"থৃলার গল্প সংকলন-২" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে দেশে সাহিত্যের বিকাশ এবং এর বিভিন্ন শাখার জনপ্রিয়তা নির্ভর করে সে-দেশের লেখকদের লেখার পরিধি এবং পাঠকের রুচি ও চাহিদার ওপরে। সে-হিসেবে বর্তমান বিশ্বসাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় শাখা ‘থৃলার’ আমাদের দেশের পাঠকদের কাছে এখন শুধুমাত্র ‘গােয়েন্দা গল্প’ কিংবা ‘বাচ্চাদের বই’-এর খােলস ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। দেশীয় মৌলিক থৃলার-উপন্যাস এবং বিদেশী অনুবাদ-থৃলারের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আমাদের দেশের পাঠকেরা ইতিমধ্যেই উচ্চমানের থৃলারের স্বাদ বেশ ভালােভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এই জনপ্রিয়তার ধারা অক্ষুন্ন রাখতে এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটে মৌলিক থৃলার-লেখক তৈরির প্রয়াসে গতবছর একুশে বইমেলায় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘থৃলার গল্প সংকলন'। বিদেশি লেখকদের অনুবাদ গল্পের পাশাপাশি তাতে সংযােজন করা হয় দেশীয় লেখকদের মৌলিক থৃলার-গল্প। ‘থৃলার গল্প সংকলন’-এর পাঠকপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশিত হলাে ‘থৃলার গল্প সংকলন-২'। এবারের সংকলনে মূলত দেশীয় লেখকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, সেই সাথে সংযােজন করা হয়েছে কিছু ক্লাসিক-থৃলারের অনুবাদ। বিদেশী এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটের গল্পগুলাে পাঠকদের ভালাে লাগবে।
"থ্রি: টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
"থৃলার গল্পসঙ্কলন-৩" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে ভাষার সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলাে সেই ভাষার সাহিত্যের বিভিন্ন ধারাকে সমৃদ্ধ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলা সাহিত্যে থৃলার। ছােটগল্পের পরিসর বৃদ্ধি এবং মান। উন্নত করার উদ্দেশ্যে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত। হয়েছে ‘থৃলার গল্পসঙ্কলন’ ও ‘থৃলার। গল্পসঙ্কলন ২। বাংলা সাহিত্যে বিশ্বমানের থৃলার গল্পের ক্ষেত্র বৃদ্ধির সাথে সাথে এই গল্পসঙ্কলনের অন্যতম। আরেকটি উদ্দেশ্য ছিলাে নতুন। মৌলিক থৃলার লেখক সৃষ্টি করা। প্রথমটির সাথে সাথে থৃলার গল্পসঙ্কলন তার দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিও বেশ চমৎকারভাবেই পূরণ করে চলেছে বলা যেতে পারে। কারণ থৃলার সঙ্কলনের গল্প লেখকদের অনেকেই ইতিমধ্যে মৌলিক থৃলার উপন্যাস লেখক হিসেবে পাঠক সমাদৃত। প্রথম এবং দ্বিতীয় সঙ্কলনের সার্বিক সাফল্যকে ধারণ করে আরাে বড় পরিসরে এবার প্রকাশিত হচ্ছে ‘থৃলার গল্প সংকলন-৩’। যথারীতি সঙ্কলনের সমন্বয় করা হয়েছে একদল নতুন এবং পুরনাে লেখকদের গল্প প্রতিবারের মতাে এবারও ‘থৃলার গল্প সঙ্কলন-৩' এ বিদেশি বিখ্যাত লেখকদের গল্পের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে দেশি প্রেক্ষাপটে লেখা দেশীয় মৌলিক থৃলার গল্প, গল্পের মান এবং লেখনি শক্তিতে যা কোনাে অংশেই বিদেশী প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়ে কম নয়।
"ফাইট ক্লাব" বইটিতে লেখা শেষের কথা: ‘ফাইট ক্লাবের প্রথম নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না।, ফাইট ক্লাবের দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না! ফাইট ক্লাবের তৃতীয় নিয়ম হচ্ছে... চরম ইনসােমনিয়ায় আক্রান্ত এক অফিস ওয়ার্কারের সাথে জুটি বেঁধে এক সকল-কাজের-কাজী সাবান-প্রস্তুতকারক নেমে পড়ে রহস্যময় আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইট ক্লাব গড়ায়, যা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি শহরে। বেপরােয়া একদল ফ্যানাটিক গােটা পৃথিবীর ইতিহাস বদলানাের কাজে নেমে পড়ে এরপরই। এই উন্মত্ততা ঠেকানাের সামর্থ্য আছে শুধু একজনেরই-আর আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, আমাদের নায়কের অমিত শক্তিধর শত্ৰুটি কে।
"ফোরটি এইট আওয়ার্স" বইটিতে লেখা শেষের কথা: পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হবার কিছুক্ষণ পরই খুন হয়ে যায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে মারুফের ওপর। ডিপার্টমেন্ট, মিডিয়া থেকে শুরু করে খােদ হােমমিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে তাকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় খুনিকে খুজে বের করার জন্যে। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র এবং একজন আইটি এক্সপার্ট। একাজ করার জন্য তাদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। অসম্ভব এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন এক সত্যের মুখােমুখি হতে হলাে তাদেরকে। কি সেই সত্য জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ফোরটিএইট আওয়ার্স শেষ হবার আগপর্যন্ত।