যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্টে করেছে তার চাইতে বড়, তার চাইতে বিস্তৃত এক শক্তি। কোনো সমাজে সেই শক্তির নাম জুপিটার, কোনো সমাজে অলিম্পিয়ান, কোনো সমাজে এইসির। প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের শোনাবো সেই এইসিরদের গল্প। যারা দেবতা হয়েও...ঠিক দেবতা নন। শোনাবো দানো কিংবা জতুনদের গল্প, যারা সৃষ্টির বিপক্ষের শক্তি হয়েও...ঠিক অশুভ নন। শোনাবো ওডিনের কিংবদন্তি...যিনি সর্ব-প্রথম, সর্ব-পিতা ও দেবপ্রধান। শোনাবো থরের নানা অভিযানের কথা...যার নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে প্রতাপশালী হিমদানোরা। শোনাবো লোকির চালাকির আখ্যান...অতি চালাকের গলায় দড়ি কথাটা সম্ভবত যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খাটে। আর শোনাবো র্যাগনোরকের কথা...এই অন্তিম দিবস যা মহাবিশ্বে জন্ম দেবে নতুন এক চক্রের। এইসির-জতুন-থ্রাল-রিগ-এলফ-বামন-সিগার্ড-হেল... প্রিয় পাঠক, এদের গল্প শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
কে এই দেবতা পাংগু, যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও পৃথিবী? দেবী নুওয়া না চাইলে, ধরণী কি পেত মানুষের দেখা? কেন আজো বানর-রাজা সন-ওয়েকংকে দেখা যায় চীনের বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে? সমৃদ্ধ চৈনিক লেখন-শৈলীর জন্ম হলো কীভাবে? চাঁদের দিকে তাকালে কেন দেখতে পাওয়া যায় জেড খরগোশের অবয়ব? চৈনিক পুরাণ, চীনা-সভ্যতার মতোই, বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যুগে যুগে যোগ হয়েছে অগণিত কিংবদন্তি, মুখরোচক গল্পে বুঁদ হয়েছে মানুষ। প্রিয় পাঠক, আসুন, চৈনিক পুরাণের মজাদার আখ্যানে আমরাও করি অবগাহন।
বাবাকে মৃত্যুর মুখে রেখে ধ্যানে বসেছে কিঙ্কর। পেছনে ধেয়ে আসছে অসুরের দল, ভাইকে রক্ষা করতে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বোন। এদিকে আসছেন অমর পরশুরামও, তিনি কি পারবেন সময়-মতো পৌঁছতে? নাকি তার আগেই ঘটে যাবে অঘটন? উপকূলের বুকে আঘাত হানতে চলেছে প্রকাণ্ড এক ঘূর্ণিঝড়। প্রকৃতি নির্দয়, তবে এতটা নির্মম কি? নাকি এর পেছনেও রয়েছে কোনো অপশক্তি, যার কারণে পালন-কর্তাকেই আসতে হচ্ছে বারবার এবং আরো একবার; যতদিন না তার উপযুক্ত কায়া সৃষ্টি করছেন সৃষ্টিকর্তা। শক্তি আর অপশক্তির লড়াইয়ের যুগ-যুগান্তরের উপাখ্যান: শিবোহাম।