বদলা ভাইয়ের খুনীকে খুঁজতে ম্যাড রিভার কান্ট্রি এসেছে বার্ট। এখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সে কেন্ট ব্রাইসনের সঙ্গে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ডেনিস মাইকেল, চাকরি দিল নিজের র্যাঞ্চে। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে জানানো হলো ওকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেপথ্য থেকে কে চালছে দাবার খুঁটি? কী স্বার্থ তার? বিল হিকক বু হিল র্যাঞ্চে হচ্ছেটা কী? রহস্যময় সব লোক বাথানের ক্রু। কী চায় সে? কেউ জানে না। কেউ কখনও তাকে কাছ থেকে দেখেওনি। যার যার প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সবাই। সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বু হিল বাথানের সীমানার কাছে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায় রহস্যময় আরেক চরিত্র-ব্লাক রাইডার। ক্রমে জমে উঠল নাটক। একে একে সবার মুখোশ উন্মোচিত হলো। ভাল-মন্দের বিচার করার এখন সময় নেই, বু হিল বাথান, আর সবকিছুর নিয়ামক হয়ে দাঁড়াল কিংবদন্তী একটা নাম-বিল হিকক। রক্ত পিশাচ সামান্থা রিভার্সের বিয়ের দিনই খুন হয়ে গেল বুড়ো সাধক জেড পারভিট। খুনী সন্দেহে বিনা বিচারে ওরা ফাঁসিতে ঝোলাল দুজন আগন্তুককে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হলো না সামান্থার । একদিন ভাই আর বোন জামাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাজির হলো সুদর্শন ওয়েন রে। রেঞ্জওয়ার দানা বেঁধে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে না কে খুনী। খুন হয়ে গেল সামান্থার বাবা। কে যেন ওয়েন রোকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। শক্ত লোক ওয়েন। জমে উঠল নাটক ।
রুদ্র সীমান্ত কিঙ বিগ স্পেন্সার, রাজার মতই চাল চলন। তার কথাই আইন। ছেলের উস্কানিতে পাহাড়ের ছোট র্যাঞ্চারদের উৎখাত করার সিদ্ধান্ত নিল। খুন হলো বিল গ্রেহাম। আগুন জ্বলল। খাবার কেনা বন্ধ করে দেয়া হলো। মাইক মরগ্যান নেতৃত্ব দিচ্ছে পাহাড়ীদের। দুর্ধর্ষ পিস্তলবাজ সে-কিন্তু মাত্র কয়েকজন লোক নিয়ে কিঙ সাম্রাজ্যের এত লোকের বিরুদ্ধে কী করতে পারবে? শুরু হলো সংগ্রাম। শয়তানের চক্র পাঁচ বছর পর স্ত্রী ফর্কসে ফিরেছে বব। উদ্দেশ্য, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু শহরে পৌছতে না পৌছতেই উত্তেজনার আঁচ পেল ও। কথা নেই বার্তা নেই সেলুনে গ্রেপ্তার করা হলো ওকে। ওর বন্ধু গ্লেন আর হার্শেলকে নাকি খোঁজা হচ্ছে খুনের দায়ে। রুখে দাঁড়াল বব। বিনা বিচারে খুন হতে দেবে না বন্ধুদের। শর্ত ছয় বছর পর চকটো বেণ্ডে ফের দেখা হলো এদের আত্মবিশ্বাসী টগবগে দুই যুবক, কর্নেল স্টুয়ার্টের অধীন সাবেক ক্যাপ্টেন। একসময় পাশাপাশি চলেছে ওরা, পাড়ি দিয়েছে বহু বিপদসংকুল পথ, অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতই। কিন্তু এখন… পরস্পরকে খুন করতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে হাতে।
স্বর্ণ সন্ধানী ওয়েসাইডে এসে হাজির হলো ওরা। সেখান থেকে ডেডউড। উদ্দেশ্য—স্বর্ণসন্ধান। ভবঘুরে এক আউট-লয়ের বন্ধুত্ব হয়ে গেল ডেভ মুরের সঙ্গে। ডেভ মুর ভালবেসে ফেলেছে নিঃসঙ্গ লরাকে। লরা জানে সোনার খনির সন্ধান। সেজন্যই কি ওকে প্রয়োজন জিম হগম্যানের? ফাঁদ পাতল হগম্যান; ধরা পড়ল লরা। ভয়ঙ্কর বিপদে অজান্তেই জড়িয়ে গেল দুঃসাহসী দুই বন্ধু। