কান ফাটানাে চিকার শুনে ছুটে এলাে মাসিসহ অন্যরা তাদের মাঝে দু-চারটে খদ্দেরও আছে। এসে দেখে, ওসি কামরুল ইসলাম বুকে গুলি খেয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সিলিঙের দিকে চেয়ে আছে। নজর কিন্তু দেখছে না কিছুই । সঙ্গে সঙ্গে যেন নরক নেমে এলাে বাড়িটায়। এমনিতেই দুই নম্বুরি ব্যবসা চালায়, তার ওপর হলাে, খুন.তাও আবার যে-সে না, খােদ ওসি সাহেব খুন! খদ্দেররা লুঙ্গি-পায়জামা সামলে দৌড় লাগাল। বাড়ির দিকে, কোন দুঃখে যে এখানে এসেছিল। তাই ভাবছে বারবার। মেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ, ওরা যাবেই বা কোথায়? ঘর-বাড়ি থেকে প্রতারিত আর প্রত্যাখ্যাত হয়েই তাে মাথা গুজেছিল। এই বাড়িতে. মচ্ছবের মাঝে কখন যে হুডি জ্যাকেট পরা এক। লােক, দলা পাকানাে একটা কাগজ ছুঁড়ে দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ঘরের সামনে তা কেউ জানে না। ভয়ে। জায়গাটা ফাকা হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মাঝে, নইলে। হয়তাে ওটা নজরে পড়ত না পরে আসা পুলিশ কর্মকর্তারও কাগজটা তুলে নিল সে হাতে। ওতে লেখা: দুনীর শেষ, সুদনের শুরু
ছোটো থেকেই বড়ো ভাই কেইনের গুণমুগ্ধ উইল ক্লেইন। নিউ জার্সির এক মফস্বল শহরে বাবা-মা, বোন আর ভাইকে নিয়ে ভালোই সময় কাটছিল তার। কিন্তু সব হিসেব-নিকেশ বদলে যায় এক রাতে। উইলের ভালোবাসার মেয়েটা নৃশংসভাবে খুন হয় নিজ বাসার বেইজমেন্টে। প্রধান সন্দেহভাজন উইলের ভাই। পালিয়ে যায় কেইন, সব প্রমাণও তার বিরুদ্ধে। হাসিখুশি পরিবারটা আর হাসিখুশি থাকে না। ঘটনাটা পাল্টে দেয় প্রত্যেকের জীবনের গতিপথ। এক পর্যায়ে তারা ধরেই নেয় যে চিরতরে হারাতে হয়েছে কেইনকে। এগারো বছর পরের ঘটনা। উইল প্রমাণ পায় তার ভাই বেঁচে আছে। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে সে যা বিশ্বাস করে এসেছে, সব বদলে যেতে থাকে একের পর এক। বাধ্য হয় সে সত্যের পিছু নিতে। কিন্তু জীবন তার জন্যে যা সাজিয়ে রেখেছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। পাঠক, আপনাকে স্বাগতম শ্বাসরুদ্ধকর এক সত্যের অনুসন্ধানে।
নিজের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন ডায়ানা ক্যুপার। ছ’ঘণ্টা পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো তাঁকে। কাকতালীয়? কোনো ক্লু নেই পুলিশের কাছে। আর তাই ডেকে আনা হলো ড্যানিয়েল হোথর্নকে। হোথর্ন... মেধাবী কিন্তু পাগলাটে একজন ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর, বহিষ্কৃত হয়েছে পুলিশ ফোর্স থেকে। কেস সমাধান করার আগেই সে গিয়ে হাজির হলো স্বনামধন্য লেখক অ্যান্টনি হরোউইটযের কাছে। ‘আমাকে নিয়ে বই লিখবেন একটা?’ ইচ্ছা না-থাকার পরও না বলতে পারলেন না হরোউইটয। তাঁরা দু’জনে ছুটে বেড়াতে লাগলেন লন্ডনের এমাথা থেকে ওমাথায়। কিন্তু খুনি যেমন ধূর্ত তেমনই সতর্ক। আড়ালে থেকে চোখ রেখেছিল সে পুরো পরিস্থিতির উপর। তাই সুযোগ পাওয়ামাত্র মরণফাঁদে আটকে ফেলল সে হরোউইটযকে।
প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির এক সন্ধ্যায় তিন বন্ধু আবিষ্কার করলো, ওদের প্রতিদিনের পরিচিত জায়গাটা এমনভাবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে যে দেখে মনে হচ্ছে এই স্থানে আগে কখনোই আসেনি ওরা। যে রাস্তা ধরে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে তারা, সেটা কিছুদূর গিয়েই মিশে গেছে পাহাড়ি মাটির সাথে, আর তার ধারে দেখা দিয়েছে আকাশের বুক ছুঁয়ে দেয়া উঁচু গাছে ভরপুর রহস্যময় এক বনভূমি। বজ্রপাত আর ঝড়ের ক্রুদ্ধ গর্জন ওদের হাতে ঐ বনে প্রবেশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় রাখেনি। খুব দ্রুতই ওরা বুঝতে পারলো, এটা কোনো স্বাভাবিক বন নয়। এ বন ভেতরে যাওয়ার উপায় রেখেছে, শুধু রাখেনি বেরোবার পথ। অদ্ভুত এ বন যেন পরিচিত জগতের বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগৎ, যে জগতে গাছেরা ভেঙে পড়ে শব্দহীন কান্নায়, যে জগৎ মানুষের মনের ভেতর উঁকি দিয়ে বের করে আনে তার সবচেয়ে কদাকার রূপকে, যেখানে ঘুরে বেড়ায় ভয়ংকর সব প্রাণী, শুধু পুরাণের বইতেই যাদের দেখা মেলে। সে জগতে মাকড়সার জালের ন্যায় ছেয়ে আছে কেবল দুটো অনুভূতি—একাকীত্ব ও বিষণ্ণতা। আর এই সবকিছুর উপরে আছে অন্যকিছু, একটা নাম। মাদার ন্যাচার।
কাহিনি সংক্ষেপঃ ভালো হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্টেমিস ফাউল, তবে শেষ এই দাঁওটা মারার পর! অন্তত তেমনটাই পরিকল্পনা করেছিল ক্রিমিনাল এই মাস্টারমাইণ্ড। ঘাপলা বাধল ফেয়ারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো সুপার কম্পিউটার, সি কিউব, বিক্রি করতে গিয়ে। নৃশংস ব্যবসায়ী জন স্পাইরো ওকে বোকা বানাল! আহত হতে হলো ওর দেহরক্ষী আর একমাত্র বন্ধু, বাটলারকে। লোকটাকে বাঁচাতে হলে চাই জাদু। আর তাই ছেলেটা শরণাপন্ন হলো ফেয়ারি হলি শর্টের। তবে শুধু জাদু হলেই হবে না, সেই সাথে সাহায্য লাগবে সৌভাগ্যের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সৌভাগ্য আর্টেমিসের পক্ষে নেই!