সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে অসুখ তৈরি করার নামই কি সুখ? তা না হলে সুখের সন্ধানে সুদূর আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েও কেন সুখের অসুখ হলো নাহিমের? বৈধ হয়েও কেন ডিপোর্টেশনের লেটার পেতে হয়েছিল তাকে? কিন্তু আমেরিকা থেকে ডিপোর্ট করতে পারেনি সরকার। রহস্যটা কী? কোন্ শক্তিতে আমেরিকায় থেকেছিল সে? পরির মতো সুন্দরী তরুণীর প্রেমেও পড়েছিল নাহিম। সেটাই কি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল? কেন রহস্যময় হয় তার চলাফেরা? কেনইবা অস্ত্র তুলে নেয় হাতে? এসব জটিল সমীকরণের হিসাব মেলাতে পড়তে হবে আলম সিদ্দিকীর রহস্যোপন্যাস সুখবিলাসী।
নাওমি ওয়াতানাবে জাপানের মানবতাবাদী লেখক। তিনি জাপানের নিইগাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স প্রােগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও এর ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ও ভালােবাসা থাকায় দীর্ঘদিন এদেশে থেকেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলাদেশকে। সুমিও এবং সুমন গল্পে লেখক অত্যন্ত মমতা মাখা ভাষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বাংলা ভাষার প্রতি সুমিও নামের এক জাপানি কিশােরীর গভীর ভালােবাসার কথা তুলে ধরেছেন। সুমিওর ভেতর এই ভালােবাসা তৈরি করে দিয়েছে তাঁর নানি সুমিকো-সান। তিনিও স্বাধীনতার আগে এদেশে নার্সের কাজ করেছেন। তখন থেকে তিনি খুব কাছ থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই গল্পে সুমিও তার প্রতিবেশী বন্ধু সুমনকে বুঝিয়ে দিয়েছে কিভাবে দেশকে ভালােবাসতে হয়, এর মানুষকে ভালােবাসতে হয় আর ভালােবাসতে হয় মায়ের ভাষাকে। এই গল্পে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলাে, মা, মাতৃভাষা, মুক্তিযুদ্ধ এই তিন একই সুতােয় গাঁথা।
আমেরিকার খ্যাতিমান কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছিল; তখন তিনি গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। তাদেরই একজন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একদিকে পাকস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যা নির্যাতন, অন্যদিকে বীর বাঙালির প্রবল প্রতিরোধ। তার মধ্যেই অসংখ্য মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। তারা আশ্রয় নেয় প্রতিবেশি ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহরে। অ্যালেন গিন্সবার্গ সিদ্ধান্ত নিলেন শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে যাবেন। বন্ধু সুনীল ও আরও দু'জন সঙ্গীকে নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন তিনি। তখন সেপ্টেম্বর মাস। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে যশোর রোড পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অনেক কষ্টে বনগাঁ পেরিয়ে যশোর সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। পরিস্থিতি দেখতে যান আশপাশের শরণার্থী ক্যাম্পে। গিন্সবার্গ কথা বলেন শরণার্থী হয়ে আসা অনেকের সঙ্গে। এরপর নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে নভেম্বর মাসে তিনি লেখেন তাঁর কালজয়ী কবিতা 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড'। অ্যালেন গিন্সবার্গের ঐতিহাসিক সেই কবিতার মূলভাবকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে বইটি। আর বইটির নামও নেয়া হয়েছে গিন্সবার্গের কবিতার শিরোনাম থেকেই। ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে একসঙ্গে তুলে ধরাই বইটির উদ্দেশ্য। আশা করছি পাঠকের ভালো লাগবে। হয়তো সংগ্রহে রাখতে চাইবেন অনেকে।
১৯৭৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার রাজানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গণিতে অনার্সসহ মাস্টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা স্টেটের রিনো থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত। স্কুল-কলেজ ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখতেন। খেলাঘর-এ নিয়মিত ছড়া, গল্প ছাপা হতো। তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'বৃষ্টি ও বন্ধুর গল্প', 'জেসিকার নীল চিঠি ও অন্ধকার' 'বেলাশেষের বেলী', 'ফেরা', 'ফিরে দেখা' এবং 'জরি'। পাঠকের ভালোলাগায় সিক্ত হয়ে তিনি এবার বইমেলায় প্রকাশ করছেন গ্রল্পগ্রন্থ 'স্বপ্ন প্রবাস'। আশাকরি তার এই বইটিও পাঠকের ভালো লাগবে। -প্রকাশক