রামাদান এতই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস যে, এই মাসে জান্নাতের সবগুলো দরজা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং জাহান্নামের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই মাসেই রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের প্রতিটি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দুআ কবুল হয় এবং অগণিত বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। অথচ কত-ই না দুর্ভাগা আমরা যে, উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে আমাদের অনেকেই মূল্যবান এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি না। ফলে আমরা ব্যর্থ হই রামাদানের অমূল্য-সব নিয়ামতপ্রাপ্তি থেকে। মূল্যবান এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই সমকালীন প্রকাশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
"হাইয়া আলাস সালাহ" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ হৃদয় যখন পাপসাগরে নিমজ্জিত, জীবন যখন থমকে দাঁড়ায় হতাশার বালুচরে কিংবা ক্লান্তি এসে ভিড় করে মনের আঙিনায়, তখন মুয়াজ্জিনের এক চিলতে বিনীত আহ্বান—হাইয়া আলাস সালাহ—আমাদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়, ভেতর থেকে যেন বলতে চায়, ‘এসাে কল্যাণের পথে, এসাে এক সুন্দর আগামীর পথে। প্রতিদিনকার একাগ্র সালাতে শুকিয়ে যেতে শুরু করে হৃদয়ের সব ক্ষত৷ চোখের সমুখে চিরচেনা পৃথিবী উন্মােচিত হয় নতুন রূপে৷ মহান স্রষ্টার প্রতি আশা-ভরসা বেড়ে যায় বহুগুণে। শূন্যতার জীর্ণ অনুভূতি ঢেকে যায় সবুজ কোমল ঘাসে৷ কষ্টের নীলাভ জলরাশি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ঐ দূর আকাশে।
এ বইটিতে ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনে ঘটে যাওয়া সব আলােচিত ঘটনা এবং তা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে৷ কঠিন বিপদের মুহূর্তে কীভাবে সবর করবেন এবং অন্যায়-অনাচার। থেকে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, তার দুর্দান্ত কিছু কৌশল রয়েছে এখানে। হিংসুকের হিংসা এবং শত্রুদের অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে এ বইয়ের কোনাে বিকল্প নেই। সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবােধ বজায় রাখতে এ বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা যেসব বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হই, সেগুলাে পাশ কাটিয়ে কীভাবে সফল হতে হবে, তার দিকনির্দেশনা মিলবে এ বইটিতে।
একটি ভ্রূণের হৃদয়-বিদারক অনুভূতি এবং বেঁচে থাকার তীব্র আকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটির পাতায় পাতায়। ভ্রূণহত্যার মতো গর্হিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।
বছরের এক মহিমান্বিত মাস জিলহজ। নবি ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হলেন—কুরবানি করতে হবে প্রিয়তম পুত্রকে। মহান রবের আদেশ পালনে তিনি এতটুকু বিচলিত হননি। কোনো ভয়, কোনো সংশয় দানা বাঁধতে পারেনি তার অন্তরে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় কুরবানি। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছর জিলহজে লাখো লাখো মুসল্লি হাজির হয় কাবাঘরের প্রাঙ্গণে। তারা অবস্থান করে মিনায়; ছুটে বেড়ায় সাফা-মারওয়ায়। এ সকল কারণে জিলহজের গুরুত্ব আর ফজিলত মুসলিমদের কাছে অপরিমেয়। এমন পবিত্র একটি মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল এবং নির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি। সেসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘জিলহজের উপহার’।
১. সহজ ভাষায় ও গল্পের ছলে ‘সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা’ বইটি আপনার সামনে মেলে ধরবে সুখী পরিবার গড়ে তোলার চমৎকার সব কৌশল। ২. এ বইটি নিঃসন্দেহে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরো মজবুত করে তুলবে। ৩. জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা ও হৃদয়ছোঁয়া গল্পে মুখরিত এ বই আপনার জীবনে এনে দেবে সুখ, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য আর অনাবিল আনন্দ। ৪. পরিবারকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সুস্থ-সুন্দর সমাজ। আমাদের পরিবারগুলো সুখী হলে, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, পাপ-পঙ্কিলতা সব দূর হয়ে