্যর্থ হয়েছে।” এতটুকু বলে কিছুক্ষণ দম নেন। তারপর স্পষ্ট করে প্রতিটি শব্দ আলাদা আলাদা করে উচ্চারণ করে বলেন, “মানুষ প্রকৃতি-বিরোধী সৃষ্টি। তার ধ্বংসই প্রকৃতির স্বস্তির একমাত্র পথ।”
এ গল্প এগারো বছরের এক বাচ্চা, জহিরের; ‘চোরের ছেলেও চোর’- এই অপবাদে যাকে গ্রামবাসীরা অচ্ছুত ভেবে তাড়িয়ে দিয়েছে। গল্পটা আংশিক হলেও জাহাঙ্গীরের। এককালের কুখ্যাত চোর, যাকে কি না ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে এমন এক অপরাধে, যা সে করেইনি। গত আট বছর ধরে সৎভাবেই চলছিল মানুষটা। তবে কি ভালোর কোন দাম নেই? গল্পটা তরফদার চেয়ারম্যান আর ওসি ফারুকেরও, যাদের দুর্নীতির লোভ ক্রমশ বাড়ছে। গল্পটা মিঠাপুকুর নামের এক গ্রামের সকল গ্রামবাসীর, যারা জানে না কোন বিপদ ধেয়ে আসছে তাদের দিকে। গল্পটা মানুষরূপী কিছু হায়েনার।
শেষ লড়াইয়ের পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কিন্তু লড়াই আবার হবে। অন্ধ জাদুকরের সাথে দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরছেন মুরশেদ মিয়া, সাথে তার দুই সঙ্গী। কিন্তু ফেরার পথে পদে পদে বাঁধা, বিপত্তি। অন্যদিকে, নিজেকে খুঁজে ফিরছে কিশোর সালাম। আশ্রম থেকে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ডঃ আরেফিন দেখা পেলেন এক অদ্ভুত মানুষের। এই মানুষটাই হয়তো জানে সেই রহস্যের কথা যা তার বাবার মৃত্যুর সাথে সাথে হারিয়ে গেছে। তা জানার জন্য সর্বস্ব বাজি রাখতে রাজি ডঃ আরেফিন। সালামকে খুঁজছে মুরশেদ মিয়া এবং অন্ধ জাদুকর, সালামকে খুঁজছে গওহর জামাল। আর সালাম খুঁজছে নিজের আসল অতীত। সব কিছুর মীমাংসা হবে খুব শিগগিরি। ভালো-মন্দ, আলো-অন্ধকারের লড়াইয়ে তৃতীয় কোন পক্ষের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরা কারা? এ সব কিছু নিয়েই টান টান উত্তেজনা আর জাদুর অদ্ভুত পৃথিবী নিয়ে ‘অন্ধ জাদুকর’ সিরিজের দ্বিতীয় উপাখ্যান ‘অন্ধ জাদুকর : প্রলয় হুঙ্কার’।
রাজধানীর খিলগাঁয়ের তালতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি ক্ষত-বিক্ষত বীভৎস মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাঁচটি মৃতদেহই নগ্ন! জানা যায়, এই পাঁচজন গত বছর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কে বা কারা এমন বীভৎসভাবে খুন করেছে, পুলিশ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই। নিখোঁজ হয়ে যায় আরাে পাঁচজন। তারপর, একইভাবে তাদেরও নগ্ন এবং ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় পরের বছরের একই দিনে! কী সম্পর্ক ছিল এই নিহতদের মাঝে? ভিন্ন ভিন্ন বয়সের, ভিন্ন ভিন্ন পেশার এবং ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসবাসকারী এই মানুষগুলাের মাঝে যদি কোনাে সম্পর্ক কিংবা যােগাযােগ না-ই থেকে থাকে, তবে তাদের সবার সঙ্গে খুনির কী সম্পর্ক? আর তাদের সবার দেহে খোদাই করে আঁকা ছবিগুলােই বা কী অর্থ বহন করছে? খুনি কি কিছু বলতে চাইছে এই ছবিগুলাের মধ্য দিয়ে? কী বলতে চাইছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে রহস্যের সমাধান করতেই মাঠে নেমেছে ডিবির জাঁদরেল গােয়েন্দা রায়হান সিদ্দিকী। সে কি পারবে এই রহস্যের জট খুলতে? না কি নিজেই জড়িয়ে পড়বে ধূর্ত প্রতিপক্ষের হেঁয়ালির জালে...আর সেই জাল কেটে সে বেরিয়ে আসতে আসতেই লাশ পড়বে আরাে পাঁচজনের?! তানভীর আহমেদ সৃজনের লেখা সাইকোলজিক্যাল থৃলার ‘একটা গল্প শুনবেন?’ রহস্য, জেদ, নৃশংসতা আর রক্তের জাল যেখানে বুনেছে ভিন্নমাত্রার এক গল্প।
অজানা অচেনা নাম্বার থেকে একটা ফোনকল পেয়ে চমকে উঠলেন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ি এবং ধনাঢ্য এক ব্যক্তি। জিরক্স নামে পরিচয় দেয়া সেই কলার তাকে অতীতের এমন একটি অধ্যায়ের মুখােমুখি করলাে যা তিনি এতদিন ধরে ধামাচাপা দিয়ে এসেছেন। সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে ইয়াসির হাসান। স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে মদই তার নিত্যসঙ্গি। রাতের বেলায় যে শিশুদের সঙ্গে তার দেখা হয় তাদের সাথে তার সম্পর্কটা কী? ইউরােপের স্বনামধন্য একটি বিজ্ঞান গবেষণাগারে সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্র। আবিষ্কার করতে গিয়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল মশিউর রহমান। অন্য কোন সংস্থায় চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরে বেকার সে। তার সময়-পরিভ্রমণের যন্ত্রটা কি কোন পরিবর্তন নিয়ে আসবে মানুষের জীবনে? সময়ের সিড়ি বেয়ে একটি বুলেট সায়েন্স-ফিকশন থৃলার...পাঠককে নিয়ে যাবে উত্তেজনায় পরিপূর্ণ এক সময়ে, যেখানে বিজ্ঞান নয়, গল্পটাই মুখ্য।