দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
বাস্তুহারা হয়ে লন্ডনে এসে কপালগুণে ধনী ব্যবসায়ী হয়ে গেল হুবার্ট অভ হেস্টিংস, কিন্তু অভিজাত বংশের সুন্দরী অথচ রহস্যময়ী ব্লাশকে ভালোবেসে সব হারাতে হলো। পালিয়ে চলে গেল সে তাভানতিনসুয়ু-তে (পেরু), হয়ে গেল “সমুদ্র-দেবতা”। পরিচয় হলো কুইলার সঙ্গে, প্রেম আবার এল জীবনে, কিন্তু বিদ্রোহের আগুন আলাদা করে দিল দুজনকে। বাধল চ্যাকা-য়ুক্কা বনাম ক্যাছুয়া যুদ্ধ, ঝলসে উঠল হুবার্টের তরবারি “শিখা-তরঙ্গ”, ক্যাছুয়াদের সিংহাসনে বসার সুযোগ পেল কারি। একদিন এই লোকের জীবন বাঁচিয়েছে হুবার্ট, কিন্তু আজ রাজা হয়ে সেই কারিই বলছে দরকার হলে কুইলাকে পুড়িয়ে মারবে তারপরও কোনোদিন তুলে দেবে না হুবার্টের হাতে। পাতা হলো নিশ্ছিদ্র ফাদ, অপহৃত হলো মেয়েটা, ওকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল হুবার্ট। কিন্তু শেষ রক্ষা বোধহয় হলো না, মৃত্যু-উপত্যকায় সদলবলে হাজির হলো প্রতিশোধপরায়ণ কারি। সুতরাং আরও একবার শিখা-তরঙ্গ হাতে নিতে হলো হুবার্টকে। হ্যাগার্ড এর আরেকটি চমকপ্রদ উপন্যাস। নিয়তির কাছে মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের আরেকটি অনন্যসাধারণ কাহিনি।
কথা ছিল, চিরশত্রু ফাংদের কবল থেকে আমার অপহৃত ছেলেকে উদ্ধার করবেন আবাটিদের রানি, তবে তার আগে ফাংদের সিংহ-মাথার দেবতার বিশাল মূর্তিটা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ফিরে এলাম লণ্ডনে। খুঁজে বের করলাম পুরনো এক বন্ধুকে, সঙ্গে জুটে গেল আরও দুজন। রাইফেল আর ডিনামাইটের বহর নিয়ে আমরা চারজন রওয়ানা হয়ে গেলাম মিশরের উদ্দেশে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল পথপ্রদর্শক শ্যাডর্যাক, ধরা পড়ল আমার বন্ধু, সিংহের মুখে ছুঁড়ে দেয়া হলো ওকে। ওদিকে রানির প্রেমে বুঁদ হয়ে গেল আমাদের দলনেতা অলিভার, শোধ নিতে প্রস্তুত হলো রানির হবু স্বামী সেনাপতি যশুয়া, গভীর রাতে অলিভারের ঘরে ছুরি নিয়ে ঢুকল আততায়ী। মাহেন্দ্রক্ষণে ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র: সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রহরীদের, এবার অপহৃত হয়ে যেতে পারেন রানি নিজেই। শুরু হয়ে গেল আবাটিদের গৃহযুদ্ধ, রানির প্রাসাদে লাগল আগুন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভি্যোগে বিচারের সম্মুখীন হলাম আমরা, যার রায় হতে পারে একটি-মৃত্যুদণ্ড। বজ্রাহতের মতো প্রত্যক্ষ করলাম আমরা রানীর ছলনাময়ী রূপ। তারপর?
দ্য লেডি অভ ব্লসহোম: জমিদার স্যর জন ফোটরেলের কিছু জমি দখল করতে চান ব্লসহোম অ্যাবির অধ্যক্ষ ক্রেমেন্ট মন্ডন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন স্যর জন। তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে সিসিলি জানে না কী করতে হবে। শুধু জানে, এবার ওর পালা—হয় মারা পড়তে হবে বাবার মতোই, নয়তো আজীবন বন্দি থাকতে হবে সেম অ্যাবি-সংলগ্ন আশ্রমে। আপন বলতে মাত্র দু’জন আছে মেয়েটার পালক-মা এমিলিন স্টোয়ার আর প্রেমিক স্যর ক্রিস্টোফার হার্ট|শুরু হলো প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ক্লেমেন্ট মন্ডনের বিরুদ্ধে ওদের তিনজনের সংগ্রাম। পদে পদে বাধা, বিপদ আর মৃত্যুর হাতছানি। কী হলো শেষপর্যন্ত? মেরি: প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী-‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকেমেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে। সবাই কে এই মেরি? কী তার কাহিনী? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন?
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ঘেঁষে যাচ্ছিল জাহাজটা। ভীষণ ঝড় উঠল সাগরে, জাহাজডুবি থেকে বেঁচে গেল রালফ নামের এক ইংরেজ ছেলে। ওকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এল আমার মেয়ে সুয্যান। বোয়া হয়ে কী করে ঠাই দিই এক জাতশত্রুকে? কিন্তু নিয়তি চেয়েছিল আমাদের সঙ্গেই থাকুক রালফ ওর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হোক সুয্যানের। চেয়েছিল ছেলেটার বংশ পরিচয়ের কারণে স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় হাজির হোক দুই ইংরেজ। চেয়েছিল সুয্যানের রুপে উন্মত্ত হয়ে রাল্ফকে গুলি করুক আমার জাতভাই সোয়ার্ট পিয়েট। চেয়েছিল, সুয্যানের ত্রাণকর্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হোক আদিবাসী ডাকিনী সিহাম্বা গেনয়াঈা তারপর? তারপর কী চেরেল নিয়তি?
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?