রাতদুপুরে পলাশবাড়ি পৌছে বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে যায় অরিন্দম। জনবিরল বাজারে এমন কোনাে জায়গা নেই যেখানে রাতটা কাটানাে যায়। এদিকে তাপমাত্রা পারদের হিসেবে চড় চড় করে নামছে, ঘনীভূত হচ্ছে কুয়াশা, বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে। রাতচরা পাখির ডাক। উদভ্রান্ত অরিন্দমকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে এক রহস্যময় বেটে মানুষ। অনেকগুলাে গলি-ঘুপচি পেরিয়ে লােকটা তাকে নিয়ে যায় আওলাদ মিয়ার হােটেলে, যেখানে অরিন্দমের মতাে আটকেপড়া আরাে পাঁচজন মানুষকে একাট্টা করা হয়েছে। হােটেলের মালিক আওলাদ মিয়ার চাওয়া খুব সামান্য প্রত্যেককে নিজের জীবনের এমন একটা গল্প বলতে হবে যেটা মােটাদাগে অদ্ভুত আর অস্বাভাবিক। গল্পে গল্পে সারা রাত উঠে আসে এমন সব ঘটনা, যেগুলাে মানুষ হিসেবে আমাদের অস্তিত্বকেই নাড়িয়ে দেয়। আওলাদ মিয়ার ভাতের হােটেল-এ পাঠককে স্বাগতম!
তরুণ স্পাই আহাদ উত্তরাখন্ড না গিয়ে দার্জিলিং গেল কেন? কী করবে সে ওখানে, যেটা বদলে দেবে সবকিছু? অনেকগুলাে পক্ষ নেমে পড়েছে নাটকের শেষ অঙ্কে। দ্য অক্টোপাস জাল গুটিয়ে আনছে বাংলাদেশে। কার্ল সেভার্স উধাও নিখোঁজ মাস্টার সিফাতও সিরিয়া থেকে ফিরছে। আইএসে যােগ দেওয়া সাবেক বাজিকর সমশের সাবেক এজেন্ট রােখসানার শান্তি তছনছ। কাপ্তান গৌতম ফিরতে চায়, জানে না কিভাবে ফিরবে। ট্রাভিস নেমে পড়েছে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে। আহাদ দেখছে কিভাবে সব ভেঙে পড়ছে, আর তার মাঝেই খুঁজে ফিরছে নিজের রহস্যময়ী মা’কে। তুরুপের তাস অনেকের হাতেই, অনেকের আস্তিনেই রুমাল লুকানাে, কিন্তু বাজিমাত করবে শুধু একজনই। আর এসবের রঙ্গমঞ্চটা কোথায়, জানেন? নিউক্লিয়ার। ওয়্যারহেডবাহী এক বিশাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারে!। নাবিল মুহতাসিমের বাজিকর ট্রিলােজির শেষ খন্ড বাজিমাত পাঠককে হাজির করবে। বহুদিন ধরে লুকোনাে এক সত্যের সামনে।
আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন। কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন। “আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে। পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
বাংলাদেশের ছেলে প্রলয়, বয়স তার চৌদ্দ বছর। বাবা-মা ছােটবেলায় মারা যাওয়ায় লন্ডনে চাচার সাথে থাকে। সেখানে আর দশজন সমবয়সির মতই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু একদিন মাথার ওপর থেকে সরে যায় শেষ আশ্রয়টুকুও। চাচার মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয় তাকে, সেই সাথে জানতে পারে তার চাচা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে চৌকশ গুপ্তচরদের একজন। ঘটনার পরিক্রমায় প্রলয় জড়িয়ে পড়ে সেই গুপ্তচর সংস্থার সাথে, যেতে হয় রহস্যময় অ্যাকাডেমি ব্যাক এলিটসের অভ্যন্তরে। পড়াশােনার নামে কী চলছে সেখানে? যা চলছে তা কি বদলে দিতে পারে পুরাে পৃথিবীর চেহারা?
