কোন দিকে অগ্রসর হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম? কোন দিকে যাত্রা করবে নতুন দিনের অভিযাত্রীরা? তারা কি ডুবে যাবে কালের আঁধারে? বিলীন হবে অশুদ্ধতার অশুভ গহ্বরে? নাকি, তারা হৃদয়-মাঝারে বয়ে বেড়াবে আলোর ফুলকি? আলোকিত করে যাবে জনপদ থেকে জনপদ? তারা কি রাঙিয়ে তুলবে ভুবন? নতুন করে ছিনিয়ে আনবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি প্রভাত? তারা কি বেড়ে উঠবে ফুলের কুঁড়ির মতো? প্রস্ফুটিত হবে দিগন্ত আলো করা শোভা নিয়ে? তারা কি আখিরাতেও আমাদের জন্য আলো হবে? প্রদীপের মতো হবে পথযাত্রী? আগামীর সেই অভিযাত্রীদের মনে দীপ্ত এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই রচিত হয়েছে ‘শিশুর মননে ঈমান’।
কালবৈশাখীর কালো মেঘে যেভাবে ছেয়ে যায় নীলাভ আকাশ, আমাদের অন্তরও মাঝে মাঝে সেভাবে অন্ধকার হয়ে পড়ে। পাপের আস্তরণে আস্তে আস্তে মরিচা ধরে আমাদের ঈমান এবং আমলের স্তম্ভগুলোতে। কালবৈশাখীর ঝড়ের ঝাপটায় যেভাবে প্রকৃতি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়, পাপের আবরণ আর কলুষতার কালো মেঘের আবহ আমাদের অন্তরকেও সেভাবে জীর্ণ-শীর্ণ করে ছাড়ে। তখন আমাদের চোখে-মুখে রাজ্যের অন্ধকার। আমরা কি তবু বুঝতে পারি, কোথাও হয়তো একটুকরো আলো দীপ্যমান হয়ে জ্বলছে আমাদের অপেক্ষায়? কোথাও হয়তো বসন্ত এসে ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেবল আমাদের শুভাগমনের উপলক্ষ্যে। সেই আলো, সেই বসন্ত আর সেই ফুল আমরা দেখতে পাবো যদি অন্তরের মরিচাটুকু সরিয়ে দিতে পারি। গভীর ঘন কালো পাপের আস্তরণটা সরাতে পারলেই দেখা মিলবে নতুন ভোরের, নতুন আলোর। সেই অন্ধকারকে দূর করে, সেই মরিচা রোধ করে জীবনকে নতুন এক ভোরের ঊষালগ্নে উপস্থিত করার জন্য আমাদের এবারের প্রয়াস হৃদয় জাগার জন্য...