কালো ডাক এখানে ওখানে আগুন ধরে যাচ্ছে। সবার ধারণা দুর্ঘটনা। কিন্তু তিন গোয়েন্দার ধারণা আগুন কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহটা আরও বাড়ল, যখন হুমকি দিয়ে চিঠি এল: তদন্ত বন্ধ করো, নইলে খুন হয়ে যাবে! দমল না তিন গোয়েন্দা। সিংহ নিরুদ্দেশ রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গেছে একটা সিংহ। লোকালয়ে ঢুকলে সর্বনাশ। পিছু নিল তিন গোয়েন্দা। যে করেই হোক জ্যান্ত ধরতে হবে ওটাকে। ভুট্টাখেতে গুলির শব্দ। চেঁচিয়ে উঠল কাপলিং: মেরেছি! মেরেছি! সর্বনাশ করে দিল বুঝি লোকটা! ফ্যান্টাসিল্যাণ্ড ফ্যান্টাসিল্যাণ্ডে মজা করতে এসে মহা বিপদে পড়ে গেল কিশোর। কালো আলখিল্লাধারী এক জীব ওকে বলছে ড্রাগন খুঁজে দিতে। কীসের ড্রাগন? কোথা থেকে খুঁজে দেবে কিশোর? অত কথা ওরা শুনতে চায় না। হুমকি দিল, সে সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে চাপ। বন্ধুকে রক্ষা করতে পাশে এসে দাঁড়াল মুসা ও রবিন। শক্তিধর শত্রুর বিরুদ্ধে নামল লড়াইয়ে।
কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা রকিব হাসান হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছিÑ এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
লুকানো সোনা পর্তুগালের লিসবনে বেড়াতে চলেছে তিন গোয়েন্দা। খবরটা জেনেই ফ্রাউ তারানা ইসলাম ওদের অনুরোধ করলেন তাঁর বাবার লুকানো সোনাগুলো উদ্ধার করে দিতে। তিন গোয়েন্দা কথা দিল, সাধ্যমত চেষ্টা করবে ওরা। কিন্তু লিসবনে অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব বিপদ, এমন বিপদ, যা ওরা কল্পনাও করতে পারেনি। পিশাচের ঘাঁটি রাগ ঝিলিক দিয়ে উঠল আধ পাগল লোকটার চোখে। বলল, ‘সাহস আছে তোমার, ছোকরা। এই বেয়াদবির জন্য লোহা পুড়িয়ে গরুর মত নম্বর দেয়া হবে তোমার কপালে।‘ছুটতে শুরু করল মুসা। কোনভাবে গেটের কাছে পৌঁছাতে পারলেই মুক্তি। পিছনে শোনা গেল গুলির শব্দ। তুষারমানব গ্রীন হিলসে শুরু হল প্রবল তুষারপাত। আনন্দে চেঁচাতে লাগল মুসা। রনিও যোগ দিল তার সঙ্গে। একটাই আফসোস, কিশোর নেই। বাদ সাধল দুষ্ট রিকি। তবে সময়মত এসে হাজির হলো কিশোর। শুরু হলো লড়াই-রিকি বনাম তিন গোয়েন্দা।
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!