এগারােজন মানুষসহ গায়েব হয়ে গেল যাত্রিবাহী একটি প্লেন। বেঁচে গেল ভাগ্যবিড়ম্বিত এক চিত্রশিল্পী আর মিডিয়া-মুঘল পরিবারের শেষ সদস্য চার বছরের এক শিশু। দুর্ঘটনা পরবর্তি ট্র্যাজেডি, মৃতযাত্রি এবং ক্রুদের অতীত সামনে চলে আসতে লাগলাে একে একে-ওয়াল স্ট্রিটের এক ধনকুবের আর তার স্ত্রী, এক মার্কিন সিনেটরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাগ্নে, জীবন নিয়ে দ্বিধান্বিত এক তরুণী এবং একজন পাইলট। এতগুলাে প্রভাবশালী ব্যক্তির মৃত্যু কি নিছকই কোনাে দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনাে রহস্য? নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিডিয়া, চলে কাদা ছােড়াছুঁড়ি। আর এসবের মাঝেই পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে সত্যিকারের ঘটনাটি। টিভি সিরিজ ‘ফাগো’খ্যাত নােয়া হলি’র বিফোর দ্য ফল গতানুগতিক কোনাে থৃলার উপন্যাস নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার এবং এডগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ি এই। থৃলারটি পাঠককে ভাগ্য, মানবপ্রকৃতি আর এক অলঙ্ঘ্য বন্ধন নিয়ে ভাবাবে।
২০১৬ রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ। গোটা শহর চরম উত্তেজনায় কাঁপছে। অথচ এমন সময় নামকরা এক অ্যাথলেট খেলা শুরুর পূর্বেই নিরুদ্দেশ হলো। এদিকে ডিটেকটিভ রাফায়েল কার্ভালিও, সপ্তাহ খানেক বাদেই যিনি অবসরে যাচ্ছেন, কেস এসে চাপলো তার ঘাড়েই। লাপাত্তা অ্যাথলেট আচমকা অনুষ্ঠানে আবির্ভূত হলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হলো কেসের একটা সুরাহা হয়েই গেলো। কিন্তু শীঘ্রই কার্ভালিও টের পেলো ছেলেটা মরণপণ উদ্দেশ্য নিয়েই মাঠে ফিরেছে। ডিটেকটিভ কার্ভালিওর সাথে সব সমস্যা সামলে চলেছে তার সুন্দরী সহকর্মী ডিটেকটিভ ভিটোরিয়া পাজ। কি হয়েছিলো সেদিন তরুণ সেই অ্যাথলেটের? পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরা সব কেন আত্মঘাতী হয়ে উঠছে? অলিম্পিকের শেষ পরিণতিই বা কি হয়েছিলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে ছুটতে হবে ডিটেকটিভ কার্ভালিওর সাথে, রোমাঞ্চকর এক অভিযানে। শ্বাসরুদ্ধকর এই অভিযানে আপনাকে স্বাগতম। প্যাটারসনের আরেকটি দুর্দান্ত থৃলার।
বিরক্তির সাথে আরেকবার ঘড়ি দেখলাে তুলি। ডিউটি শেষ হতে আরাে প্রায় একঘন্টা বাকি। সময়টা যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না আজ। এই সময়ে ইমার্জেন্সিতে রােগির ভিড় কমই থাকে কিন্তু আজ একেবারেই নেই। বিগত পাঁচঘণ্টা ধরে বসে বসে বই পড়া ছাড়া অন্য কোন কাজই ছিল না। ওর। আজ দু-সপ্তাহ ধরে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটাও ডি-অ্যাকটিভ করে রেখেছে, তাই ফেবুতেও ঢােকার কোন ইচ্ছে নেই। ইমার্জেন্সিতে ডাক্তারদের রুমে একটা এলসিডি টিভি থাকলেও ওটা ছাড়তে এতােটুকু ইচ্ছে করছে না। ওর সাথে একজন দেখা করতে আসার কথা, সে-ও আসেনি। ভেবেছিল মানুষটা এলে, কথা বললে, ভালাে লাগবে। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে মনটা অসম্ভব খারাপ, তার ওপর বিরক্তিকর সময় কাটানাের কারণে অসহ্য লাগছে। বইটা ডেস্কের ওপর উল্টে রেখে রুমের এক কোনায় রাখা ইলেকট্রিক কেটলিটা অন করে দিলাে ও। বয়াম থেকে দু-চামচ কফি মগে নিয়ে তার সাথে এক চামচ চিনি নিলাে। এই মুহূর্তে মন খারাপের একমাত্র ঔষধ-কড়া কফি। তুলির অন্য কোন নেশা নেই কিন্তু সে ভয়াবহ কফি আসক্ত। দিনে অন্তত ছয়-সাত কাপ কফি না হলে ওর চলে না। কফিটাও হতে হয় মনমতাে, একটু কড়া। মেশিনের কফি কখনােই খায় না সে, সুযােগমতাে নিজেই বানিয়ে নেয়। বাসায় অফিসে সবখানে ওর কফি বানানাের ব্যবস্থা আছে।
শহরের উপর দিয়ে কালবােশেখি বয়ে যাবার পর বৃষ্টি নেমেছে। হালকা বৃষ্টির সাথে বইছে চমৎকার বাতাস। প্রথমবারের মতাে গাড়ির ওয়াইপারটা কাজ করতে শুরু করলাে ডানে-বামে হেলেদুলে। ড্রাইভিং সিটের খােলা জানালা দিয়ে চোখেমুখে বাতাসের ঝাপটা এসে লাগতেই শিশ দিয়ে প্রিয় একটি গানের সুর তােলার চেষ্টা করলাে কিন্তু পারলাে না। আপন মনে হেসে ফেললাে। আজ মন মেজাজ খুবই ভালাে। ভালাের যদি কোনাে পরিমাপ থাকতাে এটা হতাে সর্বোচ্চ পরিমাণের! কতােদিন এই স্বপ্নটা দেখেছে, কতাে প্রতীক্ষার পরই না আজ এটা পূরণ হয়েছে! গাড়ির প্রতি তার এই পাগলামিটা অন্য কেউ হয়তাে পুরােপুরি বুঝতে পারবে না। পাগলামিটা সে মনেপ্রাণে লালন করে এসেছে শৈশব থেকেই। এতােদিন শুধু অন্যের গাড়ি দেখেছে, কিছুক্ষণের জন্য চালিয়ে উপভােগ করেছে। আর মনে মনে ভেবেছে একদিন তারও গাড়ি হবে। গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের! গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের!
'ড্রেসডেন ফাইসের স্রষ্টা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত জিম বুচার ১৯৭১ সালে আমেরিকার মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অসুখের সময় তার বোন তাকে দ্য লর্ড অব দি রিং এবং দ্য। 'হান সোলো অ্যাডভেঞ্চার্স উপন্যাস দুটো পড়তে দেয় সময় কাটানোর জন্য। সেই থেকে ফ্যান্টাসি আর সায়েন্সফিকশনের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। টিনএজ বয়সেই নিজের প্রথম উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি, ঠিক করেছিলেন লেখক হবেন। দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারার ফ্যান্টাসি লেখা লিখে প্রকাশকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে লিখে ফেলেন হ্যারি ড্রেসডেন নামক এক জাদুকরের কাহিনী নিয়ে ড্রেসডেন ফাইন্স সিরিজের প্রথম বইটি। আধুনিককালের শিকাগো শহরের পটভূমিতে লেখা বইটি দারুণ জনপ্রিয়তাই শুধু পায়নি, সেই সঙ্গে জিম বুচারকে দিয়েছে প্রবল জনপ্রিয়তা।
প্রতিশােধের রং কি? এটা কি লাল, নাকি নীল না আগুনরঙা? প্রখ্যাত রহস্যরােমাঞ্চ লেখক ওবায়েদ রহমানের একমাত্র ছেলে ইশতিয়াক রহমান অফিস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। তার অন্তধানের এক সপ্তাহ পর দোরগােড়ায় হাজির হয়। রহস্যময় এক ভিডিও ও একটি কাটা আঙুল! ভিডিওতে কী জানি বিড়বিড় করে যায় হেলমেটধারি উন্মাদ এক লােক। ডাক পড়ে সেচ্ছানির্বাসনে থাকা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিসার আলী রেজা বখতিয়ারের, সাথে ইশতিয়াকের দুই বন্ধু ইফতি ও রােমেল। তারা তিনজন মিলে কী পারবে উন্মাদটাকে থামাতে? ইশতিয়াককে ঘরে ফিরিয়ে আনতে?
একটা ছেলে। থ্যালাসেমিয়ার রোগী। মা-কে নিয়ে খুব কষ্টের জীবন তার। আর তার বাবা? থাক, তার বাবার কথা আর না-ই বা বললাম। একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। প্রচণ্ড মেধাবী। আকস্মিকভাবে জড়িয়ে পড়লেন অদ্ভুত এবং রহস্যময়, একইসাথে হাস্যকর এক কেসে। তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল সাপ। একজন ছাপোষা মানুষ। টাইপিস্ট। অফিসের সবাই তাকে নিয়ে মজা করে। কোনদিনও অফিস টাইমে কাজ শেষ করতে পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই ওভারটাইম করেন। তার একমাত্র শখ, মানুষকে নিয়ে সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট করা! এই তিনটি গল্প একসময় মিলে গেল এক বিন্দুতে, শেষের দিকে এসে গল্পের প্রধান চরিত্র এবং পাঠক উভয়েই বুঝতে পারলেন এতক্ষণ ধরে তিনি যা ভাবছিলেন ঘটনা আসলে মোটেও তা নয়! কাহিনী সম্পূর্ণ ভিন্ন!
কিছু আগমন শোনায় ধ্বংসের সিম্ফোনি। ফক্স বোনদের সাথে মৃতদের যোগাযোগের অদ্ভূত ক্ষমতার কথা জানে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু এই ক্ষমতার পেছনে সত্যিটা আসলে কী? টাকমাথাওয়ালা এক লোক যার প্রিয় কাজ ঘুমিয়ে থাকা প্রাণী দেখা, তার কাছে পাওয়া গেলো অদ্ভূত এক বই। সেখানে এক ধরণের রিচুয়ালের কথা রয়েছে, যেই রিচুয়াল পালন করলে পাওয়া যাবে স্পিরিচুয়াল ওয়াক নামক অদ্ভূত এক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা কি পেয়েছিলো সাইফুদ্দিন? তার অফিস কলিগের মেয়ে নিখোঁজ যুথিকে খুঁজতে মরিয়া রাফায়েল। যে কোন সময় ঘটিয়ে ফেলতে পারে দূর্ঘটনা। ভাগ্যক্রমে নিখোঁজ মেয়েটাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিলো সাইফুদ্দিন। মাথায় ঠেকানো পিস্তল, সময় মাত্র সাত দিন। যুথি কি তাহলে খুন হয়ে গেছে? যদি হয়ে থাকে কে খুন করলো যুথিকে? ভিন্ন এক জগতের যাত্রার সুতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের আশপাশের পরিচিত পৃথিবীতে। আর সামনে অপেক্ষা করছে বিপদ! ভীষণ বিপদ!
মিরপুরের পরিত্যাক্ত এক বাড়িতে টিভি রিপোর্টার নাফিস কী এমন খুঁজে পেল, যা তার বিশ্বাসের সব ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে? সবার অলক্ষ্যে কোন অশুভ নরখাদক হানা দিচ্ছে ব্যস্ত নগরী ঢাকায়? কেন? ওদিকে ময়মনসিংহে পা রাখতেই রফিক শিকদারের মনে জেগেছে অজস্র প্রশ্ন। অদ্ভুত সব রহস্য দেখা দিচ্ছে তার চারপাশে। অতীত-বর্তমানের কোন যোগসূত্র তাকে টেনে এনেছে এখানে, তার দাদার মাজারে? তবে কি তার জীবনে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সব এক সুতোয় গাথা? তিন অদ্ভুত ভাই হাবিল-নাবিল-কাবিলই বা কী চায়? হেম্মেজের রহস্যময় আচরণ বারবার সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। সব বিপত্তি পেড়িয়ে মায়াবাঘ এর আক্রমণের জবাব খুঁজতে রফিক ছুটে গেল খুলনায়। ওদিকে রাজশাহীতে নদীর তীরে একের পর এক উধাও হচ্ছে মানুষ। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণীরা। সত্যকলামের ‘অপ্রাকৃত’ বিভাগেও জমা হয়েছে ময়মনসিংহের বন-পাহাড়ে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনা।
হার্ট প্রতিস্থাপনের পর নিজের বোটে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট টেরি ম্যাকেলেব। একদিন একজন মহিলা বোটে এলো বোনের হত্যা রহস্য সমাধানের কেস নিয়ে। খুন হওয়ার পর মহিলার বোনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ম্যাকেলেবের দেহে। বাধ্য হয়েই ম্যাকেলেবকে কেসটা নিতে হল। কেস সমাধানে নেমে ম্যাকেলেব আবিষ্কার করল অদ্ভুত ভয়ঙ্কর এক খুনি বেছে বেছে মানুষ খুন করছে লস অ্যাঞ্জেলস শহরের বুকে। খুনিকে ধরার মত কোনো ক্লু নেই ম্যাকেলেবের হাতে। এছাড়াও কেস সমাধানের পথে ওকে মুখোমুখি হতে হল প্রশাসনিক বাধা-বিপত্তির। এত কিছু সামলে ম্যাকেলেব কি পারবে এই উন্মাদ খুনিকে ধরতে নাকি বিলীন হয়ে যাবে অন্ধকার জগতে?
