রক্ষণশীল চীনা তরুণী কোয়েই-লান। জন্মের আগেই হয়ে গেছে বাগদান! মায়ের কঠোর প্রশিক্ষণে হয়ে উঠছে সে বিবাহযোগ্যা। কিন্তু বিয়ের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ভিড় করছে কোয়েলের মনে। পাশ্চাত্য-শিক্ষায় শিক্ষিত ওর হবু বর এমন সব ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী, চীনাদের পারিবারিক আদর্শের সঙ্গে যা রীতিমতো সাংঘর্ষিক। বিয়ের পর পরিস্থিতি ঠেলে দিল ওদেরকে বাড়ির বাইরে। পদে পদে অনুভব করতে লাগল মেয়েটি, কতটা প্রকট হতে পারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার দ্বন্দ্ব!
জীবন বদলে দেওয়া এক অমূল্য বই হ্যাল এলরডের দ্য মিরাকল মর্নিং। প্রকৃতপক্ষে এটা শুধু একটি বই নয়; এটা জীবনযাপনের এক নতুন পদ্ধতি- একটি অভ্যাস গঠন প্রক্রিয়া যা জীবনকে গড়ে দেয় নতুন আঙ্গিকে। বইটি যেন একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন। জীবনে এই বইটির সংস্পর্শে আসা মানে যে-কোনাে মাত্রায় জীবনকে বদলে ফেলা, জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারা।
গ্রেট এক্সপেকটেশানস গ্রামের কিশোর পিপ। আকস্মিকভাবে অসীম সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল ওর সামনে, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তার সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিতে চাইল তার নামে; শর্ত একটাই: ভদ্রলোক হতে হবে পিপকে। লণ্ডনে চলে এল পিপ। ঘনিষ্ঠতা হলো অপরূপা এস্টেলার সাথে। অবশেষে পিপ জানতে পারল তার সম্পত্তিদাতার পরিচয়। যে সম্ভাবনার সৌধ সে গড়েছিল মনে মনে, এক নিমিষে ধূলিসাৎ হয়ে গেল তা। ডেভিড কপারফিল্ড ডেভিড কপারফিল্ড। চার্লস ডিকেন্স-এর অমর সৃষ্টি। জন্মের আগেই পিতৃহারা মা-কে হারায় মাত্র দশ বছর বয়সে। অসহায় শিকার হয় নিষ্ঠুর সৎ-বাবার অত্যাচারের। চরম দুঃখ-কষ্টের মধ্যে কাটে তার শৈশব। তবু সে হার না মেনে লড়তে থাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কীভাবে সে উপনীত হবে পূর্ণ সুখ ও শান্তির সোনালী মঞ্জিলে? দ্য জাঙ্গল বুকস্ ঝোপের মাঝে লুকিয়ে বসে আছে কালো একটা ন্যাংটো ছেলে। এখনও ভালভাবে হাঁটাই শেখেনি সে। যে নেকড়ে-মা তাকে লালন করছে সে তার নাম দিয়েছে-মৌলি। বলেছে, জঙ্গলে থাকতে হলে জঙ্গলের আইন মেনে চলতে হবে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে মৌগলি। তাকে খাওয়ার জন্যে ঘুর-ঘুর করে ক্ষুধার্ত বাঘ। কিন্তু শক্ত পাহারা দিয়ে রাখে অন্যান্য জন্তুরা। অপূর্ব একটি বই।
পুড্ন্হেড উইলসন ১৮৩০ সালে মিসিসিপির তীরে গড়ে ওঠা ডসন ল্যাণ্ডিং নামে এক শহরের পটভূমিতে অমর লেখক মার্ক টোয়েন তার কাহিনির শাখা বিস্তার করেছেন। তখনকার মার্কিন সমাজে দাসপ্রথা কী নির্মম ছিল, সুযোগ পেলে ওই দাস-দাসীরা কীভাবে প্রতিশোধ নিত, রক্সি চরিত্রটি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ছেঁড়া কাঁথা থেকে তুলে রাজসিংহাসনে বসিয়ে দেয়া সত্ত্বেও টম দ্রিস্কল নিজেকে সংশোধন করতে পারেনি, বংশগৌরব অক্ষুন্ন রাখার অন্ধ মোহে তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় জজ দ্রিস্কল শেষ পর্যন্ত নিজের সর্বনাশই ডেকে আনলেন। গুবরে উইলসনকে পাঠক ভুলতে পারবেন না। ভুলতে পারবেন না চেম্বারের করুণ পরিণতি। নাটক থেকে আরও গল্প ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের নাম শোনেননি এমন সাহিত্যানুরাগী বিশ্বে বিরল। শেক্সপীয়ারের নাটকগুলো বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সেগুলো থেকে বাছাই করা বিখ্যাত ছটি নাটকের কাহিনি সংকলিত হয়েছে এ বইতে। সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখা কাহিনিগুলো সবারই ভাল লাগবে। রব রয় ব্যবসায়ে বসব না, কবিতা লিখব, সাহিত্য করব বললেই তো চলবে না-ফ্র্যাঙ্ককে তা হলে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন ওর বাবা। সে-সমস্যা না হয় কাটল, কিন্তু চাচার ওখানে গিয়ে যে পড়তে হলো আরেক সমস্যায়? না হয় ডাকাতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল ও, কিন্তু মন পেল কি অপরূপা ডায়ানা ভার্ননের? তারপর খবর পেল মস্ত বিপদে পড়ে যাবেন ওর বাবা, যদি না ও সময় মত সাহায্য করতে পারে। একের পর এক জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফ্র্যাঙ্কের জীবনে। তা হলে কি সব কূল হারিয়ে চিরজীবন এক পরাজিতের মতই বাঁচতে হবে ওকে?
বর্তমান সময়ে সবচাইতে আলোচিত একটি বই নো ইজি ডে। সাবেক নেভি সিল কমান্ডো ম্যাট বিসোনেট (এই বইয়ের জন্য মাক ওয়েন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন) সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেনের কিলিং মিশনে। সেই অভিযানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পাশাপাশি এই বইতে উঠে এসেছে আমেরিকান স্পেশাল ফোর্সের অভ্যন্তরের বিশদ চিত্র আর অসংখ্য মিলিটারি অপারেশনের নিখুঁত বিবরণ, সেইসাথে বিন লাদেনকে খুঁজেবের করার সত্যিকারের গল্প। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এর আস্বাদ নেবেন।
দক্ষ স্নাইপার বব লি সোয়েগারকে ভাড়া করা হয় গোপন এক মিশনের জন্য; কিন্তু ভয়ঙ্কর সেই মিশনে নেমেই বব বুঝতে পারে ঘটনা অন্য রকম-বিরাট এক ষড়যন্ত্র ভেদ করে বব লি সোয়েগার কি পারবে নিজের জীবন নিয়ে ফিরে আসতে-জবাবটা নিহিত আছে স্টিফেন হান্টারের অসাধারণ থৃলার পয়েন্ট অব ইমপ্যাক্ট-এ।