"হ্যানিবাল" বইটিতে লেখা শেষের কথা: সাত বছর আগে মানসিক বিকারগ্রস্ত খুনিদের বন্দিশালা থেকে পালিয়েছিল ডক্টর হ্যানিবাল লেকটার। এত বছর পরও এজেন্ট ক্লারিস স্টারলিং ডক্টরকে ধরতে বদ্ধপরিকর, কিন্তু তার চেয়েও বেশি মরিয়া আরেকজন মানুষ!-লেকটারকে সে খুঁজে বের করে কঠিনতম শাস্তি দিতে চায়। কিন্তু কেন? এদিকে ইতালিয়ান পুলিশের এক দুনীর্তিগ্রস্ত কর্মকর্তাও মােটা অঙ্কের পুরস্কারের লােভে যােগ দেয় সেই ক্ষমতাবান মানুষটির সাথে। শুরু হয় মানুষ শিকারের এক প্রতিযােগিতা-তিনজনের তিন উদ্দেশ্য কিন্তু শিকার একজনই-ডক্টর হ্যানিবাল লেকটার! রেড ডাগন এবং দ্য সাইলেন্স অব দি ল্যাম্বস্-এর পর হ্যানিবাল পাঠককে আবারাে নিয়ে যাবে ডক্টর লেকটারের সেই কুহেলিকাপূর্ণ ভীতিকর আর গা শিউরে ওঠার দুনিয়ায়। ‘অপ্রতিরােধ্য, সিনেমাটিক...একদম শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চমক ধরে রাখা... প্রত্যেকটি সূত্র, প্রত্যেকটি বিবরণের স্বাদ পাওয়া যায়।'
শাঁখিনী অনীশ দাস অপু সম্পাদিত অনবদ্য এক হরর সংকলন শাঁখিনী। এক কুড়ি দেশি-বিদেশি হরর, পিশাচ ও রোমাঞ্চ গল্প নিয়ে এবারের নৈবেদ্য। যথারীতি প্রতিটি গল্পই পাঠকদেরকে করে তুলবে চমকিত, শিহরিত ও রোমাঞ্চিত! নিশিডাকিনী তৌফির হাসান উর রাকিব সম্পাদিত দৃষ্টির অগোচরে থাকা অতিপ্রাকৃত জগতের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই আমাদের। কী লুকিয়ে আছে ওখানে? কারা লুকিয়ে আছে? অধুনা হরর সাহিত্য মাতানো জনপ্রিয় সব লেখকদের নিখাদ মৌলিক গল্পগুলো একবার পড়তে শুরু করলে ঘড়ির কাঁটার অস্তিত্ব ভুলে যেতে বাধ্য হবেন আপনি। যাঁরা অতিলৌকিক কাহিনী ভালবাসেন, তাদের জন্য “নিশিডাকিনী’-র ডাক উপেক্ষা করা এক কথায় অসম্ভব!
অতিপ্রাকৃত জগতে রহস্যের কোন শেষ নেই। আর এই অপার সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণও তাই দুর্দমনীয়। তন্ত্র-মন্ত্র… ভূত-প্রেত… নরখাদক… পিশাচ… তান্ত্রিক-কাপালিক… কালো জাদু… কী নেই এখানে? পর্দার আড়ালের এ-সমস্ত কুশীলবদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন-অন্ধকারের গল্প।
ন্যাংটো-নাচ দেখিয়ে বেড়াত মেয়েটা। কীসে রক্তশূন্য করে দিয়েছে ওকে? শত বর্ষের পুরানো সড়কে কেন এত মৃত্যুর মিছিল? এ কোন অভিশাপ উঠে এসেছে আদিম লেকের গভীর থেকে? তবে কি ইনডিয়ানদের কথাই সত্যি—জেগে উঠেছে কিংবদন্তির নররাক্ষস? দিনেদুপুরে নেকড়েমানব দেখতে পাচ্ছে। বিপথগামী এক দল তরুণ-তরুণী-শুনতে কেমন লাগে না? শেকসপিয়র ঠিকই বলেছেন: দেয়ার আর মোৱ থিংস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ।
"থৃলার গল্প সংকলন-২" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে দেশে সাহিত্যের বিকাশ এবং এর বিভিন্ন শাখার জনপ্রিয়তা নির্ভর করে সে-দেশের লেখকদের লেখার পরিধি এবং পাঠকের রুচি ও চাহিদার ওপরে। সে-হিসেবে বর্তমান বিশ্বসাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় শাখা ‘থৃলার’ আমাদের দেশের পাঠকদের কাছে এখন শুধুমাত্র ‘গােয়েন্দা গল্প’ কিংবা ‘বাচ্চাদের বই’-এর খােলস ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। দেশীয় মৌলিক থৃলার-উপন্যাস এবং বিদেশী অনুবাদ-থৃলারের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আমাদের দেশের পাঠকেরা ইতিমধ্যেই উচ্চমানের থৃলারের স্বাদ বেশ ভালােভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এই জনপ্রিয়তার ধারা অক্ষুন্ন রাখতে এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটে মৌলিক থৃলার-লেখক তৈরির প্রয়াসে গতবছর একুশে বইমেলায় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘থৃলার গল্প সংকলন'। বিদেশি লেখকদের অনুবাদ গল্পের পাশাপাশি তাতে সংযােজন করা হয় দেশীয় লেখকদের মৌলিক থৃলার-গল্প। ‘থৃলার গল্প সংকলন’-এর পাঠকপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশিত হলাে ‘থৃলার গল্প সংকলন-২'। এবারের সংকলনে মূলত দেশীয় লেখকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, সেই সাথে সংযােজন করা হয়েছে কিছু ক্লাসিক-থৃলারের অনুবাদ। বিদেশী এবং দেশীয় প্রেক্ষাপটের গল্পগুলাে পাঠকদের ভালাে লাগবে।
"থ্রি: টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?