যদি মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে জীবনপথে অগ্রসর হতে চান, যদি মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে প্রতিটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চান, যদি মেধাকে আরো বেশি বিকশিত করতে চান, তবে এ বইটির চেয়ে ভালো বন্ধু আর একটিও খুঁজে পাবেন না আপনি। এ বইয়ের চমৎকার টিপস এন্ড ট্রিকস আপনার জীবনে ভিন্ন মাত্রা এনে দেবে।
"হাইয়া আলাস সালাহ" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ হৃদয় যখন পাপসাগরে নিমজ্জিত, জীবন যখন থমকে দাঁড়ায় হতাশার বালুচরে কিংবা ক্লান্তি এসে ভিড় করে মনের আঙিনায়, তখন মুয়াজ্জিনের এক চিলতে বিনীত আহ্বান—হাইয়া আলাস সালাহ—আমাদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়, ভেতর থেকে যেন বলতে চায়, ‘এসাে কল্যাণের পথে, এসাে এক সুন্দর আগামীর পথে। প্রতিদিনকার একাগ্র সালাতে শুকিয়ে যেতে শুরু করে হৃদয়ের সব ক্ষত৷ চোখের সমুখে চিরচেনা পৃথিবী উন্মােচিত হয় নতুন রূপে৷ মহান স্রষ্টার প্রতি আশা-ভরসা বেড়ে যায় বহুগুণে। শূন্যতার জীর্ণ অনুভূতি ঢেকে যায় সবুজ কোমল ঘাসে৷ কষ্টের নীলাভ জলরাশি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ঐ দূর আকাশে।
"তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ তারা ছিল লাত-উজ্জার পূজারি। তাদের মন মরুদেশের রুক্ষতায় ভরপুর। অন্তরে কেবল ছলচাতুরী আর মিথ্যের বেসাতি। তারা সুর্যের প্রখর তাপের মতাে নির্দয়, নিঠুর। যত কালিমা, যত অমানিশ, পাপাচার—সব যখন। পরিণত হয়েছে তাদের নিত্যস্বভাবে, ঠক তখনই আগমন ঘটল এক নিস্পাপ মহামানবের। তিনি এলেন মেকিত্বে ডুবে থাকা সেই মুখ জাতিকে সত্যের পথ দেখাতে। তিনি এসেছেন মহানুভবতা, ভালােবাসা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে। তার শুভাগমন ঘটেছে মহান রবের পক্ষ থেকে এক আলাে-ঝলমলে বার্তা নিয়ে, যে আলােয় ভেসে যায় সমস্ত অনাচার, মুছে যায় সব মিথ্যে। উপাস্যের ঠুনকো অস্তিত্ব। তিনি জানেন ভালােবাসা ছড়িয়ে দিতে। তিনি জানেন সকলের মাঝে ভালােবাসার বীজ বুনে দিতে। তিনিই আমার নবি। তিনিই আমার প্রাণের নবি। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এ বইটিতে ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনে ঘটে যাওয়া সব আলােচিত ঘটনা এবং তা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে৷ কঠিন বিপদের মুহূর্তে কীভাবে সবর করবেন এবং অন্যায়-অনাচার। থেকে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, তার দুর্দান্ত কিছু কৌশল রয়েছে এখানে। হিংসুকের হিংসা এবং শত্রুদের অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে এ বইয়ের কোনাে বিকল্প নেই। সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবােধ বজায় রাখতে এ বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা যেসব বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হই, সেগুলাে পাশ কাটিয়ে কীভাবে সফল হতে হবে, তার দিকনির্দেশনা মিলবে এ বইটিতে।
একটি ভ্রূণের হৃদয়-বিদারক অনুভূতি এবং বেঁচে থাকার তীব্র আকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটির পাতায় পাতায়। ভ্রূণহত্যার মতো গর্হিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।
বছরের এক মহিমান্বিত মাস জিলহজ। নবি ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হলেন—কুরবানি করতে হবে প্রিয়তম পুত্রকে। মহান রবের আদেশ পালনে তিনি এতটুকু বিচলিত হননি। কোনো ভয়, কোনো সংশয় দানা বাঁধতে পারেনি তার অন্তরে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় কুরবানি। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছর জিলহজে লাখো লাখো মুসল্লি হাজির হয় কাবাঘরের প্রাঙ্গণে। তারা অবস্থান করে মিনায়; ছুটে বেড়ায় সাফা-মারওয়ায়। এ সকল কারণে জিলহজের গুরুত্ব আর ফজিলত মুসলিমদের কাছে অপরিমেয়। এমন পবিত্র একটি মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল এবং নির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতি। সেসব নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন ‘জিলহজের উপহার’।