সাভোর মানুষখেকো সাভোতে রেলপথ তৈরির দায়িত্বে এসে মহাবিপদে পড়লেন কর্নেল জে, এ, প্যাটারসন।…নিখোঁজ হতে লাগল একজন-দু’জন করে কুলি। ঘটতে লাগল নিত্য-নতুন রোমহর্ষক ঘটনা। এ কাহিনি পড়তে নিলে ছাড়া যায় না। ক্যারি অন, জী ধনীর দুলাল, অকর্মার ঢেঁকি, উচ্চবংশীয় ইংরেজ বার্ট্রাম উস্টারের পরিচারকের (ভ্যালে) নাম জীভস। এই জীবনের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কল্যাণে বহু মারাত্মক বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে উস্টার। অতি গভীর ব্যক্তি হাসি চাপতে পারবেন না এ-বই পড়তে গিয়ে। আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/কাজী মায়মুর হোসেন দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তিনটি রোমহর্ষক কাহিনির সংকলন এ-বই। এতে রয়েছে হান্টার কোয়াটারমেইন, আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স ও লং অর্স। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অন্যান্য কাহিনীর মত এগুলো আপনার ভাল লাগবে নিঃসন্দেহে।
যারা আমার, অর্থাৎ অ্যালান কোয়াটারমেইনের নাম শুনেছেন, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন, ফুলের সঙ্গে এই লোকের কী সম্পর্ক। বিশেষ করে তা যদি হয় আবার অর্কিড। কিন্তু অতীতে একবার এমন চমকপ্রদ এক অর্কিড অভিযানে আমি অংশ নিয়েছিলাম যে, আমার মনে হয় তার বিস্তারিত বর্ণনা না লিখে রাখাটা অন্যায় হবে। পাঠক, যাবেন নাকি আমার সঙ্গে লিমপোপো নদীর উত্তরে সেই দুর্গম অঞ্চলে হাজারো বিপদের মুখোমুখি হতে? নেবেন সেই বিস্ময়কর অভিযানে অংশ? চলুন তা হলে। কথা দিতে পারি, নরখাদক রহস্যময় পঙ্গো জাতির হাতে বেঘোরে খুন হয়ে যাবেন না।
দ্য বন্ডম্যান/সার টমাস হেনরি হল কেইন হতভাগিনী র্যাচেল বলে গেছে, ‘তোমার ওপর আমার শেষ আদেশ, হত্যা করবে তুমি স্টিফেনকে, ওর ছেলেকে। ওদের রক্ত ছাড়া আর কোনও কিছুতেই তৃপ্তি হবে না আমার আত্মার। শুনেছ? হত্যা করবে তুমি ওদের। হত্যা!’ বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে বাবা আর সৎ ভাইকে হত্যার প্রস্তুতি নিল মাতৃভক্ত জেসন। আসুন, পাঠক, আমরাও যাই আইসল্যান্ড আর ম্যান দ্বীপে, দেখি সেখানে আসলে কী হচ্ছে। নীল অন্ধকার/ফ্র্যাঙ্কো পোলি আমি চলেছি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আর্নস্ট হেমিংওয়ের সেই নীল অন্ধকারের দেশে। তখনও জানি না ছোট্ট ডিঙি নিয়ে রাত-বিরেতে সাগরে যেতে হবে হাঙর শিকারে। বলুন তো, পাঠক, কোন্ তিমির পেটে আছে অসম্ভব দামি কস্তুরী? শুধু একটা ছোরা সম্বল করে লড়া যায় হাঙরের সঙ্গে? নৌকোর পাশে ভেসে উঠেছে বিশাল মান্টা রে! এখন? দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান/আলেকযান্ডার বেলায়েভ সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, আজব এক দানবের আবির্ভাব হয়েছে সাগরে। কী ঘটছে রহস্যময় ডাক্তার সালভাদরের বাড়ির চার দেয়ালের ভেতর? পুকুরের পানির তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে কেন বানরটা? কেন হঠাৎ ডাকাতের আক্রমণ? কেন কী ঘটছে জানতে চাইলে বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম রুশ কল্পকাহিনী এই বইটি না পড়ে কোনও উপায় নেই।
পুড্ন্হেড উইলসন ১৮৩০ সালে মিসিসিপির তীরে গড়ে ওঠা ডসন ল্যাণ্ডিং নামে এক শহরের পটভূমিতে অমর লেখক মার্ক টোয়েন তার কাহিনির শাখা বিস্তার করেছেন। তখনকার মার্কিন সমাজে দাসপ্রথা কী নির্মম ছিল, সুযোগ পেলে ওই দাস-দাসীরা কীভাবে প্রতিশোধ নিত, রক্সি চরিত্রটি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ছেঁড়া কাঁথা থেকে তুলে রাজসিংহাসনে বসিয়ে দেয়া সত্ত্বেও টম দ্রিস্কল নিজেকে সংশোধন করতে পারেনি, বংশগৌরব অক্ষুন্ন রাখার অন্ধ মোহে তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় জজ দ্রিস্কল শেষ পর্যন্ত নিজের সর্বনাশই ডেকে আনলেন। গুবরে উইলসনকে পাঠক ভুলতে পারবেন না। ভুলতে পারবেন না চেম্বারের করুণ পরিণতি। নাটক থেকে আরও গল্প ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের নাম শোনেননি এমন সাহিত্যানুরাগী বিশ্বে বিরল। শেক্সপীয়ারের নাটকগুলো বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সেগুলো থেকে বাছাই করা বিখ্যাত ছটি নাটকের কাহিনি সংকলিত হয়েছে এ বইতে। সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখা কাহিনিগুলো সবারই ভাল লাগবে। রব রয় ব্যবসায়ে বসব না, কবিতা লিখব, সাহিত্য করব বললেই তো চলবে না-ফ্র্যাঙ্ককে তা হলে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন ওর বাবা। সে-সমস্যা না হয় কাটল, কিন্তু চাচার ওখানে গিয়ে যে পড়তে হলো আরেক সমস্যায়? না হয় ডাকাতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল ও, কিন্তু মন পেল কি অপরূপা ডায়ানা ভার্ননের? তারপর খবর পেল মস্ত বিপদে পড়ে যাবেন ওর বাবা, যদি না ও সময় মত সাহায্য করতে পারে। একের পর এক জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফ্র্যাঙ্কের জীবনে। তা হলে কি সব কূল হারিয়ে চিরজীবন এক পরাজিতের মতই বাঁচতে হবে ওকে?