এলিস ফ্রিমান। তার লাশের পাশের কাছে পাওয়া গেলো একটি ডিভিডি। সেই ডিভিডি’তে রয়েছে মেয়েটির জীবনের অজানা কাহিনী। এই কেসের দায়িত্ব পেলো হোমিসাইডে ডিটেক্টিভ মাইলো। ডক্টর অ্যালেক্স ডেলাওয়্যায়ের সাইকোলজিক্যাল অভিজ্ঞতা/দক্ষতার প্রয়োজন পড়লো তার। মাইলো আর ডক্টর দু’জনে মিলে যা উদ্ঘাটন করলেন তা উঁচু তলার সমাজের কদর্য একটি দিক। কিন্তু তারা জানে না এটা করতে গিয়ে নিজেদের মৃত্যুফাঁদেই পা দিয়ে ফেলেছেন। সাইকোলজি থৃলারের মাস্টার জোনাথান কেলারম্যানের অসাধারণ একটি প্রয়াস ডিসেপশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের অসংখ্য জনপ্রিয় থৃলার অনুবাদ করার পর অবশেষে তার পর পর আটটি মৌলিক থৃলার নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস, কনফেশন, করাচি, জাল, ১৯৫২ এবং রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি প্রকাশিত হলে বিপুল পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সেই অনুপ্রেরণা থেকে বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি মৌলিক থৃলার লেখার কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরবর্তী গৃলার উপন্যাস নেক্সট, কজিতো, পেন্ডুলাম, দেওয়াল, পহেলা বৈশাখ, এলিভেটর, ঘুমি সানডে এবং ম্যাজিশিয়ান প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুবাদ করলেও বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে মূলত মৌলিক গল্পউপন্যাসই লিখে যাচ্ছি, যদিও পাঠক নিয়মিত তাগাদা দিয়ে থাকে অনুবাদের জন্য। তারা যে আমার অনুবাদের অভাব বোধ করে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাই গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভিন্নধর্মি কিছু অনুবাদ করবো। অনেক আগেই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান আর স্প্যানিশ খৃলার অনুবাদ করেছি, অন্যকে দিয়ে করিয়েওছি। আমার নিজের কাছে গল্পের গভীরতা আর ভিন্নধর্মি কনটেক্সটের কারণে নন-ইংলিশ ক্রাইম-খৃলারগুলো বেশি ভালো লাগে। ছাত্রজীবন থেকে লাতিন আমেরিকার সাহিত্যের খোঁজ-খবর রাখলেও ওখানকার ক্রাইম-থ্রলারগুলো খুব একটা পড়া ছিলো না। কয়েক বছর আগে কিছু লাতিন ক্রাইম-থ্রলার পড়তে শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক এদুয়ার্দো সাচেরির লা প্রেহু দে সুস ওহোস-এর (La pregunta de sus ojos) ইংরেজি অনুবাদটি পড়ে ফেলি। বইটি আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। সিদ্ধান্ত নেই অনুবাদ করার জন্য, কিন্তু কাজ শুরু করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে-মৌলিক লিখতে লিখতে অনুবাদ করা ভুলে গেছি। মূল কাহিনী আর চরিত্রগুলো পাশ কাটিয়ে নিজের মতো করে লিখতে শুরু করে দিয়েছি! সম্ভবত এর কারণ, ঐ সময় আমার মাথায় সাচেরির গল্পটির মতোই একটি পিরিওডিক্যাল মার্ডার মিস্ট্রি ঘুরপাক খাচ্ছিলো। অন্যদিকে, মূল উপন্যাসের সময়কাল আর রাজনৈতিক আবহের সাথে আমাদের দেশের একটি সময়ের আশ্চর্য রকমের সাযুজ্যও খুঁজে পেয়েছিলাম।
মার্ডার মিস্ত্রি হয়তাে পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ত্রি? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়ােগ করা হলাে অদ্ভদ এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলাে চোরাবালি আসলে কতটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খােলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের। বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার, দরকার এক রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা দুজন মিলে কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ-ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। আর্কনখ্যাত তানজীম রহমানের হরর-গৃলার অক্টারিন-এর পাতায় লুকিয়ে। আছে খুন, জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের আশ্চর্য এক উপন্যাস যা চুম্বকের মতাে আপনার মনােযােগকে আকর্ষণ করবে।