"গ্রামের সাধারণ ছেলে মুনির ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছিল একবুক স্বপ্ন নিয়ে। সৌভাগ্যক্রমে হলেও জায়গা পেয়ে যায়। আর এই হল জীবনটাই কিভাবে যেন সাদাসিধে, আবেগী তরুণটার সবকিছু বদলে দিলো। উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে পার্থকে হলে রুমমেট হিসেবে পেল সে, যে কি না স্বভাবে একদমই তার বিপরীত। সাহসী, জেদি ছেলেটার মনের ভেতর কী যেন একটা ক্ষোভ আছে। আছে অভিমান। এছাড়াও আছে, অন্ধকার এক দিক। যে অন্ধকার মনের গোপন কথাটা মুনির জানার চেষ্টা করেও তল পায় না। একদিন মুনির ঠিকই জানতে পারে সে সত্য। ভয়ানক সত্যটার মুখোমুখি হয়ে সে ভাবে, এভাবে সব না জানলেও হতো। সব সত্য না জানলেও বোধহয় ক্ষতি নেই। কিছু সত্য অন্ধকারেই থাকা উচিত। কিন্তু, ছাত্র বয়সের সে অন্ধকার অতীত যে এতবছর পরেও মুনিরকে তাড়া করবে, তা সে জানতো না। সব জেনেও মুনির নিশ্চুপ থাকে। সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও হিসেব মেলে না, পুরনো রহস্য ফিরে আসে বর্তমানে। হয়তো সব কথা সবাইকে বলা যায় না। বলা হয় না..."
একজন মানুষকে কি দেখে বোঝা যায় যে সে আসলে কে? মানুষের ওপরটা দেখে কি তার ভেতরের রূপটা জানা যায়? মানবমনের ফাঁকফোকড়ে লুকিয়ে থাকে কতশত ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি, ত্রুটিবিচ্যুতি আর জটিলতা। আচ্ছা ইতিহাসও কি মানুষের মতো নয়? নিজের ফাঁকফোকড়ে যে ইতিহাস কতশত ব্যাখ্যাতীত ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে তা আমরা একটু নজর দিলেই হয়তো দেখতে পাই। আমরা কি আদৌ জানতে পারি যে আসলে কী ঘটেছিলো? বা আমাদের কি জানানো হয়? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ এসে উঠলো এক পুরোনো বাড়িতে। রাত হলেই পাশের জনশূন্য ঘর থেকে ভেসে আসে রহস্যময় হাসির শব্দ। এই কাহিনির সাথে রাজা অশোকেরই বা কী সম্পর্ক? কিংবা আরেকজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কেন দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যেতে? আমাদের দৃশ্যমান জগতই কি সব? নাকি অন্তরালে আছে আরো ভিন্ন কোনো ভুবন? ধীরেধীরে যখন উন্মোচিত হয় সব সত্য, তখন জাপ্টে ধরে আরো রহস্য। সবই কি আসলে ভ্রম? এই মানবজীবনের মতো? পাঠক তা আবিষ্কার করবে এই দুই মলাটের পাতায় পাতায়। অলৌকিক আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুবনে আপনাদের স্বাগতম।