আবার অশুভ সংকেত ‘অশুভ সঙ্কেত’ কাহিনীর ডেমিয়েনকে মনে আছে, পাঠক? শয়তান-পুত্র ডেমিয়েন, শেয়ালের পেটে যার জন্ম। পৈশাচিক ক্ষমতা অর্জন করে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল ডেমিয়েন। ‘শেষ অশুভ সঙ্কেত’ গ্রন্থে তার করুণ পরিণতির কথাও পাঠকদের জানা। তবে শয়তানের অনুসারীরা হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। তাদের কুৎসিত চক্রান্তের শিকার হলো অসহায় এক তরুণী। তার গর্ভে জন্ম নিল ডেমিয়েনের উত্তরসুরি। এবার কি সত্যি কেয়ামত নেমে আসবে পৃথিবীতে? নেকড়েমানবী ভয় পেতে ভালোবাসেন আপনি? পছন্দ করেন গা ছমছমে রোমহর্ষক হরর গল্প? তা হলে নেকড়েমানবীকে নিয়ে বসে যান। ভয় আর আতঙ্কের রাজ্যে প্রবেশের সুবর্ণ সুযোগ বারবার আসে না, পাঠক।
পিশাচের পাল্লায় অনীশ দাস অপু চমৎকার কিছু পিশাচ কাহিনী সন্নিবেশিত হয়েছে বইটিতে। “মার্ভ ভিও” পড়ার সময়ে ছমছম করে উঠবে গা। বুকে যথেষ্ট সাহস না থাকলে গভীর রাতে ‘হলদে পা’ পড়া বারণ। “পিশাচের পাল্লায়’ ও ‘হানা বাড়ি’ পড়ে শিউরে উঠবেন। এ ছাড়া অন্যান্য গল্পগুলোও আপনাকে চমকিত করবে। নরসিংহপুরের পিশাচ অনীশ দাস অপু সম্পাদিত পাঠক, কী ধরনের হরর গল্প আপনার পছন্দ? অনুবাদ নাকি মৌলিক? গা ছমছমে ভৌতিক কাহিনী অথবা কলজে চমকে দেয়া পিশাচ গল্প? সেবা ও রহস্যপত্রিকার শক্তিশালী কয়েকজন লেখকের সব রকম স্বাদের, সব ধরনের গল্প পাবেন এ বইতে। প্রবেশ করুন ভয় ও আতঙ্কের দুঃস্বপ্ন-রাজ্যে।
ওখানে কে? অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী আপনি পছন্দ করেন। কারণ, তাঁর প্রতিটি গল্পে থাকে চমক-শিহরন-রোমাঞ্চ। আপনি জানেন, অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী নিয়ে বসা মানে দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টা উত্তেজনা ও আতঙ্কের রাজ্যে পরিভ্রমণ। চলুন, লেখকের সঙ্গে ভয়ের জগতে ঘুরে আসি একপাক। পিশাচী পিশাচী কেন পড়বেন? কারণ আপনি ভয় পেতে পছন্দ করেন এবং জানেন পিশাচী আপনাকে ভয় ও আতঙ্কের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাবে, যেখান থেকে হয়তো ফিরে আসতে চাইবেন না। চলুন, দেখি, সম্পাদক এবার আপনার জন্য কেমন ভয়ের ডালি সাজিয়েছেন!
"মধ্যরাতের আতঙ্ক ও দানব" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ মধ্যরাতের আতঙ্ক মারিয়া এবং দীপ যখন ওদের জীবনের দুঃস্বপ্নকে হার মানানাে কাহিনিটি বলছিল, বারবারই ভয় আর আতঙ্কে শিউরে উঠছিল। যখন বললাম ওদের এ বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি মধ্যরাতের আতঙ্ক নামে একটি উপন্যাস লিখব, দু’জনেই মানা করেছিল। বলেছিল ওদের এ গল্প নাকি কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমি করেছি। কারণ আমি ভূত-প্রেত-ভ্যাম্পায়ারে বিশ্বাস করি বলেই এসব নিয়ে লেখালেখি করি। আমার গল্প আমি বললাম। এখন বিশ্বাস করা না করা আপনাদের অভিরুচি! দানব গুলি ভরা শটগান নিয়ে পার্টিতে হাজির হলাে জেনি বার্টন। চোখের পলকে দু’জনকে উড়িয়ে দিল সে। আরও মানুষ হত্যা করতে চাইছিল জেনি, কিন্তু তাকে থামাল তার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী পল্লবী কেয়া পিংকি ও পুলিশ। পরদিন পিংকি জেলে গিয়ে জেনির কাছে জানতে চাইল সে কেন অমন করল। জবাবে জেনি বলল, “ওরা আর মানুষ ছিল না।" পিংকি প্রথমে ভেবেছিল তার বান্ধবীর মাথা বােধহয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু সে যখন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করল, অকল্পনীয় এক আতঙ্কের জগৎ উন্মােচিত হলাে তার সামনে।
ডেভ এলিয়ট এক সকালে নিজের অফিসে ঢুকেই আবিষ্কার করে তাকে সবাই খুন করতে চাচ্ছে। নিজের বস, সহকর্মী এমনকি তার স্ত্রীও। কিন্তু কেন? জোসেফ গারবার-এর অনবদ্য আর টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠক দারুণ উপভোগ করবেন।