যাবে। তাই সুন্দর সমাজ ও পরিবার গঠনের লক্ষ্যে এ বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ১. শিশুকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বেশকিছু কার্যকরী ও উদ্ভাবনী কৌশলের দেখা মিলবে এখানে। ২. পড়াশোনায় শিশুদের মনোযোগ বৃদ্ধি, টিভি আর ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি এবং সন্তানদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ দূর করে কীভাবে তাদেরকে সুন্দর জীবন উপহার দেবেন তা জানতে পড়ে ফেলুন এ বইটি। ৩. শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই চরিত্র গঠন করে। তাই সন্তানের সামনে নিজেকে আদর্শ এবং অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে এ বইটি নিঃসন্দেহে অবশ্যপাঠ্য। ৪. সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে, তাদেরকে ভদ্রতা, শৃঙ্খলা ও নীতি-নৈতিকতা শেখাতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার। ৫. বইটি পড়লে আরো জানা যাবে, বাবা-মায়ের কোন কথা আর কাজে শিশুদের মন ভেঙে যায় এবং হতাশায় ডুবে গিয়ে তারা বিপথে চলে যায়। ১. পরিবারে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান এবং সবার সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে এ বইটি আপনার বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াবে। ২. দাম্পত্যজীবনকে আরো গতিময় করে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি বাড়িয়ে দিতে এমন বই খুব কমই পাবেন পৃথিবীর বুকে। ৩. একটি সুষ্ঠু-সুন্দর পারিবারিক আলাপন আপনার জীবনে এনে দিতে পারে ভিন্ন এক মাত্রা। কীভাবে পরিবারের সবার সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবেন, কীভাবে যেকোনো সমস্যায় কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করবেন, তা জানতে হলে এ বইটি আপনাকে পড়তেই হবে। ১. এ বইটি পড়লে কিশোর-কিশোরীদের চিন্তাজগতের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে। সেই সাথে তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা মিলবে। ২. কিশোর-সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ বই আপনাকে উপহার দেবে চমৎকার সব কৌশল আর কার্যকরী পদক্ষেপ। ৩. কৈশোর মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময় প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের পাশে থাকা, তার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং ভালো কাজের ব্যাপারে তাকে উৎসাহ জোগানো। ৪. যেসব কিশোর-কিশোরী খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বিপথে চলে গিয়েছে কিংবা ইন্টারনেটের ভয়ংকর জগতে নিমজ্জিত রয়েছে তাদেরকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ বইটি হতে পারে এক মোক্ষম দাওয়াই। ১. শিশুদের নানারকম সমস্যা ও তার চমৎকার সমাধান খুঁজে পাবেন এ বইয়ের পাতায় পাতায়। ২. আপনার বাচ্চা কি অহরহ মিথ্যা বলে? অল্পতেই রাগ করে? রাতের বেলা একা একা ওয়াশরুমে যেতে ভয় পায়? কিংবা প্রতি রাতে ঘুমের ঘোরে বিছানা ভিজিয়ে দেয়? তবে তো এ বইটি আপনারই জন্য। ৩. আপনার সন্তান যদি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে থাকে, ঠিক মতো খেতে না চায় অথবা অকারণে সবার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়, তবে এমন একটি বই হাতছাড়া করা মোটেও উচিত হবে না আপনার। ৪. বুদ্ধিমান বাবা-মায়েরা কখনো সন্তানের গুরুতর সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। তারা সমস্যার শুরুতেই সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ১. আপনার সন্তান কি স্মার্টফোন আর ভিডিও গেমসে আসক্ত? সে কি একদমই বই পড়তে চায় না? পড়ার কথা বললেই কি তার মাথা ঘুরায়, পেট ব্যথা করে? তাহলে তো এই বইটি পড়া আপনার জন্য ফরজ! ২. বইয়ের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে, বইয়ের সাথে পরম বন্ধুত্ব তৈরি করতে, বইপাঠের গুরুত্ব এবং জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তা ওদের সামনে মেলে ধরতে, সর্বোপরি একটি শিশুকে পরিপূর্ণভাবে বইমুখী করে গড়ে তুলতে হলে এমন একটি বই আপনার সংগ্রহে থাকতেই হবে। ৩. কিন্তু বাবা-মা হিসেবে সন্তানের হাতে আপনি কোন বইটি তুলে দেবেন? কেমন গল্প শুনিয়ে তাকে প্রতি রাতে ঘুম পাড়াবেন? কোন বইটি তাদেরকে সত্যের পথে নিয়ে যাবে আর কোন বই তাদেরকে আঁধারে নিমজ্জিত করবে—এ ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে।