নরওয়েজিয়ান উড এসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হারুকি মুরাকামির অন্যতম সেরা এবং শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি। এটি একটি অনবদ্য মৌলিক উপন্যাস যার পাতায় পাতায় আপনি পাবেন বিষণ্ণতা, বেদনা, যন্ত্রণা, যৌনতৃপ্তি, প্রেম, অসম সম্পর্ক সহ আরো বিভিন্ন গোপনীয় বিষয় যা সবাই বুঝে অনুভব করলেও মুরাকামি তা প্রকাশ করেছে। প্রেম, সম্পর্কের জটিলতা, যৌনতা, বয়োঃসন্ধি, একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা আর প্রিয়জন হারানোর ব্যথা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন হারুকি মুরাকামি।
সুরক্ষিত পেন্থাউজে বাস করে সে, কারও সাতে-পাঁচে নেই। আপাতদৃষ্টিতে নিতান্তই গােগাবেচারা একজন। কঠোরভাবে মেনে চলে কয়েকটি অনুশাসন, অনুসরণ করে নিজস্ব কিছু নীতি। এর বাইরে তার যে পরিচয় সেটি খুব বেশি মানুষ জানে না। জীবন-মরণ সমস্যায় নিপতিত মানুষজন তার সাহায্য কামনা করে তাদের কাছে সে কেবলই একজন ‘নােহােয়ার ম্যান।’ প্রতিপক্ষের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সব সময়, অতিমাত্রায় সতর্ক একজন মানুষ। কঠোর প্রশিক্ষণ কাজে লাগায় অসহায় মানুষের পক্ষে। কিন্তু সর্বশেষ মিশনটি সবকিছু ওলটপালট করে দেয়, ছক থেকে বের হয়ে আসতে হয় তাকে। অনুশাসনের বলয় থেকেও সরে আসে ধীরে ধীরে। প্রতিপক্ষের সুচতুর চাল উন্মােচিত করে দিতে থাকে তার মুখােশ। তবে কি কেউ জেনে ফেলেছে তার গােপন পরিচয়টি? জীবনে প্রথমবারের মতাে কি ব্যর্থ হতে চলেছে ‘অরফান এক্স’? বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিলাে ইভান স্মােক। অন্ধের মতাে ঝাঁপ দিলাে অতল এক গহ্বরে-নাকি পেতে রাখা ফাঁদে? গ্রেগ হুরউইজের অসাধারণ সৃষ্টি ‘অরফান এক্স’ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলােচিত আর জনপ্রিয় একটি থৃলার। খুব শিঘ্রই হলিউড মুক্তি দিতে যাচ্ছে অরফান এক্স সিনেমাটি কিন্তু বাংলাভাষাভাষি পাঠককে আগেভাগেই এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে বাতিঘর প্রকাশনী।
জেসন বর্ন আবার ফিরে এসেছে! চায়নার ভাইস প্রিমিয়ারকে হত্যা করেছে সে। সত্য হলো, তার নাম ব্যবহার ক’রে আরেক খুনি সুদূর প্রাচ্যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে গভীর এক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে। সেই খুনিকে থামাতে না পারলে পৃথিবীকে চরম মূল্য দিতে হবে। আর এ কাজ করতে পারে কেবল আসল জেসন বর্ন। আবারো তাকে এ কাজ করতে বাধ্য করা হলো-তাকে ফিরে যেতে হলো সেই ধূসর জগতে। কিন্তু যারা তাকে এ কাজ করতে বাধ্য করলো তারা বুঝতে পারলো, তাকে নিয়ে খেলতে যাওয়াটা মোটেও ঠিক হয় নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের অসংখ্য জনপ্রিয় থৃলার অনুবাদ করার পর অবশেষে তার প্রথম দুটি মৌলিক থৃলার নেমেসিস এবং কন্ট্রাক্ট প্রকাশিত হলে বিপুল পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সেই অনুপ্রেরণা থেকে বর্তমানে তিনি অনুবাদের পাশপাশি বেশ কয়েকটি মৌলিক থৃলারের কাজ করে যাচ্ছেন তার পরবর্তী থৃলার উপন্যাস কনফেশন,মেডুসা কানেকশান এবং ম্যাজিশিয়ান প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সাড়া জাগানো উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড, লস্ট সিম্বল, গডফাদার, বর্ন আইডেন্টিটি, বর্ন আলটিমেটাম, দ্য ডে অব দি জ্যাকেল, দ্য লাইসেন্স অব দি পয়েন্ট, আইকন, মোনালিসা,পেলিকান বৃফ, এ্যাবসলিউট পাওয়ার , ওডেসা ফাইল, ডগস অব ওয়ার, অ্যাডভেঞ্জার, দান্তে ক্লাব, দ্য কনফেসর ,স্লামডগ মিলিয়নেয়ার, দ্য কনফেফক্স এবং দ্য এইটসহ বেশে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি। অভিজাত স্কুল সেন্ট অগাস্টিনে খুন হলো এক জুনিয়র ক্লার্ক, তদন্তে নামলো হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। বেরিয়ে এলো ভিন্ন একটি ষড়যন্ত্র। আবারো মুখোমুখি দুই ভুবনের দু’জন মানুষ। ভয়ঙ্কর একটি ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি তারা। অবিশ্বাস্যভাবেই ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। জেফরি বেগ বাস্টার্ডের যে দ্বৈরথ শুরু হয়েছিলো নেমেসিস-এ, কন্ট্রাক্ট-এ এসে সেটা গতি লাভ করে আর নেক্সাস-এ পাঠক খুঁজে পাবেন সর্ম্পূর্ণ ভিন্ন একটি উপাখ্যান। ২০১২ বইমেলায় নেক্সাস-এর বিপুল জনপ্রিয়তা আগের দুটি পর্বকেও ছাপিয়ে গেছে।
আমেরিকান প্রেসিডেন্টের অবকাশযাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে জন্মদিনের পার্টি থেকে কিডন্যাপ করা হলাে এক বাচ্চাকে। ঘটনাটি হয়ে উঠলাে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। সিক্রেট-সার্ভিসের সাবেক দুই অজেন্ট শন কিং আর মিশেল ম্যাক্সওয়েল ফার্স্টলেডির অনুরােধে একাউ অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়লাে এ ঘটনায়, আবিষ্কার করলে চারপাশের সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে দাড়িয়ে পড়েছে তারা। কে শত্রু আর কে মিত্র পৃথক করা কঠিন হয়ে পড়লাে, আরাে কঠিন হয়ে পড়লাে তাদের সাথে লড়াই করাটা। আমেরিকান থলার-মাস্টার ডেভিড বালড়াচির ম্যাক্সওয়েল-কিং সিরিজের দুর্দান্ত একটি উপন্যাস ফাষ্ট ফ্যামিলি পাঠককে বরাবরের মতােই উত্তেজনার স্বাদ দেবে।