সেই ভয়ংকর রাত অনীশ দাস অপু এ বইতে আপনি গা ছমছমে ভৌতিক কিছু গল্পের সঙ্গে পাচ্ছেন সম্পূর্ণ একটি পিশাচ-উপন্যাস। সেই সাথে চমকে ওঠার মত দু’টি হরর সায়েন্স-ফিকশন এবং একটি রোমাঞ্চ-গল্পও থাকছে। হরর- প্রিয় পাঠকদের শিহরিত করে তোলার কোনও অনুষঙ্গই বাদ পড়েনি বইটিতে জ্যান্ত মমি তারক রায় কল্পনা করুন, একগুচ্ছ ভয়ংকর গল্প যেগুলো সদা খোঁড়া কবরের মতই রহস্যময়। এত ভয়ানক যে মধ্যরাতে বাতাসে ঝরে পড়া পাতার মত ছড়িয়ে দেয় স্বপ্নকে। এতই আতংকের যে রক্তকে বরফের মত জমিয়ে দেয়। এতটাই রোমহর্ষক যে নিজেই ভয় পায় স্বয়ং শয়তান। কল্পনা করুন। এবার বইটি খুলে পড়তে বসুন দেখি।
ওয়্যারউলফ ক্যালিফোর্নিয়ার ড্রাগো গ্রাম থেকে পালিয়ে আসার পর তিন বছর কেটে গেছে। সুহিতা সুলতানা ও সাগর চৌধুরী ভেবেছিল আগুনে গড়ে ড্রাগের সব কটা নরকের পিশাচ মারা গেছে। কিন্তু ওরা জানে না বেঁচে আছে দুজনবুকে প্রতিহিংসার জ্বালা আর প্রতিশোধের আগুন নিয়ে। সুহিতা তিন বছর আগের ভয়ঙ্কর স্মৃতি যখন ভুলতে বসেছে এমন সময় দুঃস্বপ্নের মত সেই পৈশাচিক ইঙ্গিতগুলো আবার শুরু হলো। মেক্সিকোর পাহাড়ে শেষ লড়াইয়ে সুহিতা ও সাগর আবার মুখোমুখি হলো ভয়ঙ্কর দুই ওয়্যারউলফের! কিংবদন্তীর প্রেত সুন্দরী মেয়েটির ঘাড়ের টিউমারটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকুর কিছু মনে হচ্ছিল না । কিন্তু ওটা যখন দ্রুত বেড়ে চলল, সিদ্ধান্ত নেয়া হলো অপারেশন করে ফেলে দেয়া হবে টিউমার। এমন সময় ওটা নড়াচড়া শুরু করে দিল…তারপর এ টিউমারকে ঘিরে ঘটতে শুরু করল অকল্পনীয় এবং ভয়ঙ্কর সব ঘটনা কারণ সাধারণ টিউমার ওটা নয়, ওর মধ্যে জন্ম নিতে চলেছে কিংবদন্তীর প্রত–ম্যানিটু। ম্যানিটুর ব্ল্যাক ম্যাজিক আর আমাদের বিজ্ঞানের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মরণপণ লড়াই,..এমন রুদ্ধশ্বাস পিশাচ কাহিনি আপনি কখনও পড়েছেন কিনা সন্দেহ।
বিজ্ঞানী তৃণা মৃন্ময়ীর বয়ফ্রেণ্ডের অন্তর্ধান-রহস্য উদ্ঘাটনে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কালকেউটে। বিভিন্ন শহরের কিছু লোক হঠাৎই উন্মাদ হয়ে বীভৎস খুনখারাবি শুরু করে দিল। কেউ জানেনা, কোন ভয়ানক দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছে লাখ লাখ মানুষের ভাগ্যে। ভয়-আতঙ্ক আর ত্রাসের থাবা থেকে আপনার-আমার কারোরই কি রেহাই নেই?
এই যে, আপনি ভূত-প্রেত-পিশাচে বিশ্বাস করেন? তা হলে এ বইটি আপনার জন্য। আর আপনি? অশরীরী বিষয়ে বিশ্বাস নেই বুঝি? তা হলেও এ বইটি আপনার জন্য। কারণ…কারণটি গল্পগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন । তবে ভূতে বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, দয়া করে মধ্যরাতে, একাকী ঘরে বইটি পড়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমার সাবধানবাণী কানে তুললেন না তো? বেশ, এবারে দেখুন কী হয়…
শাঁখিনী অনীশ দাস অপু সম্পাদিত অনবদ্য এক হরর সংকলন শাঁখিনী। এক কুড়ি দেশি-বিদেশি হরর, পিশাচ ও রোমাঞ্চ গল্প নিয়ে এবারের নৈবেদ্য। যথারীতি প্রতিটি গল্পই পাঠকদেরকে করে তুলবে চমকিত, শিহরিত ও রোমাঞ্চিত! নিশিডাকিনী তৌফির হাসান উর রাকিব সম্পাদিত দৃষ্টির অগোচরে থাকা অতিপ্রাকৃত জগতের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই আমাদের। কী লুকিয়ে আছে ওখানে? কারা লুকিয়ে আছে? অধুনা হরর সাহিত্য মাতানো জনপ্রিয় সব লেখকদের নিখাদ মৌলিক গল্পগুলো একবার পড়তে শুরু করলে ঘড়ির কাঁটার অস্তিত্ব ভুলে যেতে বাধ্য হবেন আপনি। যাঁরা অতিলৌকিক কাহিনী ভালবাসেন, তাদের জন্য “নিশিডাকিনী’-র ডাক উপেক্ষা করা এক কথায় অসম্ভব!
ভৌতিক হাত এবারেও দুই ডজন ভৌতিক গল্পের ডালি সাজিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছেন অনীশ দাস অপু মৌলিক পিশাচ কাহিনির ভক্তদের খুবই ভাল লাগবে ‘ভৌতিক হাত’। আর অনুবাদ গল্পগুলোও যে পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে তুলবে সে গ্যারান্টি স্বয়ং সম্পাদকের। তিনি বলছেন, আমি এ বইয়ের প্রায় প্রতিটি গল্প পড়েই চমকিত ও শিহরিত হয়েছি। আমার বিশ্বাস, চমৎকার একটি পিশাচ কাহিনি সংকলন হিসেবে পাঠকপ্রিয়তা পাবে “ভৌতিক হাত”। তবে বইয়ের ভাল-মন্দের শেষ বিচারটা আপনাদের হাতেই রইল, পাঠক হাকিনী হাকিনীরা খুব নিচু স্তরের পিশাচ। এদের বুদ্ধিবৃত্তি পশু শ্রেণীর হলেও ক্ষমতা প্রচণ্ড। এদেরকে ডেথ এঞ্জেল ও বলা যায়। ডেকে এনে যার মৃত্যু চাওয়া হয় তাকে একবার চিনিয়ে দিলেই হলো। বাকি কাজ তাদের। তবে সমস্যা হলো, যার জন্য ডাকা তাকে মারতে না পারলে যে ডেকেছে তাকেই মেরে ফেলবে হাকিনী। এত কিছু জেনেও মন্ময় চৌধুরীর সাহায্যে হাকিনী জাগানোর সাধনায় বসল সঞ্জয়… প্রিয় পাঠক, হাকিনীর মত আরও বেশ কিছু রক্ত হিম করা হরর ও পিশাচ কাহিনি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ সংকলন। অনীশ দাস অপু সম্পাদিত হরর সংকলন আপনি পছন্দ করেন কারণ, তাঁর বইয়ের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে ভয় ও রোমাঞ্চ। এই বইটিও আশা করি আপনাদেরকে হতাশ করবে না।