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে যাচ্ছে ডেভ মুর বিনাদোষে। সশস্ত্র লোকগুলোকে ঠেকানোর চেষ্টা করল ডেভ মুরের বন্ধু। পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়াল দুর্ধর্ষ ওয়াইল্ড বিল হিকক। তারপর? মীমাংসা ফোর্ট স্ট্যামবার্গের অবস্থান টেরিটরির সবচেয়ে বিপজ্জনক আইনহীন খনি-শহর সাউথ পাস সিটির পাশে, যেখানে আছে অসংখ্য মাথা গরম নিষ্ঠুর মাইনার, নীচ জুয়াড়ী আর সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী। এবং বাইরে, আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষায় আছে ক্ষুব্ধ ইণ্ডিয়ানরা। ফোর্টে জমা করা সোনা রাখতে ভয় পাচ্ছে ক্যাপ্টেন জনসন, কারণ সে জানে, যে কোনও মুহূর্তে খোদ পোস্টেই রেইড হতে পারে, নিমেষের মধ্যে লুঠ হয়ে যেতে পারে লক্ষ টাকার সোনা। ওদিকে সোনা সাপ্লাই নিয়ে যাওয়া কোনও স্টেজই গন্তব্যে পৌছতে পারছে না, লুঠ হচ্ছে পথে। চারপাশে বিশ্বাসঘাতকতা, হীন চক্রান্ত আর সঙ্কীর্ণ স্বার্থসিদ্ধির মরিয়া চেষ্টা… এই অবস্থায় এখানে আগমন জন হেভেনের। একটাই ওর উদ্দেশ্য যেভাবেই হোক আর্মির মান রাখতে হবে…
লোভের ফাঁদে/কাজী শাহনূর হোসেন হ্যাজেন ক্যারী আর তার স্ত্রী স্যালীর নির্বিঘ্ন ট্রেনযাত্রা বিঘ্নিত হলো ডাকাতদের হামলায়। বেঘোরে প্রাণ হারাল হ্যাজেন ক্যারি। লুট হয়ে গেল ট্রেনের কার্গো-সোনা। ব্ল্যাক ডায়মণ্ড মাইনিং অ্যাণ্ড মিলিং কোম্পানী তাদের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল। ফলে শহরে এসে ভিড় জমাল প্রতিটা শকুন। সবাই-এমনকি স্যালী ক্যারিও তার স্বামীর মৃত্যুর ফায়দা লুটতে উঠে পড়ে লাগল । লোভের ফাদে জড়িয়ে পড়ছে ওরা। সামনে বিপদ/গোলাম মাওলা নঈম কার্ল রিকটারের মত চালু পিস্তলবাজের গুলি মাথায় লাগার পরও বেঁচে যাওয়া লোকটা কে? কী নাম ওর? পরিচয় কী? কেনই বা একদল লোক খুন করার জন্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে ওকে? কে শত্রু? কেই বা বন্ধু? জানা নেই। কিছুই জানা নেই ওর। শুধু জানে পালাতে হবে, বাঁচতে হলে অনেক দূরে চলে যেতে হবে। অচেনা শত্রুর হাতে খুন হওয়ার আগেই নিজের পরিচয় জানতে হবে…স্মৃতি ফিরে পেতে হবে… কিন্তু যাওয়া হলো না ওর। একদল আউট-লর মাঝখানে অসহায় অ্যাঞ্জেলা জ্যাকসনকে কীভাবে ফেলে যায়? জেনে-শুনেই বিপদ মাথায় নিল । ক’জন আসবে শত্রুরা? আসুক না! একটা কোল্ট আছে ওর, আর আছে অসংখ্য বুলেট… ষড়যন্ত্রের জাল/সায়েম সোলায়মান বয়েডের দোষ দুটো-মেজাজটা চড়া এবং পিস্তলে দারুণ চালু হাত। ফলাফল: আট বছরের কারাদণ্ড। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে দেখল, বলতে গেলে কিছুই নেই ওর। হঠাৎ করেই ওকে পরপারে পাঠানোর জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারা যেন। শেরিফ কলিন্স নির্বিকার, বন্ধু স্টিভ ছাড়া পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই। ভেবেছিল নিরীহ গরু-ব্যবসায়ী হিসেবে বাকি জীবন কাটাবে, ভুলেও হাত দেবেন না পিস্তলে। হলো না!
কারসাজি জ্যাক কার্মডি তার নিউ মেক্সিকোর পুরানো শহরে ফিরে এসেছে বুনো ঘোড়া বিক্রি করবে বলে। প্রচুর টাকার প্রশ্ন জড়িত এ কারবার। সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করবে ঘোড়া। কিন্তু শহরের কেউ কেউ পছন্দ করতে পারল না জ্যাকের প্রত্যাবর্তন। গর্ডন হার্কার এদের একজন। এক যুগ আগে জ্যাকের পরিবারের প্রতি তার চরম অন্যায় আচরণের জন্যে মনে মনে ভয় পাচ্ছে সে। প্রতিশোধ নিতে এল নাকি যুবক? লালসা মাত্র একটা ভুল করেছে বার্ট গ্যাভিন। অ্যামুশই যখন করবে, নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল বুলেটটা যাতে টমাস লোগানের মগজে ঢাকে, যাতে সিধে হয়ে দাঁড়াতে না পারে সে। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে ঠিকই ফিরে এসেছে টমাস, যার লাশ এতদিনে পচে গলে যাওয়ার কথা! মরতে মরতে বেঁচে গেছে টমাস, এখন আর নৃশংস খুনী বার্ট গ্যাভিন বা জাতগোক্ষুর স্কট ট্যাবেটের পরোয়া করে না, কিংবা মর্ট লিয়াণ্ডের নেকড়ের দলকেও গোনায় ধরে না। শুধু পালের গোদা ম্ট লিয়াগুকে চাই ওর। আর লিয়াও চায় ওর সবকিছু… ভবঘুরে চির ভবঘুরে জিম ওয়েলডন, বুনো পশ্চিমের শেষ প্রজন্ম। ভাইয়ের হোমস্টিডে দেখা করতে এসে আটকে গেল সে। মহা বিপদে পড়েছে ওর ছোট ভাই। পাশে গিয়ে দাঁড়াল জিম ওয়েলডন, চক্রান্ত রুখতে সাধ্যমত সাহায্য করল ভাইকে। আবারও কি অজানার পথে পা বাড়াবে জিম? নাকি আটকে যাবে স্প্রি টার্নারের ভালবাসার বাঁধনে?