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলাে কমান্ড্যান্ট কামিল ভেরােভেন। এরইমাঝে জোড়া খুনের নৃশংসতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে পুরাে ক্রিমিনাল ব্রিগেড । সবচেয়ে সাহসি অফিসারকেও নির্বাক করে দেয় খুনির পৈশাচিকতা। কিছুদিনের মধ্যেই কামিল আবিষ্কার করে, বিখ্যাত কিছু ক্রাইম-ফিকশনের অনুকরণে হচ্ছে এসব খুন। সঙ্গে সঙ্গে পত্রপত্রিকাগুলাে খুনিকে “নভেলিস্ট” নামে ডাকতে শুরু করে দেয়। নভেলিস্টের হত্যাযজ্ঞ কোথায় গিয়ে থামবে তা কেউ জানে না । উকণ্ঠার মাঝে প্রতিটি দিন পার করতে থাকে সবাই। ক্রিমিনাল ব্রিগেডের সবচেয়ে দুর্ধধর্ষ অফিসাররা কী পারবে নভেলিস্টকে থামাতে? সবার চোখ এবার শিকার এবং শিকারির উপরে নিবদ্ধ । অবশেষে কেসটা হয়ে ওঠে দু-জন মানুষের মধ্যেকার এক দ্বৈরথে । একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য মরিয়া তারা কিন্তু যার ক্ষতি যতাে কম হবে কেবল সে-ই জয়ি হবে এ লড়াইয়ে।
সিলেটের গহীন বনে দীর্ঘদিন পর জ্ঞান ফিরে পাওয়া মানুষটা কে? কিয়াসু কেন সেই মানুষটার প্রতি এতো আগ্রহী? কিয়াসুর জীবনের অন্ধকার উপাখ্যান জানতে চান? ওদিকে রাজস্থানের যে ঘটনা ‘সত্য-কলামে’ ঠাই নিয়েছে, তা কি আদৌ ঘটেছিলো? কুড়িগ্রামের সীমান্ততঘেষা অঞ্চলে রাতের গভীরে নেমে আসা নিশিবু’র অভিশাপ কতোটা সত্যি? বরিশালের ঝালকাঠিতে প্রতি আমাবস্যার রাতে অজ্ঞাত আক্রমনের জন্য দায়ী কে? এর জন্য স্থানীয় মন্ত্রীর কেনো এতো মাথা ব্যথা? ওদিকে সাফওয়াত আর আইরিন সুন্দরবনের গভীরে এক চরে বন্দী। দূর থেকে ভেসে আসছে হিংস্র মায়াবাঘের হুংকার! কী করবে তারা? এমন অজস্র প্রশ্নকে পেছনে ফেলে সবার একটাই জিজ্ঞাসা। রফিক শিকদার কোথায়? ‘হার না মানা অন্ধকার’ জগতের দ্বিতীয় আখ্যান ‘ঘিরে থাকা অন্ধকার’, পাঠকদের আরেকবার নিয়ে যাবে প্রকৃতির সব অদ্ভুত আর ব্যাখ্যাতিত ঘটনার জগতে।
ছোট্ট এক মফস্বল শহর নিশ্চিন্তপুর। যে শহরে অপরাধ হয় না বললেই চলে। কিন্তু হলো একদিন। চুরি হলো এক প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শখের সাইকেল। ব্যস, শহরে মুখরোচক গল্পে পরিণত হলো ঘটনাটা! ভাবছেন, একটা সামান্য সাইকেল চুরির ঘটনায় এত মাতামাতি করার কি আছে? একই কথা ভেবেছিল নিশ্চিন্তপুরের সাহিত্যমনা একদল তরুণ-তরুণী। তারা বুঝল, মানুষ সত্যিকার বিনোদন পায় অপরাধের গল্প শুনে। কোথাও অপরাধ হলে মানুষ যতই মুখে মুখে ‘হায় হায়’ করুক না কেন, তাদের মনের একটা অংশ আনন্দ পায়। এই বিষয়টা উপলব্ধি করে তারা একটি বিনোদনমূলক পত্রিকা বের করল। নাম দিল ‘গল্প হলেও সত্যি’। কাল্পনিক কিন্তু গায়ে কাঁটা দেওয়া সব অপরাধের গল্প ছাপা হলো সেখানে। অপরাধ-বিহীন শহরে এমন একটি পত্রিকা বিক্রি হতে লাগল হট কেকের মতো। এরপর হঠাৎ কী এমন হলো, কোপেনহেগেন থেকে খ্যাতিমান বাঙালি সাইকোলজিস্ট জিব্রান আহমেদ ছুটে এলো নিশ্চিন্তপুরে? কী এমন ঘটল যে নিশ্চিন্তপুর থানার ওসি রুদ্র তালুকদার তার শান্ত শিষ্ট স্বভাব ছেড়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করল? একটা বিনোদনমূলক পত্রিকা কি করে নিশ্চিন্তপুরকে বদলে দিল চিরদিনের জন্যে? ছোট এই মফস্বলে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে লাগল অকল্পনীয়, অচিন্তনীয় সব রহস্য!