গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা শেষ হতে না হতেই বোস্টন শহরে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকাণ্ড-অভিনব আর বীভৎসভাবে হত্যা করা হয় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে। ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবগুলো হত্যাকাণ্ডই মহাকবি দান্তের ইনফার্নো’র অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। মারাত্মক এক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় দান্তের সাহিত্যকর্ম। এ দিকে হারভার্ড কেন্দ্রিক দান্তে ক্লাবের কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিখ্যাত কবি লংফেলো এই রহস্যের জট খুলতে নেমে পড়েন এক অভিযানেÑকে খুন করছে, আর কেনই বা করছে, সেই প্রশ্নের জবাব পাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা।
ফারিহার গাড়িতে ছোটাচ্চুকে ওঠানো হয়েছে। তবে আজকে ছোটাচ্চু বসেছে পেছনের সিটে। তার চোখ একটা গামছা দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, যেন সে কোনোভাবেই দেখতে পারে। তার এক পাশে টুনি অন্য পাশে শান্ত, তারা শক্ত করে ছোটাচ্চুর হাত ধরে রেখেছে যেন ছোটাচ্চু হাত দিয়ে তার চোখের বাঁধন খুলে ফেলতে না পারে। গাড়ির সামনের সিটে ফারিহাপুর পাশে বসেছে ঝুমু থালা। ঝুমু খালা অনেক আপত্তি করেছে কিন্তু কেউ শুনে নাই। সবাই মিলে তাকে আবার মার্দানা ম্যাডামের মতো সাজিয়ে দিয়েছে, তার কপালে টিপ আর ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক।
ভয়ের জগতে স্বাগতম! আরজে রাসেলের উপস্থাপনায় দেশের জনপ্রিয় হরর শো ভ‚ত ডট কম-এর সেরা ঘটনাগুলো স্থান পেয়েছে এই বইটিতে। খুব সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া অসাধারণ সব রক্ত-হিম করা সত্য ঘটনাগুলোকে সাহিত্যের মলাটে সংরক্ষিত করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা এটি। এখানে প্রতিটি অক্ষর ভয়ের। প্রতিটি ঘটনা এক-একটি কালো জোনাকি। এই জোনাকি আলোর ফুল ফোটায় না, বরং ভয়ের হুল ফুটায়। তারপর ছায়াসঙ্গীর মতো ঘুরে বেড়ায় পাঠকের সাথে। তৈরি করে অসম্ভব এক মায়জাল। পৃথিবীর অন্তরালে সৃষ্টি করে আরেক পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে আপনি একা, সঙ্গী তেরোটি জোনাকি।
দুই দশকের কর্মজীবনে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, এমনকি সৌভাগ্য হয়েছে এই মানুষগুলোর জীবনে ঘটে যাওয়া নানারকম টানাপোড়ার গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে। বিভিন্ন সময়ে পড়াশুনা, প্রকৃতি এবং নিজের মধ্যে খোঁজ করে জানতে চেয়েছি মানুষের মনের মধ্যে খেলে বেড়ানো ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভাবনাগুলো কেমন হয়। বিপুল তথ্য ভান্ডারে জানা অজানা সন্ধানের মাঝে একটা সিদ্ধান্তেই আসতে পেরেছি , সফলতা হলো একটি আপেক্ষিক চিন্তামাত্র, এর কোন স্ট্যান্ডার্ড লাইন নেই। যা এখনো অবধি অসংজ্ঞায়িত। মূলত, বইটি লিখবার অন্তর্নিহিত অভিসন্ধি হলো যারা তথাকথিত সাফল্যের ছকে বাধাঁনো কয়েকটা গাইডলাইনে এগিয়ে নিতে চায় জীবন আমার বইটি তাদের জন্য নয়, সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে যারা শুধু আত্মার প্রশান্তির পেছনে ছোটার ইচ্ছাশক্তি হৃদয়ে ধারণ করে রয়েছে সকল বয়সী সৃষ্টির সেরা জীব বইটি কেবল তাদের জন্যই।
Goofi Letter to Picture Series-Arabic is an Arabic series of Light of Hope for 3-12 years old children. It helps children to develop their creativity, critical thinking ability as well as learning alphabets through picture-based techniques. This amazing technique is invented by children’s book author Waliullah Bhuiyan
দীর্ঘদিন পর ফিনিক্স পাখির মতো ভষ্ম থেকে পুণরুত্থিত হয়েছে ব্ল্যাক রঞ্জু। আবারো সৃষ্টি করেছে ত্রাসের রাজত্ব। এবার অনেক বেশি শক্তিশালি এবং ভয়ঙ্কর। আর অপ্রতিরোধ্য তার সন্ত্রাসী চক্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সাধ্য নেই তার নাগাল পাবার। ওদিকে ঢাকার এক আবাসিক এলাকা ঘটে গেল তিনটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তে নেমেই অপ্রত্যাশিত কিছুর হদিস পেয়ে গেল হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। হয়তো ব্ল্যাক রঞ্জুর নাগাল পেয়ে যাবে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে আছে আরেকজন, তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব। সে কী চায়? কে সে? বাস্টার্ডই বা কেন আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে হন্যে হয়ে খুঁজছে সেই লোককে? বাস্টার্ডের জন্য পাঠকের অপেক্ষার প্রহর শেষ, সেই সাথে সব প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যাবে ‘বেগ-বাস্টার্ড’ সিরিজের ষষ্ঠ বই ‘নেক্সট’-এ।
ঠাকুমার ঝুলির বাইরেও অনেক বড় একটা গল্পের ভাণ্ডার আছে আমাদের। সেগুলো আমরা অনেকেই ছোটবেলায় শুনেছি দাদা-দাদি বা নানা-নানির মুখে। ছোটবেলায় তাদের মুখে শোনা কিছু গল্প নিয়ে এই সংকলন “দাদার কিচ্ছা”। এই যুগের শিশুদের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা এই বইয়ে মোট ৮টি গল্প রয়েছে। যারা বাংলাদেশী গল্প চান, তাদের জন্য অবশ্যই কেনা উচিত।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবাই যে খালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিল এমন নয়। কেউ কেউ বুট পরে ফুটবল মাঠেও নেমেছিলো যুদ্ধে। কিন্তু খেলার মাঠে আবার যুদ্ধ হয় কিভাবে? এই গল্পটি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তৈরির সেই রোমহর্ষক কাহিনী। ফুটবল খেলে কিভাবে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন খেলোয়াড়রা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন গল্প আর দ্বিতীয়টি নেই।
Looking For Alaska, John Green’s debut novel was first published in 2005. Looking For Alaska follows the life of Miles Halter, as he leaves Florida to join a boarding school in Alabama. He joins Culver Creek, the boarding school, later than usual, as he himself mentions that he is looking for a “Great Perhaps”. Among his quirks include memorizing the last words of famous people and the “Great Perhaps” was that of Francois Rabelais. Miles receives the nickname Pudge in school, and though his was a figure that was nothing like the name entailed, it stuck. His roommate and friend is Chip, who is the person who introduces him to Alaska Young, the Alaska mentioned in the title of the story. The adventures that they are involved in together cause him to fall in love with Alaska, and the entire book is written in first person. Most of the book is written as a countdown to a specific occurrence, which occurs in the rest of the book and it is easy to gather from the title, what this section would cover. Though mostly mature and insightful, readers often get a peek into the sex addled mind of a sixteen year old school student, one who is forever counting the number of layers of clothing separating him from the bare body of the girl he is present with. Looking For Alaska won the 2006 Michael L. Printz Award from the American Library Association. It broke into the New York Times Bestseller list at number 10 in 2012, much after its debut in 2005. The film rights to the book have been sold to Paramount Pictures, though the project hasn’t been greenlighted yet due to lack of sufficient interest.
নিত্য চলার পথে আমাদের জীবনে কত কি-ই ঘটে যায়। গল্পের আড়ালে গল্প থাকে, সে গল্পে যুদ্ধ থাকে, সৈনিক থাকে, কৌশলও থাকে। বুদ্ধিমান -কৌশলী কেবল সে যুদ্ধে জিতে যাওয়ার উপায় জানেন। উপায়হীন মানুষ মাছের দরদামে ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিতে অস্বীকার করেন। ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংবিধান লঙ্ঘনে মানবতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। নৈতিকতা-ন্যায়বিচারে ব্যর্থ আমরা মনুষ্যবোধ থেকে বিচ্ছুত হই। দাপাদাপিতে কে কার আগে, তা নিয়ে বিচলিত.......
পাঁচ বছরের বাংলাদেশবাসে জাপানি নাগরিক নাওমি ওয়াতানাবে এ দেশের মায়ায় পড়েছেন ভীষণভাবে। নিজের দেশের ভাব-ভাষা ভুলে তিনি গায়ে তুলে নেন শাড়ি, গলায় বাধেন লালনবাণী, শেখেন বাংলা ভাষাও। জাপানে ফিরেই তিনি কী ছেড়ে এলেন তার বোধ স্পষ্ট হয়ে উঠলেই লিখতে বসেন তার মনের কথা। এক টানাপোড়েনের গল্প গ্রন্থিত হয়েছে তার ভাষায়।
বাংলা সাহিত্যে লেখকরা নারীদের বহু রঙে এঁকেছেন। কখনো সে একেবারে শ্বাশত বাঙালি নারী। কখনোবা প্রথা ভাঙা, সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখানো প্রতিবাদী চরিত্র। কখনো প্রেমময়, কখনো কঠোর। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক রওশন হক তাঁর 'আমি প্রেমে পড়িনি' ছোটগল্পের সংকলনে বলতে চেয়েছেন, নারী- পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য আছে কিন্তু সামাজিক অবস্থানের পার্থক্য নেই। তাঁর গল্পে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাঙালি মধ্যবিত্ত নারীদের অসহায়ত্ব, প্রত্যাখ্যান, বঞ্চনা ও দ্রোহ যেমন প্রকাশ পেয়েছে তেমনি দেখানো হয়েছে নারীরা বেশিরভাগই সাহসী, সংগ্রামী ও প্রেমিকা। তাঁর লেখনিতে প্রবাসে নারী চরিত্রগুলোর বৈচিত্র্যপূর্ণ বিন্যাস করা হয়েছে। প্রেমের বাঁধন ছেড়ার গল্পে হয়তো অনেক প্রেম পরিণয় পর্যন্ত গড়ায় না। প্রেম ও বিরহ যেন একই মুদ্রার দুই পিঠ। তখন বিয়ে ও সংসার যাপনে হতাশা, দুঃখের প্রকাশ ঘটে কিন্তু পরক্ষণেই সমাজের নিন্দাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেই চিরচেনা নারীই নতুন জীবনকে আলিঙ্গন করে-এমন বিষয়গুলে
ঘটনা প্রবাহ: রাতের যেমন সৌন্দর্য আছে, তেমনি আছে তার কদর্যতা। কোনো কোনো রাত থাকে রহস্যময়তায় ভরা। রাত যত গভীর হয়, ততই রহস্যময় হয় তার গভীরতা। একদিকে ঘুমিয়ে পড়ে শহর। অন্যদিকে জেগে ওঠে আরেকটি শহর। আঁধারে ঢেকে থাকা সে শহরের কথা আমরা অনেকেই জানি না। যা থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। রাতের গভীরতার সাথে বাড়তে থাকে আঁধারের ঘনত্ব। তার সঙ্গে বৃদ্ধি পায় পৃথিবীর রহস্যময়তা! রাতের নগরীতে গন্তব্যহীন পথ চলায় ক্রনিক ইনসমনিয়ার রোগী রাতুলের পরিচয় ঘটে রাফিদ, নীরা, রিয়া, শর্মি, আরমান, ওসি মাশরুফ সহ আরো অনেকের সাথে। মুখোমুখি হয় এক একটা ঘটনাবহুল অধ্যায়ের। উন্মোচিত হতে থাকে রহস্য। সেই সাথে জানা হয় অজানা-অচেনা মানুষ ও জীবনের গল্প। আর এইসব ঘটনার খণ্ডচিত্র নিয়েই বিস্তৃত হয়েছে এই উপন্যাসের পটভূমি।
"বেশকাল পর টানা সুরে তোমার সুনাম রচনা করিতে বসে কিছুই আসে না মনে... বেগম আখতার বারবার না না করে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন নির্জন বিকাল...কান ওদিকে ঘুরেছে ঠিক মন তবু টানা সুরে তোমার কিছুটা ছায়া গেয়ে যেতে বাসনা বেঁধেছে... তবে হোক গান শুধু শীতরাত দূর কোনো পাহাড়ের বনে... কেমন প্রশান্ত মাঠ... ভাটিয়ালি সুরে তারে কত না সহজে বলো বাঁধা যেত যদি সুর আয়ত্তে থাকিত তবু আমি সুর বাঁধি কথা বেশ কমেটমে সুরেলা সুবাস হয়ে ফুটে রয় এখানে সেখানে... তাতে আমি অযথা জড়াই না তো বেদনার রঙ... এই বলে বাইরে তাকিয়ে দেখি শিশুরা খেলছে বল... রোদের ভিতর কত শিশুকাল এমনি লুকিয়ে আছে... ঠিক যেন তুমি আছ সকল গানের মাঝে গান হয়ে হয়তো বলতে চাই বনের ভিতর যত বন হয়ে শীতের শুরুতে সব ফুলের উপাধি জানা খুব বেশি উপকারি নয়...এর মাঝে হারানো বনের দিন লুকানো রয়েছে... আমি কি তাতেই মজে টানা সুরে বেঁধে যেতে এ গান মনের কাছে আর্জি রেখেছি... আসলে হদিস জানা নাই।" এই প্রকার বহু কবিতা মুজিব ইরম প্রণীত উত্তরবিরহচরিত গ্রন্থে পাওয়া যাবে।
'একা একজন' গ্রন্থে নাওমি ওয়াতানাবে বলেছেন। জীবনের গল্প। যে জীবন কল্পনার নয়। বাস্তবতার। মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের যা কিছু অনুষঙ্গ, তার সত্য ও নির্মোহ উচ্চারণ আছে এখানে। ইয়ামাদা, ইয়ুরি, মায়ুমি, হিদে, ইয়ুকা প্রমুখ জীবনের পূর্ণাবয়ব চিত্র নিয়ে গল্পে উপস্থিত হয়নি। তারপরও ইঙ্গিত মধুরতায়, রসঘন নিবিড় মুহূর্তে এবং নিগূঢ় সত্যের ব্যঞ্জনায় ও পরিমিত রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে তারা। জীবনের অবিরাম স্রোতে ক্ষনপ্রাণ ও ক্ষণবিলীয়মান যে তরঙ্গ তাই মূর্ত হয়েছে আবশ্যক কথা ও ভাষায়। 'একা একজন' তাই জাপানিদের গল্প শুধু নয়। গল্প পৃথিবীর সকল মধ্যবিত্ত মানুষের।
কোনো কোনো গল্পের শুরু থাকে না, সমাপ্তিও নেই। কারো কারো জীবনের মতো বলা নেই কওয়া নেই সময়টা ঝরে পড়ে। কেউ কেউ আবার এদের নাম রেখেছেন আদর করে 'ঝুরো গল্প'। সবখানেই মানুষের ভিড় থাকে তবুও মানুষ একলা মানুষ। ভিড়ের মাঝেই মিশে যেতে যেতে মানুষ আরও একাকী হয়, শূন্যে মিলিয়ে যায়। একার ভিড়ে সে কি ভাবে? ক. কোনো মানুষ যদি নিজেকে কষ্ট দেয়, সেটা থেকে তাকে বের করে আনবার উপায় কি? খ. কেউ যদি কাউকে মিস করে সেটা সে তাকে যথার্থ বোঝাবে কী করে? গ. মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে সহজ উপায় কী? ভুল জিনিস চিন্তা করা বন্ধের উপায়? কাউকে ভুল না বোঝার উপায়? কাউকে বিশ্বাস করার পন্থা কী? ঘ. পজিটিভ কিছুকে পজিটিভ ভাবার ক্ষমতা কীভাবে গ্রো করে? হয়তো এর কিছুই ভাবে না। এ রকম ছোট ছোট কিছু গল্পের সম্মেলন এই 'একার ভিড়ে একা। পড়তে পড়তে থমকে গিয়ে হয়তো ভাবতে পারেন এ তো আমারই গল্প। আর সেই একাত্মতাটুকু যদি না হয়, তবুও ভেবে নিন না যে; আমিও একার ভিড়ে একা।
লেখক সায়েন্সের ছাত্র, ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত, কেমিস্ট বা লেবরেটোরি অ্যানলিস্ট ওয়ার্কার। পুরো করোনাকালে তাঁর কাজ করতে হয়েছে। এ বই তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ। এতে চমৎকার সব ঘটনা আছে। আছে মানুষের কথা, করোনায় মৃতের পরিবারের বেদনার কথা। আছে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের কাহিনি। ভাষা অতি সাধারণ, অথচ প্রাঞ্জল। আশা করি, বইটি সকলের উপকারে আসবে।
লাতিন কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক হুয়ান কার্লোস ওনেত্তি। উরুগুয়ের এই ঔপন্যাসিকের বিশ্বনন্দিত উপন্যাস 'এল গোসো' (কুয়ো) প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। উপন্যাসের চরিত্রগুলো যতটা না বাস্তব, তার চেয়ে বেশি অশরীরী। কাল্পনিক স্মৃতিতে বেঁচে থাকা কতগুলো মানুষের গল্প এটি। এর প্রধান চরিত্র লিনাসেরো একজন ব্যর্থ মানুষ, বেঁচে থাকার অনাগ্রহ থেকে সে স্বপ্ন দেখে। ওনেত্তি মার্কেস থেকে ভিন্ন এক কণ্ঠস্বর। এমনকি লাতিন আমেরিকার অন্যান্য কণ্ঠস্বর হুয়ান রুলফো, কার্পেন্তিয়ের, বোর্হেস, য়োসা কারও সঙ্গে ঠিক মেলে না। আবার এ-ও ঠিক, লাতিন সাহিত্যের ঐতিহ্য নির্মাণে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য। য়োসা যে কারণে বলেছেন: লাতিন আমেরিকার উপন্যাসের জন্ম উরুগুয়ের ঔপন্যাসিক হুয়ান কার্লোস ওনেত্তির প্রথম উপন্যাস 'এল পোসো' প্রকাশের পর থেকে।' তাই ওনেত্তিকে বাদ দিয়ে বাংলা ভাষায় যে লাতিন আমেরিকার সাহিত্য পাঠ ও চর্চা, সেটি অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিত। বাংলা ভাষার পাঠকেরা উপন্যাসটি পাঠ করে সাহিত্যের নতুন ধরনের গঠন ও নির্মিতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
মনিকা লিউনস্কি। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেমিকা। দেখতে আহামরি সুন্দরী নন, তবু ক্লিনটন তাঁর প্রেমে পড়েন। প্রেমিকার জন্য প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন তাঁর রাজত্ব হারাতে বসেছিলেন। শোনা যায়, হিলারি নাকি তখন রেগে-মেগে ক্লিনটনকে কিলঘুষি মেরে বলেছিলেন, 'এই মেয়ের জন্য তুমি প্রেসিডেন্সি খোয়াবে?' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তাঁর সাথে বেঁচে থাকবেন তাঁর প্রেমিকা মনিকা লিউনস্কি।